মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৩

বর্তমান সভ্যতা

বর্তমান আরিক যুগে আমরা মনে করি শিার এবং সভ্যতার চরম শিখরে আরোহণ করেছি। তাত্তিবকভাবে ল্য করলে প্রতীয়মান হচ্ছে, যে, তার উল্টোটা। সভ্য সমাজ বলতে যা দরকার তা কোথাও পরিলতি হচ্ছেনা। সভ্যতার কিছুই নেই। আছে বর্বরতা, অসভ্যতা, অশ্লীলতা, অসত্যতা, ধোকাবাজী, দয়াহীনতা, লজ্জাহীনতা, খুন পিপাষা, হিংস্রতা-হিংসুক, লোভী, অহঙ্কারী, মানিরমান ধ্বংসকারী চর্চাকারী, অবৈধতাকে বৈধতা দানকারী, ভালোমন্দ মিশ্রণকারী এবং সর্বোপরি আছে জালেমী অত্যাচারিতা। সমাজে এসেছে পশু আচরণ। যেন পশুকে মানব সমাজে ভূক্ত করে মানব পশু একসাথে সমাজ গঠন করত চাচ্ছে। এসেছে মানব পশু ভালোবাসা মানুষ মানুষে ভালোবাসা যেন দুরাশা। মানুষ ছেড়ে কুকুর শিম্পাঞ্জি কাঁেধ-কাঁধে, কোলে-কোলে নিয়ে বেড়ায়। হায়রে মানব, যেন হয়েছে দানব! আছে উলঙ্গনারী এবং পুরুষ চিত্র প্রদর্শণ। মানুষ, মানব নয়নে এখন আর মানুষের মুখ মন্ডল দেখতে চায় না। সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের নামে যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, তাতে দেখা যায় ঘোড়া-গাধা-হাতি-ব্যঘ্র-মহিষ ইত্যাদি নান ধরণের পশুর মুখোশ লাগিয়ে নৃত্য করে। এটাই নাকি মানব সভ্যতা সংস্কৃতি। এতে মনে হয় বর্তমান যাকে শিতি সমাজ বলা হয়, তারা উক্ত সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পশু সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে চায়। পশুকে মানুষ বানাতে চায় না। মানুষই পশু হতে চায়। অসভ্যতাকে সভ্যতা বলে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। উম্মুক্ত আকাশের নীছে মুক্ত মিলন ঘটাচ্ছে। মুক্ত মিলন পশু কর্ম নয় কি? বৈধতার সীমা পেরিযে অবৈধতার পরিসীমায় প্রবেশ করিয়ে, বৈধতার স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে অবৈধ সমাজ গঠনে লিপ্ত রয়েছে। শ্লীলতা এবং অশ্লীলতার প্রশ্ন যেন আর নেই। উভয়- উভয়ের মধ্যে মুক্ত মিলন ঘটিয়ে একাকার হয়ে গেলো। যারা জ্ঞানী-গুণী সভ্যের দাবীদার বৈজ্ঞানিকগণ বলে বেড়াচ্ছেন যে, বন্য পশু শিম্পাঞ্জি নাকি মানব সম্প্রাদায় ভুক্ত। বর্তমান মানবিক মনোভাব পশু আকৃষ্ট হতে চলেছে। উক্তো উক্তিতে বুঝা যাচেছ যে, আজ মানব পশু সমাজ গঠনের ল্েয চুটেছে আবার জীবোপাদান থেকে জীন এবং কোন নামে নির্যাস উপাদান বের করে। মানবরূপকে বিভিন্নরূপে রুপান্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন আকার আকৃতি ধারণ করাতে চাচ্ছে। মহান স্রষ্টা কর্মকান্ড আচার-আচরণ ভালো লাগেনা, সে স্ত্রীকে ও ভালো না লাগারই কথা। এ এক আত্যাশ্চার্য্য বিভ্রান্তিকর মানবিক রুপ দানবীয় যুগের সূচনা হলো যেন। মানবকুল এখন আর মানুষ রূপ থাকতে চায়না, এখন পশু হয়ে দেখতে চায় তাতে কি রস-স্বাদ মিঠাই রয়েছে। বর্তমান মানবকুলে এমনি মন- মানসিকাতার লণ পরিলতি হচ্ছে। গভীর অজ্ঞাতা অমানিশার রাহুগ্রাসী অন্ধকার গনঘটার নিশীথিনী কাল চলছেতো চলছেই। যেন এক সত্য মিথ্যা মিশ্রিত মিশাল দজ্জালী যুগের সুচনা । দৈনন্দিন ব্যবহারিক বস্তু সমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই সহজেই অনুধাবন করা যায়। মিশ্রিত শিা, মিশ্রিত কথা বা বাক্য। অসত্যকে সত্যতে প্রতিষ্ঠিত করতে কৌশলে সত্য একটু জড়িয়ে রাখে এবং কৌশলে সত্যের মধ্যে বিথ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়। কারণ, সকল দিল- হৃদয়ইতো সত্যের সন্ধানী। সত্য একটু দেখলেই সে দিকেই ধাবিত হতে চায় মন। মুক্তিরাকাঙ্খিকে ঘায়েল করতে হলে সত্যের ছিটে ফোটা দিতেই হয়। ল্েযর খাঁচায় আটক করতে হলে নজর দৃষ্টিতে লোভনীয় ভোগ্য কিছু পতানো ফাদে রাখতেই হয়। ঠিক এমনিভাবেই বিভ্রান্তকারীগণ সহজ সরল মুক্তিকামী মুমীন মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে বিপদগামী করেই চলেছে। নকল আর নকল, যেন নকল ও নকল। ডাক্তার নকল। শিক নকল, হুজুররূপের নকল হুজুর, নকল আলেম, কল পীর নকল, দরবেশ , নকল স্বামী, নকল স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বিদেশ গমন। নকল কৌশলী, নকল  ঔষধ নকল খাদ্য। অথ্যাৎ যে দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়, কেবল নকল আর নকলই পরিলতি হয়। দ্বীন প্রচারেও নকল। কতিপয় বক্তা সত্যকে প্রতিষ্ঠার ল্েয অসত্য নকল বক্তব্য জড়িয়ে রাখে। এটাকেই বলে দাজ্জালী প্রবাকান্ডা। দাজ্জাল, অর্থাৎ সত্য এবং মিথ্যা মিশ্রণকারী। এ যেন দাজ্জালী প্রভাব বলয়ে ঘূর্ণায়মান পৃথিবী। বর্তমানহ বিশ্বে বিভ্রন্তী সৃষ্টিকারীর, ধোকাবাজের ,নাফরমানের, মুনাফিকের, নিমকহারামের মিথ্যাচারীর, জালেমের, অত্যাচারীদের এবং দাজ্জালীদের বলয়ে প্রবেশ করেছে। তাই এ বলয়কে অত্যাচারী বলয় এবং জালেম বলয় বল্লে উত্তোক্তি হয় না। ধর্মের নামে ব্যক্তি স্বার্থোদ্ধার করছে। বিশ্বে সকল ধর্মাবলম্বীগণ ধর্মের বোল-ই আওড়াচ্ছে মাত্র। কিন্তু ধর্মের আদেশ নিষেধের বেলায় উদাসীন। সৃষ্টিকর্তা এবং অনন্তাকাল বলে যে একটি কথা রয়েছে, এটাতো একটি অনস্বীকারোক্তি। এ সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই। জীবাত্মা গুলো অনন্তকাল পথযাত্রী হয়ে পানির স্রোতাকারে নিত্য গমনাগমন ধারায় বহমান। সে-ই অনন্ত জগত হতেইতো গমনাগমন ঘটছে। ইহকালীন অস্থায়ী জীবনকে সুšদর ও সুখের বানানোর জন্যে এবং অন্যায় অত্যাচার বিবেচার থেকে অস্থয়ী জীবনটাকে মুক্ত রেখে চির বা অনন্ত প্রবাসী হওয়ার জন্যেই স্রষ্টার নিকট হতে নানা ধরণের কঠিন হতে কঠিনতর ভীতি এবং আনন্দের সংবাদ দেয়া হয়েছে। আনন্দ বলতে স্বর্গ সুখের কথা বলা হচ্ছেহ। ভীতি নরকাগ্নিমূলক কঠিন শাস্তির কথা বলা হচেছ। এ দৃশ্যমান জগত সৃষ্টির পেছনে যে এক মহাশক্তিধর অর্থাৎ মতাবান সৃষ্টিকর্তা রয়েছে, এ উক্তিটি যেমন চিরন্তন সত্য তেমনি তাঁর প হতে ভীতি প্রদর্শণকারী শান্তির এবঙ শাস্তির সংবাদটি ও জলন্ত সত্য। অজানা কোন এক স্থান থেকে জীবাত্মাগুলো আসছে এবং কোন এ অজানা জগতেরদিকে ধাবিত হচ্ছে। এটাও প্রমাণিত জলন্ত সত্য। কোন এক অজানা অদৃশ্য মহাশক্তি দ্বারা  দৃশ্যমান জগত মমূহ সৃষ্টি হয়েছে। এটা যেমন সত্য তেমনি সেই মহাশক্তি হতেই আগত অকাট্য প্রমাণিত বাণীগুলো ও চিরন্তন সত্য। যাঁরা এ সত্যের ওপর নির্দ্বিধায় বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আমরণ বিশ্বাসী হয়ে থাকবে, কেবল তাঁরা-ই প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গণ্য হবে এবং সকল প্রকার অত্যাচার, অনাচার বেবিচার ,কলঙ্কমূলক অমানবিক কর্মকান্ড হতে মুক্ত থাকবে এবং স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসবে। স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসলে স্রষ্টাকেই ভালোবাসা হয়। বিশ্বের যত মহাত্মা, মহামানব এসেছিলেন উক্তো উক্তিটি-ই করেছিলেন। এ চলন্ত প্রবাহে আত্মচেনাবোধ এবং মানবতাবোধ যেন হারিয়ে গেছে। সেই মহাত্মা মহামানব গণ যেন অদৃশ্য হয়ে আছেন? এ যুগে মানবকুলে যেন নিকৃষ্ট হিংস্র পশু আচরন প্রতীয়মান হচেছ। জ্ঞানালোর যুগে অনজ্ঞি-অজ্ঞানী মুর্খের কর্ম কান্ডের প্রবাহ চলছে। দিনের মধ্যবাগে যেন কালো মেঘের ঘনঘটাচ্ছন্ন আকাশ। এ প্রবাহমান কালটিকে উন্নতমানের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক যুগ বলা হয়ে থাকে। জ্ঞানতো স্রর্ষ্টা দান। স্রষ্টা প্রদত্ত জ্ঞানকে তাঁর বিধানানুসারে  সঠিকভাবে প্রয়োগ করলেইতো জ্ঞানের মূল্যায়ন হয়। আর এ জ্ঞানকেই ভুল পথে প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। যে জ্ঞানে ধ্বংস সংঘটিত হয় এমন জ্ঞানের প্রয়োজন আছে কি? সভ্য সমাজে তা মোটেই কাম্য নয়। যে  জ্ঞান সমাজের জাতির উন্নয়ন ঘটায় এবং শন্তি আনয়ন করে এমন জ্ঞানেই মূল্যায়নকরা হয়। সে জ্ঞানকেই স্বার্থক জ্ঞান বলে অনুধাবন করা হয়। মানবোন্নয়নের নামে যে জ্ঞানাস্ত্র দ্বারা ধ্বংস কর্মে লিপ্ত থাকে তা শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে তাতে উন্নয়ন সাধিত হয়না। যেমন পারমাণবিকাস্ত্র এবং বিভিন্ন মানণাস্ত্র আত্মরার নামে অবি®কৃত অস্ত্র সমূহ দ্বারা স্রষ্টার সৃষ্ট জীব এবং বস্তু সমূহ ধ্বংসই করে যাচ্ছে। অথচ ্ আবিষ্কারের পেছনে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, কিন্তু উন্নয়ন সাধিত হচ্ছেনা। রকেট আবিষ্কারের মাধ্যমে গ্রহ হতে গ্রান্তরে ছুটে বেড়াচ্ছে এর পেছনে ও অসংখ্য বিলিয়ন ব্যায় হচ্ছে। উক্ত আবিষ্কারের ফলে দারিদ্রতা দূর হলো কোথায়? দারিদ্রতা যেন আরো বাড়িয়ে দিলো। যারা ফলে বিশ্বে সন্ত্রাস বেড়ে- ই চলেছে। এ সকল অস্ত্র দ্বারা লাভ অপো তির দিকটাই বেশী। সতরাং এমন অস্ত্র সভ্য সমাজের মোটেই কাম্য নয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তার অর্ধেক অর্থ ও যদি মানবতার সেবায় অর্থাৎ দারিদ্র বিমোচনে ব্যবহার করা হতো, বিশ্বের শতকরা ৮০% ভাগ দরিদ্রতা দূর করা সম্ভব হতো। বর্তমান বিশ্বে সত্য ধর্মের মূল্যায়ন নেই। ধর্মের  মধ্যেই মানবতার শিা। ধর্মহীনতার মধ্যে  মানবতার বোল-বলা অর্থহীন। ধর্মীয় আচরণ নেই বলে মানবতা নেই। দ্বীন থেকে যখন পদস্খলন ঘটে,তখনই  মানবতাহীন অর্থাৎ অমানবিক কর্ম কান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে মানব অশান্তি নরকানলে জ্বলে পুড়ে  মরে। যেমন-বর্তমান কালে চলছে শিশু অপহরণ, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই। অবৈধ জবর দখল। অন্যায় অত্যাচার অশ্লীলতা, মুক্ত মিলন, নাঙ্গা চিত্র প্রদর্শন, লজ্জাহীনতা , বৈধ পুরুষ রেখে অবৈধ পুরুষ মিলন, বৈধ নারী রেখে অবৈধ নারীতে সঙ্গম। এ যেন এক  মানবকৃতি নতুন এক পশুকুল। অবৈধ বলে একটি কথাছিলো, অবৈধ বোলটি কোথা বিলুপ্ত হয়ে গেলো। মহাত্ম শূণ্য হয়ে প্রেতাত্মাতে বিশ্ব ভরে উঠলো। এ পার্থিবধামে সকলইতো অস্থায়ী সবই প্রত্যাবর্তনশীল। সাময়িক সীমিত সময়ের জীবনে কেন ঘাত প্রতিঘাত ? মুহুর্তের মধ্যেই দেখা দিতে পারে অনন্ত প্রভাত। এতো এক  বিরতিহীন জীবন অর্থাৎ সকল জীবাত্মাই বিরতিহীন চলন্ত যানযাত্রী হিসেবে সাময়িক সীমিত সময়ের জন্র আসেন একটু আসন পেতে বসা মাত্র, সর্বশেষ মঞ্জিল ষ্টেশানে অর্থাৎ যখন শেষ থামায় থামবে তখন অবিলম্বে আসন ছেড়ে নামতে  হবে। চলমান সময় কালে অসতর্কাবস্থায় ,চোর শয়তান, যেন প্রয়োজনীয় স্বীয় মালামাল  সামান্য ও হরণ করতে না পার, সে ল্েয সদা সতর্কাবস্থায় চলন্তকালকে অতিক্রম করতে হবে এবং সাথীগণের  সাথে সদা ভালোবাসা হাসি খুশি স্নেহহ-মায়া-মমতা-মিষ্টি সদ্ব্যবহার এবং শান্তি শৃঙ্খলা রার মাধ্যমে পথাতিক্রম করে চলন্ত যান যাত্রীর দায়িত্ব সম্পন্ন করতে হবে। বুঝতে হবে এটাই মানবীয় দায়িত্ব।
    এ অস্থায়ী সীমিত পথের পথিক হয়ে, একে অন্যে, স্বজাতে-স্বজাে ঘাত প্রতিঘাত কেন? পশুকুলেতো এমনটি পরিলতি হয় না। মানবজীব, জীব জগতের সের শ্রেষ্ঠ জীব কিন্তু কর্মে চলছে পশু থেকে নিকৃষ্ট জাতের কোন এক জীবকুল। তাদের মধ্যে থাকবে ভালোবাসা পেয়ার মহব্বত একে অন্যের মধ্যে গড়ে নেবে সু-সম্পর্ক থাকবে সাহায্য সাহানুভূতি- সহযোগিতা। একে অন্যের মধ্যে সংযোগ রা করবে। স্বজাতে-স্বজাতে অর্থাৎ মানবে-মানবে ভালোবাসার সৃষ্টি করবে। মানবে পশুতে নয়। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আতœীয়তার  রশি শক্ত হতে শক্ততর করে ভালবাসা দয়া মায়া, স্নেহ-মমতা মধু হতে আরো মধুতর করবে। মেয়ের বিনিময়ে ছেলে বানাবে, ছেলের বিনিময়ে মেয়ে এনে আপন মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করবে। একে অন্যের মধ্যে মধুর সম্পর্ক স্থাপন করে সত্যিকারের মানবতা নেই । এক মানব যদি অন্য মানব ভাই-বোনে মেরেই ফেলে, তবে আত্মীয়তা এবং বন্ধুত্ব হবে কার সাথে? নিশ্চয়ই পশুর সাথে নয়। হিংস্র পশু কর্তৃক আক্রান্ত হলে, আশ্রয়াশায় মানবাশ্রমেই আসা হয়। পশু আশ্রমে নয়। অভাব এবং কষ্টের অভিযোগ বা আবেদন নিবেদন মানব মানবের নিকটইতো করবে। পশু দরবারে  নয়। যদি একে অন্যকে মেরেই ফেলা হয়, তবে অভিযোগ নিয়ে কা নিকট ধেয়ে যাবে? জীবিকার সন্ধানে কার  নিকট করবে? মানব-মানবের কাজ মানবের কর্তৃত্বেই করবে। পশুরা কৃর্তৃত্বে নয়। যদি মেরেই ফেলা হয়, তবে কার কর্তৃত্বে কোথায় কাজ করবে? ঔষধের প্রয়োজনে মানুষ-মানুষের নিকটই যাবে, পশুর নিকট নয়। যদি মেরেই ফেলা হয় আরোগ্য হওয়ার ঔষধের খবর কার নিকট থেকে নেবে? রোগীর রোগমুক্তির ব্যবস্থা পত্র মানবেই তো দেবে। মেরে ফেল্লে ব্যবস্থা পত্র কে দেবে? ঔষধ আবিষ্কার মানবেইতো করে। যদি মেরে ফেলা হয়, ঔষধ আবিষ্কার কে করবে? অন্ন-বস্ত্রের আশায় মানুষ-মানুষের নিকটই যাবে।  মানুষই যদি না থাকে আশাহত চিত্তে জন-মানবহীন মর্ত্য জগতে দোরে দোরে ফিরবে। মহান স্রষ্টা কোন ব্যক্তিকে সকল জ্ঞানের অধিকাররী করে সৃষ্টি করেননি। তাই, মহান ‘আল্লাহ’ তাঁর পবিত্র গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘ওয়াবতাগূ ইলাইহীল ওয়াছিলাহ্’ অর্থাৎ তোমার একে অন্যকে মেরে ফেল্লে, সংযোগ ,সহযোগিতা কিভাবে রা পাবে। কল-কারখানা ,জাহাজ তরী, গাড়ী বাড়ী মানবেইতো গড়বে। মেরে ফেল্লে গড়বে কারা? শিতি শিক হয়ে শিতি বানাবে, শিকই যদি না থাকে , তবে শিতি বানাবে কে? মানুষ মানুষকে নিয়েই আনন্দ উপভোগ করবেন, শূন্য মাঠে আনন্দ কোথায়? সমস্যা হলে সমাধানের জন্য পরামর্শ দাতা না থাকলে পরামর্শ দেবে কে? নিশ্চয়ই পরামর্শ দাতা পশু হবে না। জীবিকান্বেষনে বের হলে পথে চলতেই হবে, চলার পথ যদি বন্ধুর- দুর্গম হয় বা কোন প্রতিরোধের প্রতিকুলের বা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, সে প্রতিরোধের প্রতিকুলতার বা প্রতিবন্ধকতার সমস্য সমাধান কে দেবে? হাঁ নিশ্চয়ই পশুকুলে নয়, মানুষকেই দিতে হবে। সমাধান দাতা না থাকলে সমাধান দেবে কে? নিশ্চয়ই, মানুষকেই দিতে হবে। মোট কথা মানবকে মানবসমাজেই বসবাস করতে হবে। তাই যদি করতে হয়, তবে মানুষ মানুষেকে ভালোবাসতে হবে। মানুষ, মানুষে মিলেমিশে থাকতে হবে এবং সুন্দর সু-শৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কলঙ্কমুক্ত এবং বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি দ্বারা সরকার গঠন করতে হবে। চিত্ত বিনোদনমূলক কর্ম-কান্ড শ্লীলতার মধ্যমে করতে হবে এবং আনন্দ উপভোগের জন্যে অনুষ্ঠান অনুুিষ্ঠত করতে হলে মানব ছাড়া কাকে নিয়ে করবে? সুতরাং উক্ত বিষয় গুলো ঠিক-ঠিক ভাবে করতে হলে চরম ধৈর্যের প্রয়োজন । যারা চরম ধৈর্য ধারণ করে ,তাদের সাথে সাথী হয়ে থাকবেন মহান স্রষ্টা আল্লাহ। প্রসঙ্গ ক্রমে না বল্লে নয়, ধৈর্য সম্পর্কিত একটি ঘটনা, তা হলো  এ ণস্থায়ী বিশ্ব জগতে সর্বশেষ যে মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছিলো,তিনি ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠনবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) । তিনি একবার ধর্ম প্রচারের জন্য তায়েফ নামক স্থানে যান এবং  লোকদের বল্লেন হে তায়েফ বাসীগণ, তোমরা তোমাদের বানানো পুতুলমূর্তি বা পাথর পূজা করোনা। কারণ, তারা দেখেনা, কথা বলেনা, শুনেনা , তোমাদের কোন উপকার করতে পারেনা। তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তার ইবাদত কর। যিনি তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করেন, তোমাদেরকে এ জগতে পাঠান এং তাঁরই দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান, তোমরা তাঁর আদেশ নিষেধ পালনের বিনিময়ে পাবে অপূর্ব সুন্দর অনন্ত শান্তি, সুখের স্থান জান্নাত  বা স্বর্গ যেখানে অনাদি অনন্তকাল থাকবে। যেখানে দুঃখ নেই, খাদ্য পানির অভাব নেই, ফসল ফলানোর চিন্তা করতে হয়না। ফল-ফলাধির অভাব নেই। অপূর্ব সুন্দরী হুর বা রমণী তোমাদের সাথী হয়ে তোমাদের সাথে খেলাধুলা করতে অপো মান। তথা হিংসাদ্বেষ নেই, অভাব মুক্ত অভাবনীয় এক অনন্ত শান্তি সুখের জীবন। জীবিকার অন্বেষায় এদিক সেদিক ছুটোছুটি এবং আবিষ্কারের প্রয়োজন হবে না। সে এমন একস্থান ,যেখানে ঝড়-বৃষ্টি, বিজলী ,ভূকম্পন ধ্বংস নেই। আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ এবং বৃ ফুলের সমারোহ এবং আছে সু মিষ্টি , সুঘ্রান। তোমাদের এ মূর্তি ভগবান বা বানানো ঈশ্বরগুলো তেমাদের কিছু দিতে পারবেনা। তারা তোমাদের কোন উপকারে আসেবেনা। তারা তোমাদেরকে কিছু দিতে পারবেনা। তারা তোমাদের কোন কোন উপকারে আসবেনা। তারা তোমাদেরকে নরক অর্থাৎ চি আনন্ত আজাবের বা শাস্তির স্থান, অনাদি- অনন্ত অশান্তি কঠিন শাস্তির স্থান জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছু দিতে পারবেনা। তোমাদের সৃষ্টিকর্তা একক। তাঁর কোন অংশীদার নেই। প্রতিদ্বনদী নেই তাঁর বিপরীত শব্দ নেই, প্রতিকূল প্রভাব নেই। তিনি সর্ব শক্তিমান । তাঁর নিকট যেতেই হবে কারণ, তোমরা তাঁরই খাঁচায় বন্দী। দূরে সরতে যত শক্তি দিয়েই চেষ্টা করনা কেন, দুরে সরতে পারবেনা। তোমরা এবং সকল সৃষ্ট জগতইতো তাঁর দান। সুতরাং প্রতিদান সরুপ তাঁকে তার প্রদত্ত বিধানানুযায়ী স্মরণ কর। অন্যথা কঠিন হতে কঠিনতর আজাব বা শাস্তির অপো কর। পাঠকবৃন্দ চিন্তা করুন উপরোক্ত পরম সত্য বাক্য  বা কথাগুলোর জন্যই তাঁকে নিপ্তি পাথরাঘাতে রক্ত ঝরিয়ে দিলো। কিন্তু তিনি বিশ্বনবি হযরত মোহাম্মদ (দঃ) তায়েফবাসীদের জন্য ধ্বংস কামনা না করে  বরং তাদের বুদ্ধি বিবেকের এবং বিভিন্ন উন্নতি কামনা করে প্রার্থনা করে ছিলেন, অধৈর্য হননি। প্রসঙ্গ ক্রমে উক্ত উক্তিগুলো স্থান পেলো উদাহরণ বা উপমা সরুপ ,যেন মূল বক্তব্যটি বুঝতে সুবিধা হয়। তাই উক্ত উক্তিগুলো উদ্ধৃত হলো , বর্তমানকালে মানবকুল অধৈর্য কেন? হযরত মোহাম্মদ (দঃ) বিশ্ব মানবের প্রতি কয়েকটি কথাই বলেছিলেন। তা হলো এই, হে বিশ্ব মানব মন্ডলী , তোমাদের সৃষ্টিকর্তা স্রষ্টা অদ্বিতীয় একক শক্তিমান আল্লাহকে একক ভেবেই তা প্রদত্ত বিধি মোতাবেক তাঁকে স্মরণ কর। সদা সত্য কথা বল, পরোপকার কর। এ কয়েকটি কথার জন্য কেন তাঁকে দান্দান-শহীদ করিয়ে দিলো? বন্ধী অবস্থায় উপোস করতে হলো। কেন জন্মস্থান করতে হলো? তা-হলে মানব কি উক্ত বাক্যগুলো মানতে বাধ্য নয়? কেন যুদ্ধ করতে হলো? মহাত্মা মহা মানবতো আসেন অস্থায় জগতের অস্থায়ী শান্তির পথাপো স্থায়ী শান্তির পথ প্রদর্শন করতে। সীমিত জীবনপথ পেরিয়ে অনন্ত জীবনে প্রবেশের সরল সঠিক পথেরা সন্ধান দিতে। এ মাটিতে ভুমিষ্ট হওয়ার সময় থেকে আমরণ আক্রানত্ ছিলেন কেন? নবীগণ আবির্ভূত হয়েছিলেন, অস্থায়ী সীমিত জীবনে শা›িত সুখের সন্ধান দিয়ে নিষ্পাপ-নিষ্কালঙ্ক এবং পবিত্র করিয়ে অনন্ত ধামে প্রবেশ করাতে। মজলুমী জীবন কেন কাটতে হলো? পবিত্র মহাত্মা মহামানবগণ অত্যাচারিত কেন? তবে কি মানবকূল সৃষ্টি কর্তা স্রষ্টার বিপরীতে অবস্থান নিলো?  তাই যদি হয়ে থাকে, পরিলতি হচ্ছে যে দ্বিতীয় কোন মহাশক্তির আশ্রয়ে যাচেছ এবং যাবে? এ বিভ্রান্তির গভীর অন্ধকারে করাল গ্রাসে কেন মানবকুল? যাওয়াব আল- ক্বোরান দ্রষ্ঠব্য। মহামানব হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এসেছিলেন  মানবকুলকে মু্িক্তর এবং মানবতার পথ নির্দেশনা দিতে। সে নিদের্শনা সমূহকেই ধর্ম বলে। সুতরাং  ধর্মই মানবতার উৎস । ধর্ম নেই, মানবতা  ও নেই। ধর্মহীন মানবতার বোল-বলা অর্থহীন। ধর্মীয় বিধানাবলি, শুধু বোল চালে এবং আলোচনার মধ্যে সীমিত  রেখে দৈনন্দিন কর্মকান্ডে সবার চরিত্রের  উপর তার প্রতিফলন না ঘটিয়ে,ধর্ম-ধর্ম, বোল-বুলি আওড়ানো, ধোকাবাজ এবং মোনাফিকের পরিচায়ক। অর্থাৎ ধর্মহীনতারই শামিল।  মহাত্মা মহামানবগণের কথাই বলতে হয় বার বার। কারণ, বিশ্বে একমাত্র  তাঁরাইতো আলোচিত। স্রষ্টার প থেকে মানবের মুক্তি দূত হিসেবে মর্ত্যে পদার্পণ করেছিলেন। এ-জবীন প্রবাহে জীবিকা নির্বাহের পথ নির্দেশনা প্রদান করে প্রত্যাগমণ করলেন। সেই নির্দেশিত পথে চলন প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিতে পারলেই নির্দেশিকা সমূহের প্রতিফলন ঘটালেই এ অস্থায়ী সীমিত জগতে এবং অনন্ত জীবনে শান্তি সুখ অবধারিত। কিন্তু মানবকুল কূচক্রি শয়তানের চক্রে বিভ্রান্ত হয়ে বিপদগামী হয়। মুক্তির দূত মহাত্মা মহামানবগণ অন্ধকারাচ্ছন্ন ভ্রষ্টদেরকে আলোতে নিয়ে আসেত এবং শান্তি সুখের মুক্তি পথের দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে অহেতুক অত্যাচারিত হয়েছিলেন ভ্রষ্ট মানবকুল কর্তৃক। মানবকুল নির্দয় নিঠুর কেন? বর্তমান দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, চলমান প্রবাহে ধৃত মানবকুল হতে পশুকুলই উত্তম। তাদের ভাষায় সীমিত সময়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করে, আপন আপন গন্তব্যের দিকে ছুটে যায়। আরো ল্য করা যাচ্ছে যে, পশু-পাখি ,কীট-পতঙ্গ এবং বৃ-লতা উদ্ভিদজাত তারা মানবজাতির শিক হিসেবে নিজ নিজ কর্মে রত রয়েছে। স্রষ্টার সৃষ্ট জগতের নিকট ঋণী রয়েছে এবং থাকবে নির্বোধ মানবকুল । মানবকুলকে তাদের নিকট থেকে শিা নিতে হবে এবং স্রষ্টা প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সৃষ্ট জগত যদিও শিকের ভুমিকা পালন করছে, কিন্তু তারা মানবের জন্যেই সৃষ্ট। মানব তাদের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে এবং মানবকে বাঁচিয়ে রাখার কাজেই নিয়োজিত। তাদের ওপর কোন প্রকার কিতাব অবর্তীণ হয়নি। স্রষ্টা অন্যান্য সৃষ্টকুল কর্তৃক মানবকুলকে বাচিয়ে রেখে আপন উদ্দেশ্য সাধন করাবে আথ্যাৎ গুনগান করাবে। মানব যদি প্রাপ্ত দায়িত্ব ঠিক ঠিক ভাবে পালন না করে, প্রতিফল ভোগ করতেই হবে অবশ্যই এবং তার জন্য প্রস্তুত থাকরেত হবে। তাদেরকে শিক হিসেবে দেখলেও পশুকুলের মধ্যে যে ভুল নেই তাও একেবারে সত্য নয়। তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ রয়েছে। সুযোগ পেলেই দুর্বলকে দাড়িয়ে মারে, স্থাপন দখল করে নেয়। কিন্তু তা স্থায়ী নয় সীমিত সময়ের জন্য মাত্র। কিন্তু  মানবকুলের ন্যায় নির্বোধ জাহেল এবং বিশৃঙ্খল নয়। বর্তমান মানবকুলাপো উত্তমই পরিলতি হচ্ছে। বর্তমান মানবকুল যেমন চালাচ্ছে খুন-রাহাজানি, অন্যায়-অত্যাচার,অবৈধ কমৃকান্ড , জবর দখল ,জুলুম অশ্লীলতা নদীর বহমান স্রোত ধারার মত। তা করেব কখন বন্ধ হবে কারো জানা নেই। মানবকুলাপো পশুকুল শান্ত এটা অনস্বীকার্য, তারা মানবকুলের মত-অশান্তানলে জলে পুড়ে আত্মহত্যা করছেনা। করলেও অপোকৃত কম সংখ্যক যা হিসাবে বহির্ভূত ।অত্যচারের  স্রোতধারা যেন  তীব্র  হতে তীব্রতর, গভীর হতে গভীরতর হচ্ছে, যা-প্রতিরোধের উপায় খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। একটি  মাত্র উপায়  রয়েছে, তা হলো  ‘আল ক্বোরন’ ।  “আল-ক্বোরান” অনুসরণ, অনুকরণের  মধ্যেই শান্তি  নিহিত। সৃষ্ট পশুকুল আপন  স্ব-জাত মিলে দলবদ্ধভাবে বা সমাজ বদ্ধভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এব ং  একই সীমিত  স্থান অবস্থান করছে। বর্তমানে মানবকুলে যেন সে সমাজই নেই। কেউ কারো  কর্তৃত্ব  মানছেনা।একে   অপরে  সম্মান প্রদর্শন করছেনা। যেমন-আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট “বুশ” এবং বৃটিশ প্রধান মন্ত্রী “ব্লেয়ার” তারাতো  বর্তমান  বিশ্বের রাজনৈতিক প্রোপটে অনুসরণীয় । কারণ,  তারা কথায়-কাথায় মানবতার বোল বোলতে থাকেন। কিন্তু  তাদের  বর্তমান কর্ম কান্ডের মাধ্যমে এটাই  প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বর্তমান  বিশ্বে বুশ এবং  ব্লেয়ারই সেরা জালেম, অত্যাচারীরূপে আবির্ভূত হয়েছে। কাণর, আকারণে ইরাকের  উপর যুদ্ধ চাপিয়ে অত্যাচারীর বর্হিপ্রকাশ ঘটিয়েছে।  তাতে  বর্তমান বিশ্ব তাদের প্রতি রা-গোশ্বা প্রকাশ করতে গিয়ে , বুশ ্ বেং ব্লেয়ারকে মিথ্যুক-কাপুরুষ-ধোকাবাজ-সেরা বেহুঁশ বলতেও দ্বিধা করছেনা। সাধারণতঃ মানুষ শক্তিধর সবলকে ভয়ে মেনে চলে অর্থাৎ তাদের মনোঞ্জন করতে চেষ্টা করার অভিনয় করে। কিন্তু তারা ইরাক যুদ্ধে অমানবিক-অম ানবতার কর্মকান্ড ঘটিয়ে যে প্রতারণার খেল দেখালো, তাতে বিশ্ব-বিবেক অবাক ও প্রকারন্তরে হতাশ।
    মতা  আর শঠতায় জাতিসংঘের আদেশ অমান্য করলো। জাতিসংঘকে অমান্য করার অর্থ বিশ্ব মানবকে অমান্য করা।  এক সাী অপো  দশ সাীর পইে রায় ঘোষিত হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতীয়মান হচ্ছে যে দশজনের সাীর মূল্যায়ন বেশি এবং স্রষ্টাও সাধারণত তাদের পইে থাকেন। এ কথাও সত্য যে, দরিদ্র, এতিম এবং অত্যাচারিদের উপরেই মহানস্রষ্টা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন।তাই, যাদের পে স্রষ্টা থাকেন  তাদের  মুক্তি বা  জয় অবধারিত।
    রাজনৈতিকভাবে ইরাক হেরে গেলেও মূলতঃ নীতিগতভাবে ইরাকের-ই জয় সংঘটিত হয়েছে। কারণ, বিশ্ব অভিযুক্ত করেছে যুদ্ধাপারধি বলে আক্রমাণকারীকে । তারা থুক-ধিক্কার দিচ্ছে মিথ্যুক কাপুরুষ-ধোকাবাজ বলে বুশএবং ব্লেয়ারকে’ সুতরাং তারা ধিকৃত হিসেবে অমরত্ব লাভ করেছে। আর ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম  তাঁর ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব যা- ই  থাকুক না কেন, তা আলোচনার বিষয় নয়।  আলোচনার বিষয় হচ্ছে যে, যে কারণে ইরাক অ াক্রান্ত হলো, তা কতটুকু সত্য ছিলো? সে দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখা যায় যে,  যুদ্ধের কারণটি ছিলো  সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং সেই দিকে আলোকপাত  করলে সাদ্দামেরই জয় হয়েছে এবং সাদ্দামই বিজয়ী হিসাবে চির অমরত্ব লাভ করেছে।
    বর্তমান বিশ্বে মহাত্মা মহামানবের আবির্ভাব যেন অত্যাবমশ্যক। মানুষতো  মহামানব বানাতে পারবে না। মহানস্রষ্টা আল্লাহর ইচ্ছে নুযায়ী  মহামানবের আগমন সংঘটিত হয়। বর্তমান মানবগণ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে প্রবেশ করছে জীবনের প্রয়োজনে। মানুষতো নিজের এবং অন্যের জীবন বাঁচাতে পারবেনা। আপন ইচ্ছায় মরণ-বাঁচন সংঘটিত করতে পারবেনা। একমাত্র স্রষ্টাই সর্ব শক্তির অধিকারী। তিনিই পারেন সব করতে। সকল মতার উৎস মহাশক্তি যিনি একমাত্র আল্লাহ্ । সৃষ্টিলোকে  যা ঘটছে, তাঁর প থেকে ঘটছে। মানুষ যে কর্ম করবে, তারই প্রতিফল লাভ করবে। জীবন এবং জীবিকার মালিকতো মানুষ নয়। সকল জীবাত্মা এবং জীবের জীবিকার মালিকতো মহান স্রষ্টা আল্লাহ। যত  চেষ্টাই করা হোকনা কেন, অনন্ত জীবন লাভের উদ্দেশ্য, চিরকলা কেউ থাকেনি,   থাকবেওনা।  কারণ এ জীবরন নস্বর  অস্থায়ী অনন্ত নয়। যে কোন গ্রহে  বসবাসের ব্যবস্থা করা হোক না কেন মৃত্যু বা অন্তর্ধান বা পরগমন অবধারিত জীবিকার তাগিদে বা  অন্যের প্রয়োজনে, অন্য কোন গ্রহে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।   মহান সুষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত যে আহারাদি ,বর্তমান গ্রহে, বর্তমান রয়েছে, তা মহাপ্রলয়, অতিক্রম করবে। বর্তমানাপো আগামীতে জীব যতই বৃদ্ধি পাবে, খাদ্য ততই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ হতে বাড়তে থাকবে। কারণ সকল জীব  বস্তু সমূহ স্বয়ং সৃষ্টি কর্তারই সৃষ্টি। যিনি সকলের মালিক তিনিই তাঁর জীব  জগতের আহারাদির ব্যবস্থা করবেন।  মানব শুধু আকাঙ্খা এবং চেষ্টা করার মালিক।  তাও আকাঙ্খা এবং  চেষ্টা করার সুস্থ্যতা এবং শক্তি প্রদানকারী ও মহান সৃষ্টিকর্তাই। এ শক্তি  অর্জনের জন্যে ও প্রার্থনা করতে হবে সেই মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে। খাদ্যই যদি না পেলো তাঁর পালিত জীবগুলোর কি অবস্থা হবে! তিনিই ভালো জানেন। মানুষ শুধু সুষ্ঠ সুন্দর  মানবিক সম্পর্ক একে অন্যের মধ্যে রা করে যাবে, নিজেও সুন্দরভাবে বাঁচার চেষ্টা করবে, অপর কেও বাঁচে দেবে।মানুষ যেন নিজেকে অন্যের মধ্যে দেখতে পায়, অন্যের কষ্ট প্রত্য করলে, তা যেন নিজের দুঃখ বা কষ্ট বলে উপলব্ধি করে।অন্যের তিকে যেন নিজের তি বলে মনে করে। অন্যের সুন্দর সুখ যেন নিজের বলে মনে করে। মানুষ এ ইহধামে যেন  নিজেকে একজন অস্থায়ী মুসাফির বা নস্থায়ী মনে করে। যারা উক্তিগুলো দৃঢ়ভাবে মনে রাখবে, তাদের মধ্যে লোভ-মোহ-প্রাবৃত্তি ,হিংসা, দ্বেষ, অহঙ্কার, ভোগ-বিলাসের লালসা থাকতে  পারেনা,  ফলে তার জীবন  হয় শান্তি সুখের। অনন্তকালেও সে হবে বিশেষ পুরষ্কারের অংশীদার।  জীবনকে এমনই করে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে  জীবিকার জন্য হা-হতাশ করতে হবেনা। ল্য  থাকবে শুধু  মানবিক দায়িত্ব পালনের  সতর্কতার দিকে। স্রষ্টা প্রদত্ত  যে জ্ঞান আক্বল লাভ করেছে তা যদি  সুন্দর সু পরিকল্পিত ভাবে কাজে লাগানো যায়, তবেই জ্ঞানের মূল্যায়ন হবে।  প্রাপ্ত জ্ঞানকে ধ্বংসাত্মক  পথে ব্যয় করে যদি শান্তির আশা  করা হয়, তা হবে সুদূর পরাহত বা অবান্তর। অসম্ভব আশা নিষ্ফলই বটে। যেমন-চলচ্চিত্র দ্বারা  ক’সংস্কারের বিকাশ ঘটাচ্ছে। চরিত্র ধ্বংস হয়েছে,  অশ্লীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।  অবৈধ কর্ম কৌশলদূর পরাহত বা অবান্তর। অসম্ভব আশা নিষ্ফলই বটে। যেমন-চলচ্চিত্র দ্বারা  ক’সংস্কারের বিকাশ ঘটাচ্ছে। চরিত্র ধ্বংস হয়েছে,  অশ্লীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।  অবৈধ কর্ম কৌশল শিায় শিতি হচ্ছে। অধুনা শিা জগতে আদর্শগত চরিত্র গঠন মুলক শিার ব্যবস্থা নেই।  আছে শুধু জীবিকার্জনের কৌশল শিা। এ শিা  অতীব প্রয়োজন বটে, কিন্তু চরিত্রহীন  জ ীবন-জীবিকা মূল্যহীন। জীবিকার্জনের কৌশল শিায় শিতি হয়ে,  জীবিকা অর্জন করে ঘুমানো আর শৌচাগারীয়  কর্ম সমাধা করা-এটাই কি মানবিক কর্ম বা দায়ীত্ব? নিদ্রা খানা এবং মলত্যাগ করা কর্ম পশুরাও  করে  মানবতো শুধু এ তিনটি সীমিত কর্ম জীবন নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। এ সম্পর্কে পূর্বোক্ত আলোচনায়  অ ালোচিত হয়েছে।  তবুও পূণঃব্যক্ত করতে হচ্ছে। উ্ক্ত তিনটি  কর্ম পশুকুলেও   করে থাকে তারা জীবিকান্বেষায় এখানে সেখানে ছুটো-ছুটি করে জীবিকা সংগ্রহান্তে ঘুমোচ্ছে, মল ত্যাগ করছে। মানুষ যদি একই  কর্মে সীমাবদ্ধা থাকে, তবে মানুষ ও পশু পর্যায় ভুক্ত হয়ে যায়। মানব পরিচয়ের স্বার্থকতা কোথায় ? মানব হিসেবে মানবিক দায়িত্ব কি? মানব, জীব জগতের সেরা জীব বলে  দাবীদার যখন, দায়িত্ব ও রয়েছে সেরা নিশ্চয়ই । সে সকল বিধান সমূহ ঠিক  ঠিক ভাবে পালিত হলেই মুক্তি সু নিশ্চিত। অন্যাথায় নরক  শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সাজা থেকে মুক্তি পেতে হলে দায়িত্ব পালনে  অলসতার অবকাশ নেই। আজাজিল শয়তানের চক্রে ধৃত যারা, তারাই ধর্মের প্রতি  উদাসীন। উদাসীনতার কারণে সীমিত পার্থিব জীবনে এবং অনন্ত অসীম  স্বর্গ সুখ হতে বঞ্চিত । যাদের সীমিত বিবেক কেবল তারাই উদাসীন। উদাসীতার কারণে র্ধম সম্পর্কে এবং স্রষ্টা সম্পর্কে  বিবেকহীনভাবে ধর্মীয়  বিশ্বাসহীনতার কারণে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবে অর্থহীন মন্তব্য করে থাকে। বিবেকহীনতার কারণে মস্তিষ্ক বিকৃতির ন্যায় কর্মকান্ড ঘটিয়ে থাকে এবং নিজেকে স্রষ্টাপো বুদ্ধিমান বলে মনে করে। ফলে  প্রকৃত মস্তিষ্ক বিকৃতির পরিচয় দেয় এবং তার বাক্যগুলো অর্থাৎ অর্থহীন  বাক্যোক্তিতে  পরিণত  হয়। স্রষ্টা সম্পর্কে যে-যাই বুলকান কেন,  তাতে  স্রষ্টার কিছুই আসবে-যাবেনা। কিন্তু বক্তা বা উক্তি দাতা নিজেই ধ্বংস হবে। সময় মতো  সতর্ক হয়ে নির্দেশিত দায়িত্ব পালনে রত  থাকলেই মুক্তি পথ উম্মুক্ত  থাকবে এবং বিধান বহির্ভূত কর্ম থেকে  বিরত থাকবে।

মানব হিসেবে দায়িত্ববোধ


    বিশ্ব মানব সমাজ দায়িত্ববোধ থেকে আজ বঞ্চিত । জ্ঞানীগণ পার্থিব জীবনকে সাময়িক অর্থাৎ অস্থায়ী মনে করে। তাঁরা অহঙ্কার করে না,  অহঙ্কার করবেই বা কেন? মানুষ কি জানে? জানার মধ্যে ধ্বংস ছাড়া কিছুই জানেনা।  সবইতো মহান স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট। মানব কি আপন  হতে আপনকে অর্থাৎ নিজ হাতে  নিজেকে  সৃষ্টি করতে পেরেছে? উত্তরে, না। নিশ্চয়ই মহান স্রষ্টা থেকেই সৃষ্ট। সে মহা শক্তিতো ‘আল্লাহই’ সমস্ত সৃষ্ট জগতের সৃষ্টি কর্তাই তিনি। তিনি সৃষ্টি করেছেন , হস্ত যুগল, পদ যুগল, কর্ণ যুগল, নাসিকা, মুখমন্ডল,   জিহ্বা  এবং আলা জিহ্বার মাধ্যমে স্বাদ উপলব্ধি শক্তি,  হজম শক্তি, মলত্যাগ, দূষিত পানি বর্হিগমন ব্যবস্থা  এবং স্বামী-স্ত্রী  সম্পর্কের মাধ্যমটি ইত্যাদি সৃষ্টিকর্তার  দান নয় কি?  ভোগ্য বস্তু বা উপাদান সমূহ মহা স্রষ্টার প হতেই তো জীবাত্মাগণ লাভ করে থাকে।  মানবের  অহঙ্কার  কোথায়? মানব কিছুইতো সৃষ্টি করতে পারেনা। কীট  -পতঙ্গ বা পশু জগতের কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা। সকল  জীবাত্মাই স্রষ্টার সৃষ্টি থেকেই  ভোগ করে থাকে । মানব এবং সকল জীবকুলে পারে শুধু স্রষ্টার সৃষ্টিকে রূপান্তর করতে। অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টিকে কেটে ছিড়ে ভেঙে চুর্ণ করে রূপান্তারের মাধ্যমে  ভোগ করতে। পশুকুল কিন্তু  রূপান্তর  করার মতা লাভ করেনি।   সরাসরি শুধু  ধ্বংসই করতে পারে। মোট কথা  সকল জীবাত্মাই ধ্বংসকারী শুধু মল সৃষ্টি করতে পারে আর কিছুই নয়। এ পবিত্র মর্ত্য ধরাটিকে একটি মলপিন্ডে  পরিণত করেছে।  পবিত্রকে অপবিত্রই করতে পারে।  সৃষ্টির ধ্বংস এবং পবিত্রকে অপবিত্র করতেই স আর সৃষ্টিতে অম। উক্ত  দতাই  মানব লাভ করেছে। অর্থাৎ ভোগ বিলাসের  উদ্দেশ্যে  চুর্ণ-বিচূর্ণ  না  করলেতো ভোগ করা যায়না। ধ্বংসোদ্দেশ্যে দিক-বিদিক ছুটো- ছুটি করতে পারে, এটাই কি মানবিক  কর্ম বা দায়িত্ব ? এ জন্যেই কি মানব সৃষ্টি? শুধু  ভোগদ বিলাসের জন্যেই কি এ অত্যাশ্চর্য ভুবনে সাময়িক ভোগ করতে দেয়া হলো? কেন, কি কারণ? এর পেছনে যুক্তি  ? যে  কোন ঘটনা  সংঘটিত হওয়ার  পেছনে করণাতো নিশ্চয়ই থাকবে।
    ল্য করলে  প্রতীয়মান হয় যে,  সমগ্র  সৃষ্ট সৃষ্টির কারণ হলো মানব সৃষ্টি। স্রষ্টা মানব সৃষ্টি করবেন এবং তদ্বারা  তাঁর উদ্দেশ্য সাধণ করবেন। মানব কিভাবে বাঁচবে? তাদেরকে বাঁচাতে হলে  তাদের  জীবন-জীবিকার ব্যবস্থাতো স্রষ্টাকেই  করতে হবে। তাদের পানাহার,থাকার এবং স্বাস্থ্য সুস্থতার ল্য রেখে সু প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা সরূপ ইহকাল নামক বিশ্ব জগত সৃষ্টি করেছেন।  মানুষ যখন ভোগ্যজীব সংগ্রহ করার আশা পোষণ করে তখন লালন পালন করার মত সুন্দর সুব্যবস্থা করতে পারে। পরে তা থেকে ব্যবহার বা ভোগ করতে পারে। লালন-পালনের ল্য হলো  প্রয়োজন মেটানো। যখন যা-যে ভাবে প্রয়োজন হবে, তখন তা সেভাবে  সেকাজে ব্যবহার করবে। এখন একটু দৃষ্টি নিবদ্ধ করার দরকার, স্রষ্টা কেন লালন পালনের জন্য মানব সৃষ্টি করলেন?  স্রষ্টার কি কাজে আসেব চাষ করাবেন মোটা তাজা হলে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবেন, না ভোগ্য বস্তু হিসেবে ব্যবহার করবেন? না গাধা গোড়ার  গাড়ী চালাবেন? না কুকুরের ন্যায় বাসস্থানের দরজায় বেঁধে রেখে চোর পাহারার কাজে নিয়োগ করবেন, না বীজ হিসেবে মাটিতে পোতে বপন করে খাদ্য হিসেবে খাদ্যোৎপাদন করবেন? কেন কি কারণে মানবকুল লালন পালন করবেন? মানব সৃষ্টির মূলে ল্য কি ছিলো ? ল্য ছিলো ইবাদত করানো , তাই মহান স্রষ্টা পবিত্র গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন জ্বীন এবং ইনসানকে কেবল আমার  ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি।  সৃষ্টির ল্য সম্পর্কে, উক্ত উক্তির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার  প থেকে প্রকাশ করা হলো। এখন সে দিকেই নজর ঢালতে হয়। ইঙ্গিত  ইশারা বা নির্দেশনা  সম্বলিত গ্রন্থ ‘আল-ক্বোরানে’ লিপিবদ্ধ রয়েছে , মানব সৃষ্টির ল্য   সম্পর্কিত বাণী “মা-খালাক্বতুল জ্বীন্নহ্ ওয়াল ইনসা  ইল্লা লি-ইয়া বুদূন” অথ্যাৎ  আমি  জ্বীন এবং ইনসান অর্থ্যাৎ মানবকে  আমার ইবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি-অন্য কোন কাজের জন্য নয়। মহান স্রষ্টা পরিষ্কারভাবে উদ্ধৃত করেছেন যে, উক্ত বাণীতে তোমরা বঝুতে পার যে, এটাই আমার মুল ল্য  বা উদ্দেশ্য । এ  ল্েযই আমার সৃষ্ট জগত সৃষ্টি। তারা  আমার আদেশ বহির্ভূত কজে  লিপ্ত হবেনা।  তারা আমার কথা  শ্রবনকারী এবং স্বরণকারী তারা  আমার কথা অমান্য   করবেনা এবং  অবধ্যা হবেনা। তাদের নিকট এটাই আমার চাওয়া এবং পাওয়া। মানব সৃষ্টির ল্য এটাই। প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহান সৃষ্টিকর্তার মানব সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁর আদেশ পালন করানোর মাধ্যমে এক সুন্দরতম সৃষ্টিরাজ্য তৈরী করা। তাই তার আদেশ এবং নিষেধ সম্বলিত গ্রন্থ দিয়ে যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। জ্বীনকুল হচেছ অদৃশ্যমান, অশরীরি আত্মা। তাদের মধ্যেও আল-ক্বোরানের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী রয়েছে। তাদের সম্পর্কে ও বিস্তরিত আলোচনা রয়েছে তাঁর পবিত্র বাণীতে । জ্বানকুলের মধ্যেও জ্বীনরূপ শয়তান রয়েছে। মানবকুলে ও রয়েছে মানবরূপ শয়তান। যারা মন্দকাজে লিপ্ত মন্দ কর্মই তাদের শান্তি। অন্যদের তি সাধন করতে তাদের বিবেকে একটু ও বাঁধেনা। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাঁর বাণীতে বলেছেন, তাঁর ইবাদাত বা তাঁকে স্বরণ করা হবে? এ সৃষ্টজগত সমূহ যে মানবকুলকে দান করলেন, তাঁর এ দানের বিনিময়ে কি করলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে? কেউ যদি কাউকে স্বত্ত ত্যাগের মাধ্যমে কিছু দান করে থাকে, দান গ্রহণকারী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সরূপ দাতার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। যিনি সর্বদাতা, সর্বশক্তিমান অর্থাৎ যিনি সব কিছুই দান করেছেন, সে মহান দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। কৃতজ্ঞাতা  প্রকাশের উপায় কি? তিনিতো দৃশ্যমান নন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিয়মাবলি এবং রূপ রেখা কি? সে সম্পর্কে ‘আল্লাহর’ প্রেরিত মহাপবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরানে’ বর্তমান রয়েছে এবং তা মহাপ্রলয় কিয়ামাত পর্যন্ত থাকবে। তা কার্যেেত্র প্রয়োগ করানোর জন্য যুগে-যুগে মহাত্মামানব অর্থাৎ মহামানব প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু আজ এ দুর্যোগ যুগে সে সকল মহামানবগণ অর্থাৎ যাঁদের মাধ্যমে তার বিধান সমূহ বা ব্যবস্থাপত্র সমূহ মানবকুলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে সকল অনুকরণীয় অনসরণীয় মহাত্মা ব্যক্তিবর্গ আজ কোথায় প্রশ্নটি অবান্তর, বর্তমান বিশ্ব মানবকুলের অমানবিক আচার আচরণে ব্যথাহত চিত্তে আবেগ প্রবণ থেকে প্রশ্নটি এসে গেলো।
    মহাত্মা মহামানব যে আর আসবেননা তা আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে। যত মহামানব এসেছিলেন সকলেইতো আপনাপন চিরস্থায়ী অবস্থানে অবস্থান করছেন। পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহামানবের আবির্ভাব আর ঘটবেনা। তা-হলে এ ইহকালীন যুগের মানবকুলের পথ নির্দেশনামুলক ইশারা কোথায়? সে ইশারাই রয়েছে ‘আল-ক্বোরান’ নামক মহা গ্রন্থে। তা অনুসরনে এবং অনুকরণের মধ্যেই মুক্তি অবধারিত-এটাই স্রষ্টার ওয়াদা। এ চলমান যুগটি এমন এক যুগে প্রবেশ করেছে, যে যুগে মানবের মানবতা নেই। মানীগণ মান থেকে, ছোটগণ আদর স্নেহ থেকে, দুর্বল ভিুকগন  দয়া-দান থেকে বঞ্চিত । সমাজ নেই, নামাজ নেই, সহযোগিতা নেই। সবলগণ দুর্বলের ধার হাহাকার শুনেনা। মনে হয় যেন দুর্বলকে আরো দুর্বল দেখতে ভালোবাসে। দুর্বলগণ সচ্ছল হোক এটা যেন সবলদের কাম্য নয়। সবলগণ আরো সবল হোক এটাও যে দুর্বলদের কাম্য নয়। মোটকথা কেউ কারো মঙ্গলকাঙ্গি নয়। একে অপরকে মূল্যায়ন করেনা। অন্যের হক হরণকরতে দ্বিধ্ াকরেনা। পরের অধিকার হরণ করে যেন বাহাদুর হতে চায়। এ যেন পশু হতে নীচু এক বেনামী জীবকুল। শাসকগণ ও ক্রটি মুক্ত নয় নাগরিকগণের মধ্যেও শতকরা নব্বই পঁচানব্বই ভাগ ক্রটিপূর্ণ পরিলতি হচ্ছে। ক্রটিযুক্ত শাসক গোষ্ঠি যেন পশু আপো নিকৃষ্ট পর্যায়ে নেমে এসেছে। তারা তাদের মালিককে এবং নেতা বা সরকারকে মানতে চায় না। সরকার গুলো ও আপনাপন স্বার্থ রার জন্যে নিজ নিজ দেশীয় নাগরিকগুলোকে আয়ত্বে রাখতে চায়, দেশ বা জাতির উন্নতিতল্পে শাসনকার্য পরিচালনা করেনা। করতে পারেনা, করতে দেয়া হয়না। প্রত্যেকেই সুযোগ সন্ধনী। নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার মন-মানসিনকতা  সম্পন্ন ব্যক্তি যে নেই , তাও নয়। যেখানে শতকরা নব্বইভাগ ক্রটি সম্পন্ন সেখানে শতকরা দশভাগ ক্রটি মুক্ত সম্পন্ন ব্যক্তিদ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয়।  ফলে দেশ ও জাতি অনুন্নতই থেকে যায়। সুতরাং দেশ এবং জাতি অশান্তির জ্বলন্ত অনলে জ্বলতেই থাকে। যখন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ধোকাবাজ, মুনাফিক , নিমক হারাম, চোর-গুন্ডা ডাকাত তখন শুরু হয় মানুষে-মানুষে হানাহানি-মারামারি, খুনাখুনি, ঝগড়া-বিবাদ, অন্যের সম্পদ হরণ করে জ্ঞানী-বুদ্ধিমান এবং চতুরতার পরিচয় দেয় এবং শয়তানি চক্রজাল ফেঁদে পেছন থেকে আক্রমন করে ফাঁদ ফেলে আক্রান্ত ব্যক্তির সামনে এসে অভিনয সূচক হা-হতাশের মাধ্যমে দয়ার ভাঁন প্রদর্শন করে। যেমন বর্তমানে ইরাক এবং আমেরিকার মধ্যেকার সংঘটিত ঘটনা। আমেরিকা ইরাকের বিরুদ্ধে মিথ্যা কারণ সৃষ্টিকরে ইরাক দখল করে নিলো। এ এক জ্বলন্ত অত্যাচার আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ জ্বলন্ত অত্যাচারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। অন্য দিকে ইরাকী প্রেসিডেন্ট ভালো হোক আর মন্দই হোক তা তার ব্যাক্তিগত বিষয়। বর্তমান ঘটনার পরিপ্রেতি তার ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর নজরদারী করার কোন অধিকার করো আছে বলে মনে হয়না। তার ব্যক্তিগত চরিত্রের ওপর নজরদারী করার অধিকার তাঁর দেশীয় জনগণেরই । অন্য দেশের নয়। বর্তমান ঘটনার প্রেেিত সাদ্দাম একজন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে অত্যাচারিত অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ তার ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব যত ভালো এবং মন্দই থাক, তার প থেকে ইরাকের ওপর ঘটনার প্রেেিত ‘বুশ’ একজন আন্তর্জাতিক নজরে ভয়ঙ্কর জ্বলন্ত অত্যাচারী জালিম মিথ্যুক কাপুরুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। দু’ মেরুই অমরত্ব লাভ করলো। ল্যকরা যাচ্ছে যে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন জ্বলন্ত অত্যাচারিত হিসেবে অমরত্ব লাভ করলো। দ’জনই বিশ্বের ইতিহাসে নিজ নিজ গুণ্য-গুণের উপর চির অমর হয়ে থাকবে। ‘বুশ’ এবং সাদ্দাম এর কর্মকান্ডের এরূপ অবস্থানগত ঐতিহাসিক ঘটনা উপলে এ চলমান লেখার সারিতে কবিতা নিজ নিজগুনে স্থান করে নিলো।
    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ এবং বৃটিশ মন্ত্রী ‘ব্লেয়ার’ যে কান্ড ঘটিয়েছে, অর্থাৎ যেভাবে চরম অন্যায় ভাবে ইরাক দখল করে নিলা। ঘটানাটি যে কথিত ব্যঘ্র এবং ছাগল সাবকের মধ্যেকার পানি ঘোলা গল্পের মতই। ব্যঘ্র, ছাগল সাবকে বল্লো হে ছাগলের বাচ্চা!
    আমি পানি পান করতে তুই পানি ঘোলইশ্ কেন? ছাগলের বাচ্চা বল্লো বাহঃরে, আমি পানি ঘোলাচিছ কোথায়? আমি তো তোমা হতে নীচু জা’গায়, তোমার দিক হতেইতো পানি আমার দিকে রহমান, আমার দিক হতে কি করে পানি তোমার দিকে যাচ্ছে এটাতো ভুল কথা বলছ। তদোত্তরে ব্যঘ্র বল্লো, আরে তুই ঘোলাইশনে তোর বাপ-দাদ! ঘোলিয়েছে,তোকে আমি খেয়ে ফেলবো। তোকে কিছুতেই ছাড়বোনা। ছাগল সাবক বল্লো, বুঝতে পেরেছি নিঠুর ব্যঘ্র, মূল কথা হলো, তুই আমাকে খাবি। সেটাই বল! উপরোক্ত ইরাক, আমেরিকার মধ্যেকার ঘটনাটি ঠিক-কথিত, ব্যঘ্র এবং ছাগলের বাচ্চার গল্পের মতই। বুশ-ব্লেয়ার মিথ্যাচারের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেই প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান বিশ্বে কি ধলনের জালেম অত্যাচারীর, মিথ্যুকের, ধোকাবাজের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান যুগটা যেন চরম মিথ্যা, ধোক,জুলোম এবং অত্যাচারের যুগ চলছে। লজ্জাহীন শাসক কিন্টনের ন্যায় অসংখ্য লজ্জাহীন জন্ম নিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে উল্টো হওয়া প্রবাহমন। এ যুগে লজ্জাহীনের প্রতিবা করাটাই যেন লজ্জাহীনতার পরিচায়ক। মিথ্যা-ধোকাজ-জালেম এবং অত্যাচারের প্রতিবাধ করলে যেন প্রতিবাদীকেই মিথ্যূক , ধোকাবাজ জালেম এবং অত্যাচারীরূপে প্রতীয়মান হয়। ক্রটি মুক্ত থাকছেনা, থাকতে দিচেছনা । বর্তমান সমাজ যে ক্রটি যুক্তদের নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনি গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন এ কালটি । যে ব্যক্তি বিশেষ জ্ঞানের, বিবেকবুদ্ধির ,সচেতনতার, সত্যবাদিতার এবং হুশ মানের দাবীদার সে যদি তার কর্ম কন্ডের মাধ্যমে বুদ্ধিহীনতার, অবিবেচকের , অজ্ঞানের  অসচেতনতার, বেহুশের এবং মিথ্যা বাদিতা প্রতীক চিহ্ন বহন করে। তাকেই বিশ্বের বেহুশ বলা চলে। যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশ এবং বৃটিশ মন্ত্রী ব্লেয়ার। তাদের কর্মকান্ডে বিশ্বের সেরা বেহুঁশের পরিচয় বহন করছে। তারাতো আজাজিল শয়তান নয় কিন্তু শয়তান হয়তো কোন এক সুযোগের সদ্ব্যবহার কর তাদের উভয়ের মস্তিস্কে প্রবেশ করে সু-বিবেকের দ্বারটি রূদ্ধ করে দিয়েছে। তাই তারা বোধীরানুরূপ বিশ্বকে উপো করে ইরাকে অন্যায়ভাবে যুদ্ধ সয়ঘটিত করে নির্বিচারে অত্যাচা চলিয়েছে। সু এবং কু এ দুয়ের মধ্যেকার ব্যবধানটুকো ভুলে গিয়ে শয়তানের মতোই উক্তি করেছে। যেমন- কোন এক কথিত গল্প থেকে, গল্পের মধ্যে বর্ণিত কথা, কোন এক শয়তানের নেতা অন্য শয়তানকে বলেছিলো, আরে ভাই শয়তান, তুমি একান্ড ঘটালে কেন? এতগুলো প্রাণ আকারেণে ধ্বংস হয়ে গেলো। উত্তর দাতা শয়তানটি উত্তরে বল্লো, আরে ভাই আমিতো একাজ করেনি। আমরা কয়েক সংখ্যক একত্রে দলবদ্ধভাবে মিলে মিশে লোক চলাচলের পথে খেলা করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি বাজার থেকে গুড় নিয়ে উক্ত পথ ধরে যাচ্ছিলো। তখন আমার অন্তরে কৌতূহল জাগলো যে, আজ পিপিলিকাদের একটু উপকার করবো। তখন এক গুড় ওয়ালাকে ধাক্কা দিয়ে একটু গুড় ফেলে দিলে, পিপিলিকাগণ তা খেয়ে আনন্দ পাবে। তাই আমি কৌতকের চলে লোকটিকে একটু ধাক্কা দিয়েছিলাম। তাতেই লোকটির ভান্ড থেকে একটুখানি গুড় পড়ে গিয়েছিল। আমি আমার কর্মকরে চলে এলাম, আরতো খবরই রাখিনি। তুমিতো খবর রাখোনি কিন্তু তোমার উক্ত অবৈধ কর্মের ফলে কতগুলো নিরিহ নির্দোষ প্রাণ ধ্বংস হয়ে গেলো।  প্রশ্ন: কি ভাবে? তুমি ফেরার পরনেই পিপড়ার দল সে পতিত গুড় খেতে এলে, পিপিলিকা খেতে এলো টিক টিক ,টিকটিক মারতে এলো একটি বিড়াল, বিড়ালকে মারতে এলা একটা পালিত কুকুর, বিড়ালটি যখন মেরে ফেল্লো, বিড়াটি ছিলো পারিত, বিড়ালটিকে মৃত দেখে বিড়ালের মালিক লোক দল নিয়ে কুকুরটিকে মারলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষাণা করলো, বিড়াল এ বং কুকুর দলের মধ্যে যুদ্ধ সংঘঠিত হলো তোমার অবৈধ কৌতূহলের ফলে, অকারণ, অবৈধ যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার কতিপয় সংখ্যক নির্দোষ প্রাণ অনন্তাদৃশ্যে চিরতরে বিলীন হয়ে গেলো।
    মিথ্যুক কাপুরুষ ধোকাবাজ অবিবেচক বিশ্বের বেহুশ বুশ এবং ব্লেয়ারের উক্তিটি ঠিক কথিত শয়তানের উক্তিটির মতোই উক্ত শয়তান ও বলেছিলো আমিতো কিছুই করিনি, আমি শুধু পিপিলিকার একটু উপকারই করেছিলাম। ‘বুশ এবং ব্লেয়ার’ ঠিক শয়তানের উক্তিটির পুনরাবৃত্তি করলো । বুশ এবং ব্লেয়ার ঠিক শয়তানের মতোই বল্লো আমরা তো ইরাক জনগণের উপকারই করতে গেলাম। তাদেরকে সাদ্দাম-এর কবল থেকে মুুক্তি দিয়ে সুখি করতে চেয়েছিলাম। শয়তান যেমন-অকারণে পথিকটিকে ধক্কা দিয়ে, গুড় ফেলে, অকারণ যুদ্ধে অবর্ণনীয় তি সাধন করেছিলো। বুশ-ব্লেয়ারের যুদ্ধটি ঠিক উক্ত শয়তান পিপিলিকা এবং টিকটিক আর বিড়াল সম্পর্কিত উদ্ধৃত সংঘটিত ঘটনার মতোই  হনে হচ্ছে। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, ল্য করুন, বুশ এবং ব্লেয়ারের ‘ইরাক’ সম্পর্কিত সংঘঠিত ঘটনাটি সঠিক ছিলো কি? তা যে সঠিক ছিরলোনা, বিশ্ব পর্যবেক মহলে ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত হয়েছে। যে বায়না বা কারণ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়ে তৈল সমৃদ্ধ একটি দেশ ধ্বংস করে দেয়া হলো, শত-শত পরীক নিরিক, পরিদর্শক নিয়োগ করেও উক্ত প্রদর্শিত কারণটি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে প্রদর্শন করাতে পারেনি। সঠিক সময়ে প্রশ্নোত্তর সঠিকভাবে তা প্রদান বা প্রদর্শন করতে না পারলে পরিবর্তিতে সঠিক হলেও তা গ্রহনযোগ্য হয়না। বুশের বেলায়ও ঠিক তাই হলো।পরীার্থীকে যেমন অনির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়না, তেমনি বিশ্ববাসীও যুদ্ধের সঠিক কারণ প্রদর্শন করানোর জন্যে বুশ এবং  ব্লেয়ারকে সীমাহীন সময় দেয়নি। প্রদত্ত সীমিত সময়ের মধ্যে সঠিক কারণ প্রদর্শন করতে পারেনি। তিনটি মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রমাণপত্র পেশ করলে ও তা নকল মিথ্যা এবং বানানো বলে গণ্য হবে। এখন বুশ এবং ব্লেয়ারকে নিজের বিচার নিজেরাই করতে হবে। যেমন মিশরের খোদায়ী দাবীদার বাদশা ফেরাউন নিজের বিচার নিজের পইে করেছিলো, যদিও সে বুঝতে পারেনি । তার বিচারের রায় তার বিপে যাচ্ছে বলে বুঝতে পারলে হয়তো সে এ রায় থেকে বিরত থাকতো। সে কথিত ফেরাউনের রায়টির ওপর একটু আলোকপাত করতে হয়। ফেরাউন যখন নিজকে খোদা বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে দাবী করে সিংহাসনে আরোহন করলো, তখন তার দেশের জনগণ তার দরবারে আবেদন নিবেদন করতে শুরু করলো। এমনি এক সময় আসলো, দেশে অনাবৃষ্টির কারণে ফসল হচ্ছিলোনা। তখন জনগণ বাদশাহর দরবারে এসে বৃষ্টির জন্য আবেদন জানালো, তখন ফেরাউন বাদশাহ বেকায়দায় পড়লো, কিভাবে বৃষ্টি বার্ষাবে? মূলতো সেও অন্যান্যদের মতোই স্রষ্টার সৃষ্টি। তার তো কোন মতাই নেই। অনুন্নোপায় হয়ে রাত্র-নিশিতে অর্থাৎ মধ্যরাতে একাকি চলে গেলো মরুভূমির লোকান্তরালে এক অন্ধকার জা’গায়। তথায় সৃষ্টি কর্তার নিকট অতœসমপূণ করে বাল্লো, হে মালিক মহান স্রষ্টা আল্লাহ, মূলতঃ তুমিই সৃষ্টিকর্তা সর্ব শক্তিমান। যখন যা ইচ্ছে, তুমিই তখন তা করতে পার। আমিতো অন্যান্যদের মতো তোমারি সৃষ্টির মধ্যে এক গোলাম। আমায় মা করো। শয়তানের ধোকায় পড়ে খোদায়ী দাবী করে বসেছি। তুমি মা না করলে, আমায় মা করবে কে? তুমি যে একক অদ্বিতীয় একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। তুমি আমায় মা করো। আগামীকাল তোমার রহমতের বৃষ্টি বর্ষও। তা না হলে লোকজন আমাকে এবং আমার সব ধবংস করে দেবে। ঠিক তখনি মহান আল্লাহ বার্তা বাহক জিব্রাইল (আঃ) কে শর্তের বিনিময়ে মা প্রদর্শনের মাধ্যমে বৃষ্টি বর্ষণ করিয়ে ফেরাউনের আবেদন পূর্ণ করবেন বলে ফেরাউনের নিকট পাঠিয়ে দিলেন। জিব্রাইল (আঃ) এসে শর্তটি ফেরাউনের সামনে তুলে ধরলো। শর্তটির মধ্যে ছিল-হে ফেরাউন, বলতো! যে মালিকের আদেশ এবং নিষেধ অমান্য করে এবং মালিকের খেয়ে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা, তার কি ধরনের সাজা শাস্তি হওয়া উচিত? ফেরাউন তা শুনে বল্লো, এমন ব্যক্তিকে নীল দরিয়া ডুবিয়ে মারা উচিত। তখন জিব্রাইল (আঃ) বল্লেন, তোমার এ উক্তির পরিপ্রেেিত এ পত্রে তোমার স্বার প্রদান করো! আমি এবং আল্লাহ এবং তুমি নিজেই তোমার এ উক্তির সাী এবং তোমার স্বারটি তারই প্রমান বহন করছে। যাও দরবারে! কাল বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি ঠিকই হলো, কিন্তু ফেরাউন তার পূর্বাবস্থায় ফিরে গেলো এবং জনগণের নিকট আরো জোরলোভাবে পূণঃ খোদায়ী দাবী করে বসলো । হযরত মূসা (আঃ) কে যখন দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে পিছু ধাওয়া করলো, মুসা (আঃ) নীল নদ পার হলেন। কিন্তু ফেরাউন যখন নীল নদের মধ্যখানে গেলো, তখন উভয় দিক থেকে পানি এসে একাকার হয়ে গেলো। ফেরাউন সাঁতার জানতো না বিধায় পানির তরঙ্গে হাবু ডুবু খেতে খেতে মরণোম্মুখ হয়ে গেলো , তখন আল্লাহাকে ডেকে ডেকে, বাঁচও বাঁচও বলে চিৎকার করতে লাগলো। ঠিক তখনি ফেরাউনের রায়কৃত স্বার সম্বলিত পত্রটি তার দৃষ্টিতে ভেসে উঠলো। তার নিজস্ব রায়, মুনাফিক নিমকহারামের এবং আদেশ অমান্যকারীর সাজা নীল নদীতে ডুবিয়ে মারার স্বার সম্বলিত পত্র দর্শন করে নিরাশ হলো আবশেষে ডুবে মরলো। তাই বুশ-ব্লেয়ার নিজেদের বিচার নিজেদেরই  করতে হবে এবং সে বিচারে তাদেরকেই ডুবে মরতে হবে। প্রাথমিকাবস্থায় জ্যান্ত মৃত্যুই ঘটেছে। বিশ্বে যাদের নাম বিথ্যুক কাপুরুষ ধোকাবাজ জালেম অত্যাচারী হিসেবে ঘোষিত হয়েছে বিশ্ব সমাজে, তাদের জীবন্ত মৃত্যুই সংঘঠিত হয়েছে। তাদের জীবন হয়েছে কলঙ্কিত , লজ্জিত, অপমানিত, ধিকৃত। বিশ্বের মানবকুল তাদের প্রতি ধিক্কার এবং থুক থুক শব্দ নিপে করে যাচ্ছে। ধিকৃত জীবন হয় মৃত প্রায়। বাঁকি রয় শুধু কলঙ্কিত ধিকৃত লজ্জিত অপমানিত অপবিত্র দেহ হতে আত্মাটুকু
    অনন্তাদৃশ্যে চির অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার অপোয়। মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টিকারী, জাতি সংঘের আদেশ তথা বিশ্বের আদেশ অমান্যকারীর বিচার বিশ্ববাসী করবে। তা-না হলে বিশ্ব আবার আদিম যুগে ফিরে যাবে। অসভ্য যুগের সৃষ্টি হবে আবার। অন্ধকার বলয়ে ঘুর পাকা খেতে খেতে ধ্বংস হয়ে যাবে ্এপৃথিবী  । অন্যদিকে ল্য করলে বুঝা যাবে, বুশ-কর্মটি বিশ্বের জন্য সতর্কতা মূলক ঘটনা বটে। বিশ্ববাসী সতর্ক দৃষ্টি রাখাবে যে, এ ধরনের মিথ্যা অজুহাতে আর কোন  ঘটনা যেন সংঘটিত না হয়। একটা প্রচলিত কথা বলতে হয়, তা হলো “ধাক্কা খেলে পাক্কা হয়” । আর যেন ধাক্কা খেতে না হয়, বিশ্ব সে ল্েয সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বলে মনে করি। বিশ্ব উদাসীনতার সমুদ্র যেন সাঁতার না কাটে। উদাসীনতার সুযোগে শয়তান প্রবেশ করে বেং সু-বিবেকের দ্বার বদ্ব করে। বিভ্রন্তি সৃষ্টি করিয়ে অতল গহ্বরের অন্ধকারে নিপে করে। তাই সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করলে সাধারণত বিপদ ম্ক্তু থাকার সম্ভাবনা থাকে। ইরাকবাসী এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমূহ সাবধান হবেন এটাই প্রত্যাশা। প্রেসিডেন্ট বুশের উপরোক্ত সমালোচনাটি এজন্যে করা হলো বিশ্ববাসী যেন এ প্রবাদ বাক্যটি ভুলে না বসেন যে, জোর যার রাজ্য তার” । যারা বুশ সাহেবের মত নব যুগের সূচনা করতে চান, অর্থাৎ আদিমযুগের পূণরাবৃত্তি ঘটাতে চান, কেবল তারাই তার অনুসারী হতে পারেন। উপরোক্ত মন্তব্যটি আমার ব্যক্তিগত আবেগ প্রবণ মন্ত ব্য বলে মনে করা ঠিক হবেনা। বর্তমানযুগ এমন এক যুগ, যেন যার মধ্যে সভ্যতার লেশ্ নেই।

দেখার বিষয়

ধর্ম প্রতিষ্ঠার ভিত্তি কোথায় কত শক্ত? কোথায় কত নরম বা নড়বড়ে, যারা ঈশ্বর, ভগবান এবং দেবতা নামের উপর  ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে তার শক্ততা কত? ঈশ্বর-ভগবান এবং দেবতা এ তিনটি শব্দ হচ্ছেহ ধর্মের ভিত্তি মূলক শব্দ। এ সম্পর্কে বেশি কথা না বাড়িয়ে স্বল্প কথায় বলা যায় এ তিনটি শব্দের প্রত্যেকটি দ্বিবাচক বা দ্বিবচন শব্দ, অর্থাৎ প্রত্যকটির বিপরীত শব্দ রয়েছে। যেখানে পরিত-বিপরীত অর্থাৎ অনুকূল প্রতিকূল যেখানে অনুকূল প্রতিকূল একই বৃত্তে অবস্থান করছে সেখানে এক অপরের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা এবং ভয়-ভীতি অশান্তির  সম্ভবনাও সূর্যের মত উজ্জ্বল। সেই বৃত্তে বা  ঘরে কোন প্রাণীর পইে শান্তিতে নিদ্রার আশা-দূরাশা। যেখানে শান্তির আশা  করা যায় না, সেখানে বসবাস করাও  সম্ভব হয় না। যে বৃত্তে বা ঘরে কোন প্রকার ভয় ভীতি থাকেনা সংঘর্ষে ভেঙে  পড়ার  আশংকা থাকেনা সেই বৃত্তের বা  ঘরের ভিত্তিতে হচেছ শক্ত  অনড়। যে বৃত্তে বা কে অনুকূল প্রতিকূল অর্থাৎ স্ত্রীলিঙ্গ পূংলিঙ্গ আর্থাৎ নারী পুরুষ অবস্থান করে, সেখানে যে কোন দিক হতে যে কোন প্রকারের সংঘর্ষের সম্ভবনা উজ্জল। সুতরাং তৎকরে শান্তি তিরোহীত এবং তা সুর্যের ন্যায় সত্য। এখন ল্যনীয় হচেছ, ঈশ্বরের প্রতিশব্দ ঈশ্বরী অর্থাৎ পুরুষ ঈশ্বর এবং নারী ঈশ্বর।
    ভগবান’ শব্দের  প্রতি শব্দ ভগবতী অর্থাৎ পুুরুষ ভগবান এবং নারী ভগবান। এবং  দেব বা দেবতা শব্দের প্রতি শব্দ দেবী অর্থাৎ ‘পুরুষ’‘দেব’ এবং নারী দেব বা দেবী। প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ঈশ্বর ভগবান দেব এই শব্দ গুলো দ্বিবাচক বা প্রতিশব্দ মুলক শব্দ। সুতরাং এউক্ত শব্দ গুলোর ওপর ভিত্তিকরে যে সকল ধর্ম প্রতিষ্ঠিত, চিন্তার বিষয় হচ্ছে সেই ধর্ম গুলোর ভিত্তি কত শক্ত বা মজবুত? ‘গড’ এর প্রতিশব্দ ‘গডেজ’ অর্থাৎ  পুরুষ গড এবং নারী ‘গড’ আর্থাৎ ঈশ্বর এবং ঈশ্বরী , দ্বিবাচক বা প্রতিশব্দ মূলক শব্দ। সুতরাং সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। বক্র রেখার মধ্যে সরল রেখার আশা  অবান্তর। অর্থাৎ বক্রতার মধ্যে সরলতার আশা দুরাশা। বক্রপথের মধ্যে সরল পথের আশা বা আকাঙ্খা অর্থহীন । বক্র পথে অর্থাৎ আঁকা-বাঁকা পথে সংঘর্ষের সম্ভবনাই  থেকে যায়। একটি গাড়ি যখন বাঁকা স্থান অতিক্রম করার সময় মোড় ঘুড়াতে যায়, তখনই বিপরীত গামী গাড়ীটির সাথে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেশি বেশি রয়ে যায়। সরলতার সরল পথের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা তেমন থাকেনা বল্লেই চলে। মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ তাঁর পবিত্র বাণীর মধ্যে “ছিরাতল মুস্তাক্বীম” অর্থাৎ সরল পথ বলে উল্লেখ করেছন। অর্থাৎ মুক্তিকামীগণকে সদা সরল রেখায় সরল পথে চলার আদেশ প্রদান করেছন। কারণ সরল রেখায় সরল পথে বা সরলতার মধ্যেই সাধারণত শান্তি সুখ নিহিত এবং সংঘর্ষ মুক্ত ব্যক্তিই সমাজে, রাষ্ট্রে শান্তি সুখ অনুভব করতে পারে। এ শান্তি সুখের নামই হচ্ছে স্বর্গ বা জান্নাত। ধমীয় আলোকে যে ব্যক্তি ধারায় স্বর্গ সুখ অর্থাৎ অবর্ণনীয় অপরুপ, অসাধারণ সুন্দর্যের লীলা নিকেতন, অবিরাম দৃশ্যমান, স্রোতস্বিনী মিষ্টি মধুর বহমান নহর ধারা এবং ফলে ফুলে ভরা বাগানে নৃত্যরতা অপরুপা, মোহময়ী কায়ীনী, দর্পন শরীনি, মায়র নি, ললীনী তরুনীদের এবং মহান আল্লাহর দর্শন সম হন। অদ্বিতিয় আাল্লাহর উপর এবং তাঁর প্রেরিত পুরুষ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর উপর এবং আল-ক্বোরানের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করার নামই হচ্ছে ঈমান এবং যখন মহান স্রষ্টা সমস্ত জগত ধ্বংস করে আদল কেদারায় অসন পেতে বিচার কার্য সম্পন্ন করবেন সে মহা প্রলয়ের দিন অর্থাৎ “কিয়ামাতের” দিনটির উপর এবং আল্লাহর আদেশে মান্যকারী ফেরেশতাগণের উপর গভীর বিশ্বাস স্থাপন করার নাম-ই ঈমান। উক্ত বিষয়াদিগুলোর উপর  পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারলেই  মুমীনের সারীতে আসতে সম হয়। সারিতে আনার বা সারিতে আসার পেছনে কিছু কারণতো রয়েছে নিশ্চয়ই। তা-হালো সারিবদ্ধগণের  উপর স্রষ্টার প হতে নিয়ম বিধান আরোপিত হয়েছে, সে নিয়ম বিধান গুলোকে পুঙ্খনোপুঙ্খরূপে জীবনের প্রতিটি কর্মের উপর তার প্রতিফলন ঘটানো। প্রতিফলন ঘাটাতে পারলেই পূর্ণ ঈমানী মুমীন হতে সম হয়। প্রকৃত মুমীন হতে পারলে  পূর্ণ  মুক্তি অবধারিত। নিয়মনীতি বা বিধান সমূহ দর্শনে আল-ক্বোরান এবং  হাদীস লণীয়। উক্ত বিধানসমূহ কায়মনো বাক্যে অর্থাৎ
    অন্তরে দৃঢ়তার সাথে ধারণ করতে হবে।  তবেই এ জীবনে এবং পরানন্ত জীবনে শান্তি অবধারিত। মহান করুনাময় আল্লাহ শুধু  মানবকূলের জন্য বিধান তৈরি করেছেন তা নয়। সৃষ্ট জগতের  শৃঙ্খলা  রার জন্যে যে বাহিনী নিয়োগ করেছেন তাদেরকে আমরা   সাধারণত  ফেরেশতা বলি থাকি, তাদেরকে ও বিধান দিয়েছেনে।  তাদের মধ্য  থেকে কারা কোথা কতজন, কিভাবে কাজ করবে তার নিয়ম নীতি উক্ত গ্রন্থে বর্তমান রয়েছে।  উদ্ভিধ অর্থাৎ বৃরাজি এবং অন্যান্য প্রাণীকূলের জন্যে ও বিধান রয়েছে, মোট কথা  সৃষ্ট  জগত সমূহ স্রষ্টা প্রদত্ত বিধানানুসারেই  পরিচালিত হচ্ছে। গ্রহ, উপগ্রহ নত্ররাজী এবং গ্যালাক্্ির, নিহারিকা ইত্যাদি যা-ই বলুননা কেন সবাই আপনাপন কপথে চলমানাবস্থায় রয়েছে অর্থাৎ চালাচ্ছে। নিয়ম বা বিধান ব্যতিক্রম ঘটছেনা, ব্যতিক্রম ঘটলে ধ্বংস অবধারিত। যেমন উল্কা কচ্যুত বা দলচ্যুত হলেই ধ্বংস হয়ে যায়, যা প্রতি রজনীতে প্রতি নিয়ত ঘটছে এবং তা মানব দৃশ্যে দৃশ্যমান, জীবাত্মাগুলো আগমন প্রত্যাগমন করছে। এ নিয়ম মহা প্রলয় পর্যন্ত চলতে থাকবে। বৃ লতা অর্থাৎ সমস্ত উদ্ভিদ জগতেই আপনাপন গুণানুযায়ী স্রষ্টা প্রদত্ত নিয়মেই প্রকাশ এবং বিতরণ করা যাচ্ছে। পশু প্রাণী জগতকেও নিজ নিজ জীবিকা নির্বাহ করার নিয়ম পদ্ধতি বুদ্ধি জ্ঞান বিবেক প্রদান করেছেন সে অনুযায়ী তার জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে। তাদেরকে যে আক্বল জ্ঞান প্রদান করেছে, সে আক্বল জ্ঞান দ্বারা ভালো মন্দ পার্থক্যতা বিচার বিবেচনা করে, যা পছন্দ তা-ই গ্রহণ করে, যা পছন্দ নয়, তা পরিহার বা পরিত্যাগ করে। গরম ঠান্ডা অর্থাৎ শীতল তাপ শান্তি অশান্তি প্রভৃতি বুঝাতে পারে। আপধ বিপদ নিরাপদ সম্পর্কেও অবগত হয় এবং বিপদ মুক্ত নিরাপদাশ্রয় গ্রহন করে। আপনাপন সন্তান-সন্তদি লালন-পালন করে। দুষ্মনের আক্রমন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। যে যাকে স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে তাকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে বসবাসযোগ্য  বাসস্থান  বা বাড়ী  নির্মান করে এবং বিশ্চিন্তাবস্থায় জীবিকা নির্বাহ করে। হাতী-শৃগালে জোড় বাঁধেনা। অর্থাৎ স্ব-জাতির মধ্য হতেই  সাথী  নির্বাচরন করে থাকে  । পঁচা-গলা ভালো-মন্দ ব্যবধান বা পার্থক্য তারা বুঝতে পারে। স্ব-স্ব জাতের মধ্যে  সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে হবে এটাও  তারা  জানে।  পশু-পাখিদের মধ্যে ও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যও মাধ্যাম থাকে।
    আমার প্রত্য অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একটা মাধ্য ম  কুকুরের বহু চেষ্টা প্রচেষ্টার বা তদবীরের  পরই  একটি নারী কুকুর এবং একটি পুরূষ কুকুরের  মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে দিতে সম হয়।  সকল প্রাণীকূল তাদের   নিজ  নিজ বা  স্ব-স্ব শরীর সুস্থ রাখার  উপায় সম্পর্কে  ও জ্ঞাত থাকে । বিপদ-আপদ সম্পর্কে ও পূর্ব ভাস বা সতর্ক বার্তা প্রেরণ করতে পারে। সঙ্কেত পাওয়ার সাথে সাথে যারা নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে, তারা রা পায়। আর  যারা বার্তা পাওয়া  সত্ত্বেও অবহেলা করে,  বা আশ্রয়  লাভে সম হয়না,  তাদের হয়তো সে সঙ্কট কেটে উঠা ও সম্ভব হয়না।  মানবকুলে ও তা-ই পরিলতি হয়।  ল্য করে থাকতে  পারেন যে,  কাক পাখিদের মধ্যে  প্রায় শঃই দেখা যায়, কোন  কারণ বসতঃ কোন একটি কাক যদি  বিপাদগ্রস্ত হয়, বিপদগ্রস্ত কাকটি  যখন বিপদ সঙ্কেত মূলক শব্দে চিৎকার করতে থাকে দূর-দূরান্ত থেকে  কাকগুলো পিবদগ্রস্ত কাকটিকে উদ্ধারে  অতি দ্রুত ধেয়ে আসে এবং সমবেতভাবে  বিপদ সঙ্কেত মূলক শব্দের গতি বাড়িয়ে  অতি বিকট  কর্কশ  সুরে আওয়াজ বা চিৎকার করতে থাকে। উদ্ধারে  অকৃতকার্য বা ব্যর্ত হলে,  উপস্থিত সকলই জড়ো হয়ে অর্থাৎ  এক জা’গায় একত্রিত হয়ে কিছু সময় শোক দঃখ প্রকাশের পর  আপনাপন দায়িত্ব বা জীবিকান্যেষায় ছুটে যায় বা  কর্মস্থলে চলে যায়। মোট কথা পশু পাখিরও জীবনে ঁেবচে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। উপরোক্ত  বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা জ্ঞান মানবের ও রয়েছে।  এতদ  সত্ত্বে ও মানবকুলকে বিশেষ  জ্ঞান  প্রদান করা হয়েছে, যা প্রাণীকুলকে  অর্থাৎ পশু পাখিকে  দেয়া হয়নি। মহান করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টি জগতকে চুকরো টুকরো, চর্ণ বিচূর্ণ, পিষে পিষে, চুষে উপভোগ করছে।  আগুন-পানি-মাটি- বাতাস  সূর্য  কিরণ থেকেই মানব স্বার্থ  উদ্ধার করছে।  অগ্নিদ্বারা  খানা  পাকাচ্ছে।    কাষ্ঠ পোড়াচ্ছে, অলঙ্কার এবং অস্ত্র তৈরী করছে। কাসরা, মল, বর্জ্য  পুড়িয়ে   বিশুদ্ধ করছে।  পানীয় বিশুদ্ধ করছে এবং  মাটি পুড়িয়ে পাকা বাড়ি ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। মাটিকে  কুপিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো চুর্ণ বিচুর্ণ , ধুলো ধুলো  করে পানিদ্বারা কেদো কেদো করে  খাদ্যাহার চুষে  নিচ্ছে।  খনিজ  সম্পদ  বের করে ভোগ করছে।  পুথিবীটাকে  চিতল পিঠে করে দিচ্ছে  অর্থাৎ জ্বালি জ্বালি অর্থাৎ ছিদ্র ছিদ্র করে  দিচ্ছে।  মাটি  দ্বারা  বাড়ী  এবং ব্যবহিরক  পাত্র  তৈরী করছে।   লৌহ এবং  পাথর দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।
    পানিকে পানির  হিসেবে বিশুদ্ধ করে পান করছে, যার অপর নাম জীবন রেখেছে। পানিকে বিভিন্নাকারে রূপান্তর করে পান করে থাকে। পানি থেকে  বিদ্যুৎ বা আলো  পাচ্ছে। পানি ব্যতীত খাদ্যোৎপাদন সম্ভব নয়। এক কথায়  পানি ব্যতিরেকে যে ক-দিন বয়সীমা রয়েছে, তা অতিক্রম করা অসম্ভব।  পানি ছাড়া জলজ প্রাণী ভোগ করা  যায়না। অর্থাৎ পানি ছাড়া জলজ প্রাণ  বাঁচেনা, তাই জলজ প্রাণ  ভোগ করা সম্ভব নয়।  পানি  ছাড়া কোন প্রাণই বাঁচতে পারবেনা।  হিসেব বিহীন তা ভোগ করে  যাচ্ছে।
    পানি না হলে যেমন প্রাণীকুল বাচেনা, তেমনি বাতাস না হলে  প্রাণীকুল বা  জীবজগত ও বাচবেনা।  পানিকে যেমন  বিশুদ্ধ করতে হয় বা  শুদ্ধতার প্রয়োজন হয়,তদরূপ বাতাস ও বিশুদ্ধ বা শুদ্ধতার প্রয়োজন রয়েছে। দুষিত বাতাসে অক্সিজেনের অভাব থাকে, তাই  অক্সিজেন ছাড়া  মানব   বাঁচা সম্ভব নয়। মানুষ   অক্সিজেন গ্রহণ করে বেচে থাকে। উদ্ভিদকুল অক্সিজেন  ত্যাগ করে কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহন করে। মানব কার্বনডাই  অক্সাইড ত্যাগ করে এটা স্রষ্টার অত্যাশ্চর্য্য অপার মহিমা নয় কি? বাতাস দ্বারা  প্রাণীকুল শীতলতা  গ্রহণ করে উষ্ণ বা শুল্ক  বাতাসে প্রাণী বাঁচতে পারেনা। দূষিত পানিও পানেয় যোগ্য নয়। মোট কথা  বাঁচতে হলে বাতাসের  প্রয়োজন রয়েছে। এ পানি এবং বাতাস প্রকৃতিরই দান, এ স্রষ্টার মহাদান নয় কি? মানুষ কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা, রূপান্তর করতে পারে মাত্র। রূপান্তর জ্ঞান প্রকৃতিরই দান অর্থাৎ  স্রষ্টার দান।  স্রষ্টা প্রদত্ত  উপাদানগুলো থেকে ভোগ্যেরপাদান বের করে বিভিন্ন পন্থায় ররূ পান্তরের মাধ্যমে ভোগ করে। যেমন হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, ইউরিনিয়াম,  ফোলানীয়ম, ফসফরাস ইত্যাদি  বের  করে। অর্থাৎ আবিষ্কার করে বিভিন্নকারে  ভোগ  করে স্রষ্টা প্রদত্ত পৃথিবী থেকে। মহা প্রলয়  পর্যন্ত উক্তানুরূপ আবিষ্কার করতে থাকলে  ও অসংখ্য আবিষ্কারোপাদান বাঁকি থেকে   যাবে।  বাতাসেকে বিভিন্নকারে বিভক্ত করে কর্মোদ্ধার করে যাচেছ।  যেমন ”ইথার” নামক বায়ুবীয় পদার্থের মাধ্যমে  পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত মহুর্তের মধ্যে বার্তা আদান প্রদান করে যাচ্ছে। যেমন জলযান চালানোর কাজে পানি  ব্যবহার করছে, তেমনি বাতাসের মধ্যে ও বাতাস যান  বা বায়ুযান চালিয়ে বাতাস ভোগ করছে ।  প্রকৃতির দানের  মধ্য থেকেই এ সকল যান-বাহন তৈরি করছে।
    অর্থাৎ আল্লাহর দানের মধ্য থেকে। বিভিন্নাকারে ভোগ করে যাচ্ছে। প্রাণীকুলকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে, অন্যান্য প্রাণী র তা পারেনা। খাদ্যা হার হিসেবে এবং ব্যবহরিক হিসেবে ব্যবহারের  মাধ্যমে ভোগ করে  যাচ্ছে।
    উদ্ভিদ জগতকে বিভিন্ন রূপে রূপান্তর করে ভোগ করছে। ফুল ফলাদি ভোগ করছেই। সূর্য কিরণ না  হলে প্রাণীকুল, উদ্ভিদ এবং মানব কিছুইতো বাচবেনা।  বাঁচতে হলে  তাপের প্রয়োজন । এ কিরণ  বিকিরণ থেকে আহার পাকাচ্ছে।  উক্তালোচিত  বিষয় বস্তু সম্পর্কে  মানব  ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীকুল কে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিবেকক বুদ্ধি অক্বল এবং জ্ঞান দান করেননি। উক্ত বিষয়ের দিকে  আলোকপাত  করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, প্রাণী জগতের মধ্যে মানব প্রাণই  প্রধান  এবং শ্রেষ্ঠ। মনে হয় যে, মানবের জন্যেই  সৃষ্টি হয়েছে।  মানব কি কি পারে? সমগ্র বিশ্ব জগতকে  অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টকে চোষে চোষে  ভোগের মাধ্যমে বেঁচে থাকার মতা বা অধিকার মানব প্রাণীকুলেই  অর্জন করেছে। তাই মানবকুল গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে প্রবেশের চেষ্টায়রত রয়েছে। সেই প্রলয় পর্যন্ত  এমনিভাবে ভোগ করতে থাকবে।  আহারান্যেষনের  নামে সৃষ্টকে ধ্বংস করেই  যাচ্ছে, কিন্তু গড়তে  পারছেনা, পারবেওনা।  কারণ,  গড়ার মতা স্রষ্টা দেননি।  পানি ধ্বংসের মাধ্যমে রূপান্তর ছাড়া গড়তে পারেনা।  আগুন, স্রষ্টা প্রদত্ত উপাদান থেকেই লাভ করে, বাতাস এবং সূর্য সূর্যকিরণ বা আলো, স্রষ্টা প্রদত্ত  কিছুই মানবের  সৃষ্টি  নয়। তাপ,  থেকেই  লাভ করে থাকে। জ্ঞান বিবেক  বুদ্ধি স্রষ্টারই অবাদান। এ  প্রাপ্ত বিবেক ও বুদ্ধি বলেই ভোগের মাধ্যমে সব ধ্বংস করেই যাচ্ছে। মানব মানবাত্মা অর্থাৎ শরীরাত্মা স্রষ্টারই সৃষ্টি।   তাই মানবের গর্ব অহঙ্কার   বলতে  কিছুই  নেই।  কারণ  এমন মতা স্রষ্টা দেননি   যা দিয়ে মানব অহঙ্কার করতে পারে।  সৃষ্টির অধিকার  একমাত্র সৃষ্টিকর্তারই রয়েছে। সৃষ্টিকরার  মতা  মানবকে দিলে মহান স্রষ্টার মহানের মাহাত্ম্য বা সর্ব শক্তিমানের মহা শক্তিত্বের  অধিকার খর্ব হয়, স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্বই বিনষ্ট হবে। তাই মানবকে সৃ্িষ্টর মতা দেয়নি।  সৃষ্টির অধিকারী একমাত্র  স্রষ্টাই। ল্য করা যাচ্ছে যে, স্রষ্টার সৃষ্টিকে কেটে কেটে ভেঙ্গে চুরে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ব্যখ্যা  বিশ্লেষণ করে রূপান্তরের মাধ্যমে ভোগ করেই যাচ্ছে  এবং সমগ্র জীবকুল মানবকেই বাচিয়ে বা জীবিত রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। মানবকে জীবিত রাখার কাজে সমগ্র সৃষ্টি কুলকে নিয়োজিত রাখার পেছনে কারণ বা যুক্তিকতা কি? অন্যান্য সৃষ্টিগুলো স্বীয় জীবন বিলিয়ে দিয়ে মানব সমাজ বা মানবকুলকে রা কর্মে রাত রয়েছে, যেন মানবকুলকে রা করাই তাদের জীবনের ব্রত এবং তা  পালনেই তারা সদা সতর্ক ব্যস্ত। মানব এবং অন্যান্য প্রাণীকুলের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে মানব  ব্যতীত অন্যান্য জীবন  শক্তিপ্রাপ্ত জীবন বা আত্মাগুলোর জীবনই সার্থাক জীবন। মানবকুল দ্বারা কারা উপকৃত হচ্ছে? কারা মানবকে কাজে লাগাচ্ছে? কারা মানবকে ব্যবহারিক জীবনে ব্যবহার করছে? অন্যান্য কজে লাগাচেছ? কারা মানবের তরে। কিন্তু মানব কেন? কাদের তরে এসেছে ধরে? মানব জীবনের স্বার্থকতা কোথায় ? অথচ মানবই জীবের সেরা জীব নামের দাবীদার । অন্যান্য জীবকুল সেরা জীব দাবীদার মানবগুলোর প্রতি যে অবদান রেখেছে, রেখে চলেছে, এবং তাদের এ নিঃস্বার্থ অবদান মহাপ্রলয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।  কিন্তু সেরা জীব মানবগুলো নিঃসার্থভাবে কার প্রতি অবদান রেখেছে? রেখে চলেছে বা রাখতে থাকবে? কেনইবা সৃষ্টি এ মানবকুল? পানাহার এবং পয় কর্মই শুধু কি মানবের দায়িত্ব? শুধু ভোগের জন্যেই কি এ সীমিত অস্থায়ী ধরাধামে আসা? এ  পৃথিবীতো সরাইখানা বা মুসাফিরখানা।  মুসাফির খানায় যেমন সাময়িক বা সীমিত সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথেই সে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য থাকে, তেমনি এ পার্থিব জীবন সীমিত বা অস্থায়ী। এ অস্থায়ী সীমিত সময়টুকুন অতিবাহীত হওয়ার সাথে সাথেই মুহুর্তের মধ্যেই এ পার্থির সীমিত সময় বিশিষ্ট জীবন সরাইখানা বা মুসাফিরখানা ত্যাগ করতেই হবে। কোথা যাবে,  কোথা থাকবে গন্তব্যস্থলতো একটা আছেই। সেই গন্তব্যের স্থানটাইতো চির আবাসস্থল। উক্ত আবাসস্থলের মধ্যেই কে কোথা স্থায়ি আবাস গ্রহণ করবে, তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং স্রষ্টাই। এ  অত্যাশ্চর্য্য ভূ-জগতে আগমন এবং প্রত্যাগমন কার দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে? কেন এমন করছে? এ প্রশ্নতো থেকেই যায়। কারণ এবং ল্য বা  উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন কর্মইতো সংঘটিত হয় না। যিনি এ সকল কর্ম ঘটাচ্ছেন  এর পেছনে তার কি কারণ থাকতে পারে? তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কিত  কোন ইশারা বা বাণী রয়েছে কি? হাঁ রয়েছে নিশ্চয়ইু। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তার সৃষ্ট জগত সমূহ সুন্দর সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য সৃষ্টির আদি থেকেই তাঁর বাহিনী অর্থাৎ ফেরেশতাকুল  নিয়োগ করেছেন।  তাদের মাধ্যমেই বৃােদ্ভিদ পশুকুল এবং জ্বীন অর্থাৎ অদৃশ্যাগ্নিজাত, গ্রহ- উপগ্রহ নত্র-গ্যালাক্সি ইত্যাদি সৃষ্ট  জাগত সমূহ স্রষ্টা কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।  এমন কোন অণু-পারমাণু নেই যে, উক্ত সৃষ্টবাহিনীহ  বা ফেরেশতা  কর্তৃক পরিচালনার জন্য এবং সমগ্রজীব জগতকে বাঁচানোর কার্যে নিয়োগ রয়েছে। এতদ ব্যতীত স্রষ্টার প্রিয়কুল অর্থাৎ  মহামানব নবীকুল সৃষ্টিকরে তাদের মাধ্যমে মহানস্রষ্টা আল্লাহ্ তাঁর মহা পবিত্রবাণী বিধান বা সংবিধান ব্যবস্থাপত্রও বলা যেতে পারে যে গ্রন্থসমূহ মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন। নবী রসুলগণের মধ্যেও বিশেষ  বিশেষ ব্যক্তিত্বশীল নবী-রাসূল প্রেরণ করে যথা সম্ভব শৃঙ্খলা রার কাজে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু মানব এবং জ্বীনকুল  এতো ভয়ঙ্কর যে, শৃঙ্খলার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চায় না । শৃঙ্খলার শৃঙ্খল ছিড়ে টুকরো টুকরো করে বিশৃঙ্খল-অশ্লীলতার এবঙ অশান্তির জগতে বিচরণ করতে ভালোবাসে।  তাই বার বার অসংখ্যবার পবিত্র বাণী সম্বলিত সংবিধান প্রেরিত  হয়েছিলো।  উক্ত সংবিধান সমূহে এ সীমিত সঙ্কটময় প্রতিন্ধক বন্ধর প্রতিকুল গতি সম্পন্ন জীবনপথ  অতিক্রম করার বিশেষ   বিশেষ দিক নির্দেশনা  বর্তমান রয়েছে। মহান  অদ্বিতীয় একক স্রষ্টার প থেকে বহু সংখ্যক কিতাব ছহীফা ছোট ছোট বই আকারে বিধাতার বাণী সংবিধান এসেছিলো,তন্মধ্যে চারটি মহা গ্রন্থাকারে মহা পবিত্র বাণী বিধান বিশ্ববাসী লাভ করেছিলো। তা যথাক্রমে তওরাত, জাবুর, ইঞ্জীল এবং ফোরক্বান বা ক্বোরান প্রধান। অর্থাৎ এ চারটি কিতাবই শ্রেষ্ঠ, এ চারটিরা মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ গ্রন্থই হচ্ছে আল-ক্বোরান।  এ সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরান’ কর্তৃক পূর্বেকার সকল গ্রন্থই বাতিল বা নাকচ হয়ে গেছে। বিশ্ববাসীয় মুক্তির জন্যে “আল-ক্বোরানই” সর্বশেষ গ্রন্থ। এ পার্থির জীবন জগতে সীমিতকালে এবং রূপান্তর বা  মৃত্যুর পর অর্থাৎ পরকাল বা অনন্ত অসীম কালের অর্থাৎ উভয় কালে মক্তির বা শান্তি র পথের নির্দেশনা রয়েছে ্এ মহাপবিত্র গ্রন্থ। মহাপ্রলয় অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত এ মহাগ্রন্থ বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় । যে এ মহা গ্রন্থের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাঁরই মুক্তি অবধারিত।
    যারা তদানুযায়ী সীমিত জীবন পরিচালনা করেছে  উভয় কালেই  তাদের জন্য স্বর্গ বা জান্নাত নির্ধারিত রয়েছে বা শান্তি সুখ ভোগে সম হয়েছে। যে উক্ত  গ্রন্থের বিধান বা নিয়ম সমূহ প্রতিটি কর্মেেত্র  প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে একমাত্র সে-ই-সরল পথের পথিক হয়ে মুক্তি লাভ করেছে। এ মহাপবিত্র গ্রন্থ আল ক্বোরান’ যাঁর মাধ্যমে বিশ্ববাসী লাভ করেছে তাঁরই পবিত্র নাম মোহাম্মদ (দঃ)। যিনি  হযরত মোহাম্মদ (দঃ) নামে খ্যাত। হযরত  মোহাম্মদ (দঃ)  ই বিশ্বাবাসীর জন্য  সর্বশেষ “নবী এবং রাসূল” । মহাপ্রলয়  পর্যন্ত আর কোন নবী-রাসূল আসবেন না। মহাপ্রলয় পর্যন্ত যে সময় রয়েছে,দ এরি মধ্যে  হযরত ঈসা (আঃ) এবং হযরত ইমাম মাহ্দী (আঃ) এর আবির্ভাব ঘটবে। কিন্তু নবী-রাসূল হিসেবে নয়,উম্মতে মোহাম্মদী হিসেবে আগমন করবেন। যাঁর মাধ্যমে  আল-ক্বোরানকে মহানস্রষ্ট আল্লাহর বাণী হিসেবে গ্রহণ করবেন। যাঁর মাধ্যমে  আল-ক্বোরন মহাবাণী ভূ-পৃষ্ঠে এসেছে তাঁকে ও শেষ নবী-রাসুল হিসেবে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে।  তিনিই হচ্ছেন স্রষ্টার সৃষ্টি মানবকুলের  জন্য আল্লাহর প হতে  প্রেরিত  শেষ নবী এবং রাসুল অর্থাৎ বার্তা বাহক । তিনি তাঁর ভাষায় উদ্ধৃত করেছেন “আন-খাতামুন্নাবীঈন” অর্থাৎ  আমি  নবীগণের মধ্যে শেষ নবী। পবিত্র ক্বোরানে ও উল্লেখ রয়েছে শেষ নবী বলে, অর্থাৎ মুখবন্ধ। বস্তার বা বাক্সের মুখবন্ধ করে সীলমোহর  মেরে বুঝিয়ে দেয়া হয় যে, কর্ম শেষ আর খোলাও  যাবেনা কিছু রাখার ও আর সুযোগ নেই। তাই হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে  নবীকুলের সীলমোহর করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে  নবী রাসুল  আগমনের সমাপ্তি  টানা হয়েছে। তিনি নিজ ভাষায় বলেছেন, লা-নবীয়া বাআদী অর্থাৎ  আমার পরে  আর কোন নবী নেই। বিষেশ ল্য করার বিষয় হচেছ, মানবকুলে অদি পিতা হযরত আদম (আঃ)  হতে অসংখ্য নবী এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কোন একজনকে ও মহান স্রষ্টা আল্লাহর প হতে খাতাম শব্দ বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। নবী-রাসুল প্রেরণের প্রারম্ভে এবং মধ্যখানে ও না সর্বশেষ এ খাতাম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। জ্ঞানী-বিজ্ঞ পন্ডিতগণ সৃষ্ট জগতের বর্তমান কালকে  কলিকাল বলে আখ্যায়িত করেছেন, অর্থাৎ সৃষ্ট জগতের সর্বশেষ কাল। সর্বশেষ কাল বা কলিকালের পরে আর কোন  কাল  আছে বলে কোন পন্ডিত বা বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ বলেছেন  কিনা তা আমার জানা নেই।  এর পর যে  কাল রয়েছে তা প্রলয়কাল বা ধ্বংস কাল অর্থাৎ কিয়ামত কাল, বিচার কাল, আভ্যন্তরীন চিরস্থায়ী মর্ত্য াশরীরিকাল। যাঁরা হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর বাহিত পবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরানকে ’ গ্রহণ করলো তাঁর অদ্বিতীয়  একক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলো তাঁর এ গ্রন্থে  উল্লেখিত বিধানানুসারে স্বীয়  দেহ মনকে পরিচালনা করবে এবং নিজ নিজ পরিবার এবং সমাজের মধ্যে তার প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকবে। এ মহাগ্রন্থ ‘আল-কোরানকে’ গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে মহান স্রষ্টা ‘আল্লাহর’ নিকট  আত্মসমর্পন অর্থাৎ কখনো উক্ত বিধান বহির্ভূত কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকতে বাধ্য থাকবেনা। বিধান  বহির্ভূত কর্মকান্ড  সদা অবৈধ বলে গণ্য হয় । যাকে ধর্মীয় দৃষ্টিতে ‘না জায়জ’ বলা হয়। এ গ্রন্থ এমন  এক এতিমের প্রতি  সদয়, ভিুকের প্রতি দয়া, ুধার্থকে অন্নদান , নিরাশ্রয়কে আশ্রয়, পড়োশির প্রতি সদ্ব্যবহার  এবং দুর্বলের প্রতি সাহায্য সহযোগিতা  করার নির্দেশ রয়েছে। এখানে ধর্ম-বর্ণ সম্পকের্  এবং স্রষ্টার সৃষ্টি হিসেবে মানবতা প্রদর্শণর কথা বলা হয়েছে।  এক কথায় খিদমাতে খালক’ অর্থাৎ সৃষ্টির খিদমাত  বা সেবা, মানবতার উত্তম কর্ম।এতিম সম্পর্কে স্রষ্টার উক্তি,  যে এতিমের  মাথায়  হাত বুলাবে সে যেন স্রষ্টার আরশে বা আসনে  স্নেহ-আদরের  হাত বুলালো। সাহয্য সহানুভূতি, সহযোগিতার বহুমুখী পথ রয়েছে। যার  পে যথাসম্ভব রা করে যাওয়াই  মানবিক দায়িত্ব। একই আদমের সন্তান হিসেবে একে অপরের  প্রতি  সাহায্য  সহানুভুতি সহযোগিতা হস্ত প্রসারণ করতে হবে।

সরল রেখার সরলতা

সরল রেখার মধ্যেই রয়েছে সরলতা, বক্র রেখার মধ্যে বক্রতা। তাই সরল রেখার মধ্যে বক্রতার আশা অবান্তর । বক্র রেখাতেও সরলতার আশা অর্থহীন দূরাশা।যে কোন কথায় বা আলোচনার কারণ বা ভিত্তি মূল রয়েছে। কারণ বা ভিত্তি মূল ছাড়া কোন কথা বা আলোচন পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। যেমন ভিত্তি মূল স্থাপন না করলে কোন দালান ইমারত বা প্রতিষ্ঠান বা ঘর প্রতিষ্ঠা বা দাঁড় করানো যায় না। স্বয়ং নিজের  ওপর রেখাপাত পাতিনা কেন? আমার পা-পাতা বা পাতা পা, না হলে সোজা দন্ডায়মান অর্থাৎ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিকি? না মোটেই না। কেউ যদি  বলে, পা-দুটো না থাকলে কি হবে?  আমি দুপায়ী চৌ-পায়ীদের ন্যায় পাল্লা দিয়ে দাড়াতে ও দৌড়াতে পারি, পা পাতা শুন্য  ব্যক্তটির উক্ত উক্তিটি অবিশ্বাস্য নয়  কি? যদিও সে  দাঁড়ালো বা দৌড়ালো, বুঝতে হবে অন্যের সাহয্য নিয়েছে তা  ব্যক্তিই হোক আর লৌহ বা কাষ্ঠ খন্ডই  হোক।  ভিত্তির মধ্যে রয়েছে শক্তি এবং ভিত্তিহীন সদা নড়বড়ে যা সাধারণ হওয়ায় ভেঙ্গে পড়তে পারে। যেমন আমি বা যে কোন দু পা বা চার-প, একটি বা তিনটি পায়ের উপর ঠিক শক্তভাবে দাঁড়তে পারবে কি? বলা হবে পারবেনা। দাঁড়ালেও নড়বড়ে শক্তহীন হবে,  যা সহজেই পড়ে যাবে।  মজবুত, শক্ত, শক্তহীন, নরম,  নড়-বড়ে এর ব্যবধান এবং কোনটির  মূল্যায়ন কত? তা স্রষ্টা দেখিয়ে দিয়েছেন । দু-পা,চার-পা, দু-পাখা, এবং শক্ত ভিত্তিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ।

স্রষ্টার সৃষ্টির, স্রষ্টার অসীমালয়ে অবস্থান

 স্রষ্টা সম্পর্কে  আমার মত ুদ্র থেকে ুদ্র, ুদ্রাতি ুদ্রতর কীট জীব, জীবাণুর, মোটেই সম্ভব নয়। যারা বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী সেই মহাত্মাগণের বর্ণিত বর্ণনার  দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে  প্রতীয়মান হয় যে, মহান স্রষ্টা আল্লাহর মতা  বা শক্তি অপরিসীম, সীমাহীন অসীম অর্থাৎ সর্বশক্তিমান।  মহান শক্তি সম্পর্কে আল্লাহ স্বয়ং তার পবিত্র অল-ক্বোরানে বর্ণিত হয়েছে।  আল্লাহর স্বয়ং বলেন, ( ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদীর) অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টি জগতের উপরে সর্বোপরি সর্বশক্তিমান তিনি “আল্লাহ্” । তাঁরই সৃষ্টি আঠার হাজার মাখলক্বাত অর্থাৎ আঠার হাজার সৃষ্ট জীব জগত, আঠার হাজার “গ্যালাক্সি”  জগত ও বলা যেতে পারে, এ সীমিত জীবনে দৃশ্যমান নিহারিকা  বস্তু সমূহ সবই এক সষ্টার সৃষ্টি। একেকটা“গ্যালাক্সি” জগতের মধ্যে অসংখ্য সৌর জগত বা নত্র জগত বর্তমান রয়েছে। একটির সাথে আরেকটির সম্পৃক্ততা রাকারী অসংখ্য গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে। প্রত্যেকটি উপগ্রহের আয়ত্বের মধ্যে অসংখ্য উল্কা রয়েছে। সবগুলো আপন আপন ক পথে ঘুর্ণায়মানবস্থায় ঘুর পাক খাচ্ছে। সৃষ্টির আদি থেকে যে যে নিয়মের উপর অবস্থান করছিলো , এখনও সে, সেই নিয়মের উপরই অবস্থান করছে। একই শক্তির প্রদত্ত  একই নিয়মের উপর অবস্থান করবে এটাই স্বাভাবিক । কস্খলন বা কচ্যুত হলেই সব এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে। যাকে আমরা মহাপ্রলয় বা কিয়ামত বলে থাকি। কোন এক সময় সন্দেহাতীতভাবে মহাপ্রলয় সংগঠিত হবেই। সাধারণ ধ্বংস এখনো হচ্ছে। যেমন প্রতিনিয়ত ‘উল্কা’ ধ্বংস হয়েই  চলেছে। রাতের আকাশে ল্য করলেই তা প্রতীয়মান হবে। যে উল্কা তার কচ্যুত বা দলচ্যুত হয়ে খসে পড়ছে নরকীয় অগ্নি কচ্যুত উল্কাটিকে জ্বালিয়ে ছাইকরে ধরাপৃষ্ঠ নিপে করছে। এভাবে প্রতিটি জীবাত্মাকে উল্কার ন্যায় কল্পনা করলে দেখা যাবে যে কচ্যুত এবং দলচ্যুত হয়ে খসে পড়ছে। এবং শরীর পদার্থ বা উপাদান গুলো আপনাপন স্থানে মিশে যাচ্ছে। শরীরোৎপত্ত্বিস্থান মাটিতেই  মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে এবং আত্মগুলো আত্মারস্থানে চলে যাচ্ছে। ল্য করলে সহজেই অনুমেয় যে, মহান স্রষ্টার বিধান বা নীতি নিয়মানুসারে তার সৃষ্ট গুলোকে, কা'কে কখন কোথায় কিভাবে সংরণ করবেন, তার নির্দিষ্ট চিহ্নিত চিহ্নস্থান নির্ধারিত রয়েছে।
    ছোট ছোট প্রলয় যখন হচ্ছে, বড় বিশালকায় মহা প্রলয়তো হবেই। সৃষ্টির সেরা জীব মানবের দায়িত্ব হচ্ছে স্রষ্টা প্রদত্ত জীবন বিধানগুলো ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয়  জীবনে প্রতিষ্ঠা করা।

সৃষ্ট জীবে, সেরা কেন?

সৃষ্ট জগতের  শাসক একমাত্র  সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ। তাঁরই শাসন কার্য চলছে তাঁরই সৃষ্ট জগতে। তাঁর  একটি  মাত্র সংসদ রয়েছে, সদস্যবর্গের মধ্যে ফেরেশতাকূল,  জীব্রাইল (আঃ) হচ্ছে বিশেষ  বার্তা বাহক। সাংসদ  গনকে নিয়েই মহান আল্লাহ্  তাঁরই সৃষ্টরাজ্য পরিচালনা করেন। সৃষ্ট মাখলুক্বাতকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে উক্ত ফেরেশতাগণকে নিয়োগ করে রেখেছেন। একটা জীবের সজীবতার রার জন্য যত সংখ্যক উপাদান বা পদার্থের প্রয়োজন তত সংখ্যক বা ততাধিক সংখ্যক ফেরেশ্তা নিয়োজিত রয়েছে। যারা সাংবাদিকতায় নিয়োজিত রয়েছে, তাঁরা-ই মহাসংসদ দরবারে নিত্য খবর পরিবেশন করে চলেছে। যারা জীব যন্ত্রের কর্মকান্ড  সর্ম্পকে বার্তা সংগ্রহ ও সংগ্রাহক যন্ত্রে সংগ্রহ  করার কাজে নিয়োজিত, তারা তাদের সে দায়িত্ব পালনে রত রয়েছে।  তারা কস্মিন ও একে অন্যের কর্মে হস্তপে করেনা। এমনিভাবে মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট জীবরাজ্য সুন্দর সু-শৃঙ্খলভাবে  পরিচালনা করে   যাচ্ছেন। ফেরেশতা নামের সদা জাগ্রত সেনা বাাহিনী কর্তৃক সমগ্র সৃষ্টজগত পরিচালিত হচ্ছে। এ সেনা বাহিনী সদা জাগ্রত এবং সদা সতর্কাবস্থায় আপনাপন দায়িত্ব পালনে মত্ত রয়েছে। মহান আল্লাহর এ সকলের প্রয়োজন  কি? তিনিতো স্বয়ং সৃষ্টি কর্তা, এমন কোন স্থান নেই যে, যেখানে তাঁর অবস্থান নেই।এমন কোন বস্তু নেই,  যা তিনি প্রত্য করেন না। তার সৃষ্টি জীব যন্ত্রের কার্যকলাপ সম্পর্কেও সদাবগত। এমন কোন জা’গাই যখন নেই, যেখানে মহান সৃষ্টিকর্তার অবস্থান নেই। তাহলে  সকল জীবের  মধ্যে স্রষ্টার অবস্থান থাকবেনা কেন? নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর  অবস্থান প্রত্যেক জীবের  মধ্যেই রয়েছে।  মানব জীব ছাড়া অন্যান্য  জীবকূলের মধ্যে অবস্থান সত্বেও তারা মহান আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেনা। কারণ তারা মানবাক্বল শুন্য। তাদের  মধ্যে নবী প্রেরণ করা হয়নি। তাই তারা আল্লাহর  সাথে সংযোগ স্থাপনের নিয়ম নীতি সম্পর্কে অবগত নয়। সে কারণে মহান আল্লাহর মহাদরবারে  জাওয়াবদিহীতা নেই। মহানস্রষ্টা আল্লাহ মহাপবিত্র আল-ক্বোরানে বলেছেন, আমি মানবকে  আক্বল জ্ঞান বুদ্ধি  বিবেক দিয়েছি এবং কলম দ্বারা শিা দিয়েছি। তাদের  মধ্যে নবী-রাসূল  প্রেরণ করেছি এবং বিশ্বের   রহমত হিসেবে  ,নবীগণের সরদার, আমার প্রিয় হাবীব হযরত মোহম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে আমার মহা পবিত্র বাণী“আল-ক্বোরন” তাদের উপর অবর্তীণ করেছি। তাই মহান আল্লাহর দরবারে মানবকূলের জাওয়াবদিহীতা রয়েছে। প্রিয় নবী র(দঃ) বলেছেন (ক্বালবুল মুমীন আর্শুল্লাহ) অর্থাৎ মুমীনের  অন্তরে বা ক্বালবে আল্লাহর ঘর এবং স্রষ্টার নৈকট্য  লাভ করতে পারে।  আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্যই নীতি-নিয়ম  বিধিমালা বিধান “আল-ক্বোরন” তাদের উপর অর্পণ করা হয়েছে। এ বিধিমালা লংঘণকারীকে নরক নামক সাজার ভিতি প্রদর্শন করা হয়েছে। এবং মহাদরবারে তাদের জাওয়াবদিহীতার ব্যবস্থা রয়েছ। মহানস্রষ্টা প্রথম জ্বীন জাতি সৃ্িষ্ট করেন এবং তাদের দ্বারা ল কোটি  বৎসরকাল অবধি পৃথিবী  আবাদ করেন। ক্রমেই উদ্ভিদ বৃরাজি এবং প্রাণী সৃষ্টি করেন। সেই মানকূলকে সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করার জন্য আরো ব্যবস্থা করলেন, তা-হলো নবী এবং রাসুলগণের সৃষ্টি। নবী রসূল মোজাদ্দেদ ওলীয়ে কামেল পীর, মাশায়েখ, কবি, দার্শনিক, সাহিত্যক এবং বৈজ্ঞানিক ্ইত্যাদি সৃষ্টি করলেন। মানব জাতি, জ্বীন এবং ফেরেশতাকুলে বিধিমাল্ াঅনসরণ অনকরণের মাধ্যমে প্রাধান্যতা লাভ করতে পারে। তারা বিশেষ বুদ্ধি বিবেক আক্বলের অধিকারী। তাই এ বিশেষ জাতিকে শাসন করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও রয়েছে। সে ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে উক্ত গুণধ জ্ঞানী-গুণী বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী উক্ত গুণধর ব্যক্তিবর্গগণ।  কিন্তু তাতে ও মানবকুল শান্তি সু-শৃঙ্খল সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে পারছেনা। তার একমাত্র কারণ বিপদগামী চির নরকী আজাজিল মানবের রগে রেশায় প্রবেশের মতা লাভ। সে মানবের রগে রেশায় বিবেকান্তরে প্রবেশ করে ক-প্ররোচনার মাধ্যমে মানবকে বিভ্রান্তিতে নিপে করে বিপদগামী করে। কিন্তু মানবের জ্ঞান, বিবেক এবং আক্বলের নিকট  অবশেষে পরাজয় বরণ করে। যে সকল মানব আক্বল জ্ঞান বিবেককে সুন্দর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা  করতে পারেনা কেবল তারাই কুচক্রি আজাজিল শয়তানের চক্রান্তের স্বীকার হয়ে বিপদগামী হয়। যে শয়তান চক্রের আয়ত্ত্ব সীমায় এসে যায়, তখন তার অন্তর বিবেক চু অন্ধ হয়ে যায়। তখন তাদের সরল সঠিক রেখা পথ থেকে পদস্খলন ঘ্েট এবং ল্যচ্যুত হয়ে এলো  পৌঁছতে পারেনা। তার পড়শী বা পার্শ্বা  পথিকদেরকে ও বিভ্রান্ত করে, তখন উভয়ই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। এমনি ভাবেই বর্তমান বিশ্ব সমাজ বিভ্রান্তির আবর্তে আবর্তিত হচ্ছে  এবং পদস্খলিত কচ্যুত উল্কার ন্যায় তীর্যক তীর বেগে প্রজ্জলিতাবস্থায়  অল্েয ধাবিত হচ্ছে। এ ধ্বংসোম্মুখ থেকে বর্তমান বিশ্ব সমাজকে একমাত্র মহান মাধ্যমেই করে থাকেন সৃষ্টির আদি থেকে যেভাবে রা করেছেন। প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিপাকে ধৃত বিশ্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। এ মহা সঙ্কটাবস্থায় নিপতিত বিশ্বকে রা করতে বিধাতা যেমন নবী রাসূল প্রেরণ করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে মহান ব্যক্তিত্বের   অধিকারী কোন মহান ব্যক্তি পুরুষের আবির্ভাব ঘটাতে পারেন।  অন্যথা এ গভীর অন্ধাকারাচ্ছন্ন মেঘের ঘনঘাটায়  আচ্ছাদিত বিশ্ব সমাজকে রার কোন প্রকার লক্ষ্মণই পরিলতি হচ্ছেনা। ঠিক এমনি ভাবেই বিশ্ব সমাজ অসংখ্যবার গভীর হতে গভীরতর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলো, তখনই গ্রন্থ সহকারে মহামানব প্রেরনের মাধ্যমে মহান করুণাময়  আল্লাহ নিমজ্জিত সমাজকে উদ্ধার করেছিলেন। সেই মহানমানবগণ যে  পথ নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তা অনুসরণে যত দিন চলেছিল সীমিত সময়ের জন্য হলেও শান্তিতে ছিলো। পুনরায় যখন বিপদগামী শয়তানের চক্রের চক্রতালে পড়লো এবং
    বিভ্রান্তাবস্থায় সরল কচ্যুত হয়ে অশান্তির দাবানলে জ্বলে পুড়ে খাক হতে লাগলো। বিশ্ব বিশৃঙ্খল  অশান্ত বিপর্যয় বলয়ের দিকে ধাবিত হলো। এ নরক তুল্য জীবন-কারাগার  থেকে মুক্তিদানের ল্েয যথাযথ মহা গ্রন্থ প্রেরিত হলো কিন্তু মানব জাতি বিভ্রান্ত হতে হতে অশান্তির দাবানলে জ্বলতে শুরু করলো। আবার মানবকুল শ্বাস রূদ্ধকরাবস্থায় পতিত হয়ে মুক্তির  আশায়  উর্দ্ধশ্বাসে দিক শুন্য হয়ে ছুটা-ছুটি করছিলো, উম্মুক্ত মুক্তির  দ্বারাশায়। ঠিক সময় মত স্রষ্টার প্রচলিত নিয়মানুসারে বিশ্বমানবকে অশান্তির  কারাদ্বার ভেঙ্গে শান্তি কাননে প্রবেশ করানোর ল্েযই সর্বশেষ  যুগে সর্ব শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কে মহা পবিত্র গ্রন্থ “আল-ক্বোরন” সহকারে অশান্ত ভূ-পৃষ্ঠে প্রেরণ করলেন। যিনি এ গ্রন্থ বাহক হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কে শেষ নবীরূপে স্বীকার করবেন, অদ্বিতীয় আল্লাহকে একমাত্র স্রষ্টা জানবেন  এবং আল-ক্বোরানকে মুক্তি বিধান হিসেবে জেনে তদানুসারে জীবন  জীবিকা পরিচালনা করবেন, তিনিই মুসলমান। আল-ক্বোরান শুধু মুসলিমের   জন্যে-ই প্রেরিত হয়নি, সমগ্র বিশ্ববাসীর মুক্তির নির্দেশিকা হিসেবে প্রেরিত হয়েছে। সুতরাং বিশ্ববাসী যদি এর নীতি-নিয়ম বিধানাবলি অনুসারণে দৃঢ়তা প্রদর্শন না করে,  তবে মুক্তির আশাই বৃথা।

মধ্যাকাশে অমানিশা

আরিক যুগে অনারিকের পদার্পণ। অর্থাৎ শিার আলোতে আলোকিত ধরণীতে, অশিার পদচারণা। অস্থায়ী জীবনবার্যে এবং অনন্ত পরকাল, উভয়কাল সম্পর্কিত শিায় শিতি মানবকুল, গগনে-পাতালে হাওয়ই যান ছুটে চলেছে দিনে-রাতে। রস্রোতে উত্থাল তরঙ্গের ভীষণ ঝড়-ঝঞ্জার ঘুর্ণীপাকের বিদ্যুৎ চমকের দিনে চলার বন্ধুরপথে প্রবল বাধার কন্টকাতিক্রমান্তে চলে যায় নির্ভিক মানব আপনাপন ল্েয। শুধু এ অস্থায়ী জীবনের জীবিকাণ্যেষায় পশুজনের ন্যায়। কিন্তু মানবকুলতো পশু নয়!সৃষ্টির সেরা জীব। পশুকুল খাবে-ঘুমাবে-টয়লেট অর্থাৎ বাহ্য প্রস্রাব ত্যাগ করবে, এবং সংসার করবে বাচ্চা বা সন্তান-সন্ততি নিজেরাই আহার করার যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত লালন-পালন করার দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু উক্ত কর্মকান্ডগুলো সেরাজীব ঘোষিত মানবকুলে ও পরিলতি হয়।কিন্তু সেরাজীব মানবকুলের জীবন উক্ত কর্মকান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তাদের দায়িত্ব অপরিসীম। সৃষ্ট জগত সমূহ মানব তরেই সৃষ্টি। বৃ-তরুসমূহ, পশু-পাখি, অগ্নি-পানি মাটি-বায়ু সৃষ্ট জগতকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে একে-অপরের মধ্যে দিয়েছে আকর্ষণ-বিকর্ষণ শক্তি। গ্রহ উপগ্রহ-নত্র সবই আপনাপন কাজে নিয়োজিত। মোট কথা, সমস্ত সৃষ্টিজগত সমূহে সৃষ্ট উপদানসমূহ একমাত্র মানবকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই সৃষ্টি। যেমন যে কোন সীমিত জা’গায় যে কোন প্রাণ বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রথমে তার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। তেমনি মানবকুলকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যেই সৃষ্টজগত সমূহ সৃষ্টি । যে কোন প্রাণ- বাঁচিয়ে রাখার পেছনে কারণ া উদ্দেশ্য তো থাকবেই। কারণ ব্যতীত কোন শ্রম প্রয়োগ করা হয়না। মহান স্রষ্টা যে, মানব সৃষ্টি করেছেন এর পেছনে যে কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে। তা কি? স্রষ্টার মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য একটাই। তা হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্ট বস্তুসমূহ ভোগ করবে আর স্রষ্টার প্রদত্ত বিধি-বিধান অর্থাৎ নীতিমালা অনুসরনের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করবে । তাঁকে স্মরণ করলে তার বিনিময়ে স্বর্গ-জান্নাত নামক মহা শান্তি নিবাস , নিকেতন প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন। এবং স্বরণ না কররে নরক বা জাহান্নাম নামের কঠোর শাস্তির ও ভীতি প্রদর্শন করেছেন যুগে যুগে কালে-কালে মহাত্মা অর্থাৎ মহামানব প্রেরণের মাধ্যমে । তাঁরা যখনই স্রষ্টার প হতে স্রষ্টার বিধিমালা মানব সমাজে প্রদান করেছেন, ঠিক তখনই তাঁদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার নেমে আসতো। কারণ, তরা যখন এ সকল বিধিমালা প্রত্য করতো বা বিধির নীতি নিয়মের কথা শুনতো, তুনি তাঁর উপর চড়া ও হতো-নির্দয়ভাবে অত্যাচার চালাতো। মহা মানবগণ তাতে ও স্রষ্টার বাণী প্রচারে ান্ত হতেননা। স্রষ্টার প হতে যে দায়িত্ব তাঁরা প্রাপ্ত হয়েছিলেন সে দায়িত্ব তারা পুঙ্খানোপুঙ্খরুপে পালন করতে গিয়ে আত্যাচারিত লাঞ্চিত হলেও স্রষ্টার বাণী প্রচারে ান্ত হতেননা। স্রষ্টার বাণী প্রচারকাল সময়ের মধ্যে কিছু শান্তি নেমে অসলেও প্রত্যেক মহা মানবগনের প্রত্যাগমনের পর পরই পথ ভ্রষ্ট হয়ে নিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত হয়ে অশ্লীলতার গভীর অন্ধকারে বিচরণ করতে শুরু করতো। এমনিভাবে ল কোটি কাল অতিক্রমণান্তে অর্থাৎ শেষ প্রান্তকালে মহান স্রষ্টার মহা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ ( দ:) এর অবির্ভা শেষ প্রান্ত কালের গভীর তমশাচ্ছন্ন অন্ধকার অমানিশাতেই ঘটেছিলে। তিনি ও অভাবনীয় অবর্ননীয় অত্যাচার, লাঞ্চনা ভোগের মাধ্যমেই, মানবকূলের মুক্তির পথ নির্দেশিকা মহাগ্রন্থ আল-কোরআন রেখে গিয়েছেন। যে ক’টি কাল“আল-ক্বোরানের এবং হাদীসের” নির্দেশিকা অনুসরণে রতছিলো , ঠিক সে’কটি কাল-ই মুসলিম এবং বিশ্ব শান্তির আবর্তে আবর্তিত হচ্ছিলো। প্রায় শতকাল ”বিশ্ব” শান্তির বলয়ে অবস্থানের পর-পরই কচ্যুত হয়ে অশান্ত বিপর্যয় বলয় করে দিকে ধাবিত হতে লাগলো।
    ঠিক তখনই ওমর, মুসা-তারেক এবং খালেদের মতো বীর-বীরোত্তম বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী সম্পূর্ণ ব্যক্তিবৃন্দের অবির্ভাব ঘটলেও সে ধাবম-   বিশ্বের অশান্তের গতিরোধ করতে পারেনি। ধাবমান গতি শক্তি বৃদ্ধি হতে-হতে পূর্ণ বিপর্যয় বলয় কে প্রবেশ করলো দু-হাজার,দু-শাল ১১ই সেপ্টেম্বর সংঘটিত ঘটনার মধ্য দিয়ে। এবং বিশ্ব বিপর্যয় বলয়ের প্রবেশ দ্বারা হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখান থেকেই অশান্তির অমানবিকতার নীতিহীনতার অন্যায় অত্যাচারের অন্যের ‘হক’ জবর দখলদারিত্বের দ্বারোম্মুক্ত হলো। বর্তমান মানবকুল সেই মানবকুলেরই বংশধর যারা জাকারীয়া নবী (আঃ) কে করাতে দ্বিখন্ডিত করেছিলো যাদের অমানবিক অত্যাচারের কারণে মহান স্রষ্টা আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে জীবিতাবস্থায় স্ব-শরীরে উর্দ্বগমন করিয়েছেন। এরাই ইউসুফ (আঃ) কে কূপের তলদেশে নিপে করেছিলো। ইব্রাহীম (আঃ) কে অগ্নিকুন্ডে নিপে করেছিলো। মুসা (আঃ) কে মেরে ফেলার জন্য পিছু ধাওয়া করতে গিয়ে নিজেরাই নীলনদীতে ডুবে মরেছিলো। সর্বশেষে বিশ্বে আগত  নবীগণের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এ মানবকুল কর্তৃক অভাবনীয় অবর্ণনীয় অকথ্য অত্যাচারে অত্যাচারিত এবং লাঞ্চিত হয়েছিলেন। তাঁরা কি অন্যায় করেছিলেন? তাঁরা বলতেন, একই স্রষ্টার উপাসনা করতে এবং স্রষ্টা প্রদত্ত বাণীসমূহ আনুসরণ এবং অনুকরণের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এটাই ছিলো নাকি তাঁদের অন্যায়! যে জাতের বিবেকের মধ্যে ন্যায় এবং অন্যায়ের বোধ শক্তি নেই, তাদের প থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা সুদূর পরাহত, তাই বলে কি তাদেরকে শান্তিতে রাখা এবং তাদের প থেকে শান্তি লাভের সূত্র প্রোয়গের ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা? নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সে দায়িত্ব আল্লাহর এবং রাসুল (সঃ) এর প থেকে জ্ঞানী গুণী, বিজ্ঞ-আক্বলমান ব্যক্তিগণের ওপরই আরোপিত হয়েছে। সে সূত্র বা ব্যবস্থাপত্র বা বিধানবলী মহান স্রষ্টা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল মোহাম্মদ (স্ঃা) কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালাগুলো অনুসরণ, অনুকরণ করণ এবং করানোর গুরু দায়িত্বভার জ্ঞানী-গণিজনদের ওপরই  অর্পিত হলো। তা সঠিকভাবে প্রয়োগের মধ্যেই শান্তি অবধারিত। অনুসরণ এবং অনুকরণ করতে হলে প্রথমে তাওহীদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ শীরক বিহীন একক কে যাঁর লিঙ্গান্তর নেই সেই একক কে নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করতে হবে এবং তাঁর প্রেরি বিধানগ্রন্ত আল-ক্বোরান যার মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে সেই প্রেরিত পুরুষ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)  কে দৃঢ়তার সাথে কায়মনো বাক্যে অন্তর গভীরে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। যারা উক্ত বর্ণিত বিধি মালাগুলো বিশেষভাবে স্বীকার করে নেবে, তারাই একত্ববাদী। যে একমাত্র একত্ববাদকে স্বীকার করবে, সে একক আল্লাহ প্রদত্ত বাণীগুলো বিশ্বাস করবে, মহা প্রলয়ের বিচারের কথা, ফেরেশতাকুলকে এবং মৃত্যুর পরে পুনরোত্থান সম্পর্কিত বাক্যগুলোকে ও বিশ্বাস করবে। সুতরাং বিধিনীতি অনুসরনের মাধ্যমে করবেই।

বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৩

মুক্ত সঙ্কেত

যে সঙ্কেতে পরাধিনতা নেই, কলুষ-কালিমা নেই সে-ই-তো মুক্ত সঙ্কেত। যেমন মহাসঙ্কেত আল্লাহু আকবার ধ্বনি, অর্থাৎ আল্লাহ সর্ব শক্তিমান। শুভ কর্মের প্রারম্ভেই আল্লাহ্ শব্দ উচ্চারণের কথা বলা হয়েছে। যে শব্দকে মহান স্রষ্টা “আল্লাহ” সরাসরি কালামে পাক পাঠের পূর্বে উচ্চারণ করার জন্য নবীপাক (সাঃ) কে আদেশ করেছেন। বাক্যটি হলো ইক্রা-বিসমি-রাব্বিকাল্লাজী খালাক্ব। অর্থাৎ পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃস্টি করেছেন।
পাঠ করুন। অর্থাৎ পড়–ন ! কি পড়বেন? কিভাবে পড়বেন ? প্রদত্ত আয়াতে রয়েছে পড়তে হলে, প্রথম তাঁর নাম উচ্চারণ করুন্! যিনি সৃষ্টি করছেন। এখন চিন্তার বিষয় হচ্ছে পালনকর্তার নাম কি? উদ্ধৃত বাণীতে তাঁর নাম মোবারক পরিলতি হচ্ছেনা। নবী কিন্তু লেখা পড়াও জানতেন না। সৃষ্টিকর্তার নাম তিনি কিভাবে জানবেন? জিব্রাইল (আঃ) বাক্যের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার নাম যুক্ত  করেননি। ভাববার বিষয়! নাম কোথায় পাবেন এবং  কিভাবে পড়বেন,  তিনি যে নিরার। প্রতীয়মান হয় তিলাওয়াতের পূর্বে তাঁর নাম মহান আল্লাহ নিজেই শিা দিয়েছেন মহানবীকে। তাই নবীপাক (সাঃ) প্রথম সৃষ্টিকর্তার নাম অর্থাৎ বিসমিল্লাহ্ পড়ার পর, “ইক্বরা”  পড়েছিলেন। সুতরাং আল্লাহর বাণী নাজিলের প্রারম্ভে পৃৃথিবীতে প্রথম বিসমিল্লাহ্ এসেছে । “ইক্বরা” শব্দটি নয় । নবী পাক (সাঃ)তাই, প্রথম আল্লাহর নামে পড়া শুরু করেন । এভাবে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পাঠের পর “ইক্বরা” প্রতিধ্বনি মূলক শব্দ থেকে পড়েন । তাই পবিত্র ক্বোরআনের ১১৩ সূরাই আল্লার নামে শুরু করা হয়েছে। “বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম” এর অর্থ হল দয়াল-দাতা  করুণাময়, আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। এজন্যেই মুমিনগণ প্রত্যেক শুভ কাজ “ বিসমিল্লাহিররাহ্ মা নিররাহীম”দ্বারা শুরু করেন। এর মধ্যে রয়েছে রহমত ও বরক্বত। যেখানে রহমত-বরক্বত রয়েছে, সেখানে সব বিপদ মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। যেখানে বরক্বত-রহমতের কামনা সেখানে অবৈধ অন্যায় বাক্য ব্যবহার চলবেনা। উক্ত বাক্যের উছিলায় ব্যক্তি পবিত্র হয়ে যায়। সুতরাং এই বাক্যটি সেবা মূলক নয় কি?  “ বিসমল্লিাহিররাহ্  মানিররাহীম” বাক্যটিই ইসলামের  মূল ভিত্তি। বাক্যটি যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে কলুষ- কালিমা  থাকতে পারেনা। বাক্য ব্যবহারকারী ব্যক্তিটিও পবিত্র হয়ে গেলো। লোক পবিত্র হলেই কর্ম পবিত্র, কর্ম  পবিত্র হলেই সমাজ পবিত্র। আল ক্বোরআনের, আলোকে  আলোকিত প্রতিটি ব্যক্তিই সমাজের সম্পদস্বরূপ । যা কল্যাণ মুলক তা, সেবামূলকও। পবিত্র ক্বোরআন শরীফকে সেবক গ্রন্থই বলা যায়। ক্বোরাআন শরীফের প্রথম বাক্যে বর্ণিত আছে, “ জালিকাল কিতাবু লা  রাইবা ফিহ্” অর্থাৎ এ গ্রন্থে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। এ গ্রন্থে রয়েছে আদেশ “ আকীমুস সালাতা ওয়া আতুজ্জাকাতা” অর্থাৎ নামাজ ক্বায়েম করো এবং জাকাত দাও।এর মাধ্যমে স্রষ্টার যত প্রকার দান, মানবগণ ভোগ করবে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশিত হবে। যারা মালিকের অনুদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ল্েয, দৈনিক পাঁচবার মালিকের সামনে উপস্থিত হবে , তাদের দ্বারা আন্যায় অত্যাচার  করা  সম্ভব হয় না । ক্বোরাআন শরীফের অন্য এক জাগায় বলা হয়েছে “ ইন্নাছ-ছালাতা-তান্হা আনিল-ফাহ্শা-ই” অর্থাৎ নিশ্চয়ই নামাজ মন্দকর্ম থেকে মুক্ত রাখে। বাক্যটিতে এটাই বুঝানো হচ্ছে যে,  মালিকের অনুদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীর প,ে পাপ কর্ম করা সম্ভব নয়।  কারণ সে দৈনিক পাঁচবার মালিকের সাথে দেখা করে তাই তার পে অবৈধ কর্ম সম্ভব হয়না। এ সকল  কথা সত্য নয় কী ? এভাবে যদি সমাজে পাপমুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেশী হয়,  তবেই সমাজ  আলোকিত হবে। সুতরাং আল ক্বোরআন নামক মহা পবিত্র গ্রন্থটি, সমাজ সেবা মূলক গ্রন্থ।  এ গ্রন্থের প্রতিটি বাণীই সত্য এতে কোন সন্দেহ নেই। আদেশ এবং নিষেধ মূলক বাক্য গুলো অলংঘণীয়-  অর্থাৎ লংঘন করলে সাজার কথা বলা হয়েছে। সাজার কথা বলা হয়েছে মানুষকে পাপ মুক্ত রেখে স্বর্গীয় করার ল্েয । উপো করলে বিনিময় তো নিতেই হবে। এ সীমিত সময়ের জীবনটিকে পাপ মুক্তাবস্থায় অতিক্রম করার জন্যেই দেহ-মন -চোখ-হাত-পা- নাসিকা  এবং ত্বক দান করছেন। বার বার বলা  হয়েছে  মন্দ কর্ম থেকে বিরত থাকো। যারা বিরত থাকবে তাদের জন্য উপহার উপঢৌকন স্বরূপ চির সুখাবাস- জান্নাত বরাদ্দ রয়েছে। যেখানে অতুলনীয় সুন্দরী হুর নামক রমণী রয়েছে এবং রয়েছে অতুল মিষ্টি সুন্দর -ফল- ফুলে ভরা বৃরাজি। রয়েছে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য লোক, তৃষ্ণা-তৃপ্তি মেটানো মিষ্টি মধুর হাউজে কাওছার নামক  স-ুমধুুর মিষ্টি পানির বহমান স্রোত ধারা। অশরীরী শয়তান, বিশেষ মতা প্রাপ্ত কু-শক্তির নাম। সে-নফস- খায়েশে প্রবেশ করে এবং মানুষকে বিপদগামী করে। তার প্রলোভনে প্রলুব্ধ  হয়ে, পদস্খলিত হয়ে অনেকে জাহান্নামে প্রবেশ করে।  সে জন্যে আমরা প্রার্থনা করি হে আমার প্রতি পালক, আমাকে এ দুনিয়ার এবং পরকালের মঙ্গল দান করো এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দাও। অন্যত্র বলা হয়েছে  তোমরা প্রতিটি ভালো কর্মের প্রথমে শুরু করো দয়ালু দাতা করুনাময় আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ,আমাকে মা করো” এবং দয়া করো। আল্লাহর ওয়াদা মা প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ মার চোখে দেখবেন। যদি আল্লাহর সাথে কাকেও শরীক না করা হয়,উক্ত বাণী গুলো ব্যক্তি এবং সমাজকে- কলুষ মুক্ত করে শান্তির ফয়সালা এনে দেবে ?  সুতরাং পরিলতি হচ্ছে যে, আল-ক্বোরআনের বাণীগুলো তথা সমস্ত ক্বোর-আন শরীফই সেবক গ্রন্থ। উক্ত বাণী প্রদানের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে কলঙ্ক মুক্ত করেন।  সূরা আল- ফাাতিহাকে বলা হয় “উম্মুল ক্বোর-আন ” অর্থাৎ ক্বোর-আন শরীফের জননী। সূরা- আল-ফাতিহা হচ্ছে ক্বোর-আন -হাদীস- ফিক্বাহ- উছুল- ইজমা- ক্বিয়াস- শরীয়ত- তরীক্বত-হাক্বীক্বাত-এবং মারিফাত ইত্যাদি , ইসলামী ব্যবস্থার মূল বিষয় বা ভিত্তি। এ- সূরাটিকে ফাতিহাতুল কিতাবও বলা যেতে পারে। উক্ত নামাজিগণ দৈনিক কমের পে ৩২ বার আল্লাহর দরবারে দাড়িয়ে এ সুরা পাঠ করে থাকেন। দয়ালু দাতা করুনাময় মহান আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনার পর একটি বাক্য উচ্চারণ করেন ঃ ইয়্যা কা-না বুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তাঈন  অর্থাৎ আমি তোমার ইবাদত করি। ইবাদাত কাকে বলে? আমাকে সর্বপ্রথম তা বুঝতে হবে। যাকে লালন পালন করা হয়, সে কি ঠিক ভাবে লালিত পালিত হচ্ছে?   এতীম মেসকীনকে দেখা শুনার দায়িত্ব পালিত হচ্ছে কি? দুর্বলে- সবলে সাহায্য- সহযোগিতা হচ্ছে কি? রোগাক্রান্তদের এবং পড়শীদের খবরা -খবর রাখা হচ্ছে কি? স্ত্র্রী -পুত্র- সন্তান- সন্ততীর নীতি সম্মত অধিকার দেয়া হচ্ছে কি? নিরাশ্র্রয়কে আশ্রয়, অসহায়কে- সহায় দেয়া হচ্ছে কি?  প্রকৃত যাকাত প্রাপ্যদেরকে যাকাত দেয়া হচ্ছে কি? কারো অধিকার হরণ করা হয়েছে কি না? হলে সমাধানের চেষ্টা করেছেন কিনা? অজ্ঞানকে জ্ঞান দান করা ুধার্তকে আহার দান করা হচ্ছে কি? এগুলিকে  ইবাদাত বলা হয়। এসব কর্ম নামাজের পূর্বে সম্পাদন করা হয়েছি কি ? নামাজের পূর্বে নামাজি তা ভেবেছেন কি ? তা-না ভাবলে বা উক্ত কর্ম গুলো না করে কি ভাবে মালিকের সামনে দাড়িয়ে, উক্ত বাক্যের দ্বিতীয়াংশের বাণীটি ইয়্যাকা নাস্তাঈন অর্থাৎ ‘আমাকে সাহায্য করুণ’ কথাটা ব্যাক্ত করবেন? পূর্ণ বাক্যটি ‘ইয়্যাকা- না-বুদু ওয়া-ইয়্যাকা নাস্তাঈন’ অর্থাৎ আমি আপনার ইবাদাত করি, আমাকে সাহায্য করুণ। যাঁরা উক্ত কর্ম গুলো সম্পদন করেছে একমাত্র তাঁদেরই অধিকার “না-বুদু” বলার এবং নাস্তাঈন বলে নিতে পারেন। অর্থাৎ আল্লাহর সাহায্য চেয়ে নিতে পারেন। এ বাক্যটি উচ্চারণ করার একমাত্র তাঁদেরই সাজে। কারণ তাঁরা আল্লাহর কথা মতো কাজ করে, অর্থাৎ ইবাদাত করে। উক্ত বাক্যটি নামাজের মাধ্যমে দৈনিক যাঁদের মুখ দিয়ে ৩২ থেকে ৬০বার উচ্চারিত হয় তাদের পে পাপের চিন্তা হতে পারে কিন্তু পাপ করা কি সম্ভব ? সমাজে এধরণের নিষ্পাপ ব্যক্তি যদি বেশী বেশী থাকে, সাধারণতঃ সে সমাজই আলোকিত,শান্তির-সুন্দর সমাজ। আমি যদি হিংসা করি,পর নিন্দা,পরের মঙ্গলকে ঘৃণা করি, পরের সুখ শান্তিকে খুশির বা সুন্দর দৃষ্টিতে না দেখি, পরের উন্নতিকে বক্র চোখে, পরের সম্মানকে যদি খাটো চোখে দেখি, সম্মানিকে যদি সম্মান প্রদর্শন না করি, ছোটকে যদি স্নেহ বা আদরের দৃষ্টিতে না দেখি, যদি পরের অধিকার, ইজ্জত হরণ করি, অন্য সকলকে আমার ভাই বোন ও মুরুব্বি মনে না করি, আমি যদি পড়শীর সাথে খারাপ ব্যবহার করি, সমাজের মধ্যে সু-সর্ম্পক না গড়ি, এতীম মিস্কীনদের খবর না রাখি, প্রয়োজনে রোগীকে সেবা না দেই, অসহায়দেরকে শক্তি অনুযায়ী সহযোগীতা না দেই, আমি যদি অবৈধ কর্মে   লিপ্ত থাকি, ধর্মীয় নীতি নিয়মকে অবহেলা করি, তবে আমি ভালো কি ফল আশা করতে পারি? আমি আমার মিথ্যে, অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম বন্ধ করেনি ঠকিয়ে সুবিধা ভোগ করেছি, ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করেছি। কারো প্রতি শক্তি অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করিনি, নিরারকে অরজ্ঞান দেইনি, ধর্মীয় বাক্যগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করিনি তবে আমি ইবাদাত করেছি  বলে বলতে পারি কি? শুধু নামাজই আমাকে মুক্তি দেবেনা। ভিাবৃত্তি বন্ধ করার ল্েযই কর্ম করিনি বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সেবা করতে পারিনি। পশু পাখিকে সেবা দিতে পারিনি, কাকেও জীবিকার পথ প্রদর্শন করিনি। তাহলে আমার ইবাদাত কোথায়?
আল্লাহ বলেছেন- আমি জ্বীন এবং ইনসানকে ইবাদাতের জন্যেই  সৃষ্টি করেছি” অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। স্রষ্টার বর্ণিত ইবাদাত কতটুকু  করেছি? ল্য রাখা দরকার , ধার শোধ করেছি কি? না করলে করবো বলে ল্য আছে কি ? কতটুকুন ভালো কর্র্ম করতে পেরেছি এবং মন্দ কর্ম কতটুকু পরিহার করেছি?আর কতটুকু করিনি তার জন্য মা প্রার্থনা করেছি এবং কতটুকু ভালো করতে  পেরেছি, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ল্েযই দৈনিক পাঁচবার স্রষ্টার দরবারে নামাজের মাধ্যমে উপস্থিতি দিয়েছি কি? মুনাফিকি-নিমকহারামী পরিহার করতে পেরেছি কি না?
ধোকাবাজী বন্ধ করতে পেরেছি কি? কর্মগুলো শুদ্ধ-পরিশুদ্ধ করে সত্য সঠিক পথের নির্দেশনার ল্েযই ধর্মের আগমন ঘটেছে।