বুধবার, ২২ মে, ২০১৩

প্রাপ্ত সংকেত

যারা মুসলমান রূপধারণ করে, মুসলমান সমাজে প্রবেশ করে, মুনাফিকী-নিমকহারামী, ধোকাবাজী, সত্য অসত্য বাণী প্রচার এবং লেখার মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তাদের হতে সাবধান।
“ইসলাম প্রবেশিকা” নামে হিন্দী ভাষায় প্রকাশিত একটি বই আমার হাতে এসেছে। আমি হিন্দী ভাষায় একটু পড়তে জানি, তাই তা হাতে পেয়ে পড়ে দেখলাম। উক্ত বইটিতে ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাতে দেব-দেবতা, ঈশ্বর-শব্দকে আল্লাহ্ শব্দের সাথে তুলনামূলকভাবে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তাতে দেব-দেবতা-ঈশ্বরের প্রাধান্যতা বেশী ল্য করা যাচ্ছে। যেখানে আল্লাহ্ এবং ঈশ্বর শব্দকে সমক দেখানো হচ্ছে, সেখানে মহান আল্লাহর প্রধান্যতা কোথায়?

“আল্লাহ্, যিনি তিনি ঈশ্বর নন।” ঈশ্বরের প্রতি শব্দ ঈশ্বরী রয়েছে কিন্তু, ‘আল্লাহ্’ শব্দের প্রতিশব্দ নেই। তিনি একক সর্বশক্তিমান। তাঁর ওপর আর কোন শক্তি নেই।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিকগণের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় প্রচার করে তা থেকে প্রতিবাদক পত্রিকা সরাসরি রিয়াদে পাঠানো হয়।

মুসলমানদের মধ্যে আজাজিল গ্রাসিভ্রষ্টগণ চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে, আক্বল এবং বিবেকহীনগণ মুসলমানদের মূল ভিত্তি ইমানী শব্দ কালেমায় এবং মহাপবিত্র কালামে পাকের ওপর আঘাত হেনেছে।
সর্বস্রষ্টা আল্লাহর শানে বেয়াদবী করেছে। যেমন- মহান আল্লাহর প্রেরিত একমাত্র মহাপবিত্র ক্বালামে পাকের নাম পরিবর্তন করে “হামায়েল শরীফ” নামে নামকরণ করা হয়েছে। যাহা অমার্জনীয়  অপরাধ।

শব্দ পরিবর্তনঃ সূরা ইউনুসের ১নং আয়াতের মধ্যে (হাকীমের) স্থানে “হাকাইকীম” দেখতে পেলাম।

সূরা তাওবার ঃ ৬৯নং আঁয়াতে, “হাবিতোয়াত” এর স্থানে “হাতাবিত” বিভিন্ন জায়গায় জবরের এর স্থানে জের এবং নোক্তা এলোমেলোভাবে দেখতে পেলাম। সব ক্বোরআন শরীফে নয়। ছাপা ভুল হতে পারে কিন্তু শুদ্ধি করণ হয়নি কেন? অবহেলা বা উদাসিনতার কারণ কি? কেন উদাসিনতা? স্রষ্টার সৃষ্টি জগতে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থে? এ মহাগ্রন্থ ছাপাতে গিয়ে অবহেলা বা উদাসিনতা অমার্জনীয় অপরাধ। কেন এমন হচ্ছে? সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণ ল্য করলে অসংখ্য ভুল দেখতে পাবেন। ছাপা ভুল বলে ছাড়বেন না। আল্লাহর দরবারে দায়ী থাকবেন যারা এ মহাগ্রন্থের প্রতি অবহেলা করবেন। যা একটি পরিপূর্ণ সর্বময় সর্বেেত্র সর্বাবস্থায় মহান স্রষ্টার মহা সৃষ্টি অপরিবর্তনীয় একটি মহা চিকিৎসা বিজ্ঞান। ব্যীক্ত জীবনে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ভেতর বাহের এ জগতের এবং ওজগতের বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ নির্দেশনা এবং সকল সমস্যার সমাধান বর্তমান রয়েছে। এমন একটি মহাগ্রন্থকে ছাপা ভুল বলে চালিয়ে দেয়া আর একটি মহাভুল নয় কি? এ ভুলের জন্য মানুষের নিকট এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিকট দায়ী থাকবেন। ওদের জন্য আল্লাহর আদালতে মহাশাস্তি অপেমান। উদ্ধৃত বিভ্রান্তকারীগণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্তির পথে ঠেলে দিয়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এখনও সময় আছে বিশেষ সম্মানিত নায়েবে রাসূলগণ ওলামায়ে কিরামগণ, আপনারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ সৈনিক। কাল বিলম্ব না করে বিশেষ সতর্কতার মাধ্যমে। নিজেদের মধ্যে ছোট খাটো বিভেদ ভুলে যেমন এক ইমামের পেছনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে যান।  অর্থাৎ ফরজ নামাজ আদায়ের ল্েয সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা হয়। ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ্ এবং রাসূল (দঃ) এর স্মরণিকা অন্তরে গেথে ঈমানি অস্ত্র নিয়ে ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহুর অর্থাৎ ওয়াহদা নিয়াতের ঝান্ডাতলে সদা সতর্কতাবলম্বন পূর্বক মুনাফিক্ব নিমকহারাম, ভ্রষ্টদের এবং অন্ধকারে বিচরণকারীদের আক্রমণ প্রতিহত করুন।

মহান করুনাময় আল্লাহ্ আপনাদের সাথেই আছেন।  (নাছরুমমিনাল্লাহি ওয়াফাত্ হুন ক্বারীব) আল্লাহর প থেকে আপনাদের জন্য সাহায্য এবং জয় নিকটবর্তী করে রেখেছেন)। দায়িত্বে অবহেলার জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণাও রয়েছে। এ বিষয়ে আপনারাই ভাল বা বিশেষভাবে অবগত আছেন। আল্লাহর দ্বীন-আল্লাহ রা করবেন কিভাবে?

সম্মানিত নবী এবং রাসূলগণের দ্বারা তাঁর দ্বীন তাঁর জমিনে ক্বায়েম করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে সম্মানিত নায়েবে রাসূল এবং ওলামায়ে কিরাম ও মুমীন মুসলমানগণের মাধ্যমেই তাঁর দ্বীন ক্বায়েম রাখবেন। আমি রজনী প্রহরীর মত গভীর অন্ধকারে মাঝে মধ্যে বা কখনও কখনও মৌখিক এবং লেখার মাধ্যমে হুইশেল বাজানোর মত কিছু বাক্য ব্যয় করছি মাত্র। নবী প্রতিনিধি ওলামায়ে কিরাম এবং মুসলমান ভাইগণকে সতর্ক করে যাচ্ছি।
সে পূর্ব ঘোষিত মহামানব ইমাম মাহদী (আঃ) অগ্রগতির পথে বাধা দানকারী আক্রমণাত্মক কুকুরদের প্রতিহত করার ল্েয মৌখিক এবং লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদের ঢিল নিপে করে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।
আপনারা নায়েবে রাসূল ও ওলামায়ে কিরামগণ আল্লাহর মহা পবিত্র সৈনিকরূপে একযোগে দায়িত্বে অবতীর্ণ হোন মুনাফিক নিমক হারাম কাফিরের ঘেউ-ঘেউ রব বন্ধ করুন। 

নিদ্রা প্রদর্শন

মুনাফিক নিমকহারাম ধোকাবাজ মিথ্যুক এবং ভ্রষ্টদেরকে মহান আল্লাহ কুকুরাকৃতি প্রদর্শন করিয়েছেন। আমি তাদের ঘেউ ঘেউ রবে ভিত না হয়ে তাদের ভয় প্রদর্শন করার ল্েয তাদের প্রতি ঢিল নিপে করতে প্রদর্শিত হয়েছি। মহা প্রলয় দিনে তারা কুকরাকৃতি প্রদর্শিত হবে।
বিশেষ সঙ্কটাপূর্ণ বন্ধুর পথ সহজে অতিক্রমের নির্দেশনাবলি, বিভ্রান্ত- চক্রান্তকারী কুচক্রি আজাজিল চক্র সঙ্কট শক্তির বিশেষ নির্দেশনাবলি পত্র আদম (আঃ) হতেই যুগে যুগে প্রত্যেক ক্বাওম বা জাতির মধ্যেই মহান স্রষ্টা আল্লাহর প থেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। ডাক্তারগণ যেমন তাঁদের দেয়া ব্যবস্থা পত্র পরিবর্তন পরিবর্ধন করে থাকেন, তেমনি মহান আল্লাহ তাঁরই নির্দেশনা পত্রের মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে থাকেন এবং করেছেন। মানব মুক্তির ল্েয সর্বশেষ ব্যবস্থা পত্র হিসেবে পরিবর্ধিত পরিবর্তিত মহাগ্রন্থ “আল ক্বোরআন” শরীফ প্রেরণ করেন। এ সর্বশেষ মুক্তির বাণী “আল ক্বোরআন” অনুসরণ-অনুকরণের মধ্যেই মুক্তি অবধারিত এর বিকল্প নেই। এ মহা সঙ্কটাপূর্ণ পথ অতিক্রমরতাবস্থায় এ অতিআশ্চর্য্য জগত মানবের মুক্তির জন্য শেষ ব্যবস্থাপত্র “আল ক্বোরআন” শরীফ। পৃথিবীতে আর কোন ব্যবস্থাপত্র আসবে না।
শেষ পত্র বাহক হিসেবে নবী মুহাম্মদ (দঃ) ই শেষ নবী। তাই শেষ নবী মুহাম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে আগত মহাগ্রন্থ আল ক্বোরআনই প্রেরিত হয়েছে। এটাই সর্বশেষ ব্যবস্থাপত্র। এ পত্রই অনুসরণে এবং অনুকরণে মুক্তি অবধারিত।

স্বপ্ন

আল্লাহ্ পাক আমাকে বিবস্ত্রাবস্থা থেকে জাগরণ সচেতন করে বসিয়েছেন। পুতুলের কিস-কিস শব্দের মাধ্যমে। মুমীন মুসলমানদের ভূষণ আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালনের ওপর। আমল না থাকলে ভূষণ থাকে না। যার ভূষণ থাকে না তাকে বিবস্ত্র বলা উত্তোক্তি হয় না। মুসলমান ভূষণ হারিয়ে অস্থায়ী বিবস্ত্র পুতুলি জীবনের দিকে ধাবমান। নবী রাসূলগণের মাধ্যমে স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহর প থেকে প্রাপ্ত ভূষণ গ্রন্থাবলি মানবকুলে প্রতিষ্ঠা করা মানবীয় দায়িত্ব। যদি তা মানব কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয় সে মানব বা মানবকুল বিবস্ত্রই থেকে যায়। বিবস্ত্র অর্থ পার্থিক বস্ত্র নয়। যারা ধর্ম গ্রন্থ থেকে দূরে তারা বিবস্ত্র মৃত প্রায়। মহান স্রষ্টা আল্লাহর বিধানের মাধ্যমেই মানবকুল ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে সুসজ্জিত করতে পারে। একমাত্র এ কারণেই সৃষ্টিকর্তা তাঁর মহাপবিত্র গ্রন্থাবলি প্রেরণ করেন।

যে নবী কর্তৃক আনিত গ্রন্থ মানব কর্তৃক নর্দমায় নিপ্তি হয়, সে নবীই নর্দমায় নিপ্তি হল এবং সে ব্যক্তি বা জাতিই নরকের দিকে ধাবিত হল। অত্যাচারী- অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নরক পথি মানবরূপি হায়নার দল কর্তৃক নবী রাসূলগণ নির্যাতিত হয়েছেন যেমন- “জাকারিয়া (আঃ)” কেউ কেউ নর্দমায় কুপে কেউ জালিমদের কারণেই সমুদ্রে মৎস্য পেটে নিপ্তি হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা আল্লাহর দোস্ত বা বন্ধু ছিলেন আবাদুল আবাদ অনন্ত কাল বন্ধুই থাকবেন। যারা নবী-রাসূল কর্তৃক মহা পবিত্র ধর্ম ভূষণ গ্রন্থ প্রত্যাখ্যান করেছে মূলতঃ তারাই মহা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কর্তৃক অনন্তের জন্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যারা নবী আনিত গ্রন্থ ভূষণ নর্দমায় নিপে করেছে তারাই নর্দমায় নিপ্তি হয়েছে অর্থাৎ বিবস্ত্র হয়েছে।
যারা নবী আনিত গ্রন্থ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা নবীকেই প্রত্যাখ্যান করেছে তথা আল্লাহকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে প্রত্যাখ্যানকারী চির নরকী হয়েছে। বিঃ দ্রঃ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ আহমাদ (দঃ) কর্তৃক ঘোষিত দু’জন পবিত্র মানবের ইহধামে আবির্ভাবের সময় অত্যাসন্ন। উনাদের অগ্রগতির পথে নিমক হারাম, ধোকাবাজ-মুনাফিক কুকুর কর্তৃক বাধা অর্থাৎ শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে।

“আমার স্ব-শরীরে আগমন ইশারা”
দুবস্ত্র পরিধেয়াবস্থায়
এক লুঙ্গি এবং এক গেঞ্জি।”

মহান করুণাময় আল্লাহর প থেকে আমার আগমন ইশারা স্বপ্নযোগে সংঘটিত হয়েছে। ১৯৬৯ সালে তখন কসবা কূট জামি মসজিদে বদলি ইমামের কাজে নিয়োজিত ছিলাম। মাস স্মরণ নেই। দিনগুলো স্মরণ আছে। চারটি ঘটনা একাধারে চার দিনে সংঘটিত হয়েছে। তাহলো- (১) আগমন (২) জাগরণ, (৩) পত্র পাড়ন বা পত্র লাভ, (৪) প্রত্যাগমন।

(১) আগমন ইশারা, মঙ্গলবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে । যে দিন আমি পৃথিবীতে আসি সে দিনটি ছিলো মঙ্গলবার, আমার মরহুমা আম্মাজান বলেছিলেন।
(২) জাগরণ ইশারাÑ বুধবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে।
(৩) পত্র পাড়ন বা পত্র লাভÑইশারা বৃহসপতিবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে।
(৪) প্রত্যাগমন ইশারা শুক্রবার দিবাগত রাত্র শেষার্ধে।


১। আগমন পরিচিতি
মর্ত মুখি গগনাগত বাষ্পসকট কাবায় দুবস্ত্র পরিহিত কায়।
কাবা মুখি আসিন, গগন সংযোগ, বার্তা তারে ধৃত অনুকূল প্রবাহে ধাবিত। মর্ততার সংযোগ স্তম্ভ, সিড়ি বেয়ে, মর্তে পদার্পণ। প্রত্যাবর্তন পর্যবেণ পথ মঞ্জিল স্থির নিশ্চিত।

বাড়ি গমন পথস্থির
আকাশ হতে মর্তগামী বাষ্প সকটের ছাদে পশ্চিম মুখি আসিন। মর্ত পালা বা খুঁটি সংযোগ যুক্ত গগনবাহীতার ধারণ করে সিঁড়ি রূপ মর্ত বিদ্যুৎ পালা বা খুঁটি বেয়ে, মর্তে নেমে এদিক ওদিক দর্শনান্তে আপন বাড়ী গমন পথ মঞ্জিল বা ষ্টেশন, স্থির করলাম। গগনবাহী তার অর্থাৎ আমার মালিক আল্লাহ আমার সম্পর্কে বা আমার সাথে অদৃশ্য সম্পর্ক রেখেছেন।
বিঃদ্রঃ বাষ্প সকটের ছাদে অর্থাৎ গগনাগত রেল গাড়ির ছাদে তথা পিতার মস্তিষ্কে অর্থাৎ পিতার মগজের ছাদে ডান করওয়াটে আসিন ছিলাম। দেহের কেন্দ্র বা ক্বলব মস্তিষ্ক না থাকলে ক্বলব কোথায়, সে মৃত মৃতের মস্তিষ্ক বা ক্বলব কোথায়? এ ক্বলবের মাধ্যমে অর্থাৎ মস্তিষ্কের মাধ্যমেই আল্লাহর আরশের সাথে সংযোগ স্থাপিত হয়। নূরে ইলাহী বা নূরুল্লাহ এবং নূরে মুহাম্মদি এক সাথে বিরাজ করে। নূরে আল্লাহ্ এবং নূরে মুহাম্মদি এক অন্যের মধ্যে ফানা হয়ে অর্থাৎ একাকার হয়ে থাকে তখন পানি থেকে দুধকে যেমন জুদা বা আলাদা বা পৃথক বুঝায় না তেমনি দুধ থেকে পানিকেও আলাদা বা পৃথক বুঝায় না। দুইটিকে এক নামে দুধ বলেই ডেকে থাকে। তাই আল্লাহুতে মুহাম্মদ (দঃ) অবস্থান করছেন। তাই (লা ইলাহা ইল্লাহ এবং সাথে  মুহাম্মদি (দঃ) নাম রাখতে বা ডাকতে হয়। নূরে আল্লাহ যেখানে সেখানে নূরে মুহাম্মদ (দঃ) আছেন এবং থাকবেন। মুহাম্মদ (দঃ) এখন নূরে মহাম্মদি অবস্থায় অবস্থান করছেন। নূরে আল্লাহ যেখানে নূরে মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহ্ নূরে ফানাহ হযে একাকার হয়ে আছেন সকল অনু ফরমানুতে বিদ্যমান, প্রতি রক্তকণিকায় রয়েছেন, সে মহান আল্লাহ নামক নূরকে স্মরণ করলে এবং দরূদ পড়লে এবং জিকরুল্লাহতে আল্লাহ্ এবং মুহাম্মদ (দঃ) এর সাড়া পাওয়া যাবে। আল্লাহর প্রদত্ত বিধানের মাধ্যমে জীবন জীবিকায় এবং জিকরুল্লাহ তাঁর বা তাঁদের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হবে। তার সাথে সংযোগ স্থাপন হলেই তাঁর বা তাঁদের প থেকে যে কোন সঙ্কেত এসে যায়। স্বপ্নে- তন্দ্রায় বা সচেতনাবস্থায় যখন মগজ মস্তিষ্ক ক্বলব অবৈধ অমঙ্গল মন্দ থেকে মুক্ত থাকে। কারণ সত্য সততা, বৈধতা, ন্যায় এবং পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। মস্তিষ্কই ক্বলব অর্থাৎ আল্লাহর ঘরও বলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি কুলের মর্তে আগমন ঘটে। মোট কথা পিতার মস্তকই বায়তুল্লাহতে এসেছিলাম অর্থাৎ মস্তক বায়তুল্লাহ এর ছাদে আসিন ছিলাম এবং বিদ্যুৎ স্তম্ভ বা পালা বেয়ে মর্তে পদার্পণ অর্থাৎ মাতৃগর্ভ হয়ে মর্তে আগমন।

২। জাগরণ

উচ্চাশনে বিবস্ত্র শায়ীত পুতুলের কিচ কিচ রবে সজাগ সচেতন। পুতুল মুখি আসন। কিচ কিচ শ্রবণ, পুতুল দর্শন। অর্থাৎ ঘুমন্তাবস্থায় অচেতন বিবস্ত্র বিবেক স্বজাগ বা সচেতন হয়ে কিছু বলতে চায়। (মাতৃগর্ভে এবং ক্রোড়ে বা কোলে বিবস্ত্র ছিলাম। পুতুলের কিচ কিচ রব অর্থাৎ পুতুল খেলার ঘুমন্ত অচেতন বিবেক স্বজাগ সচেতন হলো। ভাল মন্দ বিচারের মতা বা বোধ শক্তি এলো। বিশ্ব মানব মুক্তি চিন্তা ভারে পার্থিব শিা বাধা প্রাপ্ত হলো। মানব জাতিকে কিছু বলতে এবং তাদের তরে কিছু করতে কিছু দিয়ে যেতে চায় মন। তাই স্বল্প কথায় কবিতাকারে লিপিবদ্ধ করতে চেষ্টা করছি আমি কবি নই। আমি মহাসৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহর গোলাম।



ঊর্ধ্বগমন ও জাম বৃপত্র পাড়ন

মহান করুণাময় আল্লাহর রহমতে সিঁড়ি বিনা শূন্যে উঠে জাম বৃরে শিখর শাখার  শেষাংশ থেকে একটি পত্র নিয়ে সিঁড়ি বিনা নীচে নেমে মর্তে পা রাখলাম।
স্বপ্ন দর্শন পর ঘুমন্ত বিবেক স্বজাগ সচেতন হলো। শেষ নবী হযরত মুহম্মদ (দঃ) এর আনিত মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর মহা বাণী মহা পবিত্র অদ্বিতীয় মহা গ্রন্থের ওপর সন্দেহাতীত ভাবে বিশ্বাস স্থাপিত হলো।
এ মহা বিধানের আলোকে প্রদত্ত ইবাদাত-কর্ম-পদ্ধতি বা সকল প্রকার ইবাদাত বা কর্মগুলো সমস্ত নিয়ামতের শোকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায় বা প্রকাশ স্বরূপ। যারা এ মহাবাণীকে অস্বীকার করেছে প্রত্যেক অস্বীকারীর গলে লা-আনাতের অর্থাৎ গজবের বা মহাশাস্তির তবক্ব মেডেল বা মালা বা ঘণ্টা ঝুলে গেলো। উক্তোক্তিতে বিশ্বাস স্থাপিত হলো।

শুক্রবার দিবাগত রজনী শেষার্ধে
প্রত্যাগমন ইশারা (স্বপ্ন দর্শন)
আপন প্রাণহীন কায় পার্শ্বে বসে নিজ শরীর দর্শন। উদ্ধৃত স্বপ্ন দর্শন কিছু  দিন পর নিম্ন স্বপ্ন দর্শন। দেয়াল ঘেরা পাক মহল দর্শন। উক্ত মহল হতে এক ভদ্র মহিলা নির্গমন দর্শন। দেয়ালের বাইরে দু’রকম গাড়ী, একটি রাজকীয় টেক্সি, অন্যটি সৈনিক গাড়ী দর্শন।
এমনি রজনীতে (স্বপ্ন) দর্শন-দিন স্মরণ নেই, ৭১/৭২ সালের ঘটনা। তাই দিন  স্মরণ নেই। আমাদের পেয়ারে নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) কে স্বপ্নে দর্শন উজু করার অবস্থায় আসনে আসিন ছিলেন পূর্বমুখি। হুজুরে পাক (দঃ) এর পাশে আর একজন দাঁড়ানো ছিলেন। আমি নবী পাক (দঃ) এর বাম পাশে হুজুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিলাম। হুজুরে পাক (দঃ) সাধারণ মেজাজে ছিলেন খোশ মেজাজে নয়।

স্বপ্ন ঃ অন্য এক রজনীতে পশ্চিমে গমন। পরে আল্লাহর রহমতে, মালীকে ইলাহী এবং পেয়ারে নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর রওজায়ে পাক শরীফ এবং বায়তুল্লাহ শরীফ জিয়ারত অর্থাৎ দর্শন করালেন বাস্তবে ২০০০/২০০১ এর মধ্যে। অর্থাৎ হজ্জ করালেন।

স্বপ্ন ঃ অন্য এক রজনীতে মহাপবিত্র জান্নাতে গমন সবুজ পরশ যুক্ত মহল ও সবুজ বাগান দর্শন। যতগুলো প্রবেশ পথ ছিল সব প্রবেশ পথে গমনাগমন করতে  পারতাম। সাত প্রবেশ পথ মনে হলো। ওপর তলা থেকে নীচ তলা, নীচ তলা থেকে ওপর তলায় বিনা সিঁড়িতে। ইচ্ছে হলেই উঠা নামা করতে পারতাম।
পানেয় নহর পাইপ থেকে পানি পান করতে পারতাম। জান্নাতি খানা খাইয়েছিলেন। পলাও মাংসের মতই মনে হল। সবুজ বাগান বৃে আপন ইচ্ছায় ঘুরে বেড়াতে পারতাম। কোন মানব অমানব আত্মার সাথে দেখা হয়নি।
পরে (স্বপ্ন) মহান আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র মানব হযরত ইমাম মাহদি (আঃ) এর শুভ আগমনরত লোকালয়ে আগমন রত রাজ পথের দু’ধারে অর্থাৎ দু’পাশে মানবোচ্চারিত শব্দ মারহাবা মারহাবা ধ্বনিতে গগন পাতাল মখরিতাবস্থায় ভিতি প্রদর্শনকারী কুকুরের ঘেউ-ঘেউ বন্ধের জন্য ভীতি প্রদর্মন করতে বা তাড়িয়ে দিতে তাদের প্রতি ঢিল নিপে করলাম।

ইমাম মাহ্দী (আঃ) এর আকার বা গঠন পর্শা লম্বা প্রদর্শন করলাম সাথে আর একজনকে দেখলাম বলে মনে হল। ওলামায়ে কিরামগণের, নায়েবে রাসূল এবং পীর মাশায়েখের রূপ ধারণ করে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তি মূলক লেখালেখির মাধ্যমে মুসলমানদেরকে বিপদগামী করে তুলেছে। এ সকল আজাজিল শয়তান ভেশিগণ মুসলমানদের এবং ঐ সাহাবায়ে কিরামগণের মহা শক্তি সম্পন্ন নূরানী ইমানি শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে। তাই সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণের শায়েখ মশায়েখের মধ্যে এবং একতা-ঐক্যতা এক অপরের সম্মান শ্রদ্ধা নষ্টা করে দিয়েছে। অনেকেই রিয়া অহঙ্কারের তলদেশে নিমজ্জিত হয়েছে। এ কারণেই ইসলাম আজ বিপর্যয়ের কে অর্থাৎ বিপর্যয়ের বলয়ে ঘুর পাক খাচ্ছে। বিপর্যয় হতে মুক্তি পেতে হলে নবী আখলাক নিয়ে ঘুরে দাঁড়তে হবে।

অন্যথা ধ্বংস অবধারিত। শয়তান গ্রাসি কর্মকান্ড কিভাবে চলছে ল্য করুন মহা অদ্বিতীয় গ্রন্থ “আল ক্বোরআন” শরীফের নাম পরিবর্তন করে “হামায়েল শরীফ” রেখেছে। নিশ্চয় শুনেছেন নামটি কিন্তু গুরুত্ব দেননি। শব্দ সংপে করার চ্যুত নিয়ে, কালেমা শাহাদাত থেকে ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু” শব্দগুলো সম্পূর্ণ রূপে বাদ দিয়ে পড়াচ্ছে। নূরানী নামক কায়দাগুলোতে সাধারণত দেখা যায়। যে কালেমায়ে তাইয়্যেবার ওপর ভিত্তি করেই মুসলমানদের মসজিদগুলো স্থাপিত হয়েছে। কোন কোন কালেমায়ে তাইয়্যেবা এবং মুহাম্মদ (দঃ) এর নাম মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কোন কোন মসজিদে শুধু “আল্লাহু” লেখা রয়েছে। মুহাম্মদ (দঃ) শব্দ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। “আমান্ত বিল্লাহি কামাহুয়া বি আসমাহী ওয়াছিফাতিহী ওক্বাবিলতু যামীআ আহকোমিহী ওয়া আরকা নিহী।” এ কালামগুলো থেকে ‘আরকানিহী’ শব্দটি একেবারে বাদ দিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছে। অথচ এ শব্দটি ইসলামের মূল স্তম্ভ বা খুটিগুলোর দিকে নির্দেশ দিচ্ছে। খুটি বা স্তম্ভগুলো হচ্ছে  নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, কালেমা।
এই গুলোকে নির্দেশনামূলক শব্দ বাদ দেয়ার উদ্দেশ্য কি? খুটি বা স্তম্ভ ছাড়া কোন প্রকার ঘর বা মহল খাড়া থাকে না। তাই এগুলো ছাড়া ইসলাম থাকবে না আপনারা জানেন তবে চুপ কেন?

সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণ ল্য করলে অসংখ্য বুল দেখতে পাবেন। ক্বোরানে পাকেও ছাপা ভুলের নামে অনেক ভুল ক্বোরআন শরীফ বাজারে ছাড়া হয়েছে। যা অমার্জনীয় অপরাধ। ছোট খাটো মাসলা-মাসায়েল নিয়ে এক অপরের বিভক্ত হয়ে আছে। মুসলমানগণ আল্লাহকে প্রভু এবং ঈশ্বর নামে ডাকতে দ্বিধা করছে না। মুমীন মুসলমানগণ অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ অন্ধকার থেকে উত্তরণের উপায় একমাত্র ঐক্যতা স্বচেতনতা এবং সতর্কতা আবশ্যক।

আল্লাহু আকবার
বিসমল্লিাহির  রাহ্মানির রাহীম
মহান আল্লাহর প থেকে অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছি পূর্ব ঘোষিত সে পবিত্র মানবদ্বয় আগমন (স্বপ্ন) রত অর্থাৎ অগ্রসরমান রাজ পথে ভিতি প্রদর্শন মূলক কুকুরদের ঘেউ ঘেউ রব রাজপথের দু’ধারে দন্ডায়মান মানুষের অন্তর মুখ হতে প্রকাশিত স্বাগতম মারহাবা ধ্বনিতে আকাশ পাতাল মুখরিতাবস্থায় কুকুরদের ঘেউ ঘেউ রবের মাধ্যমে স্বাগতমী প্রদর্শক মন্ডলির স্বাগতম মারহাবা ধ্বনিতে বাধা প্রদর্শন  ল্েয কুকুরদের ঘেউ ঘেউ রব বন্ধের জন্য ঢিল নিপে করছি বা প্রতিহত করিছ। অবস্থায় নিজেকে প্রদর্শন করছি। (স্বপ্ন)

মহাসঙ্কেত
পূর্বঘোষিত মহান আল্লাহর অস্থায়ী মর্ত ধরায় আল্লাহর নিকট হতে বিশেষ পবিত্র মানব দ্বয়ের শুভাগমনের পবিত্র পদধ্বনি উপল্েয বিশ্বের সম্মানিত পবিত্র নায়েবে রাসূলগণের এবং সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণের প্রতি বিশেষ মহাসঙ্কেত ও সতর্কবাণী। শেষ নবী দোজাহানের সরদার হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রতিনিধিত্বকারী নায়েবে রাসূল ও সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণের জন্য বিশেষ ঘোষণা।
(আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ)
আপনাদের বিশেষ ভাবে জানা আছে যে, আদম (আঃ) ও মা হাওয়া (আঃ) এর চির  সুন্দর সুখের স্থান জান্নাত হতে ইহধাম মর্তাগমনের ঘটনা। সে আজাজিল শয়তান মহান আল্লাহর বিশেষ পবিত্র মহানবী (দঃ) এর প্রতিনিধি নায়েবে রাসূল ও ওলামায়ে কিরামগণের এবং মুমীন মুসলমানগণের পেছনে লেগেই থাকে। কারণ সে মনে করে এরাই অর্থাৎ মানব সন্তানগণের মধ্য থেকে মুমীনগণই একমাত্র আজাজিল শয়তানের শত্র“। তাদেরকে ধোকা দিয়ে বিপদগামী করে আজাজিলের সাথী বানিয়ে জাহান্নামে নিপে করতে পারলেই তার অর্থাৎ আজাজিলের উদ্দেশ্য সফল হবে। যখন এ মহা মানব আদম (আঃ) কে এবং মহা মানবী মা হাওয়া (আলাইহাসালামকে) জান্নাত থেকে বাহের করা যাবে। এ দু’ মহাত্মাকে জান্নাত থেকে বের করার পূর্বে শয়তান উদ্ধৃত ভাবটি ভেবেছিল।

বর্তমান যুগে আজাজিল অনেক সফল হয়েছে। আপনারা আদম সন্তানেরা বিজ্ঞবান। মুসলিম বিশ্বের দিকে ল্য করলেই বুঝতে ভুল করছেন না। প্রকৃত মুমীন মুসলমান নিঃসন্দেহে জান্নাতি হাদিস শরীফের দিকে নিপ্তি দৃষ্টিতে নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন। এ জাতি ভ্রষ্টদের অর্থাৎ যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত তাদের পরামর্শে চলে বা তাদের কৌশল চক্র জালে আটকা পড়লে রাহু গ্রাসি চিরাগ্নির আকূল অতল গভীর অগ্নির অন্ধকার গুহায় নিপতিত হবে। ইসলামে মুসলিমেরা চির জান্নাতি। তাও আপনাদের ভালভাবে জানা আছে।

শত্র“ বন্ধু সেজে বন্ধুকে ঘায়েল করে। আলেমগণকে ধ্বংস করতে আলেম ভেস ধারণ করে মুমীন মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য মুসলিম ভেশ ধারণ করে। বর্তমানে এমনি ব্যাপক আলেম এবং মুসলমান পরিলতি হচ্ছে। বিভিন্ন পথে বিভিন্ন উপায়ে  বিভ্রান্তিমূলক লেখালেখির মাধ্যমে মুনাফিক  নিমক হারামগণ মুসলমানদেরকে বিপদগামী করেছে। মহান আল্লাহ মুনাফিক্ব জালিম নষ্টকারী দয়াহীন অমানবিকাচারী অত্যাচারীদেরকে কুকুরাকার প্রদর্শন করিয়েছেন। বর্তমানে ল্য করা যাচ্ছে যে, শতকরা কয়েকজন বাদে সকলেই শয়তানের ধোকায় পড়ে ধোকাবাজ, অহঙ্কারী, ঠকবাজ, মিথ্যাবাদী, হারামখোর, জেনাকারী মোট কথা সমস্ত অবৈধ কর্মে লিপ্ত রয়েছে এবং পথ ভ্রষ্টাবস্থায় অন্ধকারের গহবরে নিপতিত। শয়তান তার কর্মে সে কাময়াব অর্থাৎ কৃতকার্য হয়েছে। তাদের মাধ্যমে কাফিরগণ ইসলামের ক্বলবে অর্থাৎ কেন্দ্রে আঘাত হেনে চলেছে। তারা নায়েবে রাসূল ওলামায়ে কিরাম এবং মুমীন মুসলমানগণের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
ইসলামী আলোকে মানবীক বোর্ড গঠন করা আবশ্যক। এখানে অমানবিক, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। ইসলামী জগত শয়তান চক্রে আক্রান্ত। করুনাময় আল্লাহ পাকের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রিয় উম্মাত মুমীন মুসলমানগণ এবং আলেমগণ কি এখনও দেখেননি সে মুনাফিক্বগণকে যারা আপনাদের মধ্যে আলেম সেজে বিভ্রান্তিমূলক লেখালেখির মাধ্যমে আপনাদেরকে বিভ্রান্তি এবং বিপদগামী করেছে এবং নিমকহারাম সৃষ্টি করেছে। তারা আল্লাহর মহা পবিত্র ক্বোরান শরীফকে নর্দমায় নিপে করেছে। ক্বোরআনে পাকের মধ্যে মূর্তি প্রবেশ করিয়ে তার ওপর তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ রাখছে। ক্বোরান শরীফকে পোড়াচ্ছে। একমাত্র মহা তাৎপর্যপূর্ণ অর আলীফকে হামজা নাম দিয়ে শেখাচ্ছে।হামজা দিয়েতো আল্লাহ্ লেখা যাবে না। আলীফের অর্থই আল্লাহ, যাহা ক্বোরআনে পাকের প্রথম অর।
১। আলীফ, ২। লাম, ৩। মীম = এ তিন অরের মূল তাত্ত্বিক অর্থ হচ্ছে ১। আলীফ = আল্লাহ, ২। লাম = লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ৩। মীমে= মুহাম্মদ (দঃ)। আলীফে বুঝাচ্ছে আল্লাহ্ । আল্লাহ কি? কাকে আল্লাহ বুঝাচ্ছে? তা ব্যক্ত করতেছে “লামে”। লামে বুঝাচ্ছে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। অর্থাৎ আল্লাহ তিনি, যিনি ছাড়া কোন মাবুদ বা কোন “ইলাহ” নেই। অর্থাৎ তিনি ছাড়া আর কোন পছন্দনীয় প্রার্থনা বা প্রশংসা পাওয়ার অধিকার নেই। তিনিই একমাত্র প্রশংসার মালিক। সৃষ্টি জগতেরমালিক তিনিই শ্রেষ্ঠ। এ স্রষ্টার পরিচিতি সৃষ্টিকূলে বা মানব কূলে তুলে ধরেছে “মিমে”= মুহাম্মদ (দঃ) তিনি স্রষ্টার বন্ধু এবং স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত। স্রষ্টার বিধান স্রষ্টার সৃষ্টি কুলে প্রতিষ্ঠার জন্য। আল্লাহ ভাল জানেন।

এ তিন অরের মধ্যে সমগ্র ক্বোরান শরীফ বিদ্যমান আছে। এ তিন অরই হচ্ছে কালেমায়ে তাইয়্যেবা। অর্থাৎ আল্লাহ্ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ মিম হচ্ছে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ। মুহাম্মদ (দঃ) মানবকূলে আল্লাহর প্রশংসা করেছে এবং মানবকুলে সে প্রশংষার বাণীগুলো প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং তিনিই প্রশংসাকারী। তাই তিনিই মুহাম্মদ (দঃ) আহামদ অর্থাৎ প্রশংসাকারীই প্রশংসিত। প্রশংসা না করলে বা প্রশংসার কর্ম না করলে প্রশংসিত হতে পারে না। তাই মুহাম্মদ না হয়ে “আহম্মদ” হতে পারে না।

হামজা নামের আলাদা অর রয়েছে। হামজা যদিও আলীফের মত উচ্চারিত হয় সে কিন্তু আলীফ নয় আর আলীফও হামজা নয়।
ভেড়া-ছাগলের মত কিন্তু ছাগল নয়। আমাদের ইমানের মৌলিক শব্দ “ওয়াহ্দাহুলাশারীকা লাহু” যার অর্থ তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। অর্থাৎ কোন অংশীদার নেই। কালেমা শাহাদাত থেকে বাদ দিয়ে এবং আরকানিহী শব্দটিকে চির তরে উঠিয়ে দিয়ে নূরানী নামে বই ছাপিয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছে।

মুসলমান “বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম” কে সুবাদ দিয়ে সুপ্রভাত বলতে আরম্ভ করেছে। যে সুস্থ রয়েছে তার জন্য সুপ্রভাত হতে পারে যে অসুস্থ তার জন্য নিশ্চয় কুপ্রভাত। তার জন্য সুপ্রভাত ও সুসন্ধ্যাও নেই। উদ্ধৃত শব্দগুলো মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

“বিসমিল্লাহ্” শব্দের মত মহা পবিত্র শব্দ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এ শব্দ মঙ্গল, রহমত, বরক্বত, অদ্বিতীয় মহাপবিত্র শব্দ এমন বাক্য বা শব্দ বাদ দিয়ে সুপ্রভাত বর্তমানে কোন কোন মসজিদে শুধু আল্লাহ্- আল্লাহু আকবার, মুহাম্মদ (দঃ) নামটিও লেখছে না। কালেমায়ে তাইয়্যেবাও ‘সরিয়ে ফেলেছে’। নায়েবে রাসূলগণ কোথায়?

যে কলেমার ওপর ভিত্তি করে বায়তুল্লাহ শরীফ ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে কালেমাই সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামের নবী মানবতার নবী, স্রষ্টার সৃষ্টিকূলের নবী। বিশ্বে এসেছেন রহমত হিসেবে। তাই উনাকে বলা হয় বিশ্বের রহমত। “তাঁর বাণীতে রয়েছে দয়া-করুণা, ভালোবাসা, প্রেম-প্রিতি, সহযোগিতা, অসহায়ের সহায়, আশ্রয়হীনের আশ্রয় ছাড়া কিছু নেই এবং অশান্তি মূলক কোন বাণী নেই।

এজন্য ইসলামকে শান্তির ধর্ম ইসলামই মানবতার ধর্ম বলা হয়। এখানে অহঙ্কার, হিংসা, ধোকাবাজি, নিমকহারামী। আমানতের খিয়ানত, নেই। অতিরঞ্জিত নেই, নেই সীমা অতিক্রম। এখানে অনধিকার চর্চা নেই। আপনাপন অধিকারের ওপর বহাল থাকে। সকল রং এর সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ থাকে বিশেষ করে পড়শির সাথে বিশেষ বন্ধুত্ব থাকে। এখানে ছোট বড় কাউকে অবমূল্যায়ন করা হয় না। ইসলাম স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসে। যে স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসে সে স্রষ্টাকে ভালোবাসে। এখানে হেদায়েত আছে। নছিহত আছে। সন্ত্রাস নেই। ইসলাম হত্যা করতে আসেনি। ইসলাম বাঁচাতে এসেছে। শান্তি নিয়ে এসেছে। এখানে আঘাত করার হুকুম  নেই। যদি না সে ইসলামের ওপর আঘাত হানে। এখানে আছে মা, দয়া করুণা। এখানে আছে সচ্চতা, কলুষমুক্ত পবিত্রতা। এখনে গোড়ামির স্থান নেই।  রয়েছে উদারতা, জবরদস্তি নেই। নবী (দঃ) যখন আল্লাহর বাণী প্রচার করতেন, যারা নবী (দ)ঃ এর কথা বুঝতে চেষ্টা করত না তারা উনার ওপর অত্যাচার করত। তখন নবী (দঃ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনার মধ্যে বলতেন, হে আল্লাহ্ আমি তোমার শান্তির বাণী প্রচার করি। তারা তা বুঝতে চেষ্টা করে না। না বুঝে আমার ওপর অত্যাচার করে। আমি কি করব? তদোত্তরে আল্লাহ্ বলেছেনÑ হে বন্ধু আপনি প্রচার করতে থাকুন আমি তাদের হেদায়েত দেব। আল্লাহ্ বলেননি যারা আপনার কথা শুনবে না তাদেরকে মেরে ফেলুন। পৃথিবীতে মহা মানবগণ আসেন মানুষ বাঁচাতে শান্তির পথ প্রদর্শন করতে। অন্ধকার থেকে মানব জাতিকে আলোতে নিয়ে আলোকিত করতে।

বর্তমান দৃশ্যপটে প্রদর্শিত হচ্ছে যে হারাম অবৈধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবতা ধ্বংস হয়েছে লোভ-মোহ, প্রবৃত্তি, সর্বস্তরেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্মানিত নায়েবে রাসূল, ওলামায়ে কিরাম এবং মুমীন মুসলমান ভাই বোনগণ, ল্য করুন বার বার বলছি ইসলাম নর্দমায় নিপ্তি হয়েছে। আপনারা বুদ্ধিমান, জ্ঞানি, ভ্রান্ত ভ্রষ্টদের প্ররোচনায় ইসলামকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর ঘুমে নয় জাগুন সচেতন হোন। এখনও সময় আছে। পথ ভ্রষ্টদের প্রতিহত করুন। ওলামায়ে কিরাম এবং প্রকৃত মুমীন মুসলমান গণের মাধ্যমেই মহান আল্লাহ ইসলামকে রা করবেন। ইসলাম আমার, আপনার এবং নবী (দঃ) এর ভূূষণ।

জাগ্রে-জাগ্রে-জাগ্রে মুমীন,
জাগ্রে মুমীন মুসলমান।
রক্ত-রবী-রাঙা, জমিন,
লালে লাল আসমান।

হে মুমীন মুসলমান ভাই বোনগণ, ভ্রান্তকারী ভ্রষ্টদের প্ররোচনায় অনেকেই নিমক হারাম মুনাফিকের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। মহা পবিত্র ক্বোরান শরীফকে নর্দমায় নিপে করেছে। ইসলাম নিপ্তি হয়নি, তারাই নরকে নিপ্তি হয়েছে যারা ক্বোরআনে পাককে নর্দমায় নিপে করেছে বা অপমান করেছে। ইসলাম রা করার মালিক স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাঁরই প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে। যারা ক্বোরআনে পাক ভুল ছেপে বাজারে ছেড়েছে কালেমা থেকে “আরকানিহী”, “ওয়াহ্দাহুলা শারীকালাহু” যারা আল্লাহ্ থেকে মুহাম্মদ নাম সরিয়েছে কোন কোন মুসজিদে কালেমা তাইয়্যেবা সরিয়ে ফেলেছে যারা নূরুল্লাহÑ নূরে ইসলাহী মুহাম্মদ (দঃ) কে সাধারণ মানুষ বলে প্রকাশ করছে এবং মহা পবিত্র কোরআন শরীফের নাম সরিয়ে হামায়েল শলীফ নাম রেখেছে তারাই প্রকৃত পে জাহান্নামে নিপ্তি হয়েছে। জান্নাতের দ্বার তাদের তরে চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়েছে।

বিঃ দ্রঃ সম্মানিত নায়েবে রাসূল ও ওলামায়ে কিরামগণ আপনারাই আল্লাহর বিশেষ সৈনিক। মহান আল্লাহ পাকের মহা দরবার হতে আমার মাধ্যমে আপনাদের প্রতি বিশেষ সতর্ক বাণী করেছেন (মহান আল্লাহকে স্বাি রেখে বলছি) এখন গভীর অন্ধকার যুগ চলছে। এ গভির অন্ধকার অমানিশায় রজনী নিশিতে চৌকিদারের ন্যায় মহান আল্লাহ্ পাকের প হতে ঘোষণা করে যাচ্ছি।

চৌকিদারের দায়িত্ব তার সীমানায় কোথায় কি ঘটছে ল্য রাখা এবং জনগণকে সতর্ক করে দেয়া।  চৌর কোথায় ঢুকেছে তা দেখিয়ে দেয়া। চৌকিদারের অজানা অবস্থায়ও লুট হতে পারে। তা প্রত্য করবে ব্যক্তি বা সমাজ। সদা সতর্কাবস্থায় থাকলেই প্রত্য করা যায়।

আজ সকল দিক হতেই মুনাফিক্ব, নিমক হারাম কর্তৃক সমগ্র মুসলিম জাহান আক্রান্ত। ইসলামের প্রারম্ভ হতেই মুনাফিক্ব নিমকহারাম সৃষ্টি। এর পেছনে শয়তানি চক্র অমুসলিমদের হাত রয়েছে এবং থাকবে। কারণ এক বৃ জন্মালে সাথে সাথে তার ছায়াও বা প্রতিকৃতি বা প্রতিচ্ছবিও জন্মায়। এটা সৃষ্টি কর্তারই বিধান। আদম (আঃ) সৃষ্টির সাথে সাথে আজাজিল নামক শয়তানও সৃষ্টি করলেন। এটা স্রষ্টারই খেল। মানুষকে পরীা করার জন্য। মানুষ কি আল্লাহর বিধান মতে চলে না আজাজিলের কথা মতে চলে। যারা সৃষ্টিকর্তার বিধান মতে জীবন জীবিকা পরিচালনা করে তারাই আল্লাহর প্রিয়। প্রথম মুসলিম সংখ্যা ছিল কম এখন বেড়েছে বাড়বে বৈ কমবে না। সাথে-সাথে মুনাফিক্ব-নিমক হারামও বেড়ে চলেছে। কারণ মহা প্রলয়ের আগ পর্যন্ত শয়তান থাকবে। সৃষ্টিকর্তা তাকে সে সময় দিয়েছে। কারণ আল্লাহ জানেন আল্লাহর প্রিয় বান্দাদেরকে শয়তান ভ্রান্ত পথে নিতে পারবে না। আর একটি দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো তা হলো পানির জোয়ার যেখান থেকে উঠে ওখানে প্রথম ভাটা পড়ে।

ইসলামের জোয়ার আরব থেকে উঠেছে ওখানেই প্রথম ভাটা পড়ার কথা। মুনাফিক্ব কর্তৃক ভ্রষ্ট কাফেরগণ মুমীনগণের ওপর হাবি হয়েছে। অর্থাৎ মুমীন মুসলমানদেরকে আওতার মধ্যে নিয়ে গেছে। আরবেও সুন্নাতের কোন গুরুত্ব নেই। মুহাম্মদ (দঃ) কে সাধারণ মানুষ বলে। নবী (দঃ) যদিও বলেছেন আমি তোমাদের মত। তিনি আকারে ইকারে ছবিতে মানুষ কিন্তু আমাদের মত সাধারণ মানুষ নয়। তিনি অসাধারণ অদ্বিতীয়। যে গুণের অধিকারী। সাধারণ মানুষ সে গুণের অধিকারী নয়। তিনি অতি অসাধারণ অতি মহামানব। তাই তিনি সকল নবীগণের ঊর্ধ্বে। একমাত্র মহানবী (দঃ) তুলনাহীন। এখন আরবে বেশীর ভাগ পরিবারে চলচিত্র চলে শিশ কাবাব, যুয়া, তামাক, নাচ গান চলছে। সারারাত গান বাজনা চলে। নারী পুরুষ যুবক যুবতি অবৈধ সম্পর্ক চলছে। সমকামিতাও ল্য করা যায়।

কিছু আমার প্রত্য দর্শন রয়েছে।
অমুসলিমদের প্ররোচনায় আমাদের মুসলিম সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ পাক যখন আমাকে তাঁর পবিত্র ভূমি আরবের রিয়াদে নিলেন তখন ইসলাম প্রবেশিকা নামে একটি বই আমার হাতে আসে। আমি যখন তা পড়ে দেখলাম অনুবাদক ফারুক আহাম্মদ ভারতীয়। অনুবাদের মধ্যে আল্লাহকে ভগবান, ঈশ্বর, দেব-দেবীর সাথে সমতুল্য করে দেখিয়েছেÑ আমি, দেব দেবীর ঈশ্বরের প্রাধান্যতাই ল্য করেছি। আমি, প্রতিবাদ করা একান্ত প্রয়োজন মনে করলাম। বইটি রিয়াদ থেকে প্রকাশিত তাই ওখানে  থেকে প্রতিবাদ করা সংগত মনে করলাম না। কারণ মুনাফিক্বদের অর্থাৎ ভ্রষ্টদের মধ্য থেকে প্রতিবাদ করা যাবে না। তাই দেশে ফিরে ঞযব ইধহমষধফবংয ঝঁহফধু, ঝবঢ়ঃবসনবৎ ১৯৯৯ এ বইটির প্রতিবাদ লিপি ধনড়ঁঃ গরংষবহফরহম নড়ড়শ ড়হ ওংষধস নামে একটি কলামে লিখে পাঠিয়েছি রিয়াদে। বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মরহুম সানাউল্লাহ নূরী সাহেবের সহযোগিতায়। এ প্রতিবাদ স্বরূপ শব্দগুলো গুলির মতই কাজ করছে। অর্থাৎ সতর্কতা বাণী হিসেবে কাজ করছে।
পান্ডিতের নামে ক্বোরআন শরীফের প্রথম অর “আলীফ” যাহা সরাসরি আল্লাহকে বুঝাচ্ছে। সে আলীফ কে হামজা নামে উচ্চারণ করছে। বিভিন্ন রকমে হামলা করছে। পূর্বেকার আসমানী কিতাবগুলোর মতো অকেজো করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

যাঁরা প্রকৃত নায়েবে  রাসূল এবং এলেমে আমলে ওলামায়ে কিরাম রয়েছে তাঁদের সংখ্যা খুবই কম। তাই উনাদের কথায় এবং কাজে এমন কোন উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে না।
পবিত্র আরবের রিয়াদে থাকাকালিন অবস্থায় কবিতা আকারে লিখেছিলাম সন ১৯৯৯ইং।

নবীচরণ

নবীচরণ লেগেছে মরুর,
তপ্ত বালূ কণায়
ফুল ফসলের অভাব তরুর,
খানার অভাব নেই তথায়।
নবী চরণে করুণা স্বামী,
তাই ঢের দানিছেন অন্তর্যামী।
পবিত্র স্বভাব রয়েছে অভাব,
খেয়ে কাটায় রাত শিশকাবাব।
অপূরণ গেজা রয়েছে মরুতে,
যদিও চিল না আদি শুরুতে।
সব নিয়ামত খোদার দান,
নবী কারণে দিলেন রহমান।
নবীকে আজ বলেছে সবায়
নবী নাকি মরেছে হায়।
বলে না জেন্দা নবী সারা দুনাইয়ায়
রয়েছে, আল্লাহ যথায় তথায় ।
নূরে মুহাম্মদ ফানাহ আল্লাহতে
রয়েছে হাজীর ক্বলব পাতাতে।
আড়াল শুধু কায় দুনইয়ার
তাই বলে বুঝি নাহি আর।
হায় চোখ থাকিতে অন্ধ,
দূরিবে কবে তব দ্বন্দ্ব?
তাই নেই অন্তরে নবী ছন্দ।
দ্বিধাহীন বলিস নবীকে মন্দ
তবকায় শয়াতনী গন্দ
কবে গন্দ হবে মুক্ত পরজন্দ
নেই কোন ইবাদাত বন্দেগী খোদার।
তোলে না হাত দ্বয় দরবারে দোয়ার
ওরে সব ঘুমন্ত বীর
উঠ আরবার।
মার হুঙ্কার আলীর
চালাও জুলফিক্বার
আজ পূর্ণ মরুতে অসুর,
কইরে নবী তরীক্ব ধরায়
চারিদিকে রব শুধু পশুর
গুঞ্জনে সব ফুল ঝরায়।


ল্য করা যাচ্ছে যে, আল্লাহর দেয়া হাত, আল্লাহর দরবারে পাতে না, আল্লাহর নিকট চায় না। নবী (দঃ) এর বাণী হলো মানুষের নিকট নয় আল্লাহর নিকট চাও। কোন কিছু চাইতে হলে বা পেতে হলে হাত পেতে চাইতে হয়। এখন দেখা যায়, মাটির কাছে বালু খনির কাছে মানুষের কাছে হাত পাতে। মুখে বলে আল্লাহ। কাজে কর্মে ইমানি কর্মকান্ডের পরিচয় নেই। ভোগ বিলাসে উল্লাসে উন্মত্ত।
ডাক এসেছে
উঠরে জেগে,
ছুটরে আগে পবন বেগে।
ছুট্ ছুটে চল খোদার সৈনিক।
কর্ম কর তাঁর দৈনিক।

ভোর
ভোর হয়েছে কাক ডেকেছে,
খোলরে মুমীন খোলো দোর।
ঐ মিনারে ডাক এসেছে,
আল্লাহ পাকের তোর।
আর দেরি নয় যুদ্ধে চল,
আল্লাহ রাসূল দিলে বল।
আল্লাহ নূরে আলো করি,
দূর করিদেয় আঁধার ঘোর
শয়তানেরি চক্র জাল,
কেটে কুটে চল পাতাল।
গগণ চুড়ায় নিশান রাখি,
ধররে সকল কলমা চোর।
দিক বিদিকে ছুটরে ধর,
জাহান্নামে রশিদ কর।
নরক নারে জ্বালি ছালি,
মিট-কাফের শক্তি জোর।
নরক তবক্ব ঝুলছে গলে,
আজাজিলের শরম নাই।
বন্ধু ভেসে মিলে চলে,
জিব কাটে সে আড়াল যাই।
হরক্বতে তার নজর রাখি,
বাজা বাঁশি যোর সোর।
ঐ সিফাহী আসলো ঐ,
আয়রে সকল তোরা কই।
বান্দ চোরাকে শিকল লই,
নিশ্চয় মুমীন হবে জয়ী
মুমীন তরে হুর জান্নাতী,
ঐ খাড়া ঐ নূর আলোর।
ফেরেস্তারা কামান দেগে,
আর দেরি নয় বলছে রেগে
জুলফিকারে আঘাত হানি,
সিকল কেটে খোলরে দোর।

সৌদি আরব এখন আবদুল ওয়াহাব নাজদির পূর্ণ হুকুমাত বা শাসন চলছে। কিছু সংখ্যক ছাড়া বেশির ভাগ ব্যক্তির মধ্যে পূর্ণ আমল নেই বললেই চলে। সুন্নাতের গুরুত্ব নেই। ইসলাম যা কিছু আছে তা বাহ্যিক প্রদর্শনের জন্য মাত্র লায়লাতুল ক্বদর- লায়লাতুল বারাত এবং শবই মিরাজের তেমন গুরুত্ব নেই। এখন মসলিম সমাজে সর্বত্র মুনাফিক্ব-নিমক হারামদের পূর্ণ দাপট চলছে। কাফির নাসারাদের হাতের পুতুল হয়ে আছে আরব রাজ্য। কিছু সংখ্যক নায়েবে রাসূলগণের বক্তৃতা বিবৃতির প্রতি তেমন কর্ণপাত করে না। বর্তমান আরবগণের পূর্ব পুরুষগণ তাঁদের জানমাল আল্লাহর দ্বিনের অর্থাৎ ইসলামের তরে কুরবান করেছেন। বর্হিবিশ্বে ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরেছেন। এখন পরিলতি হচ্ছে যে, বর্হিবিশ্ব থেকে ইসলামের পরিচিতি আরব রাজ্যগুলোতে তুলে ধরতে হবে। নাজদি এবং ইয়াজিদি হাওয়া দূর করে প্রকৃত ইসলামের হাওয়া প্রবাহিত করতে হবে। যারা ইসলাম নূরে ডুবেছে তারা নবী (দঃ) এর পূর্ণ কৃতকার্যতা লাভ করেছে।

সম্মানিত আল্লাহর সৈনিক ও ওলামায়ে কিরামগণ এবং মুমীনগণ ইসলাম নর্দমায় নিপ্তি হয়েছে, উদ্ধার করুন মহান আল্লাহ আপনাদের সাথে আছেন।

(দেখবে সে ঐ আল্লাহর নুর)

ইসলাম নূরে ডুব দেবে যে,
দেখবে সে ঐ আল্লাহর নূর।
পেছন ফিরে দেখবে নাসে সে,
লোভ মহ তার হবে দূর।
হবে দিদার আল্লাহর সাথে,
করলে স্মরণ মাঝ রাতে।
হয় না যেতে মুছা নবীর সে পাহাড়ে
কুহে তূর?
নামাজ মাজে আরশুল্লাহ্তে সুন্নাহতে
করে গমন মিরাজে।
ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে,
আল্লাহ রাসূল বিরাজে।
ওঠতে বসতে করলে সদা,
আল্লাহ নামের জিকির শুর।
ঐ শুরে যে অগ্নি জ্বলে,
জ্বলে শয়তান দলে দলে।
তার দিদারে এন্তে জারে,
রয় খাড়া ঐ স্বর্গি হুর।
ফলে ফুলে ভরা বাগান,
বহে তাহুরা শারাবান।
মনি মুক্তা রায়হার-মার্জান
আছে ভূরি হুরগিলমান।
মন মাতানো শূরা শুরে,
মত্ব সদা স্বর্গপুর।
রাজা বাদশা ফক্বীর দরবেশ,
এক সারিতে একই ভেশ।
নূরের সাথে করলে রেশ
নরক তারি সর্বশেষ।
থাকতে সময় আসলে নূরে
সেইতো হবে সূ চতুর।

নবী পাক (দঃ) এর নবুওয়াতের পূর্বে সমাজ সেবায় মগ্ন ছিলেন। আরবের মক্কাবাসি তার সেবায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে আল আমীন (বিশ্বাসী) ডাকতো। তিনি মক্কাবাসিদের নিকট খুবই সম্মানের পাত্র ছিলেন। যারা অন্ধকার রাহুগ্রাসি, অর্থাৎ ভাল-মন্দ বৈধ অবৈধ। ন্যায়, অন্যায় বুঝত না, মানবতা ছিল না। আপন খেয়াল খুশিমত কর্ম করত। শান্তি ছিল না। সেই সময়টাকে অন্ধকার বলা হতো। অন্ধকারে যারা ছিল তাদেরকে অন্ধকারাচ্ছন্ন বলা হত। অর্থাৎ কাফির বা আরবী ভাষায় কুফ্যার বলা হতো। শান্তির বাণী অর্থাৎ  ইসলাম  প্রচারের কারণেই বিরোধ্যাচরণ করতো। ইসলামের বাণীতে ছিল একক মহা শক্তির অর্থাৎ আল্লাহর বাণী আল্লাহ একক তিনি নূর তাঁর কোন আকার নেই। নিরাকার। তাঁকে স্মরন করার জন্য এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন জীবিকা পরিচালনার বিধান প্রচার করতেন হস্ত নির্মিত মাটির পুতুল বা মূর্তি পূজা করতে নিঃষেধ করতেন। এ জন্যেই তাঁর বিরোধ্যাচারণ করতো। অত্যাচার করত। তাঁর এ প্রচার বন্ধের জন্য বহু প্রকার প্রলোভন দেখিয়েছিল। তাঁকে আরবের সবার সেরা সুন্দরী দেয়ার লোভ দেখিয়েছিল। তখন বাদশা ছিল না, আরববাসি তাঁকে আরবের বাদশা বানিয়ে সিংহাসনে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যেন তিনি ইসলাম প্রচার বন্ধ করেন। কিন্তু না তিনি সে প্রলোভনে মাথা নত করেননি। তিনি শান্তি অর্থাৎ তার কর্ম ইসলাম প্রচারে মত্ত ছিলেন। কোন লোভে তাঁর মাথা নত করতে পারেনি বা প্রচার বন্ধ করতে পারেনি।

ছাহবায়ে কিরামগণ হুবহু নবী পাক (দঃ) এর অনুসরণ অনুকরণে নিজেদেরকে গড়েছিলেন বিধায় অতি অল্প সময়ে সমগ্র আরব বিশ্ব ইউরোপ পারস্য, ইতালি আন্দালাস প্রায় অর্ধ পৃথিবী শাসন করতে পেরেছিলেন।

সম্মানিত নায়েবে রাসূল এবং ওলামায়ে কিরামগণ জাত, রঙ, ভেদাভেদ না দেখে আল্লাহর সৃষ্টির সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন। কেবল তখনই জনগণ আপনাদেরকে সেবক এবং শাসক হিসেবে গ্রহণ করবে। অন্যথা বাক্য বয়ে ফল হবে না।

দৃশ্যত ইসলাম এখন বিপর্যয়ের পথে ঘুরপাক খাচ্ছে। আপন আপন ইচ্ছানুযায়ী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইসলামকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দিয়েছে। মুমীন মুসলমানগণ এবং ওলামায়ে কিরামগণ এক অন্যে সম্মান প্রদর্শন, ভালবাসা, স্নেহ, মমত মানবতার মাধ্যমে ব্যক্তিকে সমাজকে স্বচ্ছল, সবল করে তুলতে পারলেই ইসলাম আবার আলো নিয়ে জেগে উঠবে।

ইসলামকে পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য আল্লাহ পাকের প থেকে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়েছি। আমি বলছিÑ আল্লাহ পাক শ্রবণকারী এবং দর্শনকারী। অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছি আপনাদেরকে ডাক দেয়ার জন্য। তাই রজনী প্রহরির মত ডাক দিয়ে য়াচ্ছি জেগে উঠুন। আমাকে অবহেলা করে নিজেদেরেকে ইসলাম এবং কে কুফুরী চক্রান্তে ডুবিয়ে দেবেন না। আক্রমণাত্মক ভিতকর কুকুরের ঘেউ ঘেউ রব ধ্বনির প্রতিবাদ প্রতিরোধস্বরূপ কিছু কিছু ঢিল নিপে বিষয়ক কিছু কথা আমার লেখনির মধ্যে ল্যনীয়।
আমীন Ñ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন