tag:blogger.com,1999:blog-2091875078592568482024-03-05T19:25:09.464-08:00RESEARCH OF BISMILLAHAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.comBlogger45125tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-80702841851870736902015-03-13T22:51:00.002-07:002015-03-13T22:54:24.073-07:00Be Tiger, Go Ahead- Song for Bangladesh Cricket<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<iframe allowfullscreen='allowfullscreen' webkitallowfullscreen='webkitallowfullscreen' mozallowfullscreen='mozallowfullscreen' width='320' height='266' src='https://www.blogger.com/video.g?token=AD6v5dx60jPUf2MokFbn6hYcFnPhr0FBHH0V0RmQRcv7peZdK49jiS3fRGdLddKUkp95iRnZY15mOaQVY5-llaSVMg' class='b-hbp-video b-uploaded' frameborder='0'></iframe></div>
<br />
Also you can watch this video into Youtube-<a href="http://youtu.be/Ax11ehyES3Q" style="background: rgb(255, 255, 255); border: 0px; color: #167ac6; cursor: pointer; font-family: arial, sans-serif; font-size: 13px; line-height: 15.6000003814697px; margin: 0px; padding: 0px; text-decoration: none;" target="_blank">http://youtu.be/Ax11ehyES3Q</a></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-68928842864903638422014-11-10T21:11:00.002-08:002014-11-10T21:11:12.220-08:00“দরুদ এবং সালাম সম্পর্কে আলোচনা”<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আল্লাহর দরুদ অর্থ্ৎা নবী (দ:) এর ওপর এবং আল্লাহর ধূতগণ যে দরুদ পড়েন তাকে আল্লাহর দরুদ বলা হচ্ছে। ২২তম পারায় সূরা আহজাবের ৫৬তম আয়াতে তাশাহুদের দরুদের কথা বলা হয়নি, তাশাহুদের দরুদ শুধু নামাযের জন্য নির্ধারিত নামায ছাড়া পড়া যায়। কিন্তু আল্লাহ এবং ফিরিস্তাগণ যে দরুদ এবং সালাম পড়েছেন বা পড়তে বলেছেন তা আলাগ যেমন, ছুল্লোল্লাহু আলাইহী ওয়া ছাল্লেমু তাসলীমা অর্থাৎ সম্মানের সাথে দরুদ এবং সালাম প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। এ দরুদ এবং সালাম, লঙ্ঘন করবে যে বা পাঠে অবহেলা করবে সে কুরআন পাকের আওতা ভুক্ত থাকবে না। মুসলীম দুনিয়া হতে বঞ্চিত হবে। বাস্তব এবং অবাস্তব শব্দদ্বয়ের আলোচনায়। আল্লাহ নামক সর্বশক্তিমান আলোর কোন কেন্দ্র স্থল বা উৎপত্তির স্থল নেই। যেমন সূর্যের আলোর কেন্দ্রস্থল আছে ঐ আলোর গোলক ফিন্ড কেন্দ্র থেকে আলোর বিকিরণ ঘটছে। সূর্যের সে আলোর গোলক বা বস্তু পদার্থের গোলক ফিন্ডই হোক, মোট কথা সূর্যের কেন্দ্র বিন্দু পরমাণুই হোক, সে পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ আছে, যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ আছে, নিশ্চয়ই তার আকার আছে। যে আলোর পরমাণু নেই, তার দৈর্ঘ্য প্রস্থও নেই সুতরাং সে অনন্ত অসীম আকারহীন অর্থাৎ নিরাকার এবং অতুল, উপমাহীন, অদ্বিতীয় একক, একমাত্র সর্বশক্তিমান। বিশেষ বিষয়, আল্লাহ নামের মহা নূরের আকার নেই, তিনি নিরাকার, অকূল সীমান্তহীন, অনন্ত, অসীম, তাঁর অর্থাৎ আল্লাহ নামের নুরটির উৎপত্তিস্থল নেই, কেন্দ্র বিন্দু নেই, অণু-পরমাণু নেই, অণু পরমাণু থাকলে তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকবে তার কণা থাকবে, কণা থাকলে তার প্রতি ছায়া থাকবে, আল্লাহ নামের নূরের কোন প্রতিশব্দ বা প্রতিচ্ছায়া নেই, এ মহা আলোর কণাও নেই এটাই মহা শক্তিমান একক আলো আল্লাহর নামের বাস্তবতা এখানে কণা বিশিষ্ট আকারের ব্যবধান অর্থাৎ কণা বিশিষ্ট এবং লিঙ্গ বিশিষ্ট ঈশ্বরের মধ্যে মহা শক্তিমান আলোর আল্লাহর ব্যবধান। তাঁর সৃষ্টি জগতের প্রতি পরমাণুতে সে, মহা আলো এবং তাঁরই সৃষ্ট নূরে হাবীব অর্থাৎ নূরে মুহাম্মাদ (দ:) সর্বশক্তিমান নূরে আল্লাহতে মিশে একাকার হয়ে অবস্থান করছেন। যাঁরা ধ্যান, ইন্টারনেট, ফেসবুক খুলেছেন তাঁরাই এদ্বয়ের অর্থাৎ আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে বার্তা আদান প্রদান করতে পারছেন এবং পারবেন আল্লাহর অস্তিত্বের বাস্তবতা এবং নবী (দ:) এর আগমনের বাস্তবতার প্রমাণ রেখে পর্দায় গিয়েছেন, আল্লাহর নূর প্রদর্শন করেছেন, এবং নবী (দ:) কে স্বপ্নে বা তন্দ্রায় বাস্তবাকারে প্রদর্শন করেছেন। তাঁদের পথে যাঁরা থাকবেন তাঁরাই দর্শন করবেন। </div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-36918248842750182362014-11-10T21:09:00.002-08:002014-11-10T21:09:27.848-08:00বিসমিল্লাহ সম্পর্কিত পুনঃ আলোচনা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কুরআনে পাকের ১৯তমাংশে সূরা নমলে, নবী সোলায়মান (আ:) এর সময় ইয়েমেনের রাণী বিলক্বীসের নিকট পত্রে বিসমিল্লাহ সূরাটির বা বাক্যটি মহা পবিত্র কুরআনের আয়াত বা জুমলা বা বাক্য হিসেবে যুক্ত হয়। ল্য করা যাচ্ছে যে, “বিসমিল্লাহ” সূরা বা বাক্যটি দুরকমে আগমন ঘটেছিলো। প্রথম বার স্বয়ং সূরা হিসেবে দ্বিতীয়বার সূরা নমলে আয়াত বা বাক্য হিসেবে আগমন ঘটেছিলো। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, কুরআনে পাকের মধ্যে অবতির্ণ বা নাজিলকৃত ১১৪ (একশত চৌদ্দ) সূরার মধ্যে “বিসমিল্লাহ” শরীফেই সূরা বাক্য হিসেবে প্রথম অবতির্ণোচ্ছারিত সূরা। পরে ১৯ তম পারায় বা অংশে সূরা “নমলে” আয়াত হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ল্য করা যাচ্ছে বিসমিল্লাহ শরীফ স্বাধীন ভাবে প্রথম নাজিল হওয়ায় বিসমিল্লাহ শরীফেই গারে হিরায় প্রথম নাজিলকৃত সূরা, দ্বিতীয় ইক্বরা শব্দটি উচ্চারিত শব্দ। <br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-84591661611882895112014-11-04T20:06:00.001-08:002014-11-04T20:06:06.583-08:00একটু খুলে বলা হচ্ছে “ইয়া”<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
ইয়া আরবী শব্দ, ইয়া সম্পর্কিত আলোচনা ইয়া= অর্থাৎ হে, ওহে, ওগো সম্বোধন সূচক। যেমন হে বন্ধু, ওগো প্রিয় ওগো এদিকে এসো ডাক সূচক শব্দ তুমি কোথায় আছ? যেখানেই থাকনা কেন, আমাকে ভুলবে না। আমা হতে মুখ ফিরিয়ে রাখবে না। তুমি পৃথিবীর যে কোন জায়গায় থাক না কেন তুমি আমার অন্তরের-অন্তর হৃদয়ের কেন্দ্র বিন্দুতে চির জীবন্ত। সব সময় তুমি উপস্থিত যে দিকে তাকাই শুধু তুমি আর তুমি আমার, আমায় ভুলবে না। ইয়া আল্লাহ আপনি এবং আপনার দোস্ত মুৃহাম্মাদ (দ:) সদা আমাদের হৃদয়ের গভীর কেন্দ্র বিন্দুতে উপস্থিত। যাঁরা সে শক্তি অর্জন করবেন তাঁরা দেখেন এবং দেখতে থাকবেন। নূরে মুহাম্মদ (দ:) নামে পৃথিবীতে আগমনের বার্তা আদম (আ:) থেকে ঘোষিত হয়ে আসছে। এবং মানবের মুক্তির শান্তির নির্দেশনা গ্রন্থ আল-ক্বোরআন রেখে গেলেন। যাঁরা এ গ্রন্থ অনুসরণ অনুকরণে ব্রত, তাঁরাই মুক্তি পেলেন এবং পাবেন।<br />বাস্তব এবং অবাস্তব শব্দ দ্বয়ের মধ্যে ব্যবধান কি?<br />সর্বশক্তিমান নূরে আল্লাহর আবদার জনিত বাণী। “বিসমিল্লাহ” এবং দরুদাল্লাহ অর্থাৎ যে দরুদ আল্লাহ এবং ফিরিস্তাগণ পড়েন। তা দরুদে ইব্রাহীম নয়। দরুদে ইব্রাহীম নামাযের জন্য খাস, আর যে দরুদ সবসময় পড়া যায় যেমন, “ছাল্লেল্লাহু আইহীওয়াসাল্লাম” ছাল্লেল্লাহু আলা ছাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদ ওয়া-আলীহি ওয়াসাল্লাম, ইত্যাদি এবং নবী (দ:) এর ওপর সম্মানের সাথে সালাম পাঠের স্রেষ্ট আবদারাদেশ সুতরাং পরিলতি হচ্ছে এ আদেশ লঙ্ঘনকারী ক্বোরআনের আওতাভুক্ত থাকবে না। নবী (দ:) এর মু-মোবারকের মাধ্যমে সরাসরি আগত এবং প্রথমোচ্চারিত বাক্য “বিসমিল্লাহ” শরীফ এটা বাস্তব। ইক্বরা দ্বিতীয় উচ্চারিত শব্দ। বিসমিল্লাহ বাক্যটি অতুল=তথা তুলনাহীন , সর্বশক্তিমান, সর্বস্রেষ্ট বাক্য, যা “কুরআনে পাকের ১১৪তম সূরা থেকে পৃথক ভাবে আগত। নবী (দ:) এর মু- মোবারকের মাধ্যমে সর্ব প্রথম একক অর্থাৎ স্বাধীনভাবে আগত সৃষ্টি জগতে ইসলামের ভিত্তি মূলত “বিসমিল্লাহ” নবী (দ:) কে সরাসরি বিসমিল্লাহ শরীফ শিা দিয়ে আল্লাহ স্বয়ং শিক হলেন- এবং বিসমিল্লাহ দ্বারা ইসলামের ভিত্তিস্থাপন করে আল্লাহ স্বয়ং সাী হলেন বলে বাস্তবে প্রমাণ রাখলেন। বাক্যটি বাংলা ভাষায় “আল্লাহর নামে” আরবী ভাষায় তা “বিসমিল্লাহ”। বিসমিল্লাহ প্রথম উচ্চারিত না হলে ইক্বরা উচ্চারিত হতো না এবং আল্লাহর সৃষ্ট জগতই মহা শক্তিমান আলো বা আল্লাহর বাস্তবতা প্রমাণ করে। নবী (দ:) আকারে এসেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন এবং জীবন জীবিকার পূর্ণ সংবিধান মহাগ্রন্থ আল কুরআন মানবকুলকে প্রদান করে গেলেন এটাই মানবের মুক্তিবিধান এবং মুহাম্মাদ (দ:) এর আগমনের এবং উপস্থিতির বাস্তবতা। </div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-4635221050900816772014-11-04T20:05:00.001-08:002014-11-04T20:05:22.647-08:00আলোর নবী মুহাম্মদ (দঃ) <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
“নূরে আল্লাহ” কে আমরা আল্লাহ শব্দ দ্বারা আমাদের স্রষ্টাকে স্মরণ করি, তিনি সর্ব শেষ সর্ব শক্তিধর একটি আলো, যে আলোর কোন মেছাল বা উদাহরণ সৃষ্টি জগতে নেই। তিনি আলোর কত পর্দা দ্বারা আবৃত বা আল্লাহ নামক আলোর কত গভীরে অবস্থান করছে কারো বলার মতা নেই। যেমন আমরা বাতাস বা হাওয়া নামক পদার্থের মধ্যে জীবন যাপন করছি জান্তাম না। বৈজ্ঞানীকগণ অর্থাৎ গবেষকগণ তা আবিষ্কার করেছেন। আল্লাহর বাণী “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমানু) আদর বিনোই অর্থাৎ আবদারের সাথে আহবান সূচক বাক্য। হে, ওহে এইযে, আমার বিশ্বাসীগণকে ডাকছি। তোমরা আমার দিকে ল্য কর এবং আমার বাণীটির দিকে মনোনিবেশ কর। আমি তোমাদের ল্েয বলছি “আমি এবং আমার ফিরিস্তাগণ অর্থাৎ আমার দুতগণ দরূদ অর্থাৎ দোয়া করুণা রাহমাত বারক্বাত স্বরূপ (ছোয়াল্লু) শব্দটি পাঠ করি অর্থাৎ পড়ি আমার হাবীব দোস্ত নবী (দঃ) এর ওপর। হে, ওহে আমার ওপর বিশ্বাসীগণ তোমরাও তাঁর ওপর “দরূদ” অর্থাৎ দোয়া রাহামত, বারাক্বাত করুণা সূচক পাঠ কর অর্থাৎ পড়ো এবং সম্মানের সাথে অর্থাৎ তাজীমের আদবের সাথে সালাম, তথা, সালামত, অর্থাৎ শান্তি সূচক শব্দটি তথা সালাম পাঠ। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, উদ্ধৃতোক্তিটি, অতি আবদার জনিত আহবান সূচকোক্তি। আল্লাহর এই করুণ বিনোই সূচক আহবান, আবদার জনিত আহবানটি বা আদেশটি লঙ্ঘীত হলে, সে কুরআন শরীফের আওয়াতয় থাকবে না, তা সহজে বুঝার মতো ইশারা রয়েছে। এ আদেশ আল্লাহর। আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘনকারী মুনাফিক নিমকহারামের দরজায় পড়ে তাই সে আল্লাহর করুণা হতে বঞ্চিত হবে। সে আল্লাহর পবিত্র ঘরে প্রবেশের অধিকার হতে ছিটকে পড়ে অন্ধকারের অতল গহবরে নিপতিত হবে। <br />নবী (দঃ) এর নিকট মাধ্যম ব্যতিত সরাসরি আগত সর্ব স্রেষ্ঠ একটি বাক্য, যা স্বয়ং একটি সূরা, পরে ঊনিশ পারাতে সূরা নমলে আঁয়াত হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এ অতুলনীয় সর্ব স্রেষ্ট বাক্য যা একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ সূরা, তার নাম “বিসমিল্লাহ”। এ বাক্যটি কিন্তু কুরআন শরীফের বাক্য বা আয়াত নয়, “বিসমিল্লাহ” পূর্বে যে ছিলো তারই পরিচিতি আমাদেরকে জানিয়েছেন। সূরা নমলের মাধ্যমে বাতাসের “সাত”টা পর্দা প্রত্যেকটা পর্দা এক একটা জগত এ সাতটি জগতের মধ্যে একটি বিদ্যুৎ তরঙ্গ রয়েছে যার মধ্য দিয়ে বার্তা এবং চিত্র মহুর্তে আদান প্রদান করা হয়। আভ্যন্তরিন তরঙ্গ দিক, ওয়েব দিক বা চিত্র দিক অর্থাৎ আভ্যন্তরিন নেটওয়ার্ক। সর্ব শক্তিমান আলোর যত পর্দাই হোক সব আলোর পর্দা নিয়েই তিনি একক, আল্লাহ নামে পরিচিত এ নাম তাঁরই প্রদত্ত। এ নাম মানব কর্তৃক প্রদত্ত নয়। আর বিশেষ আলোচনা, কেউ কেউ বলে, নবী (দঃ) যখন আল্লাহর স্বাাতে যান, আল্লাহ এবং নবী (দঃ) এর মধ্যে দূরত্ব সত্তর হাজার পর্দা ছিলো কেউ বলেন দু- আঙ্গুলের মধ্যে দূরত্ব যত তত ছিলো, কেউ বলেন রোসনের একটি আবরনের মতো দূরত্ব ছিলো। মোট কথা মূল দূরত্বের খবর মানব জানে না। এ আলোর কোন অণু পরমাণু নেই। অণু পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্ত থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে, তার আকার থাকে। আকার না হলে, দৈঘ্য প্রস্ত হয় না। আমাদের এ আল্লাহ নামক আলোর অনু পরমাণু নেই। তাই আকার ও নেই। বর্তমানে প্রকাশিত খবর গভেষকগণ, নাকি ঈশ্বরের কণা আবিষ্কার করেছে। যার আকার থাকে তারই কণা থাকে। কিন্তু সর্ব শক্তি ধর মহান আলো যাঁর নাম “আল্লাহ” তাঁর অণু পরমাণু নেই, তাই আকারও নেই, নিরাকারে সর্ব প্রথম মুহাম্মদ (দঃ) নামের নূর সৃষ্টি করে স্বয়ং সাথে সাথেই একাকার করে রেখেছেন। আরশ নামক জগতে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (দঃ) নাম দ্বয় লিপিপটে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যা মুসলমানদের একমাত্র মুক্তির চাকি কাঠি সে মুক্তির কাঠির নাম “লা ইলাহা” ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) যারা এ এই চাকিকাটি গ্রহণ করেছে তাঁদের মুক্তি অবধারিত। স্বয়ং আল্লাহর বাণী, যারা আমার প্রদত্ত পথের পথিক হবে, আমি তাদের জন্য নরকের দ্বার চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। উদ্ধৃত বাণী অবিশ্বাসীদের জন্যে নরক দ্বার চিরকালের জন্য উন্মক্ত। নূরে মাহাম্মদ (দঃ) আল্লাহ থেকে দূরে নয়। নূরে আল্লাহ নূরে মাহাম্মদ থেকে পৃথক নয়। <br />বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ আল্লাহ রাসূল (দ:) বলে সম্বোধন করেছেন একজনকে, যেমন “ইয়া আইয়্যুহাররাসূল” “ মুহাম্মাদর রাসূলল্লাহ (দ:) এর ল্েয। বলে, মুরসালীন শব্দটি আরবিতে জমা অর্থাৎ বাংলায় বহুবচন, এজন্য মুরসালীন শব্দটি বলা সঠিক বলে মনে হয় না। কারণ, স্রষ্টা সৃষ্টি জগতের জন্য, একজন মাত্র রাসূল সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে আপন নামের সাথে, যুক্ত করে আরশে আজীমে আপননামের সাথে লিপিপটে, লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, যা প্রথম মানব আদম (আঃ) স্বয়ং প্রত্য করেছেন। স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ আর কোন রাসূল পাঠাবেন না। একল, দুল নবী এবং পয়গবর যা বলা হয়, তাঁদেরকে আল্লাহ রাসূল সম্বোধন করেননি কিন্তু প্রত্যেক জাতি বা গোত্র আল্লাহ কিছু বাণী দিয়ে নবী পাঠিয়েছিল যার নাম ছহীফে। যে তিন বড় গ্রন্থ অর্থাৎ তাওরীদ, যাবর এবং ইনজীল কিতাব তাও অসম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ গ্রন্থ একমাত্র সৃষ্ট লোকের জন্য কুরআন শরীফ প্রেরিত হয়েছে। <br /><br />নবী (দ:) যদি নূরের আলোর হয়। আঘাতে রক্তাক্ত এবং দান্দান মোবারক শহীদ হলেন কেন? মহাস্রষ্টা উনাদের উপর দিয়ে, এ সকল ঘটনা সংঘটিত করে, আমাদেরকে এ শিা প্রদান করেছেন যে, উপকার করতে গেলে কিছু তি স্বীকার করতে হবে, পেতে গেলে বিবেক-বিবেচনা, শারীরিক শ্রম শক্তি দিতে হবে সহ্য শক্তি তথা ছবর শক্তি দেখাতে হবে। লাভ করতে হলে কিছু তি স্বীকার করতে হবে। তাতে মালিক খুশি হবেন। স্রষ্টার খুশি বা সন্তুষ্টির জন্য ই-তো মহা মানবগণের আগমন ঘটে। মহা মানবগণের সহ্য-ছবর শক্তি দেখে আমরা যেন তা থেকে শিা নিতে পারি। নবী (দ:) তবিত শরীরে রক্তাক্ত কলেবরে তায়েফ বাসিদের জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করেছিলেন। মহামানবগণই মানুষকে মন্দকর্ম বা নরক কর্ম থেকে বাঁচাতে এসে আরামকে হারাম করে মানুষকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করে। <br />জন্ম দিবস সম্পর্কিত বিষয় অর্থাৎ “মিলাদ”<br />জীবদ্দশায় জন্ম দিবস পালনের প্রশ্নই আসে না। কারণ যে জন্ম নেয়, তাঁর গুণাগুণ, দানাবদান কি? বিশ্ব জাতি তাঁর থেকে কি পেয়েছে, তাঁকে স্মরণ করার জন্য? তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর কর্তৃক শান্তির বা মুক্তির পথ প্রদর্শিত হয়েছে কি? তাঁর অবদানে পুন: জাগরণের সচেতন বিবেক তাঁর আদর্শকে ধরে রাখার জন্য তাঁর জন্ম দিবস পালনের মাধ্যমে জাগরণ, সচেতনতা, সতেজ রাখার জন্য জন্ম দিবস অর্থাৎ মিলাদ অনুষ্ঠান পালন করা অনুসারিদের জন্য ফরজ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য অতিদায়িত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মরা যেন পথ ভ্রষ্ট না হয়। প্রত্যেক ধর্মানুসারিগণ তা পালন করে থাকেন, ধর্ম রার জন্য। পূর্বোদ্ধৃত বাণীটি একটি বিশেষ বাণী অতি আদরের আবদার জনিত বাণী ল্য করা যাক, উক্ত বাণীটি এত আবদারের কেন? পবিত্র কালামপাকের ২২তম পারা, ৫৬তম আয়ত বা বাক্যে একমাত্র আল্লাহর নির্ধারিত, অবধারিত, লঙ্ঘনীয়, মহান আদেশটিতে পরিলতি হচ্ছে যে, এমন একটি আদেশ, যে আদেশটি সর্বস্রেষ্ট আদেশ বলে গণ্য করা যায়। আদেশটি হলো- (ইন্নাল্লাহা= নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ, “ওয়া” (এবং) আমার মালায়েক অর্থাৎ ফিরিস্তা বা দূত্গণ (ইউছাল্লুানা) দরুদ,অর্থাৎ দোয়া, করুণা, রাহমাত,বারক্বাত জনিত শব্দ (আলান্নাবী-ই) নবী (দ:) এর ওপর বর্ষন এবং ইয়া= হে , ওহে (আই ইউহাল্লাজীনা আমানু)= আমার বিশ্বাসিগণ , (ছোয়াল্লু আলাইহি)= তাঁর ওপর দরুদ “ওয়া” (এবং) সাল্লেমু= সালাম সালামত, শান্তি জনিত বাণী বর্ষন অর্থাৎ পাঠ কর। তাসলীমা= সম্মান অর্থাৎ তাজীমের সাথে। (পূর্ণ আরবী ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাই-কাতাহু ইউছোয়াল্লুনা আলান্নাবি-ই-ইয়া আই-ইউহাল্লাজীনা আমানূ ছোয়াল্লু আলাইহী ওয়া ছাল্লেমু তাসলীমা)= অর্থ নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ এবং আমার দূতগণ অর্থাৎ ফিরিস্তাগণ আমার নবীর ওপর দরুদ এবং সালাম পাঠ করি। হে আমার বিশ্বাসীগণ তোমরাও সম্মানের সাথে অর্থাৎ তাজীমের সাথে তাঁর ওপর দরুদ এবং সালাম পাঠ কর। </div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-45787976782740372892014-11-04T20:04:00.001-08:002014-11-04T20:04:19.597-08:00আল্লাহর সর্বোত্তম আদেশ জনিত বাক্য<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
“ইক্বরা” অর্থাৎ পাঠ করুন। “ক্বারা” অর্থ পাঠ। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে প্রাণী কুলে, স্রেষ্ট প্রাণী মানব নামের প্রাণী কুল। মানব-কুল আল্লাহ হতে আদিষ্ট হচ্ছে,তাঁর স্ব-বাণীতে বলছেন বা আদেশ করছেন। “ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজী খালাক্ব” অর্থাৎ নিজ প্রতি পালকের নামে পাঠ করো। যিনি সর্বস্রষ্টা, আল্লাহর সৃষ্টি মানব কুল আল্লাহ হতে আদিষ্ট হচ্ছে যে, যে কোন বৈধ কর্মের প্রারম্ভে সৃষ্টি কর্তার নামটি সর্বপ্রথম অর্থাৎ আল্লাহর নামটি উচ্চারণ করতে। তাই জ্ঞান বিকাশের জন্য অর্থাৎ অজানাকে জানতে পাঠ এবং ভ্রমন করতেই হবে। নবী (দ:) কে দিয়ে, গগনাকাশ ভ্রমন করিয়ে তথা “মিরাজ শরীফ করিয়ে” মানব কুলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। যে জ্ঞান বিকাশেরে জন্য যত দূর ইচ্ছে চলে যাও। পরিলতি হচ্ছে স্রষ্টার আদেশ গুলোর মধ্যে সর্বোত্তম আদেশটি হচ্ছে পাঠ কর সর্বপ্রথম আমার নাম পাঠান্তে। দ্বিতীয় মহা আদেশটি হচ্ছে নবী (দ:) এর ওপর দরুদ এবং সালাম পাঠ না করলে সর্ব শেষ, প্রেরিত আল্লাহর মহা পবিত্র গ্রন্থ বা সংবিধান আল কুরআনের আওতায় ভুক্ত থাকবে না। কুরআন স্বা দিচ্ছে “সূরা আলাক্ব” <br />বি:দ্র: নবী (দ:) এর সর্বপ্রথম উচ্চারিত শব্দ ‘বিসমিল্লাহ’ দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘ইক্বরা’।<br />পূর্বোল্লেখিত উক্তিটি পুনরাবৃত্তি করছি, তা হলো স্রষ্টার সৃষ্ট সকল আত্মাই আলোরাত্মা। <br /><br />যমহা প্রলয় ময়দানের, তাঁরই মতো করে আলোতে আলো আকারে নীজেকে প্রদর্শন করাবেন এবং প্রয়োজন বাণী প্রদান করবেন। আল্লাহর প্রেরিত কোন মহা মানব তাঁকে দেখেছে কোন প্রমাণ নেই। শুধু মুসা (আঃ) দেখার জন্য অভিমান করলে, তাঁর সে বাসনা পূরণ করার ল্েয আল্লাহর নূরের ছায়া প্রদর্শন করিয়েছিলেন। কিন্তু নূরের ছায়ার প্রথম ঝলকেই মুসা (আঃ) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, নূরের ঝলকের ঝলকানীতে কূহে তূরের কিয়দাংশ জ্বলে কালো পথরে পরিণত হয়, তা আজও পরিলতি হচ্ছে এবং ল ল মানুষ দর্শনার্থে কূহেতূর পাহাড়ে ধর্না দিচ্ছে। সে জ্বলন্ত কালো পাথর এনে চুসুরমা হিসেবে ব্যবহার করছে। আমাদের নবী মুহাম্মদ (দঃ) যখন মিরাজ শরীফে অর্থাৎ আকাশ ভ্রমনাবস্থায়, যেখানে আল্লাহর সাথে কথা আদান প্রদান করেছেন, সেখানে, “ইয়া নাবী সালাম আলাইকা” বলেনি “আসসালামু আলাইকা, আইয়্যুহান্নাবিয়্যু” শব্দটি ইয়া শব্দের পরিবর্তে বলা হয়েছে। ইয়া শব্দটি ও বিনোই নম্র ভাব প্রকাশক শব্দ ব্যবহার করে মহান স্র্যষ্টা আল্লাহ তাঁরই সৃষ্টি নবী (দ:) কে সম্বোধন সূচক শব্দে ডেকে বলেছেন, “ইয়া আইয়্যূহাররাসূল” বলে আহ্বান করেছেন। শব্দটি নিকটতম এবং দূরাবস্থিত জনকে আহবান সূচক শব্দ বুঝায়। <br />নবী (দঃ) আল্লাহ থেকে দূরে অবস্থান করেননি যে, “ইয়া” সম্বোধন করে ডাক দেবেন। এত নিকটে ছিলেন যে, “ইয়া” ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি, তাই আইয়্যূন্না বিইয়্যূ” শব্দে ডেকেছেন আল্লাহ এবং নবী (দঃ) এর মধ্যে কত দূরত্ব ছিলো যদিও দু একটু বলা আছে কিন্তু মূলত বলার মতো মতা বা সে দূরত্ব মাপ যন্ত্র মানবের নেই। যদি একটু ল্য করা যায় আধা গ্লাস পানির মধ্যে বাকি আধা গ্লাসে দুধ ঢেলে দেয়া হয়, তখন দুধ পানিতে মিশে একাকার হয়ে যাবে। মিশ্রিত পানি এবং দুধ একাকার হয়েছে কিন্তু তা যাঁদের নিকট সে যন্ত্র আছে, তাঁরাই জানতে পারেন দুধ এবং পানির মধ্যে দূরত্ব কত? আমার জানা নেই। তবে মিশ্রিত দুধ এবং পানির মধ্য খানে পদার্থ পর্দা আছে তা আমাদের এই দর্শন শক্তির বাহেরে। বিসমিল্লাহ বাণীটি ঊনিশ পারায় সূরা নমলে আঁয়াত হিসেবে যুক্ত হয়ে এসেছে, তুলনাহীন, সর্ব শক্তিমান একটি বাক্য, এ বাক্যটি হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্টির এবং কুরআনে পাকের ভিত্তি। এ বাক্যটিই স্রষ্টার সৃষ্টির এবং মহা পবিত্র কুরআনে পাকের মালীক এবং রক। এ বাক্যটি যেথা প্রয়োগ করা হবে, সেখানে কোন অবৈধতা মিথ্যা কুচক্রান্ত অসত্য উক্তির স্থান নেই। এ বাক্যে রয়েছে সর্ব শক্তিমান রাহমাত, বারক্বাত, করুণা এবং শক্তির তরঙ্গ। এ বাক্যটি অবহেলিত বা লঙ্ঘীত হলে সে সর্ব শক্তিমান স্রষ্টা আল্লাহর করুনা রাহমত, বারক্বাত থেকে বঞ্চিত হবে। এ বাক্যটি থেকেই সমগ্র সৃষ্টি জগতের একটি অণু পরমাণু ও বঞ্চিত হয় না। এ বাক্য শক্তি বলেই সৃষ্টি রতি হচ্ছে। যে দিন এ আলো মহা শক্তিমান তথা আল্লাহ কে স্মরণ করার মতো কেউ থাকবে না। সে দিন মহা প্রলয় সংঘতি হবে কিছুই থাকবে না। </div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-2259928625317878512014-11-04T20:02:00.004-08:002014-11-04T20:02:59.182-08:00মহাশক্তিমান আলো (৫ম পর্ব)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
সূর্যের আলোকে যেমন বলা হয় সূর্যের আলো কিন্তু সূর্যের আলো সূর্য নয়। সূর্য আলো থেকে পৃথক নয়। চাঁদের আলো যেমন চাঁদ নয়, চাঁদও চাঁদের আলো থেকে পৃথক নয়। তেমনি মুহাম্মদ (দ:) নামের নূর বা আলো আল্লাহ হতে পৃৃথক নয়। কিন্তু মুহাম্মদ (দ:) আল্লাহ নামের নূর বা মহা আলোটি নয়। চাঁদের আলো যেমন চাঁদের সাথে-সাথে এবং সূর্যের আলো সূর্যের সাথে সাথে তেমনি আল্লাহর হাবীব নূরে মুহাম্মাদ (দ:) নূরে আল্লাহর সাথে সাথে সর্বত্র বিরাজ মান। এর ওপর বিশ্বাস না হলে সে আল্লাহ এবং রাসূল (দ:) এর ওপর বিশ্বাসী হতে পারলেন না। আল্লাহর সাথে-সাথে রাখার জন্যই তাঁর হাবীব মুহাম্মদ (দঃ) কে সর্বপ্রথম আরশে আজীমে আল্লাহর নামের সাথে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ নাম যুক্ত করে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, তার দোস্ত মুহাম্মাদি নূর সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে। আল্লাহ খাস করে নিজের সাথে সাথে রাখার জন্যই সর্বপ্রথম মুহাম্মাদি নূর সৃষ্টি করেন বলেই মুহাম্মাদ (দ:) কে আল্লাহর নূর বলা হয়। যেমন আবদুল করীমের ছেলে বলা হলে বুঝা যায় যে, তাঁর ছেলের রক্ত মাংশের সাথে করীমের রক্ত মাংশের স¯েপ্রক্ততা আছে। তা ডাক্তারি পরীায় ধরা পড়ে বলে, করীমের ছেলে বলে নিশ্চিত হয়। তাই নূরে মুহাম্মদ (দ:) এর সাথে নূরে আল্লাহর স¯েপ্রক্ততা আছে বলেই, মুহাম্মাদ (দ:) কে আল্লাহর নূর বলা হয়। করীমের ছেলেকে করীম বলা হয় নাম করীমের ছেলে করীম নয়, আর ছেলের জন্মদাতা করীম, ছেলের ছেলে নয়। দুই রক্ত মাংশে এক হলেও দুই আপন-আপন জায়গায় পৃথক পৃথক ভাবে অবস্থান করছে। এটাই চিরন্তন সত্য। করীমের সন্তান বলা হলেও করিমের সম্পূর্ণ তা সন্তানের মধ্যে নেই করীমের সন্তানের আত্মা সে মূল আত্মাটির মালিকও সন্তান নয়, সন্তানের আত্মার মালিক সৃষ্টি কর্তা। নূরে মুহাম্মদ (দঃ) এর নূরের খাস মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, মুহাম্মাদ (দ:) নয়। তাই নূর মুহাম্মদ (দ:) এর নূর তার মালীক আল্লাহর সাথে-সাথেই থাকেন। আল্লাহর খাস হাবীবে নূর মুহাম্মাদ (দ:) যদি আল্লাহর অর্থাৎ দোস্তের সাথে দোস্ত না থাকে, তবে আমাদের ঈমানী কালেমার মধ্যে আল্লাহর নামের সাথে মুহাম্মাদ (দ:) এর নাম উচ্চারিত হবে কেন? কোন মুসলিম মৃত্যুর পথিক হলে, তাকে কালেমা তাইয়্যেবা পড়িয়ে শুনীয় দিতে হবে। মৃত্যু পথিক সচেতন না থাকুন, সে শুনতে পেলে শান্তি পায়। ক্বুর আন এবং হাদীস শরীফে এর বর্ণনা রয়েছে। যত নবী রাসূলগণ এসেছেন প্রত্যেকই ক্ববরের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে সালাম দোয়া পাঠ এবং কথা আদান প্রদান করতেন। তার কালেমা তাইয়্যেবা সাথে মুহাম্মাদ (দ:) এর নাম উচ্চারিত না হলে, তার মুসলিম পরিচিতি থাকে না। নবী (দ:) এর সহ যোগিতা বা শুফারিস পাবে না। আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ (দ:) কে ইন্টারনেট ওয়েব সাইডের মতো মহা স্রষ্টার স্বীয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাঁদেরকে অর্থাৎ আল্লাহ এবং রাসূল (দ:) কে স্মরণ নামের শক্তি দ্বারা অন্তর গভীরে কিক করলেই অন্তর দৃষ্টিতে দেখা যাবে অর্থাৎ নূর বা আলো দেখা যাবে মুহাম্মাদ (দ:) কে আকারেও দেখা যাবে কারণ আল্লাহ তাঁকে আকার দিয়ে পাঠিয়েছেন। অণু-পরমাণু, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, ইউরিনিয়াম, ফোলানিয়াম, দর্শন করার মতো যাঁদের দৃষ্টি রয়েছে তাঁরাই তা দর্শন করতে পারেন। তাই আল্লাহ এবং রাসূল (দ:) কে দর্শন শক্তি অর্জন করেন যাঁরা, কেবল তাঁরাই নূরে মুহাম্মাদ (দ:) কে আকারে দেখতে পান, তাঁকে আকার দিয়ে মানুষের মতো করে একালে পাঠিয়ে ছিলেন। প্রাণী কুলকে জীবন জীবিকার পথ প্রদর্শনের জন্য আলোর প্রয়োজন। সে আলোর উৎপত্তির স্থল বা কেন্দ্র সূর্য। যাকে আমরা একটি আলোর গোলক পিন্ড হিসেবে দেখতে পাই। সে আলোরই গোলক পিন্ড কি প্রস্তর গোলক পিন্ডের আলোটি কোথা হতে নির্গত হচ্ছে, সঠিক বলার মত খবর এখানো পাওয়া যায়নিই। “নাসা” রকেটের সাহায্যে যে পরীাটি চালিয়ে ছিলো তা থেকে কোন খবর এখনও আসেনি সম্ভবত আর আসবেও না পরস্পর শুনা যাচ্ছিলো রকেটটি জুলে গেছে। আল্লাহ নামের নূরের গোলক পিন্ড বলতে কিছু নেই, অণু-পরমাণু ও নেই, কারণ তিনি নিরাকার, তাঁর আকার নেই। অণু-পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে তার আকার থাকে। আল্লাহ নামের আলোটি শুধু আলো আর আলো। মূসা (আ:) আল্লাহর আলো প্রদর্শনের জন্য যখন বারবার প্রার্থনা করেছেন তখন আলোর একটু ছায়া প্রদর্শন করিয়েছেন তাতে মূসা (আ:) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, সে ছায়ার আলোর ঝলকে অহুদ পাহাড়ের কিয়দাংশ জুলে কালো পাথরে পরিণত হয়, যা আজ আমরা চোখের সুরমা হিসেবে ব্যবহার করি এবং পাহাড়টি প্রদর্শনের জন্য বিশ্ব থেকে মানুষ আজও গমগামান করছে। </div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-55083853970749555612014-10-25T22:53:00.001-07:002014-10-25T22:53:07.919-07:00মহাশক্তিমান আলো (চতুর্থ পর্ব)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
মহা প্রলয় ময়দানের, তাঁরই মতো করে আলোতে আলো আকারে নীজেকে প্রদর্শন করাবেন এবং প্রয়োজন বাণী প্রদান করবেন। আল্লাহর প্রেরিত কোন মহা মানব তাঁকে দেখেছে কোন প্রমাণ নেই। শুধু মুসা (আঃ) দেখার জন্য অভিমান করলে, তাঁর সে বাসনা পূরণ করার ল্েয আল্লাহর নূরের ছায়া প্রদর্শন করিয়েছিলেন। কিন্তু নূরের ছায়ার প্রথম ঝলকেই মুসা (আঃ) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, নূরের ঝলকের ঝলকানীতে কূহে তূরের কিয়দাংশ জ্বলে কালো পথরে পরিণত হয়, তা আজও পরিলতি হচ্ছে এবং ল ল মানুষ দর্শনার্থে কূহেতূর পাহাড়ে ধর্না দিচ্ছে। সে জ্বলন্ত কালো পাথর এনে চুসুরমা হিসেবে ব্যবহার করছে। আমাদের নবী মুহাম্মদ (দঃ) যখন মিরাজ শরীফে অর্থাৎ আকাশ ভ্রমনাবস্থায়, যেখানে আল্লাহর সাথে কথা আদান প্রদান করেছেন, সেখানে, “ইয়া নাবী সালাম আলাইকা” বলেনি “আসসালামু আলাইকা, আইয়্যুহান্নাবিয়্যু” শব্দটি ইয়া শব্দের পরিবর্তে বলা হয়েছে। ইয়া শব্দটি ও বিনোই নম্র ভাব প্রকাশক শব্দ ব্যবহার করে মহান স্র্যষ্টা আল্লাহ তাঁরই সৃষ্টি নবী (দ:) কে সম্বোধন সূচক শব্দে ডেকে বলেছেন, “ইয়া আইয়্যূহাররাসূল” বলে আহ্বান করেছেন। শব্দটি নিকটতম এবং দূরাবস্থিত জনকে আহবান সূচক শব্দ বুঝায়। <br />নবী (দঃ) আল্লাহ থেকে দূরে অবস্থান করেননি যে, “ইয়া” সম্বোধন করে ডাক দেবেন। এত নিকটে ছিলেন যে, “ইয়া” ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি, তাই আইয়্যূন্না বিইয়্যূ” শব্দে ডেকেছেন আল্লাহ এবং নবী (দঃ) এর মধ্যে কত দূরত্ব ছিলো যদিও দু একটু বলা আছে কিন্তু মূলত বলার মতো মতা বা সে দূরত্ব মাপ যন্ত্র মানবের নেই। যদি একটু ল্য করা যায় আধা গ্লাস পানির মধ্যে বাকি আধা গ্লাসে দুধ ঢেলে দেয়া হয়, তখন দুধ পানিতে মিশে একাকার হয়ে যাবে। মিশ্রিত পানি এবং দুধ একাকার হয়েছে কিন্তু তা যাঁদের নিকট সে যন্ত্র আছে, তাঁরাই জানতে পারেন দুধ এবং পানির মধ্যে দূরত্ব কত? আমার জানা নেই। তবে মিশ্রিত দুধ এবং পানির মধ্য খানে পদার্থ পর্দা আছে তা আমাদের এই দর্শন শক্তির বাহেরে। বিসমিল্লাহ বাণীটি ঊনিশ পারায় সূরা নমলে আঁয়াত হিসেবে যুক্ত হয়ে এসেছে, তুলনাহীন, সর্ব শক্তিমান একটি বাক্য, এ বাক্যটি হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্টির এবং কুরআনে পাকের ভিত্তি। এ বাক্যটিই স্রষ্টার সৃষ্টির এবং মহা পবিত্র কুরআনে পাকের মালীক এবং রক। এ বাক্যটি যেথা প্রয়োগ করা হবে, সেখানে কোন অবৈধতা মিথ্যা কুচক্রান্ত অসত্য উক্তির স্থান নেই। এ বাক্যে রয়েছে সর্ব শক্তিমান রাহমাত, বারক্বাত, করুণা এবং শক্তির তরঙ্গ। এ বাক্যটি অবহেলিত বা লঙ্ঘীত হলে সে সর্ব শক্তিমান স্রষ্টা আল্লাহর করুনা রাহমত, বারক্বাত থেকে বঞ্চিত হবে। এ বাক্যটি থেকেই সমগ্র সৃষ্টি জগতের একটি অণু পরমাণু ও বঞ্চিত হয় না। এ বাক্য শক্তি বলেই সৃষ্টি রতি হচ্ছে। যে দিন এ আলো মহা শক্তিমান তথা আল্লাহ কে স্মরণ করার মতো কেউ থাকবে না। সে দিন মহা প্রলয় সংঘতি হবে কিছুই থাকবে না। <br />
<h3 style="text-align: left;">
আলোর নবী মুহাম্মদ (দঃ) </h3>
<div style="text-align: left;">
“নূরে আল্লাহ” কে আমরা আল্লাহ শব্দ দ্বারা আমাদের স্রষ্টাকে স্মরণ করি, তিনি সর্ব শেষ সর্ব শক্তিধর একটি আলো, যে আলোর কোন মেছাল বা উদাহরণ সৃষ্টি জগতে নেই। তিনি আলোর কত পর্দা দ্বারা আবৃত বা আল্লাহ নামক আলোর কত গভীরে অবস্থান করছে কারো বলার মতা নেই। যেমন আমরা বাতাস বা হাওয়া নামক পদার্থের মধ্যে জীবন যাপন করছি জান্তাম না। বৈজ্ঞানীকগণ অর্থাৎ গবেষকগণ তা আবিষ্কার করেছেন। আল্লাহর বাণী “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমানু) আদর বিনোই অর্থাৎ আবদারের সাথে আহবান সূচক বাক্য। হে, ওহে এইযে, আমার বিশ্বাসীগণকে ডাকছি। তোমরা আমার দিকে ল্য কর এবং আমার বাণীটির দিকে মনোনিবেশ কর। আমি তোমাদের ল্েয বলছি “আমি এবং আমার ফিরিস্তাগণ অর্থাৎ আমার দুতগণ দরূদ অর্থাৎ দোয়া করুণা রাহমাত বারক্বাত স্বরূপ (ছোয়াল্লু) শব্দটি পাঠ করি অর্থাৎ পড়ি আমার হাবীব দোস্ত নবী (দঃ) এর ওপর। হে, ওহে আমার ওপর বিশ্বাসীগণ তোমরাও তাঁর ওপর “দরূদ” অর্থাৎ দোয়া রাহামত, বারাক্বাত করুণা সূচক পাঠ কর অর্থাৎ পড়ো এবং সম্মানের সাথে অর্থাৎ তাজীমের আদবের সাথে সালাম, তথা, সালামত, অর্থাৎ শান্তি সূচক শব্দটি তথা সালাম পাঠ। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, উদ্ধৃতোক্তিটি, অতি আবদার জনিত আহবান সূচকোক্তি। আল্লাহর এই করুণ বিনোই সূচক আহবান, আবদার জনিত আহবানটি বা আদেশটি লঙ্ঘীত হলে, সে কুরআন শরীফের আওয়াতয় থাকবে না, তা সহজে বুঝার মতো ইশারা রয়েছে। এ আদেশ আল্লাহর। আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘনকারী মুনাফিক নিমকহারামের দরজায় পড়ে তাই সে আল্লাহর করুণা হতে বঞ্চিত হবে। সে আল্লাহর পবিত্র ঘরে প্রবেশের অধিকার হতে ছিটকে পড়ে অন্ধকারের অতল গহবরে নিপতিত হবে। <br />নবী (দঃ) এর নিকট মাধ্যম ব্যতিত সরাসরি আগত সর্ব স্রেষ্ঠ একটি বাক্য, যা স্বয়ং একটি সূরা, পরে ঊনিশ পারাতে সূরা নমলে আঁয়াত হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এ অতুলনীয় সর্ব স্রেষ্ট বাক্য যা একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ সূরা, তার নাম “বিসমিল্লাহ”। এ বাক্যটি কিন্তু কুরআন শরীফের বাক্য বা আয়াত নয়, “বিসমিল্লাহ” পূর্বে যে ছিলো তারই পরিচিতি আমাদেরকে জানিয়েছেন। সূরা নমলের মাধ্যমে বাতাসের “সাত”টা পর্দা প্রত্যেকটা পর্দা এক একটা জগত এ সাতটি জগতের মধ্যে একটি বিদ্যুৎ তরঙ্গ রয়েছে যার মধ্য দিয়ে বার্তা এবং চিত্র মহুর্তে আদান প্রদান করা হয়। আভ্যন্তরিন তরঙ্গ দিক, ওয়েব দিক বা চিত্র দিক অর্থাৎ আভ্যন্তরিন নেটওয়ার্ক। সর্ব শক্তিমান আলোর যত পর্দাই হোক সব আলোর পর্দা নিয়েই তিনি একক, আল্লাহ নামে পরিচিত এ নাম তাঁরই প্রদত্ত। এ নাম মানব কর্তৃক প্রদত্ত নয়। আর বিশেষ আলোচনা, কেউ কেউ বলে, নবী (দঃ) যখন আল্লাহর স্বাাতে যান, আল্লাহ এবং নবী (দঃ) এর মধ্যে দূরত্ব সত্তর হাজার পর্দা ছিলো কেউ বলেন দু- আঙ্গুলের মধ্যে দূরত্ব যত তত ছিলো, কেউ বলেন রোসনের একটি আবরনের মতো দূরত্ব ছিলো। মোট কথা মূল দূরত্বের খবর মানব জানে না। এ আলোর কোন অণু পরমাণু নেই। অণু পরমাণুর দৈর্ঘ্য প্রস্ত থাকে। যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে, তার আকার থাকে। আকার না হলে, দৈঘ্য প্রস্ত হয় না। আমাদের এ আল্লাহ নামক আলোর অনু পরমাণু নেই। তাই আকার ও নেই। বর্তমানে প্রকাশিত খবর গভেষকগণ, নাকি ঈশ্বরের কণা আবিষ্কার করেছে। যার আকার থাকে তারই কণা থাকে। কিন্তু সর্ব শক্তি ধর মহান আলো যাঁর নাম “আল্লাহ” তাঁর অণু পরমাণু নেই, তাই আকারও নেই, নিরাকারে সর্ব প্রথম মুহাম্মদ (দঃ) নামের নূর সৃষ্টি করে স্বয়ং সাথে সাথেই একাকার করে রেখেছেন। আরশ নামক জগতে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (দঃ) নাম দ্বয় লিপিপটে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যা মুসলমানদের একমাত্র মুক্তির চাকি কাঠি সে মুক্তির কাঠির নাম “লা ইলাহা” ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) যারা এ এই চাকিকাটি গ্রহণ করেছে তাঁদের মুক্তি অবধারিত। স্বয়ং আল্লাহর বাণী, যারা আমার প্রদত্ত পথের পথিক হবে, আমি তাদের জন্য নরকের দ্বার চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। উদ্ধৃত বাণী অবিশ্বাসীদের জন্যে নরক দ্বার চিরকালের জন্য উন্মক্ত। নূরে মাহাম্মদ (দঃ) আল্লাহ থেকে দূরে নয়। নূরে আল্লাহ নূরে মাহাম্মদ থেকে পৃথক নয়। <br />বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ আল্লাহ রাসূল (দ:) বলে সম্বোধন করেছেন একজনকে, যেমন “ইয়া আইয়্যুহাররাসূল” “ মুহাম্মাদর রাসূলল্লাহ (দ:) এর ল্েয। বলে, মুরসালীন শব্দটি আরবিতে জমা অর্থাৎ বাংলায় বহুবচন, এজন্য মুরসালীন শব্দটি বলা সঠিক বলে মনে হয় না। কারণ, স্রষ্টা সৃষ্টি জগতের জন্য, একজন মাত্র রাসূল সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে আপন নামের সাথে, যুক্ত করে আরশে আজীমে আপননামের সাথে লিপিপটে, লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, যা প্রথম মানব আদম (আঃ) স্বয়ং প্রত্য করেছেন। স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ আর কোন রাসূল পাঠাবেন না। একল, দুল নবী এবং পয়গবর যা বলা হয়, তাঁদেরকে আল্লাহ রাসূল সম্বোধন করেননি কিন্তু প্রত্যেক জাতি বা গোত্র আল্লাহ কিছু বাণী দিয়ে নবী পাঠিয়েছিল যার নাম ছহীফে। যে তিন বড় গ্রন্থ অর্থাৎ তাওরীদ, যাবর এবং ইনজীল কিতাব তাও অসম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ গ্রন্থ একমাত্র সৃষ্ট লোকের জন্য কুরআন শরীফ প্রেরিত হয়েছে। </div>
</div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-63405506150687990102014-09-21T21:37:00.002-07:002014-09-21T21:37:32.380-07:00অবগতির জন্য<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
“আব.এ. জমজম সম্পর্কিত” উম্মুল মূমীনীন “মা” হাজেরা (আ:) কে হযরত ইব্রাহীম (আ:) যখন “ছাফাহ্ এবং মারওয়াহ” নামক পাহাড় দ্বয়ের মধ্য ভাগে নির্বাসনে রেখে গেলে মুরু ভুমির মধ্যে প্রখর রোদ্র তাপে তাপিত প্রাণে পিপাসায় পিপাসিত হয়ে, ছাফাহ্ এবং মারওয়াহ পাহাড় দ্বয়ের মধ্যে পানির সন্ধানে ধাবিত হতে লাগলেন তখন তাঁর নয়নের মণি, কলিজার টুকরো, আল্লাহর প্রেরিত নবী হযরত ইসমাইল (আ:) দুধের পিপাসায় পিপাসিতাবস্থায় উত্তপ্ত বালূর মুরুতে পিপাসিত। ইব্রাহিম (আঃ) এর দুগ্ধ শিশু ইসমাইল (আ:) হাত,পা ঝাকরাতে-ঝাকরাতে ক্রন্দনরতাবস্থায় তাঁর পবিত্র পদদ্বয়ের আঘাতে পায়ের বালু সরে যাওয়াতে একটি আধারের সৃষ্টি হলো। উক্তাধারে পানির ঝর্ণা প্রবাহিত হতে লাগলে, উম্মুল মূমীনীন “মা” হাজেরা (আ:) প্রত্যক্ষ করলেন এবং আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে, আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং বললেন জম-জম অর্থাৎ থাম-থাম এখান থেকে নাম করণ করা হয় আব জম-জম (আব ফার্সি শব্দ অর্থ পানি) এ প্রবাহমান পানিকে ধরে রাখার জন্য বালির দেয়াল বানিয়ে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলেন। ক্রমে ক্রমে গভীর থেকে গভীরতর কুপের সৃষ্টি এবং আল্লাহর ঘর অর্থাৎ “বায়তুল্লাহ্ শরীফ” কুপের পাশেই আবিষ্কার হলো। ইসলামী ইতিহাসে এর বৃত্তান্ত জানা যাবে “তাওয়ারীখে” পানি জমা হতে হতে কুপে পরিণত হয়েছে এর পানি মিষ্টি এবং রোগ প্রতিষেধক। তাই সমগ্র মুসলীম দুনাইয়া বোতল ভরে ছোট বড় ড্রামে নিত হয়। পানির কমতি নেই বর্তমানে যন্ত্রের মাধ্যমে উত্তলিত হয়। আল্লাহর কুদ্রাতে পানি এসে জমা হয়। “জম শব্দটি আরবী ভাষা জম অর্থ থাম, পানি থামা অবস্থায় যে বরাবর ছিলো এখনও তেমনই রয়েছে কম বা বেশী নয় একই অবস্থানে রয়েছে।</div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-38943818241686122662014-09-12T22:56:00.005-07:002014-09-12T22:56:57.593-07:00Great Mistake of Bangla Academy<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:WordDocument>
<w:View>Normal</w:View>
<w:Zoom>0</w:Zoom>
<w:TrackMoves/>
<w:TrackFormatting/>
<w:PunctuationKerning/>
<w:ValidateAgainstSchemas/>
<w:SaveIfXMLInvalid>false</w:SaveIfXMLInvalid>
<w:IgnoreMixedContent>false</w:IgnoreMixedContent>
<w:AlwaysShowPlaceholderText>false</w:AlwaysShowPlaceholderText>
<w:DoNotPromoteQF/>
<w:LidThemeOther>EN-US</w:LidThemeOther>
<w:LidThemeAsian>X-NONE</w:LidThemeAsian>
<w:LidThemeComplexScript>X-NONE</w:LidThemeComplexScript>
<w:Compatibility>
<w:BreakWrappedTables/>
<w:SnapToGridInCell/>
<w:WrapTextWithPunct/>
<w:UseAsianBreakRules/>
<w:DontGrowAutofit/>
<w:SplitPgBreakAndParaMark/>
<w:DontVertAlignCellWithSp/>
<w:DontBreakConstrainedForcedTables/>
<w:DontVertAlignInTxbx/>
<w:Word11KerningPairs/>
<w:CachedColBalance/>
</w:Compatibility>
<w:BrowserLevel>MicrosoftInternetExplorer4</w:BrowserLevel>
<m:mathPr>
<m:mathFont m:val="Cambria Math"/>
<m:brkBin m:val="before"/>
<m:brkBinSub m:val="--"/>
<m:smallFrac m:val="off"/>
<m:dispDef/>
<m:lMargin m:val="0"/>
<m:rMargin m:val="0"/>
<m:defJc m:val="centerGroup"/>
<m:wrapIndent m:val="1440"/>
<m:intLim m:val="subSup"/>
<m:naryLim m:val="undOvr"/>
</m:mathPr></w:WordDocument>
</xml><![endif]--><br />
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:LatentStyles DefLockedState="false" DefUnhideWhenUsed="true"
DefSemiHidden="true" DefQFormat="false" DefPriority="99"
LatentStyleCount="267">
<w:LsdException Locked="false" Priority="0" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Normal"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="heading 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 7"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 8"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="9" QFormat="true" Name="heading 9"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 7"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 8"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" Name="toc 9"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="35" QFormat="true" Name="caption"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="0" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Title"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="1" Name="Default Paragraph Font"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="0" Name="Body Text"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="11" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Subtitle"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="22" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Strong"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="20" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Emphasis"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="59" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Table Grid"/>
<w:LsdException Locked="false" UnhideWhenUsed="false" Name="Placeholder Text"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="1" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="No Spacing"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" UnhideWhenUsed="false" Name="Revision"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="34" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="List Paragraph"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="29" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Quote"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="30" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Intense Quote"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3 Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid Accent 1"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3 Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid Accent 2"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3 Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid Accent 3"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3 Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid Accent 4"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3 Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid Accent 5"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="60" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Shading Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="61" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light List Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="62" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Light Grid Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="63" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 1 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="64" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Shading 2 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="65" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 1 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="66" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium List 2 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="67" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 1 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="68" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 2 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="69" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Medium Grid 3 Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="70" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Dark List Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="71" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Shading Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="72" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful List Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="73" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" Name="Colorful Grid Accent 6"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="19" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Subtle Emphasis"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="21" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Intense Emphasis"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="31" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Subtle Reference"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="32" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Intense Reference"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="33" SemiHidden="false"
UnhideWhenUsed="false" QFormat="true" Name="Book Title"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="37" Name="Bibliography"/>
<w:LsdException Locked="false" Priority="39" QFormat="true" Name="TOC Heading"/>
</w:LatentStyles>
</xml><![endif]--><!--[if gte mso 10]>
<style>
/* Style Definitions */
table.MsoNormalTable
{mso-style-name:"Table Normal";
mso-tstyle-rowband-size:0;
mso-tstyle-colband-size:0;
mso-style-noshow:yes;
mso-style-priority:99;
mso-style-qformat:yes;
mso-style-parent:"";
mso-padding-alt:0in 5.4pt 0in 5.4pt;
mso-para-margin:0in;
mso-para-margin-bottom:.0001pt;
mso-pagination:widow-orphan;
font-size:11.0pt;
font-family:"Calibri","sans-serif";
mso-ascii-font-family:Calibri;
mso-ascii-theme-font:minor-latin;
mso-fareast-font-family:"Times New Roman";
mso-fareast-theme-font:minor-fareast;
mso-hansi-font-family:Calibri;
mso-hansi-theme-font:minor-latin;
mso-bidi-font-family:"Times New Roman";
mso-bidi-theme-font:minor-bidi;}
</style>
<![endif]--><table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="float: right; margin-left: 1em; text-align: right;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg7f1KSDJ_b1jTRMteDucUzrk-2n0gYmuloeeBGCB7n54Ei_iSQ-KX1GnpK9HSwg9iP_C9McyBk_hEPW8oGJtt0saTsnGa4LjUyCdUj6iivv1zCtg9XYezf7_nx_4I1pLCqmow-QWu7Soo4/s1600/Bangla+Academy.jpeg" imageanchor="1" style="clear: right; margin-bottom: 1em; margin-left: auto; margin-right: auto;"><img alt="Bangla Dictionary" border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg7f1KSDJ_b1jTRMteDucUzrk-2n0gYmuloeeBGCB7n54Ei_iSQ-KX1GnpK9HSwg9iP_C9McyBk_hEPW8oGJtt0saTsnGa4LjUyCdUj6iivv1zCtg9XYezf7_nx_4I1pLCqmow-QWu7Soo4/s1600/Bangla+Academy.jpeg" title="Bangla Academy" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">Bangla Academy Abidhan</td></tr>
</tbody></table>
<br />
<h4 class="MsoBodyText" style="text-align: left;">
<span style="font-family: "Times New Roman","serif";"> </span>In the 115 page of Bangla Academy Bengali functional
dictionary published by Bangla Academy in 2002 the identify of Ab Zamzam well
is only shown below because the writing regarding identity of Ab Zamzam well by
a letter, its meaning and sentence are not correct.</h4>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: "Times New Roman","serif";"> As
regards ‘Abe Zam Zam’ for information it is informed when Hazrat Ibrahim (A)
left in exile Ummulmuminin “Mother” Hazera (A) between the mountains named
“safah<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>& marwah” then she became
thirsty due to very blaze of sun inside the desert & being thirsty she
started running helter-skelter in search of water then eye ball of her eye, a
piece of the liver, the prophet sent by the Allah Hazraat Ismail (A) was
thirsty in the desert of the heated sands being thirsty with the thirst of
milk. Infant Ismail (A) started crying shaking his hand, feet & when sands
were removed by the strikes of feet of his holy legs a hole was created.
Fountain of water started flowing from the said hole, and the ummulmuminin
“Mother” Hazera (A) witnessed it & being overwhelmed with pleasure started
expressing gratitude to the court of Allah. She made arrangement for
preservation for water by making walls of sands to retain the flowing water.
Slowly the well was deepened & it was discovered by the side of house of
Allah that is “Baitullah Sharif” well. In the history of Islam the description
of it can be known. Well was created from deposit of water in “Tawarikh” &
its water is sweet & an antidote to diseases. So, the entire Muslim world
collects water is small & big drum after filling it in bottle. There is no
dearth of water. At present water id drawn by machine. Water is collected in
well of Allah. The word “Zam is an Arabic word, zam means collection. As water
is collected so the name “Abe zam zam” has been coined. The world Aab means in
Arabic water that is collected water. As it was before it is so still today
& it is more or less in the same location.</span></div>
</div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-20309026025813334542014-09-10T00:52:00.002-07:002014-09-10T00:52:39.026-07:00সর্বশক্তিমান মহা আলো (তৃতীয় অংশ)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
রেসাল অর্থ পত্র যিনি আল্লাহর পত্র বহন করেন তাকে রাসূল বলা হয় অর্থাৎ পত্র বাহক, তিনি আল্লাহ সর্বশেষ পত্র বা গ্রন্থ অর্থাৎ মুক্ত বাণী ‘আল-কুরআন’ দিয়ে গেলেন বলেই তাঁকে রাসূলাল্লাহ্ বলা হয়। <br />বিঃদ্রঃ মহা আল্লাহর অবস্থান অসীমে, অসীমে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সীমিতাংশের নাম করণ করেছেন নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল। মন্ডল দ্বয় অসীমে একটি সীমার মধ্যে নভোমন্ডলের মধ্যেই ভূমন্ডল বা সৌরমন্ডলগুলো অবস্থান। সৌরমন্ডল বা মর্তমন্ডল গুলো, নীহারিকা, গ্ল্যাক্সি, কসমস, গ্রহ নক্ষত্র, মোট কথা স্রষ্টার যত সৃষ্টি রয়েছে, সবই সীমিত নভোসীমায় অবস্থিত। এ নভোসীমার বাহেরে অর্থাৎ আল্লাহ নামক অসীম শক্তির অসীমে আর কোন সৌরমন্ডল বা মর্তমন্ডল নেই। সুতরাং আর কোন আবিষ্কারের অবকাশ নেই। <br />
<a name='more'></a>দ্বিতীয়ত, সম্মানের সাথে ‘দরুদ’ এবং নবী (দ:) এর ওপর সালাম পাঠের মহা আদেশ। লক্ষণীয় বিষয়, সর্বশক্তিমান, আল্লাহ, কুরআন, শরীফের কোথাও এমন উক্তি করেননি, যেমন করেছেন নবী (দ:) এর ওপর সম্মানের সাথে ‘দরুদ’ এবং সালাম পাঠেরোক্তি। যেমন আমি এবং আমার ফেরেশতাগণ আমার নবী (স:) এর ওপর দরুদ আদবের সাথে সালাম, তথা সালামত, করুণা, বারক্বাত,রহমত সূচক শব্দ পাঠ করি, তোমরাও আমার অনুসরণ কর! লক্ষ্য করুণ আল্লাহর যে কোন আদেশ লঙ্ঘনকারী, জান্নাত, তথা স্বর্গ থেকে বঞ্চিত হবে। যেমন সংসদের কোন একটি সাংসদ যদি উক্ত সংসদের সংবিধানের একটি বিধান লঙ্ঘন করে সে সাংসদের স্থান আর উক্ত সংসদে নেই। এমনি সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রদত্ত অতুলনীয় মহা সংবিধান ‘আল-কুরআন’ আল কুরআনের মহাবাণী আল্লাহর মহা উক্তি মহা বিধানের অতুলনীয় মহা বিধান লঙ্ঘন করে চলেছে, মুসলিম জগতের একটি বিরাট অংশ। উদ্ধৃত মহা বাণী বা মহোউক্তি সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করেছে। উদ্ধৃত বাণীটির ন্যায় কুরআন শরীফের, কোথাও আল্লাহ এমন বাণী প্রয়োগ করেননি। যদিও নামায সম্পর্কে ৮২ বার বলেছেন, নামায কায়েম বা প্রতিষ্ঠা করতে। উদ্ধৃত বাণীর ন্যায় এমন উক্তি করেননি, যে, আমি এবং আমার ফেরেশতাগণ নামায পড়ে, তোমরাও সম্মানের সাথে নামায ক্বায়েম কর। রোজা, যাক্বাত, এবং হজ্জ সম্পর্কেও এমন উক্তি করেননি। সুতরাং প্রতিয়মান হচ্ছে যে, “বিস্মিল্লাহ্” সমগ্র সৃষ্টি জগতের ভিত্তি এবং সর্বমহা গ্রন্থ অবতীর্ণের সর্ব প্রথম আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বাধীন অবতীর্ণ শব্দ বা সূরা “বিসমিল্লাহ” বাক্যটি স্বয়ং একটি অতুলনীয় সর্বোৎকৃষ্টতম বাক্য। এ বিসমিল্লাহ বাক্যটি পূর্বেও ছিলো বলে, ১৯ পারার সূরা নমলে উদ্ধৃত করে নবী (দ:) কে অবগত করান তাই বিসমিল্লাহ শরীফের আঁয়াত বা বাক্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। স্রষ্টার সৃষ্টির জীবের মধ্যে উত্তম জীব মানব। মানব যখন সভ্যতা ছেড়ে অসভ্যতার জগতে প্রবেশ করে এবং যে সমাজ সভ্যতা হারিয়ে ফেলে, সে সমাজ বা রাষ্ট্র আদর্শ সমাজ বা রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হতে পারে না। সেখানে ন্যায়, সততা, সত্যতা, সভ্যতা, মানবতা, লজ্জা মান্যতা, আদর, স্নেহতা, পবিত্রতা, ভালবাসা থাকে না। জীব এবং বস্তু তরল বা কঠিনে আপন-আপন, ধর্মের নীতিতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে তা চিরকাল প্রতিষ্ঠিত থাকবে। মানব যখন অমানবতার জগতে প্রবেশ করে তখনি মহা মানব, কবি দার্শনিকের আবির্ভাব ঘটে, ধর্মহীনতার কোন মূল্যায়ন হয় না। ধর্মহীন বস্তু বা পদার্থের কোন মূল্য নেই, যেমন চুম্বকের ধর্ম আকর্ষণ, আকর্ষণ শক্তি যদি না থাকে সে চুম্বকের কোন মূল্যায়ন হয় না। যা ব্যবহার যোগ্য নয় বুঝতে হবে তাতে ব্যবহারের যোগ্যতা পবিত্রতা, বৈধতা, কার্যক্রম নেই সুতরাং অনুমেয় হচ্ছে যে, যা ব্যবহার যোগ্য নয় তা মূল্যহীন। যা মূল্যহীন তা অনাদৃত। সকল তরল, কঠিন, বস্তু, পদার্থ, প্রাণ স্রষ্টা থেকে ধর্ম প্রাপ্ত হয়েছে। যেমন চুম্বক পেয়েছে আকর্ষণ ধর্ম তার কর্মই আকর্ষণ করা, অন্যটা নয়। পানির ধর্ম বৃক্ষ তথা উদ্ভিদ জগতে বা প্রাণ জগতে বর্ষিত হয়ে সতেজ, সচেতন করা। তৃষ্ণার্থের, পিপাসা নিবারণ করা। বৃক্ষের ধর্ম অক্সিজেন, ছায়া এবং ফল দান করা। মানব ব্যতীত সকল জগত যে ধর্ম পেয়েছে সে, সে ধর্ম মতে কর্ম করে যাচ্ছে। অন্য কিছু করার মতো বা আপন মতে রুপান্তর করে ভোগ করার জ্ঞান বা বিবেক প্রাপ্ত হয়নি। একমাত্র মানবই তা পেয়েছে। স্রষ্টার সৃষ্টি জগতকে বিভিন্ন রূপে রুপান্তর করে ভোগছে তাই তাদের মধ্যে দিক নিদের্শক মহামানব প্রেরিত হন। তাই আক্বল জ্ঞান, প্রাপ্তির মূল্য দিতে হবে। অবৈধকে পরিহার করে বৈধতাকে প্রাধন্য দিয়ে। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, মানবজাতির জন্য ধর্মই কর্ম, কর্মই ধর্ম নয়। কারণ অবৈধতা জ্ঞান বিবেকের কর্ম নয় বলে, কর্ম হিসেবে গণ্য হয় না। তাই মানবজাতির কর্মই ধর্ম নয়, ধর্মই কর্ম, ধর্মীয় দৃষ্টিতে যা গ্রহণীয় তাকে কর্ম হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। অন্য সব সৃষ্টি জগতে নির্দিষ্ট যে কর্মটি প্রাপ্ত হচ্ছে তাছাড়া অন্যটা করার ক্ষমতা নেই বিধায় আপন-আপন প্রাপ্ত কর্মটি সম্পন্ন করে যায়। চুম্বকের কর্ম বা ধর্ম একটাই, আকর্ষণ করা। তার এ আকর্ষণ শক্তি হারিয়ে গেলে তার কোন মূল্য নেই কারণ সে কর্মহীনাবস্থায়, এখন সে নিষ্প্রাণ প্রাণহীনকে মৃত বলা হয়। তার কোন মূল্যায়ন নেই, মূল্যহীন নি®প্রাণ একটি জড় বস্তু মাত্র। সৃষ্টি জগতের অন্য কোন জীব, বস্তু, প্রাণের স্রষ্টার সৃষ্টির মর্ম বুঝার রূপ রং রস আপন চাওয়া বিবেক মোতাবেক প্রস্তুত করে ভোগ করার মতো ক্ষমতা নেই। কিন্তু মানব, তা পারে কারণ তারা বৈধ-অবৈধ বুঝার মতো আক্বল জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। তারা জ্ঞান থেকে বাচতে শিখেছে। অসত্যতা, অসভ্যতা, তাদের কর্ম নয় মহামানব কর্তৃক আনিত মহা গ্রন্থের বিধান পালন, তাদের ধর্ম, ধর্মীয় দৃষ্টিতে যা গ্রহণীয় তা-ই তাদের কর্ম বা ধর্ম। সুতরাং মানবজাতির জন্য ধর্মই কর্ম যা ধর্ম নয় তা কর্ম নয়। তাই মানবের জন্য ধর্মই কর্ম। কর্মই ধর্ম বাক্যটি মানবের তরে নয়। মহামানবগণের মাধ্যমে অবতীর্ণ বিধি-বিধান অর্থাৎ সর্বশক্তিমান অপরূপ শক্তিধর “আল্লাহ্” নামক আলোর প্রদত্ত বিধান অনুসরণেই অসভ্যতার সমাজ, সভ্য সমাজে পরিণত হয়। মহামানবগণ নিজেস্ব কোন বাণী প্রয়োগ করার অনুমতি প্রাপ্ত হন না। মহামানবগণ স্রষ্টা হতে যে বাণী প্রাপ্ত হন, তাকে স্রষ্টার বিধান বাণী তথা নীতি বাণী বলা হয়। স্রষ্টার বাণীগুলো হতে, যে কোন একটি বাক্য বা বাণীকে উপেক্ষা, অবহেলা, এঙ্কার, তুচ্ছ, এবং অবমূল্যায়ন করে বা ত্যাগ করলে, স্রষ্টা প্রদত্ত সে বাণী বা বিধানের সীমায় অবস্থান করার অধিকার রাখে না বা সে, সে ধর্মের আওতাভুক্ত থাকবে না। “কুরআনে কারীমের সর্বস্রেষ্ট বাক্যটির বিষয় আলোচনা”<br /><br />সর্ব স্রেষ্ট বাক্যটি পারা নং ২২ (বাইশ) কুরআনে কারীমের বাইশতমাংশের ৫৬তম বাক্যটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে বুঝা যা যে, বাক্যটি কুরআনে কারীমের সকল বাক্য বা আদেশ থেকে সর্বোত্তম বাক্য বা আদেশ। মহা গ্রন্থ আল কুরআনে কোথাও এমন বাক্যোক্তি করা হয়নি যে, আমিও করি আমার ফেরেস্তারাও অর্থাৎ আমার দূতেরাও করে, হে আমার বিশ্বাসীগণ, আমার কৃত কর্মটি তোমরাও সম্মানের সাথে সম্পূর্ণ কর!। পূর্বোদ্ধৃত বাক্যটি হলো “ইন্নাল্লাহা= নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ এবং আমার দূত বা ফেরেস্তাগণ ছোয়াল্লু আলাইহি অর্থাৎ তাঁর ওপর দরুদ পড়ি অর্থাৎ দোয়া তথা রহমত, বারক্বাত, করুণা, বর্ষণ করি আলান নাবীই, আলা অর্থ ওপর অর্থাৎ আমার দোস্ত আমার হাবীবের ওপর অর্থাৎ। আমার নবীর ওপর তথা মুহাম্মাদ (স:) এর ওপর। করুণাময় আল্লাহ করুণার সাথে বলছেন, ইয়া- অর্থাৎ হে, ওহে ওগো এই যে, তোমরা যারা আমার ওপর বিশ্বাস করেছ, সন্ধোধন সূচক হে আমার বিশ্বাসীগণ তোমরাও আমার দোস্ত, হাবীব, মুহাম্মাদ (দ:) এর ওপর, দরুদ অর্থাৎ দোয়া করুণা, রহমত, বারক্বাত, সূচক শব্দ পাঠ কর বা রহমত বর্ষণ কর। এবং সম্মানের সাথে তাজীমের সাথে সালাম পাঠ কর তথা সালামত শান্তি বর্ষণ কর! পূর্ণ বাক্যটি (ইন্নাল্লাহা-ওয়া-মালাই=কাতাহু ইউ ছোয়াল্লাুনা আলান্নাবীই ইয়া-আই-ইউহাল্লাজীনা- আমানু ছোয়াল্লু আলাইহী ওয়া সাল্লেমু তাসুলীমা”)। আমি এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী (দ:) এর ওপর দরুদ পড়ি, হে, আমার বিশ্বাসীগণ তোমরাও সম্মানের অর্থাৎ তাজীমের সাথে দরুদ এবং সালাম পাঠ কর। মহাগ্রন্থ কুরআনে কারীমের উদ্ধৃতোক্তিটি সর্বোৎকৃষ্টতম উক্তি, যে কর্তৃক লঙ্ঘীত হবে সে আল্লাহর রহমত, বরক্বাত, করুণা এবং জান্নাত অর্থাৎ স্বর্গ থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহর, সে আদেশ সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম সর্বোৎকৃষ্টতম সর্বপ্রথম আদেশটির প্রতি দৃষ্টি বিবদ্ধ করা যাক। জিব্রাঈল (আ:) এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম সর্বপ্রধান আদেশ সূচকোক্তিটি, (ইক্বরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজী খালাক) উদ্ধৃতোক্তিটি উচ্চারিত হওয়ার পূর্বে জিব্রাঈল (আ:) এবং নবী (দ:) এর মধ্যে আলীঙ্গন হওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি শিক্ষাপ্রাপ্ত, উচ্চারিত শব্দটি-ই কুরআনে কারীমে সর্বপ্রথম উচ্চারিত শব্দ। ‘ইক্বরা’ প্রথম উচ্চারিত শব্দ নয় প্রথম উচ্চারিত শব্দটি ব্যতীত, নবী পাক (দ:) (ইক্বরা) উচ্চারণ করেননি। যাঁর নাম উচ্চারণান্তে ইক্বরা শব্দটি পাঠের আর্দিষ্ট হচ্ছেন। তাঁর সে নাম সূচক শব্দটি হচ্ছে, (আল্লাহ) এ আল্লাহ নামে বাক্যটি উচ্চারণান্তে ইক্বরা শব্দ উচ্চারণ করতে আর্দিষ্ট হচ্ছেন অর্থাৎ (আল্লাহর নামে) বাক্যটি “বিসমিল্লাহ্”। বিশেষ লক্ষণীয় বিষয়ঃ নামাযের মধ্যে যে দরুদে ইব্রাহীম (আ:) এবং সালাম পাঠ করা হয় তা হচ্ছে যে তাশাহুদের মধ্যে পাঠের জন্য নির্দিষ্ট। আল্লাহ এবং ফেরেস্তাগণ দরুদ এবং সালাম পাঠ করেন। যে কোন সময় পবিত্রাবস্থায় পাঠ করতে হয় এবং করার বিশেষ আদেশ আল্লাহ এবং ফেরেস্তাগণের খাস দরুদ এবং সালাম সর্বাবস্থায় সর্ব জায়গায় পাঠ করা যায় তবে স্থান এবং শরীর পাক পবিত্র থাকা উত্তম। <br /><br />বিঃদ্রঃ নামাযের যে “দরুদ এবং সালাম পড়ি নবী (দ:) এর তাঁর স্বজনগণের অর্থাৎ আলে রাসূলগণের উপর, ইব্রাহীম (আ:) এর এবং আলে ইব্রাহীম (আ:) এর ওপর শান্তি, দয়া, করুণা, রহমত, এবং বারক্বাত, বর্ষণ লক্ষ্যে পাঠ করা হয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, “আসসালামু আলাইনা” উদ্ধৃত বাক্যে এটাই প্রতিয়মান হচ্ছে যে, নবী (দ:) তাঁর ওপর এবং অনুসারীগণের আল্লাহর পক্ষ থেকে রাহমাত এবং বারাক্বাত কামনা করছেন। কিন্তু দ্বিতীয়, আসসালামু আলাইকা আইইউ হান্নাবিইউ অর্থাৎ আল্লাহর এ বাক্যটিতে উক্তি করছেন যে, হে নবী (দঃ) আপনাদের ওপর আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার রাহমাত বারাক্বাত বর্ষন করছি। ২২ (বাইশতম) পারার সূরা (আহজাবের) ৫৬তম আয়াত বা বাক্যের মধ্যে যে সালাম শব্দ উচ্চারিত হয়েছে এবং দরুদের কথা বলা হচ্ছে তা এক নয়। এক হলে (ছোয়াল্লু) এবং সাল্লেমু তাসলিমা পৃথক-পৃথক ভাবে বলা হতো না। দরূদ শরীফ যতই বেশী-বেশী পাঠ করা হয়। ত-ততই ভালো, কিন্তু নবী (দ:) এর ওপর আল্লাহর আদেশ মতে সম্মানের সাথে প্রদান বা পাঠ না করলে, আল্লাহর বিশেষ আদেশ লঙ্ঘনকারী হিসেবে গণ্য, তখন স্বর্গ বা জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়ে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো এবং মুনাফীক, নিমকহারাম, নাফরমান ও ভ্রষ্ট পথের পথিক হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে রিক্ত হস্তে মুমীনগণ হতে দূর থেকে দূরান্তরে ছিটকে নরক গহ্বরে পতিত হয়ে চির তরে ধ্বংশের পথে ধাবিত হবে। আল্লাহর এ মহান আবদারজনীত উক্তি বা আদেশটি সম্পর্কে সম্মানীত ওলামায়ে কিরামগণ বিশেষ ভাবে অবগত বা এ বিষয়ে বিশেষাভিজ্ঞ। এ মহা আবদারজনীত উক্তিটি নিশ্চয়ই-নিশ্চয়ই আমি এবং আমার দূত বা ফেরেস্তাগণ আমার হাবীব মুহাম্মাদ (দ:) এর ওপর দরূদ পাঠ বা পড়ি অর্থাৎ রহমত, বারক্বাত, দয়া, করুণা, শান্তি, সালামত বর্ষণ করি। বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামগণ যখন অবগত তখন লেখার প্রয়োজন কেন? উদ্ধৃত উক্তি সম্পর্কে সকল অবগত নয় বিধায় লেখতে হয়। মানবজাতির মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে নবী মুহাম্মাদ (দ:) কুরআন এবং হাদীস শরীফ রেখে গেছেন। প্রত্যেক উম্মাতি মুহাম্মাদীগণের তা অবশ্যাবশ্যই অনুসরণীয় বা অনুকরণীয় বিশেষ লক্ষণীয় বিষয় “কুরআন”। <br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-76729541142889049252014-09-07T22:45:00.003-07:002014-09-10T00:51:10.285-07:00সর্বশক্তিমান আলো (দ্বিতীয় পর্ব)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<h2>
</h2>
<br />
নূরে মুহাম্মাদ (দ:) এর নূরকে, নূরে আল্লাহতে অর্থাৎ “ফানাহ ফিল্লাহতে” অর্থাৎ আল্লাহ নামের সর্বশক্তিমান মহা আলোতে লীন হয়ে যাওয়া, নূরে মুহাম্মাদ (দ:) এর নূর এবং নূরে আল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ নামের মহা আলো, এক অন্যতে মিশে একাকার অবস্থায়, অবস্থান করছেন। যাঁরা আল্লাহর আদেশ পালনের মাধ্যমে, আল্লাহর নৈকট্য লাভে কৃতকার্যতা লাভ করেন। তাঁরাই নূরে আল্লাহ এবং নূরে মুহাম্মাদ (দ:) কে প্রত্যক্ষ করেন। নূর দ্বয় এক অন্যে মিশে একাকার হলেও, আপনাপন গুণে গুণান্বিতাবস্থায় অবস্থান করছেন। কিন্তু মিশে একাকার হলেও নূরে মুহাম্মাদ (দ:) নূরে আল্লাহ হয়ে যায়নি। নূরে আল্লাহও নূরে মুহাম্মাদ (দ:) হয়নি। যেমন, একটি গ্লাসের মধ্যে আধা গ্লাস পানি এবং আধা গ্লাস দুধ মিশে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু তাতে পানি এবং দুধ আপনাপন গুণে অবস্থান করছে। কিন্তু দুধ এবং পানি মিশে একাকার হলেও দুধ পানি নয়, পানি দুধ নয়। আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণের মধ্যে যাঁদের আধ্যাত্মিক অর্থাৎ আভ্যন্তরীণ, ওয়েব সাইড, ফেইসবুক, খুলতে পারেন, তাঁদের ,পক্ষে আল্লাহ, রাসূল এবং মৃত ব্যক্তিদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব।<br />
<br />
<a name='more'></a>মহা স্রষ্টা আল্লাহর সৃষ্টি মুহাম্মাদি নূর থেকে মুহাম্মাদি নূরাত্মাকে আকার দিয়ে মর্তে প্রেরণ করেছেন। আমরা সাধারণ মানবগণ যে পদার্থের তৈরি, তিনি কিন্তু অর্থাৎ মুহাম্মাদ (দ:) এর পদার্থ এক নয়। কারণ তাঁর মধ্যে এবং আমাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদিও তিনি বলেছেন আমি তোমাদের মতো, কিন্তু তোমরা নয়। কারণ আমার মধ্যে রয়েছে ওয়েব সাইড ফেইসবুক এর মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সংযোগ যন্ত্র স্থাপিত রয়েছে যা তোমাদের মধ্যে নেই। প্রতিয়মান হচ্ছে নবী (দ:) আকারে আমাদের মতো হলেও উনার রক্ত মাংশ অনেক উচ্চমানের অর্থাৎ আমাদের রক্ত মাংশ থেকে দূরগন্ধ বের হয়। নবী (দ:) এর শরীর মোবারক থেকে যে গন্ধ বের হতো তা ছিলো সুগন্ধ শরীর থেকে যে পানি জাতীয় ঘাম বের হতো তা ছিলো মেশ্ক্ আম্ববের মতো সুগন্ধ, নবী (দ:) এর মূ-মোবারকের লালা মিষ্টি ছিলো বলে নবী সাথীগণ অর্থাৎ ছাহাবায়ে কিরামগণ খেয়ে ফেলতেন।শরীর মোবারক থেকে বহিস্কৃত পানি অর্থাৎ পোছিনা নিয়ে ছাহাবায়ে কিরামগণ সুগন্ধ আতরের মতো আপন শরীরে মেখে নিতেন। নবী (দ:) এর সাথে সাধারণ মানবগণের তুলনা হতে পারে না। তিনি হলেন অতি মহামানব স্রষ্টার দোস্ত বা বন্ধু। তাঁকে সাধারণ মানব বলা যাবে না, মানবের মতো বলা যেতে পারে যেমন বলেছেন নবী (দ:) আমি তোমাদের উপমা স্বরূপ অর্থাৎ তোমাদের মতো। নবী (দ:) কে স্বপ্নে বা তন্দ্রায় মানব আকারে দেখা যায়, অর্থাৎ তাঁর প্রতি যার ভালোবাসা যত গভীর হবে, মহান আল্লাহ তাঁকে মানব আকারে প্রদর্শন করাবেন, এবং তার মধ্যে আল্লাহর নূর সম্পর্কেও অনুভূতি সচেতনতা, জাগরন শক্তি জাগরিত হবে, এবং সদা আনন্দ-উৎফুল্ল, বুক ভরা উৎসাহ, বিরাজ করবে এবং আল্লাহর নাম নিয়ে নির্ভয়-নিবির্ভক চিত্তে চলবে। তার দ্বারা কখনও অবৈধ-অসত্য-কু-কর্ম সংঘটিত হবে না। নূর বা আলো সম্পর্কিত, আল্লাহ বলেছেন নবী (দ:) এর মাধ্যমে আল্লাহর বাণীটি, “আল্লাহু নূরুস্ সামা ওয়াতি ওয়াল আরদা” অর্থাৎ, আল্লাহর নূর কর্তৃক বা আলো দ্বারা নভোমন্ডল এবং মর্তমন্ডল সৃষ্টি। নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলের নূর জ্যোতি বা আলো আল্লাহ নয়। কারণ স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্টি হতে পারে না বা হয় না। আল্লাহর আর একটি বাণীতে, আল্লাহ বলেছেন নবী (দ:) এর মাধ্যমে “আল্লাহু খালাক্বাস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদি” অর্থাৎ নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল আল্লাহর সৃষ্টি, সুতরাং প্রতিয়মান হচ্ছে যে, সৃষ্ট, সৃষ্টি করতে পারে না। যা পার্ েতা জীবনহীন অসচেতন বা অজাগরণ। তাই নভো এবং ভূ, বা মর্তের নূর আলো বা জ্যোতি সৃষ্টি করতে পারে না পারবে না। আল্লাহ নামের অন্তহীন নিরাকার সর্বশক্তিমান মহা নূরসমুদ্রে স্রষ্টার সকল সৃষ্টি জগত ডুবন্ত বা নিমজ্জিত। প্রতিয়মান হচ্ছে, নূরে ডুবন্ত প্রত্যেক অণু, পরমাণুতে নূরে আল্লাহ অবস্থান করছেন। যেমন একটি মাটির ঢিলকে , পানির পুকুরে বা কুপে নিক্ষেপ করলে ঢিলটির একটি অণূ-পরমাণূও পানি শূন্য থাকবে না। সুতরাং পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, নূরে আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান। আল্লাহর নামের সাথে মুহাম্মাদ নাম, আদম (আ:) দর্শন করেছেন বলে প্রকাশ। যদি তা হয় মুহাম্মাদ (দ:) নূরে আল্লাহর সাথে সর্ব সৃষ্টির পূর্বেও ছিলেন। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, নূরে দোস্ত বা বন্ধু আল্লাহর সাথে নূরে হাবীবুল্লাহ, মুহাম্মাদ (দ:) থাকারই কথা। অথবা আল্লাহ যখনই চাহেন সাথে রাখতেই পারেন। যদি নূরে আল্লাহর সাথে নূরে মুহাম্মাদ না থাকেন, নবী (দ:) প্রদত্ত আমাদের প্রধান মুক্তি বাণীতে অর্থাৎ কালেমা তাইয়্যেবাতে মুহাম্মাদ নাম থাকবে কেন? সম্মানিত ওলাময়ে কিরামগণ ভালো জানবেন । <br />
বিঃদ্রঃ নূরে মুহাম্মাদ (দ:) কে মানুষের মতো করে, মানব জগতে পাঠিয়েছিলেন মানবের মতো করে। তাই নূরে আল্লাহর হাবীব মুহাম্মাদ (দ:) বলেছিলেন। আমি তোমারদের মতো কিন্তু আমি তোমাদের থেকে পৃথক। স্রষ্টা হতে আমার মাধ্যমে যা সংঘটিত হয়, তা তোমাদের মাধ্যমে হয় না। <br />
<br />
বিঃদ্রঃ কুরআন, শরীফের ১৬তম পারা অর্থাৎ “১৬তমাংশে” “সূরা আল কাহাফ” ১১০তম বাক্যাংশে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী (দ:) এর প্রতি বাণী (ক্বুল-ইন্নামা আনা- বাশারুম মিছলুকুম ইউহা ইলাইয়া)। তুমি আমার বান্দাদের বলে দাও, ক্বুল=বল! ইন্নামা= নিশ্চয়ই। আনা= আমি, বাশার= মানুষ, মিছলু=উপমা বা মতো, কুম=তোমরা বা তোমাদের। ইউহা= ওহী, বার্তা, ইলাইয়া= মাবূদ হতে। অর্থাৎ ক্বুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিছলু কুম ইউহা ইলাইয়া, অর্থাৎ আমি তোমাদের মতো মানুষ কিন্তু তোমাদের থেকে পৃথক কিভাবে? আমার সাথে মহা স্রষ্টা আল্লাহর মধ্যে বার্তা আদান প্রদান করা হয়। তোমাদের মধ্যে বা তোমাদের সাথে তা হয় না। অর্থাৎ আকারে গঠনে তোমাদের মতো হলেও তোমরা যে পদার্থের আমি সে পদার্র্থের নয়, পদার্থে এবং পদার্থের পার্থক্যতা আছে। কোন বৃক্ষের বা উদ্ভিদের প্রতি দৃষ্টি গেলে মনে হয়, যেন বৃক্ষটি বা উদ্ভিদগুলো, যেন অমুখ বৃক্ষ বা অমুখ উদ্ভিদের ন্যায়। কিন্তু সে বৃক্ষ বা উদ্ভিদ, আমার মনে হওয়া উদ্ধৃতোক্তি সাদৃশ্য হলেও বৃক্ষ বা উদ্ভিদগুলো সে বৃক্ষ বা উদ্ভিদ নয়। মুহাম্মাদ (দ:) ছিলেন অতি মহামানব এবং শেষ নবী। এ অতি মহামানবটি যে গুণ বা যে শক্তি সম্পন্ন পদার্থের অধিকারী, আমি যদি সাধারণ মানুষ হয়ে, অসাধারণ গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী মনে করি, বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তির সাথে তুলনা করি ঠিক হবে কী? বিশেষ অভিজ্ঞ মহলের সমীপে আমার প্রশ্নটি উপস্থাপিত হলো। বর্তমানে আমাদের নেই সমাজ, সভ্যতা, মানবতা, সত্যতা, মান্যতা, সততা, নেই স্লীলতা, মমতা, সহায়তা নেই সহযোগিতা, নেই ভদ্রতা, নেই বিচার ক্ষমতা, ধর্মে, সমাজে এবং দেশরক্ষায়, নেই ঐক্যতা, নেই সহনশীলতা, নেই সুশিক্ষার ব্যবস্থা সুকর্মের তৎপরতা। আজ, কথা, লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন রূপে আক্রান্ত আমাদের এ সমাজ। সভ্যতার কোন ভালাই নেই। অসভ্যতায় পরিপূর্ণ সমাজ, শতকরা ২/১ জন সভ্য হলেও সমাজকে সভ্য সমাজ বলে আক্ষায়িত করা যায় না। শতরা ২/১ জনে ভোট দিলে মেম্বার প্রেসিডেন্ট হওয়া যায় না। অসভ্যতার বলয়ে প্রবেশ করেছে আজকের এ পৃথিবী। বিজ্ঞজনদের বিবেকে তা সাক্ষ দিচ্ছে। আজকের পৃথিবী কলঙ্কিতাবস্থায় ঘুর পাক খাচ্ছে। বলতে লেখতে বিবেক অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আজকের মানব নর-নারী পশুর সাথে কুকুরের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন চলছে। সমকামিতা চালু করছে। অসভ্যতার গভীরে, গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। বিবেক বিবেচনার চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। তাই তারা বুঝতে পারছে না তারা কি করছে, কি অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে? বিবেকহীন, অশান্ত জীবনকে জীবন বলা যায় না, হতে পারে সাময়িক কোটিপতি, যদি মানবতা, সভ্যতা, শ্লীলতা, মান্যতা, দয়া, করুণার, চিহ্ন টকুন না থাকে কোনো মূল্য আছে কি? অবগতির জন্য “আব.এ. জমজম সম্পর্কিত” উম্মুল মূমীনীন “মা” হাজেরা (আ:) কে হযরত ইব্রাহীম (আ:) যখন “ছাফাহ্ এবং মারওয়াহ” নামক পাহাড় দ্বয়ের মধ্য ভাগে নির্বাসনে রেখে গেলে মুরু ভুমির মধ্যে প্রখর রোদ্র তাপে তাপিত প্রাণে পিপাসায় পিপষিত হয়ে, ছাফাহ্ এবং মারওয়াহ পাহাড় দ্বয়ের মধ্যে পানির সন্ধানে ধাবিত হতে লাগলেন তখন তাঁর নয়নের মণি, কলিজার টুকরো, আল্লাহর প্রেরিত নবী হযরত ইসমাইল (আ:) দুধের পিপাসায় পিপাষিতাবস্থায় উত্তপ্ত বালূর মুরুতে পিপাষিত। দুগ্ধ শিশু ইসমাইল (আ:) হাত,পা ঝাকরাতে-ঝাকরাতে ক্রন্দনরতাবস্থায় তাঁর পবিত্র পদদ্বয়ের আঘাতে পায়ের বালু সরে যাওয়াতে একটি আধারের সৃষ্টি হলো। উক্তাধারে পানির ঝর্ণা প্রবাহিত হতে লাগলে, উম্মুল মূমীনীন “মা” হাজেরা (আ:) প্রত্যক্ষ করলেন এবং আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে, আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। প্রবাহমান পানিকে ধরে রাখার জন্য বালির দেয়াল বানিয়ে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলেন। ক্রমে ক্রমে গভীর থেকে গভীরতর কুপের সৃষ্টি এবং আল্লাহর ঘর অর্থাৎ “বায়তুল্লাহ্ শরীফ” কুপের পাশেই আবিষ্কার হলো। ইসলামী ইতিহাসে এর বৃত্তান্ত জানা যাবে “তাওয়ারীখে” পানি জমা হতে হতে কুপে পরিণত হয়েছে এর পানি মিষ্টি এবং রোগ প্রতিষেধক। তাই সমগ্র মুসলীম দুনাইয়া বোতল ভরে ছোট বড় ড্রামে নিত হয়। পানির কমতি নেই বর্তমানে যন্ত্রের মাধ্যমে উত্তলিত হয়। আল্লাহর কুদ্রাতে পানি এসে জমা হয়। “জম শব্দটি আরবী ভাষা জম অর্থ সংগ্রহ। পানি সংগ্রহ হয় বলে কুপটির নাম “আব.এ জমজম” আব শব্দ আরবী আব- অর্থ পানি অর্থাৎ জমা পানি যেমন, ছিলো এখনও তেমনই রযেছে কম বা বেশী নয় একই অবস্থানে রয়েছে।<br />
<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-71320495727981111732014-08-11T23:08:00.003-07:002014-08-22T22:48:16.458-07:00সর্বশক্তিমান মহা আলো<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<b>বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম</b><br /><br />এ আলো, সে আলো, যে আলো অদ্বিতীয় একক সর্বশক্তিমান, যাঁর কোন উপমা নেই। সে আলোটির নাম হচ্ছে “অদ্বিতীয় একক আল্লাহ্”। প্রত্যেক আলোর উৎপত্তিস্থল রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ্ নামের নূরটি অর্থাৎ সর্বশক্তিমান আলোটির উৎপত্তিস্থল নেই। যার উৎপত্তিস্থল নেই, তার আকার নেই। আকারের দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে। নিরাকারের আকার নেই বলে, তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ নেই। সদা সর্বদা একই আলো, একইরূপে অবস্থান করছেন। তিনি সর্বব্যাপী, তাঁর দৃষ্টির আড়াল, স্রষ্টালোকের আল্লাহ্ নামের আলোর জগতের একটি অনু বা পরমাণু নেই। অনু-পরমাণুর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ আছে। আকার আছে বলেই দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ আছে। যে আলোর অণু বা পরমাণু নেই সে আকারহীন, অসীম-অনন্ত এবং সর্বশক্তিমান আলোর নামই ‘আল্লাহ্’। এ অনন্ত অসীম আলোর মধ্যেই সে আল্লাহ্ নাম আলোর সৃষ্ট জগত নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল অবস্থিত বা আল্লাহ্ নামের সাগরের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায় অবস্থিত। সুতরাং নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলের অর্থাৎ (নূরুসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্) প্রদর্শিত আলো আল্লাহ্ নামের আলো কর্তৃক আবৃত তাই প্রতিয়মান হচ্ছে নভোমন্ডলের এবং ভূমন্ডলের যে জ্যোতির কথা বলা হচ্ছে উক্ত জ্যোতি ভূমন্ডলদ্বয়ের সৃষ্ট আলো নয়। তা আল্লাহর জ্যোতি, মন্ডল দ্বয়ের জ্যোতি সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই। সৃষ্টির সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই। তাই প্রতিয়মান হচ্ছে নভোমন্ডলের এবং ভূমন্ডলের যে জ্যোতি, সে জ্যোতি কর্তৃক আবৃত নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলের আলো আল্লাহ্ নয়। সুতরাং মন্ডলদ্বয়ের কোন ক্ষমতা নেই আলো সৃষ্টি করে। আল্লাহ্র আলো কর্তৃক আবৃত বা বেষ্টিত। অর্থাৎ আল্লাহ্ নামের আলো বা আল্লাহ্র সৃষ্টি। আল্লাহ্র সৃষ্টির নিজস্ব কোন আলো বা শক্তি নেই। আল্লাহ্ নামের আলোর বাণী (আল্লাহু খালাক্বাস্সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্) অর্থাৎ আসমান বা নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং সৃষ্টির নিজস্ব কোন আলো বা শক্তি থাকার কথা নয়। সৃষ্টির মধ্যে যে আলো বা শক্তি অনুভব বা প্রদর্শিত তা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত।<br /><br />নূর = আলো। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের ১৮তম পারা সূরা নূর বাক্য নং-৩৫। আল্লাহু নূরুসসামাওয়াতি ওয়াল আরদি। অর্থ = আল্লাহ্ নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলের জ্যোতি। মূলত নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলের কোন জ্যাতি নেই। কারণ মন্ডলদ্বয় মহা স্রষ্টার সৃষ্টি। মন্ডলদ্বয় স্রষ্টার আলো বা জ্যোতিতে জ্যোতির্ময়। মন্ডলদ্বয়ের জ্যোতিতে আল্লাহ্ জ্যোতির্ময় নয়। আল্লাহর জ্যোতিতে মন্ডলদ্বয় জ্যোতির্ময়। মহা স্রষ্টা আল্লাহর বাণী “আল্লাহু খালাক্বাসসামাওয়াতি ওয়াল আরদি” অর্থাৎ মন্ডলদ্বয় আল্লাহর সৃষ্টি। আল্লাহ নামক-আলো বা নূরের কোন উৎপত্তিস্থল নেই। যৈতুনের তৈল কর্তৃক প্রজ্জলিত কাঁচের পত্রাবৃত প্রদীপ থেকে নির্গত আলো আল্লাহ্ নয়। যৈতুন এবং কাঁচের পত্রাবৃত প্রজ্জলিত দীপ-আল্লাহর স্ব-ইচ্ছায় সৃষ্টি করেছেন আপন খেয়ালে, যেমন করেছেন সমগ্র সৃষ্ট জগত। সেই যৈতুনের তৈল কর্তৃক প্রজ্জলিত প্রদীপ মহা আল্লাহ্ নামক মহা আলো কর্তৃক সৃষ্ট। লক্ষ্যণীয় বিষয়, স্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যে দৃশ্য অদৃশ্য যে জ্যোতি বা আলো স্রষ্টারই জ্যোতি। নক্ষত্রগুলোর জ্যোতি বা আলো যেমন সূর্যের আলো। এদের মধ্যে অর্থাৎ ভূমন্ডল, তথা মাটির জগতের অভ্যন্তরে অণু পরমাণুতে যে আলো দর্শন হয় তা স্রষ্টার অর্থাৎ আল্লাহর আলো সৃষ্টির কোন সৃষ্ট আলো হতে পারে না। যে যা সৃষ্টি করে সে তার মালিক সুতরাং সৃষ্টটি তার। যিনি সব সৃষ্টি করেছেন, সে সব সৃষ্ট সৃষ্টির মালিক তিনি। সুতরাং সবই তাঁর যখন তখন তাঁর খাস্ সৃষ্ট হাবীব-নূরে মুহাম্মদির নূরের মালিক আল্লাহ হবে না কেন? ওয়া = অর্থ ‘এবং’ আরর্দা অর্থ ‘মাটি’। কঠিন, তরল, জড়বস্তু, আত্মা অর্থাৎ প্রাণী জগতকে বুঝাচ্ছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, নূর অর্থাৎ আলো কর্তৃক সৃষ্টি করেছেন বা জ্যোতি দ্বারা আবৃত জ্যোতির্ময় করে রেখেছেন। আলোটি বা নূরটি কোথা হতে এলো? এ-নূর, আল্লাহ্ নামের যে সর্বশক্তিমান নূর সে নূর কর্তৃক এ নূর সৃষ্টি কিন্তু সর্ব প্রথম আল্লাহ্ নামের মহা নূর কর্তৃক মুহাম্মদ নামের তাঁর বিশেষ নূর- তাঁরই বন্ধু হিসেবে সদা-সর্বত্র সাথে সাথে একাকার করে থাকার জন্য বা রাখার জন্য সর্ব প্রথম তাঁর হাবীব মুহাম্মদ নামের নূর সৃষ্টি করেন। তাই ‘মুহাম্মদ’ নামের নূর সদা তাঁর সাথেই সর্বত্র বিরাজমান। তাঁর সৃষ্টি জগতের এমন কোন অণু পরমাণু বাকী নেই যেখানে তিনি এবং তার দোস্ত বা হাবীব নেই। সব কিছুর একটি শিকড় বা উৎপত্তিস্থল বা কেন্দ্র থাকে, সে কেন্দ্র বিন্দুটির দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে। আল্লাহ্ নামক নূরটির মাপন চিহ্ন নেই। দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকলে আকার থাকে, যার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ নেই তার আকার কোথায়? অণু পরমাণু দৈর্ঘ্য প্রস্থ থাকে, তার আকারও থাকে, যেখানে অনু-পরমাণু নেই, তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ বা আকার কোথায়?<br /><br />সে একক্ই একটি মহা শক্তি সম্পন্ন আলো। উদ্ধৃত আলোটির নামই ‘আল্লাহ্’। এ আলোটি তাঁরই সৃষ্টি জগতের অণু-পরমাণুতে উপস্থিত রয়েছেন। তাঁর দর্শকগণ তাঁকে অর্থাৎ তাঁর নূরের আভাকে অর্থাৎ ছায়া সদৃশ্যকে দর্শন করেন। পূর্বেও উদ্ধৃত হয়েছে “ আল্লাহ্” নামক আলোর উত্থান বা উভ্যদয় কেন্দ্র বিন্দু নেই। তাঁর দৈর্ঘ্য প্রস্থ নেই। তার আকারও নেই, পতনও নেই। তিনি অনন্ত। তিনি ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। তাঁর আলো দর্শনকারীগণের পক্ষ থেকে উদ্ধৃত, সে মহা আলোকের কোন প্রকার রূপের উপমা-উদাহরণ নেই। তাঁর রূপের বা আলোর ছায়া দর্শনকারী, মূসা (আঃ) আল্লাহ্র নূরের উপমা, উদাহরণ, রকম, মতো, ন্যায় বা ধরণ যেন অমূক রূপ সদৃশ্য এমন কোন উক্তি করেননি। তাঁর সে মহা আলোর কোন উপমা উদাহরণ নেই বলে, রূপকারগণ ধরণ বলেননি। তিনি তাঁর স্বরূপে রূপায়িত। স্ব-আলোতে আলোকিত। আপন জ্যোতিতে জ্যোতির্ময়। তিনি তাঁর স্বরূপে রূপমান, স্বশক্তিমান। তিনি উচ্চারিত, অনুচ্চারিত, কল্পিত, অনুভব চিন্তা ভাবনার তরঙ্গ ভাষার্থ বুঝতে পারেন বা শব্দ শ্রবণ করতে পারেন। তিনি পারেন না এমন কোন ভাষোক্তি নেই। তাঁর যে নূরকে তিনি খাস্ এবং তাঁর অতি প্রিয় মনে করেছেন সেই মহা নূর হতে মুহাম্মদ (দঃ) এর নূর সৃষ্টি করে আপন সাথে সাথী করে রেখেছেন। তাঁর সাথেই একাকার করে সর্বত্র বিরাজমান করছেন। মুহাম্মদ (দঃ) নামের নূর, নূরে মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর প্রশংসাকারী। তিনি আল্লাহর নূর হবেন না কেন?<br /><br /><br /><br /><br />তাই তাঁর নির্বাচিত খাস নূরটির নাম রেখেছেন, মুহাম্মদ (দঃ) মুহাম্মদ নামক আলোটি শুধু আল্লাহরই প্রশংসা করবেন। আল্লাহ প্রদত্ত ঋতীনীতি অর্থাৎ আল্লাহর প্রদত্ত বিধান তাঁর সৃষ্টি জগতে প্রচার করবেন। নূরে মহাম্মদ (দঃ) এর নূরাংশ থেকে নূরে মুহাম্মদ (দঃ) জগতে প্রেরণোদ্দেশ্যে নূর পদার্থের তৈরি তনু পোষাকে মানবের মতো করে পাঠিয়েছেন। তাই তিনি বলেছেন, (আনা বাশারুম মিছলুকুম ইউহা ইলাইয়া)= অর্থাৎ আমি তোমাদের মতো মানুষ, এখানে লক্ষনীয় বিষয়, “মতো” শব্দটি, গরিলা, সিমপাঞ্জি বা বানর যেমন মানুষের মতো কিন্তু তারা মানুষ নয়। নবী মহাম্মদ (দঃ) আমাদের সাদৃশ্য ঠিক আমাদের সাধারণ মানুষের পদার্থে তৈরি নয়। লক্ষ করুণ তাঁর পচিনা অর্থাৎ ঘাম থেকে সুঘ্রান বিকশি হয় তাঁর মূ-মোবারকের লালা মোবারক মিষ্টি মধুর, তাই তাঁর সাথী ছাহাবায়ে কিরামগণ তাঁর পচিনা মোবারককে আপন গায়ে বা শরীরে সুঘ্রান হিসেবে মেখে নিতেন, লালা মোবারক মিষ্টি মধুর ছিল বলে খেয়ে ফেলতেন। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, নবী (দঃ) এর তনু বা শরীর মোবারক আমাদের শরীরের পদার্থের মতো নয় তিনি সম্পূর্ণ আমাদের হতে পৃথক পদার্থের তৈরী, তার সে পদার্থের মধ্যে আল্লাহর সাথে কথোপকথন যন্ত্র স্থাপিত রয়েছে তা আমাদের মধ্যে নেই সুতরাং তিনি আমাদের পদার্থের তৈরি মানুষ নয়। তিনি সম্পূর্ণ পৃথক আমাদের হতে আলাদা এক অতি মহা মানব, আমরা যে পদার্থের মানুষ তাকে সে পদার্থের তৈরি বলা মহাভুল তিনি অর্থাৎ নূরে মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর সাথে একাকার হয়ে আছেন। যেমন আধা গ্লাস পানির মধ্যে আধা গ্লাস দুধ ঢেলে দিলে যেমন পানি এবং দুধে মিলে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু লক্ষনীয় বিষয়। দুধ-পানি একাকার হলেও দুধ কিন্তু পানি নয় পানিও দুধ নয়। কিন্তু মিলানো অবস্থায় দুধ পানি থেকে পৃথক নয় পানিও কিন্তু দুধ থেকে পৃথক নয়। যদিও একাকার অবস্থায় আছে। তাঁরা যে পৃথক, পৃথকাবস্থায় আছে তা আমাদের সাধারণ দর্শন শক্তিতে ধরা পড়বে না যদি সে দর্শন যন্ত্র আমার মধ্যে না থাকে। <br />বিঃদ্র ঃ যিনি প্রথমে প্রশংসাকারী, তিনিই প্রশংসিত। প্রশংসাকারী না হয়ে, প্রশংসিত হতে পারেন না। তাই আল্লাহ তাঁর বন্ধুর নাম মুহাম্মদ রেখেছেন প্রশংসাকারী অর্থে কারণ তিনি আল্লাহর প্রশংসা কারী। তাই তিন আল্লাহর দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন, অর্থাৎ আহ্মাদ নামে ভূষিত হয়েছেন প্রশংসার উচ্ছাসনে আসিন হয়েছেন পূর্বালোচনায় এলাম, সূর্য কিন্তু আলো নয়, আলো কিন্তু সূর্য নয়, সূর্য থেকে আলো পৃথক নয়, আলো থেকে সূর্য পৃথক নয়। তেমনি মুহাম্মাদি নূর, আল্লাহ্ থেকে পৃথক নয়, নূরে আল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহ্, মুহাম্মদ (দঃ) থেকে পৃথক নয়। মূল কথা আল্লাহ্ মুহাম্মদ (দঃ) নয় এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহ নয় আল্লাহ স্বইচ্ছায় যা চাহেন করতে পারেন। ভাঙ্গা গড়া সবই তাঁর কর্ম তাঁরই সৃষ্টি, তা পারে না। মানব একটি কণা বা অণু গড়তে পারে না শুধু পারে ভাঙ্গতে। গড়েন আল্লাহ, ভাঙ্গে বান্দায়। এ ভাঙ্গার উত্তর বান্দাকে একদিন দিতে হবে। আলোর নিদ্রা জাগরণের প্রশ্ন নেই। তিনি সদা সতর্ক সচেতন সদা জাগরিত। তিনি শুনেন, বুঝেন, কথা বলেন, উত্তর দেন, তিনি সদা তাঁর সৃষ্টির মাঝে বিরাজ মান এবং তাঁর হাবীব বন্ধু নূরে মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর সাথেই রয়েছেন। আল্লাহ নামক মহা শক্তিমান বা সর্বশক্তিমান আলোটির আর কোন প্রতি আলো বা প্রতিশব্দ সূচক কোন শব্দ নেই। স্বয়ং একক অদ্বিতীয় মহা শক্তি ধর আলো। এর নামই “আল্লাহ”। কোন লিঙ্গান্তর শব্দ নেই। তাই তাঁর সৃষ্ট জগত সৃষ্টকুল তাঁরই প্রদত্ত নিয়ম নীতি মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে এবং হব্ েমহা প্রলয় পর্যন্ত <br /><br /><br />মহা স্রষ্টা আল্লাহর <br />মহা আদেশ দুটু<br />প্রথম আদেশটি “বিসমিল্লাহ”= অর্থাৎ “বিসমি”= অর্থাৎ নামে বা নাম দ্বারা, “আল্লাহর নামে” উদ্ধৃত মহা বাক্যটি। প্রত্যেক শুভ- বা বৈধ কর্মের প্রারম্ভে উচ্চারনাদেশ। <br /><br />দ্বিতীয়টি, সম্মানের সাথে “দরূদ” এবং সালাম পাঠের আদেশ <br />প্রত্যেক শুভ কর্মের প্ররম্ভে “আল্লাহর নামে” বাক্যটি উচ্চারণ করার উদ্দেশ্য বা অর্থ হচ্ছে মহা সৃষ্টি কর্তা আল্লাহকে সাক্ষী রাখা। যেখানে আল্লাহকে সাক্ষী রাখা হবে সেখানে অবৈধতা কুচক্র তা বা শয়তানী চক্রতার স্থান নেই। কারণ সেখানে আল্লাহকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। সুতরাং যে ক্ষেত্রে যে বিষয়ের উপর মহান আল্লাকে সাক্ষী রাখা হয়, সে ক্ষেত্রে সে বিষয়ের মধ্যে কোন প্রকার অবৈধতা, অন্যায়, অসত্য, মিথ্যা কোন চক্রের চক্রান্তের স্থান হবে না। কারণ আল্লাহ স্বয়ং উক্ত কর্মের ওপর দৃষ্টি রেখেছে এবং স্বয়ং স্বাক্ষী রয়েছেন। তাই উদ্ধৃতোক্তিটি অলঙ্ঘনীয়। বলা প্রয়োজন বলে বলা হলো “বিসমিল্লাহ্” অবতির্নের মাধ্যম জিব্রাইল (আঃ) নয় স্বয়ং আল্লাহ ইয়া শব্দটি উপস্থিত অনুউপস্থিত সর্বাবস্থায় ব্যবহার করা যায়। ইয়া শব্দটি আরবী, বাংলায় বলা হয়, হে, ওহে, ওগো, এইযে, স্ব, দিকে নির্দিষ্ট দৃষ্টি আকর্ষন করার লক্ষ্যে এ শব্দটি ব্যবহার হয় সম্ভোধন সূচক।নিকটস্থ দূরবর্তী অথবা পর্দারাডাল থেকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যেও এশব্দটি ব্যবহৃত হয়। <br /><br />লক্ষ্য করা যাক, সৃস্টিকর্তা “মহান আল্লাহর মহা গ্রন্থের একটি আহবান জনিত উক্তি (ইয়া আই-ইউহাল্লাজীনা আমানূ) অর্থাৎ হে, ওহে, যারা আমাকে বিশ্বাস কর) তাঁর সৃষ্টিদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন বা আহবান বা ডাক দিয়ে বলছেন। মনে হয় যেন বহু দূর থেকে ডাক দিচ্ছেন, কিন্তু না, তিনি আমাদের এত নিকটে যে তাঁর মধ্যে আমদের মধ্যে কোন দূরত্ব্ নেই, আমাদের তনু আতœার প্রতিটি অণু পরমাণুতে বিরাজ করছেন। তিনি নেই এমন কোন অণু পরমাণু সৃষ্টি হয়নি। তিনি আমাদের দৃষ্টির আড়াল থেকে সব সমাধান দিয়ে যাচ্ছেন। নূরে আল্লাহ দর্শন করার শক্তি সৃষ্টিরনেই যেমন তাঁরই দোস্থ নবী মূসা (আঃ) এর আবদার রক্ষা মানষে আপন নূরের ছায়া দর্শন করে ছিলেন। কিন্তু মূসা (আঃ) তা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং সে নূরের ছায়ার ঝলকে, কূহেতূর, পাথড়ের কিয়দাংশ জ্বলে কালো পাথরে পরিণত হয়। যা আজও বিশ্বমানব তা দর্শনাশে “কূহেতূর” পাহাড়ে গমন করেন। <br /><br />আল্লাহ কিন্তু আকার নিয়ে এসে মানবকে বাস্তবে দাঁড়িয়ে আহবান সূচক “ইয়া” শব্দটি ব্যবহার করেননি। নবী মুহাম্মদ (দঃ) উপস্থিত অথবা অনুপস্থিত তিনি কিন্তু অর্থাৎ নূরে মুহাম্মদ (দঃ) সদা সর্বত্র তাঁর দোস্থ বা হাবীব তাঁর মালিক তাঁর স্রষ্টা মাবূদে ইলাহী, অর্থাঃ আল্লাহর সাথে ফানাহফিল্লাহ্ অবস্থায় একাকার হয়ে, বিরাজ করছেন, তাঁর লক্ষ্যে “ইয়া” শব্দ ব্যবহারে অনিহা কেন? বরং তিনি বাস্তবে আমাদের মধ্যে এসেছেন বা তাঁকে মহা সর্ব মহা গ্রন্থ দিয়ে, নূর পদার্থের তনু পোষাক অর্থাৎ শরীর পোষাক পরিয়ে মানব আকার দিয়ে, আমাদের মধ্যে পাঠিয়েছেন। মানব জাতিকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করার লক্ষ্যে। শাসন করেছেন. দেশ পরিচালনা করেছেন। তাঁর অনুসারীগণের নিকট আকারে স্বপ্নের মাধ্যমে এবং তন্দ্রাবস্তায় স্ব-শরীরে নিজেকে প্রদর্শন করেন। এ শক্তি তাঁর দোস্থ আল্লাহরই দেয়া। <br />মহান স্রষ্টা আল্লাহর বাস্তাতা তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগত এবং স্বয়ং আমি বা আমরা। তিনি গঠন করেছেন, তিনি ধ্বংস করবেন, সবই তাঁর হতে আগমন এবং তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, অর্থাৎ সব সৃষ্ট ষ্রষ্টা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে। এ অবস্থায় নশ্বর জগত সবকে ছাড়তে হবে। পূর্বোদ্ধৃতোক্তি বিসমিল্লাহ, পুনোর্ল্লোখিত হচ্ছে যে, বিসমিল্লাহ্ শরীফ স্বয়ং আল্লাহর নবী (দঃ) কে শিক্ষা দিয়ে আল্লাহ স্বয়ং নবী (দঃ) এর শিক্ষক হয়ে বিসমিল্লাহ্ শিক্ষা দানের মাধ্যমে কুরআনে পাকের ভিত্তিস্থাপন করে, তাঁর প্রদত্ত শান্তিনীতি ইসলাম নমক ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব স্বয়ং রাখলেন। নবী (দঃ) এর ‘মূ’ মোবারকের মাধ্যমে বিসমিল্লাহ শরীফ মানব জগতে প্রেরণ করেছেন বলেই মানব জান্তে পেরেছে যে, যখন যা যেখান থেকে প্রথম শ্রবন করা যায় বা পাওয়া যায় সেটাই প্রথম পাওয়া, তা বস্তু বা বাণী হতে পারে। নবী (দঃ) এর মাধ্যমে বিসমিল্লাহ পেয়েছে বলেই, “বিসমিল্লাহ” প্রথম শব্দ, কারণ “বিসমিল্লাহ” শরীফ, নবী (দঃ) কে জিব্রাইল (আঃ) শিক্ষাদেননি, খোদ স্রষ্টা আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন। তাই, বিসমিল্লাহ শরীফ আল্লাহর পক্ষ থেকে “স্বয়ং প্রেরিত হয়েছে, তাই এ বাক্যটি সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বয়ং একটি সূরা বা আঁয়াত সুতরাং ১১৪ সূরা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এবং সর্ব প্রথম আগমন সংঘটিত হয়েছে। পরে ১৯ পারার সূরা “নমলে” কুরআনের বাক্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে এবং গারে হেরায় বিসমিল্লাহ শরীফের শানে নজুল সর্ব প্রথম সংঘটিত হয়েছে। তাই তাঁর নিজেস্ব আতœ পরিচিতি রয়েছে। বিসমিল্লাহ্ এর শানে নজুল প্রথম গারে হিরা পর্বতে অবতীর্ণ হয়েছে। পরে জিব্রাইল (আঃ) কর্তক প্রেরিত শব্দ “ইক্বরা, তাই এ শব্দটি দ্বিতীয়। উদ্ধৃত বিসমিল্লাহ বাক্যটি সৃষ্টি জগতের ভিত্তি। আল কুরআনের ভিত্তি, ইসলামের ভিত্তি এবং বিসমিল্লাহ্ শরীফই স্রষ্টার সমস্ত সৃষ্টি জগতের ভিত্তি অর্থাৎ অদ্বিতীয় একক আল্লাহর এবং সমগ্র সৃষ্ট, মহা প্রলয় পর্যন্ত একই নিয়মে চলতে থাকবে। এ মহা বাক্যটি যার মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন, তাঁর নাম মোবারক মু¤ম্মদ (দঃ) তিনি আল্লাহর প্রশংসাকারী এবং সৃষ্টি জগতের সেবক, আল্লাহ বলেছেন, যে আমার সৃষ্টির সেবা দেবে সে আমার সেবা দিলো। তাই মুহাম্মদ (দঃ) স্রষ্টার প্রশংসাকারী হলেন, পরে আল্লাহ কর্তৃক তাঁর কর্ম গুনের জন্যে “আহ্মাদ” নামে খিতাব লাভ করে প্রশংসিত হলেন। সৃষ্টির রহমত, করুনা, বরক্বত হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেন। প্রশংসাকারীই প্রশংসিত শব্দ উপাধি হিসেবে লাভ করেছেন। নবী (দঃ) আল্লাহর প্রশংসাকারী বিধায় মুহাম্মদ (দঃ) নামে ভূষিত হয়েছিলেন। মহান করুণাময় আল্লাহর, নবী (দঃ) আল্লাহর প্রশংসায় মত্তছিলেন বলেই, আল্লাহ তাঁকে আহমাদ নামে উপাধিতে ভূষিত করলেন। প্রশংসা না করে প্রশংসিত হতে পারে না। দ্বিতীয় উচ্চারিত শব্দ, “ইক্বরা” শব্দটির বিষয়। নবী (দঃ) এর মূ মোবারকের মাধ্যমে প্রথম বিসমিল্লাহ্ শরীফ মহান স্রষ্টা আল্লাহ কর্তৃক উচ্চারিত হওয়ায়, “বিসমিল্লাহ” শরীফই প্রথম অবতির্ণ শব্দ বা বাক্য বা সূরা। দ্বিতীয় শব্দ জিব্রাইল (আঃ) এর আনিত শব্দটি যখনই নবী (দঃ) এর মূ মোবারকের মাধ্যমে উচ্চারিত হলো, তখনই “ইক্বরা” শব্দটি দ্বিতীয় অবতির্ণ শব্দ হিসেবে পরিগণিত হলো। কারণ স্রষ্টার বা প্রতিপালকের নাম প্রথম উচ্চারণ করতে আদিষ্ট হয়েছিলেন, তাই প্রতিপালক আল্লাহর নাম না নিয়ে “ইক্বরা” শব্দ উচ্চারিত হচ্ছিলো না। তাই প্রথম প্রতি পালকের নাম অর্থাৎ আল্লাহর নাম উচ্চারিত হলো। সুতরাং এ মহান গ্রন্থানুসারিগণ, প্রতি মঙ্গল কর্মের, অর্থাৎ প্রতি বৈধ কর্মের প্রারম্ভে “বিসমিল্লাহ্” উচ্চারণ করেন। বিসমিল্লাহ্ এমন একটি শব্দ যা একক নিরাকার মহান সৃষ্টি কর্তা মহা আলোর নাম হিসেবে স্থির রয়েছে। সে নাম সূচক শব্দটি হলো, “আল্লাহ” এ আল্লাহ নামটি নিয়ে যে কর্ম করবে সে কর্মে থাকবে স্বয়ং আল্লাহ নামের মহা আলোটি সাক্ষী বা সে কর্মের ভিত্তি হিসেবে, তাতে থাকবে বরক্বত, রহমত, করুণা, দয়া, বিনয়ীভাষণ। <br />বিঃদ্রঃ= আলো আমাদেরকে স্পর্শ করে, কিন্তু আমরা আলোকে স্পর্শ করতে পারি না। তাই মুহাম্মদী নূর এবং আল্লাহ নামের নূর, আমাদের শরীরে সর্বত্র বিরাজ করছে স্ব-স্ব শক্তিতে। তাই আমাদের কল্পিত, চিন্তিত ধ্যান দ্বারা দূর্বল এবং সবলদের নামাজ এবং নবী (দঃ) এর লক্ষ্যে সালাম পাঠ গ্রহণ করেন। সূর্যের আলো আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাহেরে, আলো আমাদেরকে স্পর্শ করে কিন্তু আমরা সূর্যের আলো স্পর্শ করতে পারি না। গ্লাসের, বা গোলক বলের মধ্যে দিনের বেলায় সূর্যের আলো ভর্তি বা পূর্ণ করে, মুক বন্ধাবস্থায় রেখে গভীর রাতে বাক্সটি উন্মুক্ত করলে, গোলক বলের ভেতরের রক্ষিত আলোটি প্রদর্শিত হবে কী? গোলক বলটির ভেতরাংশ আলো শূন্য হয়ে রয়ে গেলো। কিন্তু আলোটি স্ব-স্ব রূপের আলোতেই লীন হয়ে গেলো। আলোকে আমরা- আলো বলে অনুভব করি। কিন্তু আলোকে স্পর্শ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আলোটি আমাদের শরীরের এবং সৃষ্ট জগতে যত রূপের সৃষ্ট বস্তু বা প্রাণ রয়েছে, প্রত্যোকটি অণু পরমাণুতে আলো বর্তমান রয়েছে এবং থাকবে। সে আলো, ব্যতীত কোন বস্তু বা প্রাণ, তরল-কঠিন স্বতেজ-স্বচেতন থাকবে না। আল্লাহর সৃষ্ট কোন অণু পরমাণুকে ছিড়ে যেতে পারে না, ছেড়ে যাবে না, আলোর কোন আকার নেই যে, যে কেউ তাঁকে স্পর্শ করবে। এটা আলো-বলে-শুধু অনুভব করা যাবে। আপনি যদি মনে করেন তাঁর আকারে-আকারী। যার স্বীমা নেই-দৈর্ঘ্য-প্রস্থ নেই, তাঁর আকার কোথায়? আলোটি এ স্বীমা পর্যন্ত আর আলো নেই এমন হলে, তখন আলোটির আকার ধরা যেতে পারতো। যার স্বীমা নেই, তাঁর আকারও নেই, তিনি একক নিরাকার, আলো গুলো যে আছে শুধু অনুভব বিশ্বাস করতে হবে। নূরে-আল্লাহর সাথে নূরে মুহাম্মদ (দঃ) রয়েছেন। এতে অনুভব এবং বিশ্বাস করতে হবে, তবে সে বিশ্বাসী বা ঈমানদার হলো। তিনিই একমাত্র শক্তিমান আলো, “তিনি” অর্থাৎ আল্লাহ নামে স্থির আছেন। তিনি ঠান্ডা আলো এবং গরম আলো, অর্থাৎ জ্বালাময়ী রূপের আলো, যখন যা চাহেন করতে পারেন। সর্বশক্তিমান আলোর শক্তির শেষ নেই, হরেক বর্ণের আলো সৃষ্টি করতে পারেন। সৃষ্টির মধ্যে সর্ব প্রথম যে, আলো-সদা সর্বত্র তাঁরই সাথী হিসেবে সাথে থাকবে এবং তা প্রলয় পর্যন্ত আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনার ব্যবস্থা করে যাবেন, তিনি, সর্ব স্রেষ্ঠ সৃষ্টি আলো যে আলো আল্লাহর হাবীব নামে পরিচিতি লাভ করবেন। সে আলোটির নাম মুহাম্মদ (দঃ) আহ্মাদ স্থির রেখেছিলেন। আমাদের মূল মুক্তি বানী হচ্ছে (লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ্) যা-কায় মনো বাক্যে একবার আবৃত্তি করলে সে নরকের জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে, জান্নাত, বা স্বর্গের উত্তরাধীকারী হিসেবে মালিকানা পেয়ে যায়, বটে কিন্তু ছাত্র, সন্তান, সন্ততীগণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আদেশ অমান্যকারীকে, আজাব, তথা, সাজা ভোগ করতে হয়। কিন্তু পাঠশালায় পড়ার এবং পিতৃ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয় না। চির কালের জন্যে যতক্ষন না মহা স্রষ্টা আল্লাহকে এবং তাঁর হাবীবকে অস্বীকার করছে। লক্ষ্য করা যাক মুক্তি বাণীটির প্রতি, মুক্তি বাণীর প্রথম অক্ষর, আরবী ভাষায় অক্ষরটি “লা” বাংলা অর্থ না বা নেই আরবী শব্দটি “ইলাহা” বাংলায় অর্থ হচ্ছে মাবূধ, অর্থাৎ উপাসনা পাওয়ার যোগ্য ইল্লা, বাংলায় অর্থ ব্যতীত, আল্লাহ্ নিরাকার অস্বীম তথা, স্বীমা-হীন, সর্বস্রষ্টা সর্বশক্তিমান, একটি মহা আলোর নাম। যার কোন লিঙ্গান্তর বা বিপরীত শব্দ বা অংশিদার নেই। তিনি সর্বে সর্বা একক স্ব-রূপে সর্বত্র বিরাজ করছেন। তাঁর রূপের বা আলোর কোন উপমা বা উদাহরণ নেই। আল্লাহর নামের সাথে-সাথে মুহাম্মদ (দঃ) নামটি যুক্ত কেন? মুহাম্মদ= অর্থ= প্রশংসাকারী, রাসূল= অর্থঃ প্রেরিত। রাসূলাল্লাহ্= অর্থাৎ আল্লাহর প্ররিত পুরুষ। মহা স্রষ্টা আল্লাহ যখন, তাঁর জগত সৃষ্টি করার ইচ্ছে পোষন করলেন, তখন সর্ব প্রথম তাঁর সহকারী, বা সাথী, তাঁর ইচ্ছেনোযায়ী সকল আলোর স্রেষ্ঠ আলো সৃষ্টি করে তাঁর নাম “মুহাম্মদ (দঃ) নাম স্থির করে আপন সাথে, সাথী করে, আপন নূরে “ফানাহ্” অর্থাৎ মিশ্রন করে, একাকারাবস্থায় আলমে যান্নাতে স্বীয় নামের সাথে যুক্ত করে তাঁর লিপি পটে লেখে রেখেছেন যা সর্বপ্রথম আদম (আঃ) এ মর্ত জগত থেকে দর্শন করে, সে আল্লাহর সাথীর নামে মুক্তির প্রার্থনা করে আপন ক্রটি বা দোষ থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। সে আদম (আঃ) এর সন্তান বর্তমান মানব কুল। <br />রেসাল অর্থ পত্র যিনি আল্লাহর পত্র বহন করেন তাকে রাসূল বলা হয় অর্থাৎ পত্র বাহক, তিনি আল্লাহ সর্বশেষ পত্র বা গ্রন্থ অর্থাৎ মুক্ত বাণী ‘আল-কুরআন’ দিয়ে গেলেন বলেই তাঁকে রাসূলাল্লাহ্ বলা হয়। <br />বিঃদ্রঃ মহা আল্লাহর অবস্থান অসীমে, অসীমে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সীমিতাংশের নাম করণ করেছেন নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল। মন্ডল দ্বয় অসীমে একটি সীমার মধ্যে নভোমন্ডলের মধ্যেই ভূমন্ডল বা সৌরমন্ডলগুলো অবস্থান। সৌরমন্ডল বা মর্তমন্ডল গুলো, নীহারিকা, গ্ল্যাক্সি, কসমস, গ্রহ নক্ষত্র, মোট কথা স্রষ্টার যত সৃষ্টি রয়েছে, সবই সীমিত নভোসীমায় অবস্থিত। এ নভোসীমার বাহেরে অর্থাৎ আল্লাহ নামক অসীম শক্তির অসীমে আর কোন সৌরমন্ডল বা মর্তমন্ডল নেই। সুতরাং আর কোন আবিষ্কারের অবকাশ নেই। <br /><br />দ্বিতীয়ত, সম্মানের সাথে ‘দরুদ’ এবং নবী (দ:) এর ওপর সালাম পাঠের মহা আদেশ। লক্ষণীয় বিষয়, সর্বশক্তিমান, আল্লাহ, কুরআন, শরীফের কোথাও এমন উক্তি করেননি, যেমন করেছেন নবী (দ:) এর ওপর সম্মানের সাথে ‘দরুদ’ এবং সালাম পাঠেরোক্তি। যেমন আমি এবং আমার ফেরেশতাগণ আমার নবী (স:) এর ওপর দরুদ আদবের সাথে সালাম, তথা সালামত, করুণা, বারক্বাত,রহমত সূচক শব্দ পাঠ করি, তোমরাও আমার অনুসরণ কর! লক্ষ্য করুণ আল্লাহর যে কোন আদেশ লঙ্ঘনকারী, জান্নাত, তথা স্বর্গ থেকে বঞ্চিত হবে। যেমন সংসদের কোন একটি সাংসদ যদি উক্ত সংসদের সংবিধানের একটি বিধান লঙ্ঘন করে সে সাংসদের স্থান আর উক্ত সংসদে নেই। এমনি সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রদত্ত অতুলনীয় মহা সংবিধান ‘আল-কুরআন’ আল কুরআনের মহাবাণী আল্লাহর মহা উক্তি মহা বিধানের অতুলনীয় মহা বিধান লঙ্ঘন করে চলেছে, মুসলিম জগতের একটি বিরাট অংশ। উদ্ধৃত মহা বাণী বা মহোউক্তি সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করেছে। উদ্ধৃত বাণীটির ন্যায় কুরআন শরীফের, কোথাও আল্লাহ এমন বাণী প্রয়োগ করেননি। যদিও নামায সম্পর্কে ৮২ বার বলেছেন, নামায কায়েম বা প্রতিষ্ঠা করতে। উদ্ধৃত বাণীর ন্যায় এমন উক্তি করেননি, যে, আমি এবং আমার ফেরেশতাগণ নামায পড়ে, তোমরাও সম্মানের সাথে নামায ক্বায়েম কর। রোজা, যাক্বাত, এবং হজ্জ সম্পর্কেও এমন উক্তি করেননি। সুতরাং প্রতিয়মান হচ্ছে যে, “বিস্মিল্লাহ্” সমগ্র সৃষ্টি জগতের ভিত্তি এবং সর্বমহা গ্রন্থ অবতীর্ণের সর্ব প্রথম আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বাধীন অবতীর্ণ শব্দ বা সূরা “বিসমিল্লাহ” বাক্যটি স্বয়ং একটি অতুলনীয় সর্বোৎকৃষ্টতম বাক্য। এ বিসমিল্লাহ বাক্যটি পূর্বেও ছিলো বলে, ১৯ পারার সূরা নমলে উদ্ধৃত করে নবী (দ:) কে অবগত করান তাই বিসমিল্লাহ শরীফের আঁয়াত বা বাক্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। স্রষ্টার সৃষ্টির জীবের মধ্যে উত্তম জীব মানব। মানব যখন সভ্যতা ছেড়ে অসভ্যতার জগতে প্রবেশ করে এবং যে সমাজ সভ্যতা হারিয়ে ফেলে, সে সমাজ বা রাষ্ট্র আদর্শ সমাজ বা রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হতে পারে না। সেখানে ন্যায়, সততা, সত্যতা, সভ্যতা, মানবতা, লজ্জা মান্যতা, আদর, স্নেহতা, পবিত্রতা, ভালবাসা থাকে না। জীব এবং বস্তু তরল বা কঠিনে আপন-আপন, ধর্মের নীতিতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে তা চিরকাল প্রতিষ্ঠিত থাকবে। মানব যখন অমানবতার জগতে প্রবেশ করে তখনি মহা মানব, কবি দার্শনিকের আবির্ভাব ঘটে, ধর্মহীনতার কোন মূল্যায়ন হয় না। ধর্মহীন বস্তু বা পদার্থের কোন মূল্য নেই, যেমন চুম্বকের ধর্ম আকর্ষণ, আকর্ষণ শক্তি যদি না থাকে সে চুম্বকের কোন মূল্যায়ন হয় না। যা ব্যবহার যোগ্য নয় বুঝতে হবে তাতে ব্যবহারের যোগ্যতা পবিত্রতা, বৈধতা, কার্যক্রম নেই সুতরাং অনুমেয় হচ্ছে যে, যা ব্যবহার যোগ্য নয় তা মূল্যহীন। যা মূল্যহীন তা অনাদৃত। সকল তরল, কঠিন, বস্তু, পদার্থ, প্রাণ স্রষ্টা থেকে ধর্ম প্রাপ্ত হয়েছে। যেমন চুম্বক পেয়েছে আকর্ষণ ধর্ম তার কর্মই আকর্ষণ করা, অন্যটা নয়। পানির ধর্ম বৃক্ষ তথা উদ্ভিদ জগতে বা প্রাণ জগতে বর্ষিত হয়ে সতেজ, সচেতন করা। তৃষ্ণার্থের, পিপাসা নিবারণ করা। বৃক্ষের ধর্ম অক্সিজেন, ছায়া এবং ফল দান করা। মানব ব্যতীত সকল জগত যে ধর্ম পেয়েছে সে, সে ধর্ম মতে কর্ম করে যাচ্ছে। অন্য কিছু করার মতো বা আপন মতে রুপান্তর করে ভোগ করার জ্ঞান বা বিবেক প্রাপ্ত হয়নি। একমাত্র মানবই তা পেয়েছে। স্রষ্টার সৃষ্টি জগতকে বিভিন্ন রূপে রুপান্তর করে ভোগছে তাই তাদের মধ্যে দিক নিদের্শক মহামানব প্রেরিত হন। তাই আক্বল জ্ঞান, প্রাপ্তির মূল্য দিতে হবে। অবৈধকে পরিহার করে বৈধতাকে প্রাধন্য দিয়ে। প্রতিয়মান হচ্ছে যে, মানবজাতির জন্য ধর্মই কর্ম, কর্মই ধর্ম নয়। কারণ অবৈধতা জ্ঞান বিবেকের কর্ম নয় বলে, কর্ম হিসেবে গণ্য হয় না। তাই মানবজাতির কর্মই ধর্ম নয়, ধর্মই কর্ম, ধর্মীয় দৃষ্টিতে যা গ্রহণীয় তাকে কর্ম হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। অন্য সব সৃষ্টি জগতে নির্দিষ্ট যে কর্মটি প্রাপ্ত হচ্ছে তাছাড়া অন্যটা করার ক্ষমতা নেই বিধায় আপন-আপন প্রাপ্ত কর্মটি সম্পন্ন করে যায়। চুম্বকের কর্ম বা ধর্ম একটাই, আকর্ষণ করা। তার এ আকর্ষণ শক্তি হারিয়ে গেলে তার কোন মূল্য নেই কারণ সে কর্মহীনাবস্থায়, এখন সে নিষ্প্রাণ প্রাণহীনকে মৃত বলা হয়। তার কোন মূল্যায়ন নেই, মূল্যহীন নি®প্রাণ একটি জড় বস্তু মাত্র। সৃষ্টি জগতের অন্য কোন জীব, বস্তু, প্রাণের স্রষ্টার সৃষ্টির মর্ম বুঝার রূপ রং রস আপন চাওয়া বিবেক মোতাবেক প্রস্তুত করে ভোগ করার মতো ক্ষমতা নেই। কিন্তু মানব, তা পারে কারণ তারা বৈধ-অবৈধ বুঝার মতো আক্বল জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। তারা জ্ঞান থেকে বাচতে শিখেছে। অসত্যতা, অসভ্যতা, তাদের কর্ম নয় মহামানব কর্তৃক আনিত মহা গ্রন্থের বিধান পালন, তাদের ধর্ম, ধর্মীয় দৃষ্টিতে যা গ্রহণীয় তা-ই তাদের কর্ম বা ধর্ম। সুতরাং মানবজাতির জন্য ধর্মই কর্ম যা ধর্ম নয় তা কর্ম নয়। তাই মানবের জন্য ধর্মই কর্ম। কর্মই ধর্ম বাক্যটি মানবের তরে নয়। মহামানবগণের মাধ্যমে অবতীর্ণ বিধি-বিধান অর্থাৎ সর্বশক্তিমান অপরূপ শক্তিধর “আল্লাহ্” নামক আলোর প্রদত্ত বিধান অনুসরণেই অসভ্যতার সমাজ, সভ্য সমাজে পরিণত হয়। মহামানবগণ নিজেস্ব কোন বাণী প্রয়োগ করার অনুমতি প্রাপ্ত হন না। মহামানবগণ স্রষ্টা হতে যে বাণী প্রাপ্ত হন, তাকে স্রষ্টার বিধান বাণী তথা নীতি বাণী বলা হয়। স্রষ্টার বাণীগুলো হতে, যে কোন একটি বাক্য বা বাণীকে উপেক্ষা, অবহেলা, এঙ্কার, তুচ্ছ, এবং অবমূল্যায়ন করে বা ত্যাগ করলে, স্রষ্টা প্রদত্ত সে বাণী বা বিধানের সীমায় অবস্থান করার অধিকার রাখে না বা সে, সে ধর্মের আওতাভুক্ত থাকবে না। “কুরআনে কারীমের সর্বস্রেষ্ট বাক্যটির বিষয় আলোচনা”<br /><br />সর্ব স্রেষ্ট বাক্যটি পারা নং ২২ (বাইশ) কুরআনে কারীমের বাইশতমাংশের ৫৬তম বাক্যটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে বুঝা যা যে, বাক্যটি কুরআনে কারীমের সকল বাক্য বা আদেশ থেকে সর্বোত্তম বাক্য বা আদেশ। মহা গ্রন্থ আল কুরআনে কোথাও এমন বাক্যোক্তি করা হয়নি যে, আমিও করি আমার ফেরেস্তারাও অর্থাৎ আমার দূতেরাও করে, হে আমার বিশ্বাসীগণ, আমার কৃত কর্মটি তোমরাও সম্মানের সাথে সম্পূর্ণ কর!। পূর্বোদ্ধৃত বাক্যটি হলো “ইন্নাল্লাহা= নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ এবং আমার দূত বা ফেরেস্তাগণ ছোয়াল্লু আলাইহি অর্থাৎ তাঁর ওপর দরুদ পড়ি অর্থাৎ দোয়া তথা রহমত, বারক্বাত, করুণা, বর্ষণ করি আলান নাবীই, আলা অর্থ ওপর অর্থাৎ আমার দোস্ত আমার হাবীবের ওপর অর্থাৎ। আমার নবীর ওপর তথা মুহাম্মাদ (স:) এর ওপর। করুণাময় আল্লাহ করুণার সাথে বলছেন, ইয়া- অর্থাৎ হে, ওহে ওগো এই যে, তোমরা যারা আমার ওপর বিশ্বাস করেছ, সন্ধোধন সূচক হে আমার বিশ্বাসীগণ তোমরাও আমার দোস্ত, হাবীব, মুহাম্মাদ (দ:) এর ওপর, দরুদ অর্থাৎ দোয়া করুণা, রহমত, বারক্বাত, সূচক শব্দ পাঠ কর বা রহমত বর্ষণ কর। এবং সম্মানের সাথে তাজীমের সাথে সালাম পাঠ কর তথা সালামত শান্তি বর্ষণ কর! পূর্ণ বাক্যটি (ইন্নাল্লাহা-ওয়া-মালাই=কাতাহু ইউ ছোয়াল্লাুনা আলান্নাবীই ইয়া-আই-ইউহাল্লাজীনা- আমানু ছোয়াল্লু আলাইহী ওয়া সাল্লেমু তাসুলীমা”)। আমি এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী (দ:) এর ওপর দরুদ পড়ি, হে, আমার বিশ্বাসীগণ তোমরাও সম্মানের অর্থাৎ তাজীমের সাথে দরুদ এবং সালাম পাঠ কর। মহাগ্রন্থ কুরআনে কারীমের উদ্ধৃতোক্তিটি সর্বোৎকৃষ্টতম উক্তি, যে কর্তৃক লঙ্ঘীত হবে সে আল্লাহর রহমত, বরক্বাত, করুণা এবং জান্নাত অর্থাৎ স্বর্গ থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহর, সে আদেশ সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম সর্বোৎকৃষ্টতম সর্বপ্রথম আদেশটির প্রতি দৃষ্টি বিবদ্ধ করা যাক। জিব্রাঈল (আ:) এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম সর্বপ্রধান আদেশ সূচকোক্তিটি, (ইক্বরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজী খালাক) উদ্ধৃতোক্তিটি উচ্চারিত হওয়ার পূর্বে জিব্রাঈল (আ:) এবং নবী (দ:) এর মধ্যে আলীঙ্গন হওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি শিক্ষাপ্রাপ্ত, উচ্চারিত শব্দটি-ই কুরআনে কারীমে সর্বপ্রথম উচ্চারিত শব্দ। ‘ইক্বরা’ প্রথম উচ্চারিত শব্দ নয় প্রথম উচ্চারিত শব্দটি ব্যতীত, নবী পাক (দ:) (ইক্বরা) উচ্চারণ করেননি। যাঁর নাম উচ্চারণান্তে ইক্বরা শব্দটি পাঠের আর্দিষ্ট হচ্ছেন। তাঁর সে নাম সূচক শব্দটি হচ্ছে, (আল্লাহ) এ আল্লাহ নামে বাক্যটি উচ্চারণান্তে ইক্বরা শব্দ উচ্চারণ করতে আর্দিষ্ট হচ্ছেন অর্থাৎ (আল্লাহর নামে) বাক্যটি “বিসমিল্লাহ্”। বিশেষ লক্ষণীয় বিষয়ঃ নামাযের মধ্যে যে দরুদে ইব্রাহীম (আ:) এবং সালাম পাঠ করা হয় তা হচ্ছে যে তাশাহুদের মধ্যে পাঠের জন্য নির্দিষ্ট। আল্লাহ এবং ফেরেস্তাগণ দরুদ এবং সালাম পাঠ করেন। যে কোন সময় পবিত্রাবস্থায় পাঠ করতে হয় এবং করার বিশেষ আদেশ আল্লাহ এবং ফেরেস্তাগণের খাস দরুদ এবং সালাম সর্বাবস্থায় সর্ব জায়গায় পাঠ করা যায় তবে স্থান এবং শরীর পাক পবিত্র থাকা উত্তম। <br /><br />বিঃদ্রঃ নামাযের যে “দরুদ এবং সালাম পড়ি নবী (দ:) এর তাঁর স্বজনগণের অর্থাৎ আলে রাসূলগণের উপর, ইব্রাহীম (আ:) এর এবং আলে ইব্রাহীম (আ:) এর ওপর শান্তি, দয়া, করুণা, রহমত, এবং বারক্বাত, বর্ষণ লক্ষ্যে পাঠ করা হয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, “আসসালামু আলাইনা” উদ্ধৃত বাক্যে এটাই প্রতিয়মান হচ্ছে যে, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাঁরই বন্ধু নবী (দ:) এর ওপর স্বয়ং আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে রহমত এবং বরক্বাত বর্ষণ করেছেন। দ্বিতীয়টিতে নবী মুহাম্মাদ (দ:) আসসালামু- আলাইকুম বলে তাঁর অনুসারী অর্থাৎ তাঁর উম্মাতগণের জন্য আল্লাহর নিকট শান্তি রহমত, বারক্বত, কামনা করেছেন। কিন্তু ২২ (বাইশতম) পারার সূরা (আহজাবের) ৫৬তম আয়াত বা বাক্যের মধ্যে যে সালাম শব্দ উচ্চারিত হয়েছে এবং দরুদের কথা বলা হচ্ছে তা এক নয়। এক হলে (ছোয়াল্লু) এবং সাল্লেমু তাসলিমা পৃথক-পৃথক ভাবে বলা হতো না। দরূদ শরীফ যতই বেশী-বেশী পাঠ করা হয়। ত-ততই ভালো, কিন্তু নবী (দ:) এর ওপর আল্লাহর আদেশ মতে সম্মানের সাথে প্রদান বা পাঠ না করলে, আল্লাহর বিশেষ আদেশ লঙ্ঘনকারী হিসেবে গণ্য, তখন স্বর্গ বা জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়ে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো এবং মুনাফীক, নিমকহারাম, নাফরমান ও ভ্রষ্ট পথের পথিক হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে রিক্ত হস্তে মুমীনগণ হতে দূর থেকে দূরান্তরে ছিটকে নরক গহ্বরে পতিত হয়ে চির তরে ধ্বংশের পথে ধাবিত হবে। আল্লাহর এ মহান আবদারজনীত উক্তি বা আদেশটি সম্পর্কে সম্মানীত ওলামায়ে কিরামগণ বিশেষ ভাবে অবগত বা এ বিষয়ে বিশেষাভিজ্ঞ। এ মহা আবদারজনীত উক্তিটি নিশ্চয়ই-নিশ্চয়ই আমি এবং আমার দূত বা ফেরেস্তাগণ আমার হাবীব মুহাম্মাদ (দ:) এর ওপর দরূদ পাঠ বা পড়ি অর্থাৎ রহমত, বারক্বাত, দয়া, করুণা, শান্তি, সালামত বর্ষণ করি। বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামগণ যখন অবগত তখন লেখার প্রয়োজন কেন? উদ্ধৃত উক্তি সম্পর্কে সকল অবগত নয় বিধায় লেখতে হয়। মানবজাতির মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে নবী মুহাম্মাদ (দ:) কুরআন এবং হাদীস শরীফ রেখে গেছেন। প্রত্যেক উম্মাতি মুহাম্মাদীগণের তা অবশ্যাবশ্যই অনুসরণীয় বা অনুকরণীয় বিশেষ লক্ষণীয় বিষয় “কুরআন”, <br /><br /><br />এ সম্পর্কে সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণ অবগত থাকা সত্বেও লেখার প্রয়োজন কেন বোধ করলাম। কারণটি হচ্ছে, আমি, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন স্থানে যেমন- বান্দ্রা, যোগেশ্বরী, মালুনি, মালাড, ইত্যাদি কয়েক স্থানে এবং দিল্লী, আজমীরও গিয়েছি, এমন কি চৌদ্দ বছর মুম্বাই পূর্ব বান্দ্রা বাহরাম নগর মাদ্রাসা রেজবিইয়া , এবং মসজিদে রেজবিইয়াতে কর্মরত ছিলাম। করাচী দুই বছর বাটোবা আঞ্জুমান-ই হিমাইতে ইসলাম নামক সংস্থার ইমাম হিসেবে এবং সৌদি আরব দু বছর কর্মরত ছিলাম। এ সুবাদে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ইসলামী অনুষ্ঠানে যেমন তাবলাগী অনুষ্ঠান, তাবলীগ করা ফরজ কারণ আল্লাহ মহামানবগণের মাধ্যমে তাবলীগ করিয়েছেন (এজন্য ফরজ বলা হচ্ছে) বক্তাগনের বিভিন্ন বক্তব্য শ্রবণ করতাম তাদের কর্মগুলো প্রত্যক্ষ করতাম কোথাও কোন অনুষ্ঠানে নবী (দঃ) এর দরুদ এবং সালাম এবং কোরআন পাঠ করতে প্রত্যক্ষ দর্শন বা শ্রবণ করিনি। তাই এতে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে, আল্লাহর একটি বিশেষ অতি আবদার জনীত বাণীর প্রতি, যে বাণীতে মুমীনগণকে অর্থাৎ বিশ্বাসীগণকে ডেকে বলেছেন, হে আমায় বিশ্বাসীগণ। আল্লাহর প্রেরিত ভাষায় “ইয়া আই-ইউহাল্লাজীনা আমানূ” হে আমার বিশ্বাসীগণ আমার হাবীবের ওপর “ছোয়াল্লু আলাইহি” অর্থাৎ তাঁর ওপর দোয়া দরূদ, রহমত, বারাক্বাত, করুণা সূচক শব্দ পাঠ কর। আমি এবং আমার ফিরিস্তাগণও তা করে থাকি। কিন্তু উদ্ধৃত অনুষ্ঠানাদিতে নবী (দঃ) এর ওপর সালাম এবং দরূদ এবং কুরআন পাঠ করা থেকে তারা বিরত থাকে। উদ্ধৃত বাক্যটি অর্থাৎ দরূদ এবং সালাম সূচক আল্লাহর বিশেষ আগ্রহের এবং অতি আবদারজনীত উক্তিটি পাঠ ও সালাম প্রদান থেকে বিরত থাকা অর্থাৎ উদ্ধৃতোক্তিটি কে এঙ্কার করা তথা আল্লাহকে এঙ্কার করা, আল্লাহ প্রদত্ত একটি বাক্য বা আদেশকে অবহেলা বা এঙ্কারকারী অমুসলীম হিসেবে গণ্য, তাই মস্জিদে প্রবেশ করা তার জন্য কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ বা হারাম হয়ে যায়। তারা দরূদ এবং সালাম পাঠ থেকে, কেন বিরত থাকে তাদের একজনকে প্রশ্ন করলে, উত্তরে যা বলে, তাতে প্রতিয়মান হয় যে, আল্লাহর প্রেরিত সে মহা পবিত্র বাণীটি তাদের কর্তৃক প্রত্যাক্ষাত হয়েছে। বিবেকবান মুমীনগণের বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে যাদের কর্তৃক আল্লাহর বাণী প্রত্যক্ষাত হয়, তারা নবী মুহাম্মদ (দঃ) কর্তৃক প্রবর্তিত মস্জিদে প্রবেশের অধিকার রাখে কি? উত্তর আসবে, না। আল্লাহর মহা পবিত্র বাণীর পূর্বোদ্ধৃতোক্তিটির পুনরাবৃত্তি। <br />“ইন্নাল্লাহা ওয়া মালা-ই কাতাহু ইউছোয়াল্লুনা আলান্নাবীয়্যে- ইয়া আই-ইউহাল্লাজীনা আমানূ ছোয়াল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলীমা” আল্লাহর স্বীয়োক্তি, আমি- আমার নবী (দঃ) এর ওপর দোয়া দরূদ রহমত বারাক্বাত বর্ষণ করি এবং আমার ফিরিস্তাগণও দরূদ পড়ে অর্থাৎ করুণা বারাক্বাত রহমত বর্ষণ করে। মুমীনগণের লক্ষ্যে আল্লাহর বাণী, “হে, আমায় বিশ্বাসীগণ, তোমরাও আমার নবীর ওপর দরূদ পাঠ কর। অর্থাৎ রহমত, বারাক্বাত, করুণা-শান্তি সালামত বর্ষণ কর। উদ্ধৃত মহা পবিত্র বাণীটি যাদের দ্বারা বর্জিত হলো, তাঁরা অবশ্যাবশ্যই আল্লাহর রহমত বারাক্বাত থেকে চির শান্তি স্বর্গময় জীবন থেকে বঞ্চিত হলো। <br />মিলাদ বা মাওলুদ শরীফ <br />বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামগণ থেকে জান্তে পেরেছি যে, “মাওলুদ বা মিলাদ” শব্দটি আরবী। বাংলা ভাষায় এর অর্থ জন্ম, আগমন, উত্থান বা পর্দাপন। স্মরণ রাখার মতো এমন সরনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এমন জন্ম সম্পর্কে কোন আলোচনা অনুষ্ঠানকে সাধারণত “জন্ম” বা মিলাদ শব্দ ব্যবহার করি। যেমন অমুক দিন তাঁর জন্ম। যাঁর গুনে মানব এবং দেশ গর্বানুভব করে এবং যাঁরা বিশেষ অতি বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এমন গুণি জন সম্পর্কে যে কোন আলোচনায় তাঁদের লক্ষ্যে সম্মান সূচক শব্দ ব্যবহার করি। যেমন উনি, অমুক বৎসর, অমুক মাসের, অমুক দিন, অমূক সময় তাঁর আগমন উত্থান বা পদার্পন ঘটে। এ নশ্বর বিশ্বে তাদের অবদান সম্পর্কিত বিষয় আলোচনার লক্ষ্যে যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, সে অনুষ্ঠানকে একমাত্র মুসলীম সমাজে মাওলুদ বা মিলাদ শরীফ নামে সরনীয় করে রাখা হয়েছে এবং প্রায় হাজার বৎসর তা পালিত হয়ে আসছে এবং পালিত হতে থাকবে। যারা এ অনুষ্ঠানকে এঙ্কার বা বাতিল বলে জানবে তারা মুসলীম সমাজ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ এ “মিলাদ” শব্দটি ব্যবহৃত হয় এমন জনের লক্ষ্যে যিনি সর্বস্রষ্টার বন্ধু, মানব জগতের স্রেষ্ঠ মানব এবং স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্ব শেষ তুলনাহীন অতি মহা মানব যিনি স্রষ্টার পক্ষ থেকে মুহাম্মদ এবং আহমাদ” নামের উপাধিতে ভুষিত, তাঁর লক্ষ্যেই “মিলাদ” নামের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যে কোন মুসলীম এ মিলাদ অনুষ্ঠানকে বাতিল ঘোষনা করতে পারে না। যে বাতিল করলো সে মুসলীম নাম থেকে বঞ্চিত এবং মুসলীম উপাসনালয় মসজিদে এবং কাবা বা মসজিদে হারাম বায়তুল্লাহতে প্রবেশের অধিকার থেকে বঞ্চিত হলো। মিলাদকে অবমূল্যায়ন তথা ইসলাম ধর্মকে অবমূল্যায়ন করার সমান। <br />কোন মহা ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি পৃথিবী থেকে গমন করার পরই তাঁর ব্যক্তিত্বের এবং কর্মের ও অবদানের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, জীবদ্দশায় নয়। তাঁর আগমন থেকে গমনের মধ্যবাগে অর্থাৎ জীবনকালে যা সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করা একান্ত ফরজ অন্যথা সে ধর্ম, সে জাতির ধ্বংস অবধারিত। মহান ব্যক্তিগণের ক্রিয়া কর্ম এবং বিশ্বের প্রতি তাঁদের অবদান সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠান পালিত করা, ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য দিক নির্দেশনা। আল্লাহর সৃষ্টি এ বিশ্ব জগতে অসংখ্য প্রাণের গমনাগমন হচ্ছে। মহাপ্রলয় পর্যন্ত হতে থাকবে। এ সংখ্যাহীন প্রাণী গুলোর গমনাগমন সম্পর্কে ডাক, ঢোল বাজিয়ে সাজন সাজিয়ে আচারানুষ্ঠান পালিত হয় না। কারণ প্রানীগুলোর মধ্যে জীবন জীবিকার, শান্তি শ্রীঙ্খলার, সভ্যতার আদর্শ সমাজ এবং আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের পথ নির্দেশনার নির্দেশক কোন বিধান বাণী আসেনি। তাই প্রাণী গুলোর জন্ম বা গমনাগমন সম্পর্কিত অনুষ্ঠানাধি পালিত হয় না। কোন বিশেষ জনের আগমন এবং গমন উপলক্ষে দিবস পালিত হওয়ার কারণ হলো, তাঁদের মাধ্যমে স্রষ্টা জগত বাসিকে কি দিয়েছে। সমাজ রাষ্ট্র এবং জাতির প্রতি তিনি কি অবদান রেখে গেলেন? সৃষ্টি জগতের এবং মানব জাতির মুক্তির লক্ষ্যে, যখন বিবেকবান গুনি জনদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়, তখন তাঁদের অবদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেই তাদের আগমন এবং গমন দিবস পালিত হয়। যেন তাঁদের অবদানের দিকে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মগণের দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে শান্তি সুখের জীবন জীবিকার পথ উন্মুক্ত রাখতে পারে। এ নশ্বর জীবন পথ অতিক্রম করে মর্ত থেকে অমর্তে সহজ ভাবে গমন সম্পন্ন করতে পারে। উদ্ধৃত গুনিজনগণের গমনাগমন অর্থাৎ জন্ম, মৃত্যু উপলক্ষে অনুষ্ঠানাধি পালনের মাধ্যমে তাঁদের জীবন বৃত্তান্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আরবী ভাষায় এ অনুষ্ঠাকেই মাওলুদ বা মিলাদশরীফ বলা হয়। আপ্রলয় পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান পালিত হতে থাকবে। এ অনুষ্ঠান ইসলাম প্রচারে বিশেষ অবদান রাখে। যত দিন এ মিলাদ অনুষ্ঠান পালিত হতে থাকবে, ততদিন মর্ত জগতে শান্তি শৃঙ্খলার আলো জ্বলতে থাকবে। তাই সর্ব স্রেষ্ট এবং সর্বশেষ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সর্ব স্রেষ্ট বিশ্বমানবের মুক্তিরালো, মহা গ্রন্থ, আল ক্বুরআন” নামের মুক্তি পথ নির্দেশনা মূলক সংবিধানটির ওপর গুরুত্বারোপ করেই তাঁর আগমন বা জন্ম এবং গমনের দিন, সময় নির্ধারণ করে, যে অনুষ্ঠান-অনুষ্ঠিত হয়, তা মিলাদ বা মাওলুদ শরীফ নামেই অনুষ্ঠিত হয় এবং হতে থাকবে তাঁরই কৃত কর্ম আদর্শ এবং অবদান স্মরণ লক্ষ্যে।<br />বর্তমানে দ্বীনের দাওয়াত নামক ইসলাম প্রচারানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু যাঁর মাধ্যমে ইসলাম নামক মহা পবিত্র ধর্ম অর্থাৎ পার্থিব জীবন জীবিকার এবং সুস্থ সুন্দর সমাজ রাষ্ট্র গঠনের নীতি নিয়ম অর্থাৎ সংবিধান প্রাপ্ত হয়েছে, সে সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বশেষ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রতি সালাম এবং শ্রদ্ধার চিহ্ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যে সালাম শ্রদ্ধা তাজীম বা সম্মান সম্পর্কে স্বয়ং সৃষ্টি কর্তা অতিব গুরুত্ব সহকারে তাঁর প্রদত্ত মহা গ্রন্থের ২২ (বাইশতম) পারা,সূরা, আহজাবের ৫৬ (ছাপান্নতম) বাক্যে তাঁরই বিশ্বাসীগণের প্রতি আদেশ প্রদান করেছেন। পরিলক্ষিত হচ্ছে যে উদ্ধৃত বাক্যটি সম্পূর্ণ রূপে লঙ্ঘীত হচ্ছে। স্রষ্টার যে কোন আদেশ যার দ্বারা লঙ্ঘীত হবে। সে ব্যক্তি স্রষ্টার বাণী বা গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত থাকবে না। “সাল্লেমু তাসলীমা” এ শব্দ দ্বয় মহান আল্লাহর অতি প্রিয় মহা আদেশ বাণী যাঁর অর্থ তত্ত্ব- তথ্য বর্ণনা দেয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। যা টুখানি বুঝি “সাল্লেমু তাসলীমা” অর্থে বুঝানো হচ্ছে যে, সম্মানের সাথে সালাম প্রদর্শন কর। এ বাণীটির মধ্যে রয়েছে। শান্তি. রহমত, বারাক্বাত করুণা এমন একটি মহা মূল্যবান বাণী নবী (দঃ) এর ওপর বর্ষন করতে তাঁর বান্দাগণের প্রতি বিশেষ আদেশ প্রদান করছেন। এ মহা মূল্যবানোক্তিটি উচ্চারণ করতে মুসলীম দাবীদার একটি অংশ অনিহা প্রকাশ করে। সে অংশের এক ব্যক্তিকে যখন প্রশ্ন করলাম ভাই, আপনারা নবী (দঃ) এর প্রতি “ইয়া নাবী” শব্দ উচ্চারণে অনিহা প্রকাশ করেন কেন? উত্তরে সে বলে, “ইয়া” শব্দটি উচ্চারিত হয় তখন, যখন যাকে “ইয়া” বলে সম্বোধন করবো, তিনি যদি আমার সামনে বা সম্মুখে উপস্থিত থাকেন। নবী (দঃ) আমাদের সম্মুখে উপস্থি নেই বলে “ইয়া নাবী” বলা হয় না, কিন্তু আল্লাহ বলেছেন আমার নবী (দঃ) এর ওপর সম্মানের সাথে সালাম প্রদর্শন করার জন্য। পূর্বেই উদ্ধৃত হয়েছে, আল্লাহর একটি বানী লঙ্ঘীত হলে, আল্লাহর মহা গ্রন্থই লঙ্ঘীত হলো। যেখানে আল্লাহ বলেছেন “জালিকাল কিতাবু লারাইবা ফীহ্” অর্থাৎ এ গ্রন্থে বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ নেই। এ গ্রন্থ পুঙ্খানূ পুঙ্খরূপে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। </div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-43720845406620723942013-09-07T22:39:00.003-07:002013-09-07T22:39:29.214-07:00বিভ্রান্তির বেড়াজালে যেন আটকে না যাই<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কলম এবং বিবেকরূপ ফায়ার ব্রিগেড্ কর্তৃক অন্তরের আগ্নেয় গিরির অন্তরাগ্নি নির্বাপন কর্ম যখন প্রায় প্রান্ত সীমায়, শ্রান্ত-কান্ত হৃদয়ও কায়া যখন প্রশান্তির প্রথম শ্বাসটি নিতে যাচ্ছে, ঠিক এমনি সময় চির দুশমনের অস্ত্রাঘাত হলো যেন ক্বলবের কেন্দ্র বিন্দুতে। তাই মিটি মিট নিবু নিবু অন্তরাগ্নি তখনি বাঁধা ভাঙা স্রেতের ন্যায় প্রবল শক্তিধর গতিতে ফুঁসে উঠল। অপ্রতিরোধ্য প্রবল গতিতে বেরোতে লাগল সেই গলিত প্রবাহশীল লাভ। <br />কিন্তু হয়,<br />শক্তি যে নেই কায়!<br />কিন্তু এ মহাদুর্যোগে হত বুদ্ধি হলেতো চলবেনা! যা-ই আছে, তা নিয়েই এগোতে হবে। ঘা-তে প্রতিষেধক প্রতিরোধক মলম-তো লাগাতে হবে! কোথায় কোন অস্ত্রে আঘাত হেনেছে তা দেখতে হবে। প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। পূর্বেই বলেছি, চির সত্য পন্থা ইসলামে আঘাত এলে তা, আমার প্রাণ স্পর্শ করে। তাই হৃদয়ের আগ্নেগিরিরাগ্নি লেলীহান শিখায় গগণ স্পর্শ করে। সাম্প্রতিক কালে মুসলিম উম্মাহর মঝে অনৈক্য ও নানা বিজাতীয় কুপমন্ডকতা মুলকঅপকর্ম চিন্তা ও কর্মে ঢুকানোর আপ্রান প্রচেষ্টায় কাফির নাফরমানেরা নানা ছল চাতুরীতে সদা-সচষ্ট এরূপ আচরণ পৃথিবীর সর্বত্র অহরহ ঘটছে বলেই মুসলিম উম্মাহার একজন নগন্য খাদেম হিসেবে এ বিষয়টির অবতারনা করলাম। বর্তমান এ-আলোর আঁধারের সুযোগে চির সত্য বিধানাবলীর বিষয়ে নানা বাঁকা উক্তি করার দৃষ্টতা দেখানোর সাহস পাচ্ছি। এটা হচ্ছে শ্রদ্ধয় ওলাকায়েকিরাম এবং সম্মানিত নায়েবেরাসুলগণের উদাসিনতার কারণ। এ সম্পর্কে সমাধান দেয়া আমার পে সম্ভব নয়। কারণ আমার সে যোগ্যতা নেই। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে, এ সম্পর্কে আপন মনোভাব প্রকাশ করতে চেষ্টা করছি মাত্র। ইসলামী বিাজ্ঞ ওলামায়ে কিরামগনই এর সমাধান দেয়ার অধিকার রাখেন। আমি শুধু এর উপর একটা আলোচনা রাখতে চাই তা হলে এমন, যে, ব্যক্তি (সে যে-ই হোক) মনে করবে হজ্জব্রত পালন করাটা মুর্তি পূজার নামান্তর, আমি আমার ুদ্র জ্ঞানের আলোকে, আমি বলব সে ্সলাম সম্পের্কে সম্পুর্নই অজ্ঞ। ইসলাম মুর্তি পূজাকে হারাম বা শিরক ঘোষণা করেছে। এমন কি তা উচ্ছেদ ও করেছে। আর এখন মুসলমানেরাই মুর্তি পূজক বা তার ক্রিয়া কলাপকে মুর্তি পূজার নামান্তর বলে আখ্যায়ীত করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। যে, এমনটি বলার সাহস পাচ্ছে, বলতে হয়, সে ইসলামের গভীরে প্রবেশ করতে পারেনি। রাব্বুল আলামীন আল্লাহ্ তায়ালার আকারাকৃতি বা প্রকৃতিই কি? তিনি কি একস্থানে বসেই পর্যবেণ করছেন? না, সর্বত্রই বিদ্যমান? স্বয়ং প্রত্য করেছেন? না-দূরবিন রূপসৃষ্টি যন্ত্রদ্বারা দর্শণ করেছেন? তিনি কি সর্বে সর্বা? আল্লাহ সম্পূর্ন না কি অসম্পূর্ণ? তিনি অভাব অনুভব করেন কি? না- অভাব মুক্ত? তিনিই কি আমাদের সৃষ্টিকুলের মালিক? এত সব সৃষ্টিকুল কি তাঁর প্রতিই প্রত্যাবর্তনশীল? সৃষ্টিকুলের সাথে কথা বলছে কি বলছে না? এত সব সৃষ্টির ভাষা বুঝেন কি বুঝেন না? সৃষ্টিকুলের কথা শ্রবন করেন কি, করেন না? আল্লাহ কি অন্যান্য মানুষকৃত সৃষ্ট বা ধারণাকৃত মাত্র দেব-দেবীর ন্যায়? এ অস্থায়ী এবং স্থায়ী অনন্তকাল সম্পর্কে উক্ত সমালোচকোর কিছু ধ্যান ধারণা আছে কি? এমনি অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে। সুতারাং যার এ বিষয় সমূহ সম্পর্কে চিন্তা -ধ্যান -ধারণা করার মত শক্তি নেই এবং ইসলামের গভীরে প্রবেশ করেনি কেবল সেইতো ্মন ভ্রান্ত উক্তি করতে পারে।<br /><br />আল্লাহ বলেছেন, আমাকে স্বরণ করার জন্য নামাজ কায়েম কর বা প্রতিষ্ঠা কর, রোজা রাখ, জাকাত আদায় কর, আদেশ সমূহের মধ্যে হজ্জ হচ্ছে একটি বিশেষ আদেশ। মুমীনগণ আল্লাহর আদেশ পালনেই বদ্ধ পরিকার । মুমীন মুসলামানগণ পবিত্র কাবা শরীফেকে সেজদা করতে যায় না। যায় শুধু –আল্লাহর হুকুম পালন করতে। আল্লাহ এমন কথা বলেনি যে, হে মুমীনগণ, তোমরা আমার ঘরকে সেজদা কর। এই পবিত্র ঘরটিকে কেন্দ্র করেই নামাজ আদায় করতে আদেশ করেছেন মাত্র। “সূরা আল ইমরান” ৪৩ নং আয়াতে আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন, “ইয়া মারইয়মুক্বনুতী লিরাব্বিকি ওয়াস্জুদী ওয়ারকায়ী মার্য়া রা’কিয়ীন” অর্থাৎ- হে মারইয়াম! তোমার পালন কর্তার উপসনা কর এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু ও সেজদা কর। সুতারাং ল্য করা যায় যে, সর্ব জগতের অর্থাৎ সৃষ্টিকুলের মালিক যখন আল্লাহ, রুকু-সেজদা পায়োর একমাত্র মালিক ও তিনি। আল্লাহর উদ্দেশ্যেই রুকু-সেজদা করা হয়। সেজদা পাওয়ার একমাত্র মালিক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ নয়। সেজদা পাওয়ার মালিক সৃষ্ট কোন বস্তু নয়।<br /><br />সূরা আল বাক্বারার- ১৪৫নং আয়াতে বলা হচ্ছে, “নিশ্চই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মাসজিদুল হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমার যেখানেই থাক, সে দিকে মুখ কর। যারা আহলে কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে এটাই ঠিক পালন কর্তার প থেকে। আল্লাহ বেখবর নন্। সে সমস্ত কর্ম সম্পের্কে যা তারা করে”।<br /><br />সুতারাং পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, পবিত্র কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে রুকু এবং সেজদা রকার আদেশ হচ্ছে। কাবাকে সেজদা করার বা কবাকে পুজা করার আদেশ হয়নি। দিক নির্দেশক বা দিক নির্দেশনা না থাকলে ও মমীন মুসলমানদের নামাজ আদায় হয়ে যায়। তাই বুঝতে কষ্ট হচ্ছেনা যে, আল্লাহপাক কাবা ঘরেক সেজদা করতে বলেননি। যে কোন কাজের একটি মূল বা কেন্দ্র বিন্দুর প্রয়োজন হয়। একমাত্র আল্লাহ যিনি সর্বময় বর্তমান তাঁরি নির্দেশ তাঁকে স্মরণ বা তাঁর এবাদতের জন্য একাদতের কেন্দ্র বিন্দু কাবার দিকে ফিরে এবাদাত করার আদেশ প্রাপ্ত হয়েছে মুমীনগণ। সুতারাং অন্য কোনরূপ মুর্তি পূজার ন্যয়-মুর্তি পূজার নামান—র হতে পারেনা। কারণ কাবা ঘর মুমীন মুসলমানদের নিকট পূজনীয় নহে মহান অল্লাহই একমাত্র পূজনীয় বা এবাদত পাওয়ার মালিক। সুতারাং এটা মুর্তি পূজার নামান্তর হতে পারেনা। মহান আল্লাহ যা-যা করতে আদেশ করেছেন সে সে আদেশ পালনের নামই এবাদাত। অর্থিক মতা সম্পন্ন ব্যক্তির উপর আদেশ হল, জীবনে একবার হলেও পবিত্র হজ্জ আহকাম পালন করতে হবে। অভিশপ্ত আজাজিলকে ধিক্কার স্বরূপ পবিত্র পবিত্র হজ্জের আহকাম অন্তর্গত পাথর নিেেপর আদেশ এসেছে। পাথরের উপর মাথা ঠেকানোর আদেশ আসেনি। মুনাফিক নিমক হারাম আজাজিলকে ধিক্কার সূচক যে পাথর বা কর নিপে করেছে, সে ইহকালীন জীবনে নিমক হারাম মুনাফিক, ধোকাবাজ আজাজিল হতে সদা মুক্ত থাকারই ইশারা বা চিহ্ন বহন করে। এ সকল বস্তু বা পাথরকে মহা শক্তি মনে করে মাথা ঠেকাতে কোথাও আদেশ দেয়া হয়নি। যারা শিার গভীরে প্রবেশ করেছে কেবল তাঁরাই শির প্রকৃত মর্ম অনুধাবন করতে পেরেছন। এবং যাঁরা সুস্থ বিবেকবান, তাঁরা তাঁদের জিহ্ববার অগ্রভাগে লবন স্পর্শেই বুঝতে পারেন যে, লবন, লবনাক্ততার তারতম্য এবং যেখানে প্রয়োজন তত টুকুই করবেন। তার পরিমাণ বা মাপকাঠি পূর্ণ অভিজ্ঞতার আলোকে সুস্থ্য বিবেকবান বলে পরচিতি লাভ করেন। যে মুখে লবন রেখেও লবনাক্ততারন তারতম্য বুঝতে অম, প্রকৃত চিকিৎসক তাকে সুস্থ্য বলতে পারে না। তেমনি যারা- ইসলামের গভীর প্রবেশ করতে পারেনি এবং বিবেক অসুস্থ্য, তাদের পে ইসলামের মর্মানুধাবন করা সম্ভব নয়। যে ইসলামের আলোতে প্রবেশ করে আলোকিত হতে পেরেছেন এবং অককপটে ইসলামে পূর্ণ আস্থা স্থাপন করতে পেরেছেন, কেবল তাঁরাই প্রকৃত মুমীন মুসলমান হিসেবে গন্য হতে পেরেছেন। এ অসীম মহামুক্তির মহা সমুদ্রের ডুব দিলে মুক্তি পাওয়া যাবে কিন্তু কুল পাওয়া যাবেনা। তাই ইসলাম সম্পর্কে যাচ্ছেতাই সমালোচনা পুরো অসুস্থতার নামারন্তই মাত্র।কারণ এ কোন মানব রচিত বিধি স্বরূপ ধর্ম নহে। যিনি সর্ব স্রষ্ট- দ্রষ্ট সর্বজগতের মালিক তাঁরি নাজিলকৃত এ মহা পবিত্র ধর্ম- ইসলাম। এ গভীর প্রবেশ না করে না বুঝে কেবল উপর থেকে উড়ে উড়ে কাঁ কাঁ রবে, আড় চোখে তাকিয়ে ইসলাম সম্পর্কে কিছু অনুধাবন করা যাবে না।<br /><br />মন- প্রান ঢেলে মুক্তির আশায় ইসলামকে চেনার জন্য বুঝার জন্য সর্বোপরি জীবনের সার্বিক মুক্তির জন্য গভীরে প্রবেশ করতে হবে। তাই, আসুন আমরা বিশ্ব মানবতার একমাত্র মুক্তি-বিধান আল কুরআনের উজ্জ্বলতম আলোকে নিজদের পরিচালিত করে আল্লাহ্ রাব্বুল আলমীনের সন্তুষ্টি লাভে সচেষ্ট হই। ইয়া আল্লাহ্ আমাদের আর্জি কবুল করুন। সকল বিভ্রান্তি ছলনামুলক প্রতারণারূপ শয়তানী চক্রের আবর্ত হতে অমাদের মুক্ত রাখুন।<br /><br />বইতে অনিচ্ছাকৃত ভুল-ক্রটির জন্য বিনীতভাবে মা চেয়ে ভবিষ্যতে ক্রটি মুক্ত করার সক্রিয় প্রচেষ্টা ব্যাক্ত করছি। “ইন- শা- আল্লাহ”।<br /><br />আমীন।<br />নিছক লেখকের তালিকায় নামভুক্ত করার উদ্দেশ্যে কলম হতে নেইনি। লেখক হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে সে সম্পর্কে কল্পনাও করতে পারিনি। উক্ত মতা নেই বলেই বিশেষ জ্ঞানী- গুণীজনের নয়ানলোক মনের ভাব প্রাকাশ-মানসে কলম হাতে নিয়েছি মাত্র। ভাবাবেগের পন্য- বাহী তীর মানবকুলের মানসলোকের হৃদ-সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার মানসে দুর্বল অসহায়ত্বের কাষ্ঠখন্ডের উপরে দাঁড়িয়ে সর্বশক্তিমান – যিনি মহান, দয়ালু-দাতা সর্বজ্ঞান- সর্বগুনের পূর্ণতম, অসীম শক্তিধর, ভেতর-বাহির, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অন্তরের ভাব-ভাষা বুঝোন ও চাুষ অর্থাৎ প্রত্য দর্শণকারী, সর্বজগতের মালিক, অসীম করুণাধার, সর্বশক্তিমান, সর্বদ্রষ্টা সর্বস্রষ্ট, একমাত্র সৃষ্টিকারী প্রভু, পালনকর্তা, একমাত্র আল্লাহর নামেই কলমরূপ বৈঠা দিয়ে ভাবাগের পন্যে ভরা আমার এ ছোট্র সংকল্পের তরীখানি মানবকুল হৃদসাগরের বেয়েই চলেছি, কোন এক অজানা অচেনা তীরের দিকে।<br /><br />যাঁরা শুভবুদ্ধির অধিকারী, তাঁদের বুুদ্ধির সাগরে আমার দুর্বল কলেবরের ুদ্র লেখার এ ছোট্র ডিঙ্গিখানি মহান করুনাময় আল্লাহর উপর ভরসা করে জ্ঞানবানদের বুদ্ধির সায়বে ভাবের তরী ভাসিয়ে দিলাম। তরি সাথে একটি অনুরোধ সম্বলিত আর্জপত্র ও স্থান নিয়েছে। তা অকূল সাগরের ঘুণিঝড়ের ঘুর্ণিপাকে পাগলা হাওয়ার উত্তাল তরঙ্গে তাড়িত হয়ে, আমাকে নিয়েই যেন তলিয়ে না যায়। এ শিশু- তরীখানি আমাকে নিয়েই যেন নাচতে নাচতে চলতে সুযোগ পায়। হয়তোবা কোন দিশাহারা পাথর হারা অন্ধকারে পথ চলাবস্থায় হঠাৎ করে তা দেখে চমকে উঠে বলতে পারে, এত ছোট্র তরীও হতে পারে বলে। হয়ত তাতে তার এ অন্ধকারে নৈরাশ্য- নিস্তেজ- অচল- মৃত প্রায় কম্পিত হৃদয়পটে, পারের অশার রবিরশ্মি ধপকরেন জ্বলে উঠতে পারে। অল্লাহর উপর নির্ভর করে এ ছোট্র তরীর যাত্রী বেশে পার পেতে পারে। বলাতো যায় না!<br /><br />মহান করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিজগতে সম্পর্কে প্রবল চিন্তা ও ভাব নিয়েই ঢেউ তরঙ্গে দোলা খেতে- খেতে সম্মুখপানে এগুতে লাগলাম। ঠিক এমনি এক সময় গভীর অন্ধকারে নিমজ্জমান ইসলাম জগতের দিকে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হল। অন্তর দৃষ্টিলোকে যা ধরা পড়ল, তাতে হৃদয়ের দুঃখ ব্যাখা - বেদনার অকূল সমুদে ঝড়- তরঙ্গ প্রবল হতে প্রবলতর হয়ে বিদ্যুৎ বেগে প্রবাহিত হতে শুরু করল। এ প্রবল প্রবাহমান প্রালয়ঙ্করী ঝড়ের প্রবল ঘুর্নীপাকের ঢেউ তরঙ্গের পাগলা দেলার তান্ডবলীলায় অন্তর- কায়া ব্যাপি ভয়ঙ্কর কম্পন হতে নাজুক পরিস্থিতির দিকে নজর পড়ল। তা দর্শনে- বেদনাহত চিত্ত হতবুদ্ধি ও বাকরুদ্ধ হয়ে দেহ-মন অচল প্রায়।সামনে একটি কদমও বাড়ালোনা, থ’ হয়ে যেন নির্র্জীবের ন্যায় দাঁড়িয়ে গেলাম।<br /><br />হঠাৎ কিছুণের মধ্যেই ঘুমান্তচল বিবেক জেগে উঠল। জাগার সাথে সাথে হায় রব ধ্বনি, আপনাপনি বজ্রকন্ঠে মুখে বেরিয়ে পড়ল। এরি মধ্যে বলে উঠলাম, একি দেখি, মহান আল্লাহর জমীনে? আল্লাহর জগতে তাঁরি সৃষ্টি মানবকুলে, তাঁরিই প্রদত্ত মানব মুক্তি- বিধান আল-ক্বোরআনের নাম পরিবর্তন এবং ভেতরাংশে কয়েক জায়গাতেই ভুল ছাপিয়ে রেখেছে। মূল ঈমানী বাক্য কালেমায়ে শাহাদাত থেকে ঈমান ভিত্তক মূল শব্দ ছেড়ে দিয়ে বাকি অংশ ছাপিয়ে পড়াচ্ছে। এটা করে মুসলিম সমাজকে দু‘ভাগে করে দিয়েছে। এমনিভাবে সংেেপ করার নামে বেছে বেছে বিশেষ স্থানে আঘাত হেনেছে। তা থেকে মাত্র কয়েকটি আক্রান্ত চিহ্ন এ ুদ্র লিপিপটে আবদ্ধ করে মুমিন মুসলমান ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছি। যেন তাঁরা এ চিহ্ন ধরে সামনে এগিয়ে দেখতে পারেন। বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী দুষমনেরা আর কোথায় কোথায় আঘাত হেনেছে? তা সঠিকভাবে নির্ণয় করে সমাধান দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী মুনাফিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। দেশ রক বাহিনীর মত যাঁরা দ্বীন রক বাহিনীতে নামের তালিকয় প্রকৃত আলেম এবং নায়েবেরাসুল হিসেবে নামভুক্ত করেছেন, তাঁদেরকে মহান আল্লাহর মহা আদালতে জওয়াবদেহি করতে হবে। সময় থাকতে মুনাফেকী নাফরমানি সুলভ কলমী আক্রমণ থেকে আক্রান্ত দ্বীনকে রার ব্যবস্থ করুন। ইসলামী একটা সেন্সর বোর্ড গঠনান্তে ঘাষণা করুন। এ বোর্ডের অনুমতি ব্যতীত মুসলিম সমাজে মুসলিম এলাকায় কোন প্রকার দ্বীন শিামূলক বই প্রকাশ করা বা বাজারে ছাড়া চলবেনা। অনুমতি ব্যতীত প্রকাশ করলে, মুসলিম আইন বোর্ড তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের বাধ্য হবে। আমার ুদ্র জ্ঞানের সীমারেখায় যতটুকু ধরা পড়েছে, কেবল তা থেকে কয়েক সংখ্যাক চিহ্ন আপনাদের ব্যাপক জ্ঞানালোতে প্রদর্শণ করে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনান্তে ইসলামের গভীর প্রবেশ করে কোথায় কোথায় কিভাবে অক্রান্ত হচ্ছে তা পর্যবেণে সচেষ্ট থাকার বা মনযোগী হওয়ার জন্য ডাক দিয়ে যাচ্ছি রজনী প্রহরীর মত। ুদ্র জ্ঞানের ুদ্র এ ডাকটিকে অবহেলা না করে দায়িত্বের প্রতি মনোযাগী হয়ে দ্বীন রায় অল্লাহর জন্য এবং মাল ওয়াকাফ করুন। বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামগন এবং নায়েব রাসুলগনই ভাল ভাবে অবগত যে, আল্লাহর সৃষ্টি- মাখলুকাতের মধ্যে মানব জাতিকেই শ্রেষ্ট জীব হিসেবে অখ্যায়িত করেছেন একটি মাত্র অতিরিক্ত জিনিষ সংযুক্ত করে । তা হল আক্বল বা জ্ঞান নামক উপাদানটিই মানব জাতিকে শ্রেষ্টত্বের আসন সমাসীন করেছে। আর অন্য সব জীব জগতকে তা দেয়া হয়নি। এ উপাদানটির মাধ্যমেই ভাল এবং মন্দ বিশ্লেষিত হবে। তারি মধ্যে দিয়েই স্বীয় পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। কোথা হতে কেন আসছে? কোথা যাচ্ছে? বিচার বিবেচনার মাধ্যমে সঠিক পথ নির্ণয় করে আপনাপন দায়িত্বের প্রতি মনযোগী হবে। ভোগবিলাসের বিশেষ জ্ঞান-কৌশল মানব জাতিকেই প্রদান করা হয়েছে। স্রষ্টার সৃষ্টি অর্থাৎ যত আকাশ মন্ডল, তারকারাজি, গ্রহ-উপগ্রহ নত্ররাজি মোট কথা সমগ্র সৌর জগত বলতে যা-যা রয়েছে সবই মানব জাতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই। এসকল কিছুই মানব জাতির জন্য আাল্লাহর নিয়ামত বা রহমত।<br /><br />একটা দেহকে রার জন্য যা প্রয়োজন বা পরিপূর্ন দেহ গঠনে যত অংশের দরকার সবই পরিপূর্ণভাবে দেহের মধ্যে বিদ্যমান আছে বলেই দেহটি পূর্ন সুস্থ রয়েছে। যে কোন একটি অংশের কম বা বেশী হলেই দেহটি বিপদগ্রস্থ হয় বা অসুস্থ বোধ করে। অভাবটি পূরণ হতে না পারলেই ক্রমে ক্রমে ধ্বংশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। অবশেষ বিলীন হয়ে যায়। সৌরজগতের ন্যায় যত জগতই সৃষ্টি হয়েছে, আল্লাহর হিসেব মতেই একে অপরের পরিপূরক বা সম্পূরক যুক্ত করেই সৃষ্টি করেছেন। একটি গ্রহ ধ্বংশ হলে সবই ধ্বংশ হয়ে যাবে। সমগ্র সৃষ্টি জগতেই প্রায় একই সুতায় গাঁথা তাসবিহের মত। যেমন তাসবিহ এর যে কোন এক অংশ দিয়ে ছুটে গেলে সমস্থ গুটি গুলোই একের পর এক করে মুহুর্তের মধ্যেই তাসবিহ এর সুতাটি গুটি শুন্য হয়ে যায়, তেমনি সৌরজগতের যে কোন একটি কচ্যুত উল্কার ন্যয় কচ্যুত হলে সমগ্র সৌরজগতই মূহুর্তের মধ্যে ধ্বংশ হয়ে যাবে। নিহারীকা হোক আর গ্যালাক্রিই হোক মোট কথা শূন্যমন্ডলে অবস্থিত সব বস্তাজগতই ধ্বংশ হব। কিন্তু সমস্ত জগতই আল্লাহর রা করে চলেছেন। উল্কা যদিও সংঘবদ্ধ ভাবে চলে, তাদের এক অপরের মধ্যে আকর্ষণ বিকর্ষন শক্তি তত প্রবল নয় বলেই ছিটকে পড়ে যায়। কিন্তু গ্রহ-উপগ্রহ এবং নত্ররাজির মধ্যে মধ্যাকার্ষণ শক্তি বা আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ শক্তি খুবই প্রবল। এ শক্তিটাই রুকন বা খুটির কাজ করছে। তাই এরা একে অপরে আকর্ষণচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়েছেনা। যদি কোন গ্রহ আকর্ষণ বা বিকর্ষণ শক্তি হারিয়ে গেলে তখন অপরটির প্রবল আকর্ষণে ধৃত হয়ে তার উপর পড়বে। ঐ কচ্যুত গ্রহের কে আকর্ষণ ছাড়া বিকর্ষণ থাকবেনা। ফলে আকর্ষণ যুক্ত গ্রহটি সরতে বাধ্য হবে। সুতারাং তখন গ্রহগুলো এক অপরের দিকে ছুটতে থাকবে এবং ধাক্কা খেয়ে ধ্বংশ হয়ে যাবে। এ সব আল্লাহর হুকুমেই হবে। এতকিছু সৃষ্টি একমাত্র মানব নামের জীব গুলোকে বাাঁচিয়ে রাখার জন্যেই। এ জীবগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার এত প্রয়োজনীয়তা কেন? এর উদ্দেশ্যই বা কি? উদ্দেশ্য একটাই, তা হল, এ মানব নামের জীবগুলো হচ্ছে আক্বল বা জ্ঞান নামক শ্রেষ্ট উপাদানের অধিকারী। এ মহামূল্যবান গুণটি তাদেরকেই দান করা হয়েছে। এটাকেই সুষ্ঠভাবে ব্যবহার করে শ্রেষ্টত্বের পরিচয় দেবে। এর মধমে তার স্বীয় এবং সর্বস্রষ্টা আল্লাহর পরিচয় পাবে। দায়ীত্ব উপলদ্ধি করব। এবং আল্লাহর প্রদত্ত বিধান মোতাবেক তাঁর নিয়ামত সমূহ বিভিন্নকারে রূপ-রূপান্তরের মাধ্যমে ভোগ করবে আর আল্লাহর প্রদত্ত নিয়ম-নীতির মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করবে। অর্থাৎ দিন-রাত নিয়মানুযায়ী ইবাদাত বা স্মরণ করবে এবং আল্লাহর হুকুমের মর্যাদা রা করে যাবে। তাই মহান আল্লাহপাক মহাপবিত্র ক্বোরআন শরীফের “সূরা যারিয়াত” পারা-২৭, আয়াত- ৫৬, এর মধ্যে এরশাদ করেছেন “মা খালাকতুল যিননাহ ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়াবুদুন” অর্থাৎ আমার এবাদাত করার জন্যেই আমি মানব ও জিনি জাতি সৃষ্টি করেছি। উক্ত আয়াতে কালামের ব্যাপক ব্যখ্যা বা তাফসির পবিত্র তাফসিরুল ক্বোরআনেই রয়েছে। এ বিষয়ে নায়েবে রাসুলগণ ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারেন। আমার এতবড় যোগ্যতা নেই। প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেক করলাম মাত্র। মহান আল্লাহ যখন এবাদাতের জন্যেই জিন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন। তখন এবাদাতের সে পদ্ধতি বা নিয়মাবলিও নবী আখিরুজ্জামান হযরত মুহাম্মদ (দঃ) কে জিবরাইল (আঃ) এর মাধ্যমে অবগত করানো হয়েছে। <br />“সূরা যারিয়াত” পারা-২৭, আয়াত- ৫৬, এর মধ্যে এরশাদ করেছেন “মা খালাকতুল যিননাহ ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়াবুদুন” অর্থাৎ আমার এবাদাত করার জন্যেই আমি মানব ও জিনি জাতি সৃষ্টি করেছি। উক্ত আয়াতে কালামের ব্যাপক ব্যখ্যা বা তাফসির পবিত্র তাফসিরুল ক্বোরআনেই রয়েছে। এ বিষয়ে নায়েবে রাসুলগণ ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারেন। আমার এতবড় যোগ্যতা নেই। প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেক করলাম মাত্র। মহান আল্লাহ যখন এবাদাতের জন্যেই জিন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন। তখন এবাদাতের সে পদ্ধতি বা নিয়মাবলিও নবী আখিরুজ্জামান হযরত মুহাম্মদ (দঃ) কে জিবরাইল (আঃ) এর মাধ্যমে অবগত করানো হয়েছে। <br /><br />এ এবাদাত নামক কর্মকান্ডের প্রয়োজনীয়তা কেন? সৃষ্টিকুলের দ্বারা এটা করে কি লাভ? না করলে কি তি? না, মহান আল্লাহর এতে লাভ এবং তি নেই। যাদের উপর এবাদাতের আদেশ হয়েছে, ষোল আনাই তাদেরি লাভ তি নিহিত রয়েছে। এবাদাতকারীগণ, আল্লাহ এবং রাসূল (দঃ) এর আদেশ এবং নিষেধ গুলোকে দৈনন্দিন কর্মকান্ডের উপর প্রতিফলন ঘটবে, তখনি তারা ইহজগতে বিপদমুক্ত থাকবেন। হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ করবে। অভাব থাকলেও দুঃখ পাবে না। কারণ যখন আল্লাহপাকের আদেশ এবং নিষেধ মোতাবেক স্বীয় জীবন পরিচালিত হবে, তার প্রতি নবীয়েপাক (দঃ) এর নেক দৃষ্টি থাকবে, সৌভাগ্য বশতঃ নবী পাক (দঃ) এর দর্শণও লাভ হতে পারে এবং তার উপর সদা আল্লাহপাকের রহমতের ঝর্ণাধারা বর্ষণ হতে থাকবে। দুনিয়ার প্রতি লোভমোহ প্রবৃৃত্তি, অহঙ্কার, হিংসা, বিদ্ধেষ বলতে থাকবেনা। স্রষ্টার সৃষ্টির মঙ্গলাকাঙ্খি হবে। কারণ, সে আল্লাহপাককে ভালবাসে। তাই, তাঁর সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা মায়া মমতা থাকবে। কারো তি কাম্য হবেনা। স্বীয় তি সহ্য করবে, অর্থাৎ সকলাবস্থায় ছবর করবে। কারণ ছবরকারীকে আল্লাহ ভালবাসেন। ইহজগতের সনাময়িক আনন্দ ভোগ বিলাসের প্রতি থাকবে সদা অনীহা, সব কিছুই অস্থায়ী মনে করবে এবং মালিকি ইলাহী মহান আল্লাহর ডাকে লাব্বাইক অর্থাৎ হাজির বলার জন্য সদা কায়মনো বাক্য প্রস্তুত থাকবে। আল্লাহপাক সকল কর্মকান্ডই প্রত্য করেন। মনোভাব প্রকাশের পূর্বেই বুঝেন ও শুনেন। তার মনের নেক আশা অর্থাৎ পবিত্র আশা পূর্ণ করেন। উক্ত উক্তি গুলোর উপর তার দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে। এর সাথে সাথে পরপারে অনন্ত জীবনাবাসস্থল নির্ধারিত হবে স্বর্গ বা জান্নাত। আরো আরো অসংখ্য লাভের বিষয় বিদ্যমান রয়েছে, যা আমার এ ুদ্র জ্ঞানে প্রকাশ করতে পারিনি। মোট কথা, আল্লাহর এবং রাসূলেপাক্ (সাঃ)- এর আদেশ এবংনিষেধ পালনে শুধু লাভ আর লাভ। উক্ত আদেশ নিষেধ পালনে অবহেলা বা অনীহা প্রকাশ করলে উক্ত বিষয় সমূহ থেকে সর্ম্পর্ণ বঞ্চিত হবে। তাতে একাল ওকাল দু’কালেই অশান্তির দাবানলে জ্বলতে থাকবে। তাই উক্ত আদেশ নিষেধ পালনে অনীহা প্রকাশে শুধু তি আর তি।<br /><br />সুতারাং, যাঁরা উক্ত আদেশ এবং নিষেধ পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অর্থাৎ যারা আল্লাহপাকের হুকুম বা আদেশ তামিল বা আমল করব এবং দুনিয়াকে আখিরাতের উৎপাদান ত্রে মনে করে আমেলর ফসল বুনবে, এ সকল আখিরাতি কর্ষণকারী মুুমন কিষানদের অন্তরের মধ্যে চির লা’আনতি জাহান্নামী আজজিল প্রবেশ করে বিভিন্নাকারে বিভ্রান্তি ওসওয়াসা সৃষ্টি করে, বিভ্রান্তমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিপদ গ্রস্থ করে, পথ ভ্রষ্ট করে এবং তার দল ভুক্ত করে চির জাহান্নামী করার প্রচেষ্টায় সদা লিপ্ত থাকে। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত মুুমিন মুসলমান তাঁরা আল্লাহ এবং রাসূলেপাক (দঃ)- এর আদেশ এবং নিষেধ পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জীবনের প্রতিটি কর্মই উক্ত আদেশ এবং নিষেধের আলোকে সম্পন্ন করবে। সুতারাং অন্তর বিবেক কু-মন্ত্রণা এবং বাহিরে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী সে আজাজিল এবং মানবরূপী নিমকহারাম ধোকাবাজ মুনাফিক ও নাফরমান আজাজিল এবং জাহান্নামী শয়তানেরা প্রকৃত মুমিনদেরকে ধোকা দিয়ে বিপদগামী করতে পারবেনা। প্রত্যেক প্রকৃত মুমীনই আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত হিসেবে জান্নাত লাভ করে চির জান্নাতী হবেন। সুতারাং এবাদাতের দ্বারা লাভ এবং তি উভয়টি মানব কুলের; আল্লাহর নহে। আমলের দ্বারা উক্ত নিয়ামত গুলোর ভাগী হবে এবং আমলে অনীহা প্রকাশে নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবে।<br /><br />সূরায়ে ইখলাসের মধ্যে এরশাদ হয়েছে, তা হল ঃ আল্লাহুস্সামাদ অর্থাৎমহান আল্লাহ কোন কিছুরই মুখাপেী বা মুহতাজ নহেন। উক্ত উক্তি গুলো ওলামায়ে কিরামগনের ল্েয নহে। আমার চেয়েও অনভিজ্ঞ মুমিন ভাইদের জন্য ঘটনাচক্রে এসেছে। সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণকে আদেশ-উপদেশ দানের কল্পনাও করতে পারিনা। কারণ, যাঁরা নায়েবেরাসুল পদে অধিষ্ঠিত অছেন, তাদের একটি পশমের যোগ্যতাও আমার নেই। তাই বলে রজনী প্রহরীর মত হুজুর সহেব জলদি উঠুন, তারাতারি জাগুন মসজিদে আজান হচ্ছে বলে একজন মুসলমান হিসেবে ডাক দেয়ার এতটুকু অধিকার তো রাখতে হবে বলে মনি করি। বরং আজানের ধ্বনি শ্রবন শক্তিতে ধরা পড়ার সাথে নিদ্রাবিভোর মাননীয় হুজুরকে জাগানোর উদ্দেশ্যে ডাক না দিলে চরম বেয়াদবী বা চরম অন্যায় হবে বলে মনে করি। মাননীয় হুজুর বলতে পারেন হে প্রহরী, যখন আজানে ধ্বনি তোমার কর্ণগোচর হয়েছে, ডাকলে না কেন? তাই মুহতারাম হুজুরের তরফ হতে ধমক আসার পূর্বেই ডাক দিয়ে যাচ্ছি। <br />ঐ মিনারে ডাক উঠেছে, খোলরে মুমিন খোল দোর,<br />ঘরের কোণে সদি কেটেছে, ধররে জেগে চোর।<br /><br />যারা আজাজিল কর্তৃক সৃষ্টি অন্তরের ওসাওয়াসাকে মানবরূপী আজাজিলের ধোকা বিভ্রান্ত এবং চক্রান্তকে উপো করে আমলে হিমালয়ের মত অটল অর্থাৎ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মুনাফিক নিমক হারাম নাফরমান এবং ধোকাবাজদের চিহ্নিত করে বিশেষ সতর্কতার সাথে আল্লাহ এবং রাসূল (দঃ)- এর পদত্ত দায়িত্ব এবং নির্ধারিত কর্ম রত থাকবে, তাঁদেরকে দেখিয়া আল্লাহপাক গর্বভরে বলতে থাকেন, দেখ হে ফিরেশতাগণ, আমার মুমিন বান্দাদেরকে, তোমরা না বলছিলে আমার বান্দাগণ আমার হুকুম পালন করবেনা? এখন দেখ, তারা আমার হুকুমের বাহিরে এক ইঞ্চিও নড়তে রাযী নহে। মন্দ কর্ম থেকে সদা বিরত থাকে। অসত্য বা অসত্য পথকে বর্জন করে এবং সত্যপথ ধরে আমার দিকে দলে দলে লাব্বায়েক বলে এগিয়ে আসছে। তারা আমার এবং হাবীবের আদেশ এবং নিষেধের উপর দৃঢ়তা আবলম্বন করেছে। তাঁর বান্দাগণ যখন মিলাদ-দরূদ অনুষ্ঠান করে তখন আল্লাহপাক ফিরেশতাগণকে সে দরূদ অনুষ্ঠানে অংশ প্রহনের জন্য দলে দলে পাঠাতে থাকেন। আল্লাহপাক মুুমিন মুসলমান সম্পর্কে ফিরেশতাদের নিকট এমনিভাবে মূল্যায়ন বা মন্তব্য করে থাকেন। মোট কথা হচ্ছে, মানবগণ আল্লাহকে স্মারণের মাধ্যমে তাঁর নিয়ামত সমূহ ভোগ করবে এবং নিষ্পাপ নিষ্কলষ্ক হয়ে নিকের পার্থিব জীবনটাকে পাপমুক্ত করে অর্থাৎ বেহেশতী জীবনে পরিণত তকরে এ অত্যাশ্চর্য্য জাগতিক জীবন-পথ অতিক্রম করে চির জান্নাতবাসী হবে। এটাই আল্লাহপাকের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে মানব জাতি কোন পথে?<br /><br />অবৈধকে বৈধ, অসত্যকে সত্য, অন্যায়কে ন্যায়, অসম্মানকে সম্মান, অখাদ্যকে খাদ্য, কুশিাকে সুশিা, অনাদর্শকে অদর্শ, কু-সংস্কৃতিকে সু- সংস্কৃতি বলে অখ্যায়িত কারণ মত্ত। যে যুগে আবহাওয়া রীতি-নীতি ও ঋতু মৌসুম যেন সব একেবারে উল্টো হয়ে গেছে। মানবীয় বিবেক-বিবেচনা বুদ্ধি লোপ পেয়ে আচার-আচরণ সবই বদলে গেছে। অমানবতা, অসভ্যতা ও পশুত্যাচরণে পরিপূর্ণ। যে যুগে শিতি বুদ্ধিজীবি বলে দাবীদারগণের মধ্যে থেকে অবৈধ মিলনকে বৈধকরণের দাবী উস্থাপিত হচ্ছে সমকামিতামত চরম পশুত্বের কর্মকান্ডের স্বীকৃতির দাবীও উঠেছে, কোথাও কোথাও তা বৈধ বলে ঘোষিতও হচ্ছে বলে বিশ্ব-সংবাদে জানা গেছে। এটা জানা গেছে যে, আপন ভাই থেকে মানব প্রজনন সম্বলিত পদার্থ আপন বোনের মধ্যে প্রয়োগ করে দু’টো মানবসন্তান প্রসব করিয়েছে শিতি বিশেষ জ্ঞানী গুনী বৈজ্ঞানিক বলে দাবীদারগণ (নাউজুবিল্লাহ্)। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিন্টনকে বিশ্ব রাজা বল্লেও উত্যুক্তি হয় না। কারণ, বিশ্বব্যপী প্রচারিত হয়েছে। সে কয়বার যে অবৈধ মিলন ঘটিয়েছে তা’ কেইবা বলতে পারে! এভাবে বিশ্ববুকে আহরহ অবৈধ মিলন ঘটছে। নারীগণ এক স্বামী বা এক পুরুষে সন্তুষ্ট নয়। তারাও স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সাথে মুক্ত মিলনের দাবী তুলছে। পিতা-কন্যায়, মাতা-সন্তানে, ভাই-বোন কু-সম্পর্কিত খবর প্রায়ই পত্র পত্রিকায় প্রচার হচ্ছে। জুলুম অন্যায় অত্যাচারে পরিপূর্ন সৃষ্টি শ্রেষ্ঠ মানব নামের জগতটি কোথায় যেন আড়াল হয়ে গেছে। মানব সভ্যতা আজ কত অসহায় তা কি বলার অপো রাখে? এটা যেন পশু জগতের মত এক শ্রেণীর জীবজগত। এ যেন এক অন্ধকার রাহুগ্রাসী যুগ। যে যুগে অন্যায় আত্যাচার জোর-জুলুম বেহায়া বেশরমী নির্লজ্জ বিচার-আচার মান-সম্মান মায়া-দয়াহীন কঠিন নির্দয় রক্তপিচাশী মহাভয়ঙ্কর প্রলয়ঙ্করী বিকট কর্কশ শব্দধারী কুকমের তান্ডবলীলাবাহী ঘুর্ণিপাক প্রবল বেগে ঘুরপাক খাচ্ছে। পূর্বে ছিল নিরর অন্ধকার যুগ আর এ আরিক শিার আলোর যুগে-এ বৈজ্ঞানিক যুগে যে যুগে মানবসুরত গুলো কেঁচো জীবের মত গগন-পাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উপরোল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে এ যুগটিকে আরিক আলোর অন্ধকার যুগ বল্লে উত্যুক্তি হয়না। অল্লাহপাক প্রদত্ত নির্মল কিষ্কলষ্ক নিষ্পাপ ও পবিত্র করণের এবং সর্বেেত্র অগ্রগতি বা উন্নয়নের দিক নির্দেশিকা একমাত্র মহাপবিত্র বিধানকে অগ্রগতির পথে বড় রকমের বাধা বলে মনে করে। জাগতিক পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি ফেরালে বুঝা যায় মান লজ্জা দয়া অধিকার-অনধিকার, ন্যায়-অন্যায়, ভেদ-বিচার,আদর্শ-শ্লীলতা শালীনতা ব্যবহারের তারতম্যতা, বিবেচনা নীল গগনে যেন লীন হয় গেছে। গভীর অন্ধকার রাহুগ্রাসি গহ্বর থেকে হিংস্রতার বিকট পেতাত্মার এবং রক্ত চোষক রাুসের নির্দয় পিচাশী হু-হু-হা-হা-হি-হি ভয়ঙ্কর রব ধ্বনি, আর অত্যাচারিত মজলুমের আহাজারি ব্যথিতের ব্যথার কাৎরানি অসহায় কান্নাররোল কানে শ্রবণে আসায় কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। আর শুনতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। বিবেক বুদ্ধির অতল গহ্বরের অতলতলে যেন হারিয়ে গেছে। মালিকের ডাক ছাড়া কোথাও যাওয়ার পথ যে নেই তাই থ’ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার বিকল্প নেই। জ্ঞান-বিবেক ভুলপথে পরিচালিত হয়ে অন্ধকারের উন্নয়নের জয় জয় ধ্বনিতে হচ্ছে। শুভ বা মঙ্গলের বাতি নিবে গেছে। অশুভ বা অমঙ্গল বাতি লেলিহান শিখায় দাউ দাউ করে জ্বলছে তো জ্বলছেই। পিতা-কন্যা, ভাই-বোন, শিক-ছাত্র-ছাত্রী, নেতা-নেত্রীর মধ্যে ভেদা-ভেদ শূন্য হয়ে অশ্লীলতার তান্ডব চলছে। মানবতার নামে সীমাহীন একধরণের উদারতায় আদর্শ সভ্যতা বলতে সর্বস্ব সর্বশান্ত হয়ে গেছে।<br /><br />মানবাচরণ ধ্বংশ করে পশু আচরণকেও ছাড়িয়ে গেছে। খোলা আকাশের নীচে মানব চলাচল পথে নির্ভয়ে নির্বিঘেœ নারী পুরুষ মিলন ঘটাচ্ছে। ছোট বড় বাদ বিচার ছাড়াই পশুর ন্যায় অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে বা আক্রান্ত হচ্ছে। সন্ত্রাসী, রাহাজানি, খুনাখুনি নিত্য নৈমত্মিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। উক্ত বিষয় সনম্পর্কে ভেসে আসা খবর ছাড়াও দৈনিক পত্র-পত্রিকা গুলোর প্রতি দৃষ্টি দিলেই কিছুটা ধারণা করা যায়। নবী আখিরুজ্জামান হযরত মুহাম্মদ (দঃ)- এর জামানায়ে জাহেলিয়াতকেও অতিক্রম করেছে। সর্বত্রই নকলের জয়ধ্বনি ধ্বনিত হচ্ছে। অত্যাশ্চর্য স্বপ্নতুল্য এ ণিকের ছায়ালোক ছেড়ে সকল জীবই অনন্তলোকে গমন করছে, করতে থাকবে। অবশেষে এক মূহুর্তের মধ্যেই সবই ধ্বংশ হবে, তুলো তুলো হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ভুলেও ভাবছে বলে মনে হয় না। লোভ, মোহ, প্রবৃত্তি ও অহঙ্কারে অন্ধ হয়ে বিবেক বুদ্ধিচ্যুত হয়ে, ভাই-ভাইকে, সন্তানে-পিতামাতাকে, পিতামাতা সন্তানকে, স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী-স্বামীকে অহরহ খুন করে যাচ্ছে। উপাসনালয় অর্থাৎ পবিত্র স্থান গুলো অপবিকত্র হচ্ছে। মসজিদগুলোতে কনামাজ, জিকির, তাসবীহ তিলাওয়াতকে সরিয়ে রেখে অর্থাৎ ফরজ নামাজ ছাড়া অন্য সব নেই বল্লেই চলে। দুনিয়াবি বাকবিতন্ডা ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্ক যেখানে বড় আওয়াজে কথা বলা নিষেধ রয়েছে, সেখানে তাবলীগ বা ওয়াজের নামে বেশী বেশী কথা বলে এবাদতের সময় অপচয় করছে। এরূপ যুগটিকে কিভাবে সভ্য যুগ বলে অখ্যায়িত করা সম্ভব হতে পারে? ধোকাবাজি, নাফরমানি, মুনাফিকিতে ডুবে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। যারা মন্দ-পথগামী, তারাই জুলমাতে বা অন্ধকারে বিচরণ করছে। এ সব পথের পথিক বা কুপথগামিদেরকে জুলমত বা অন্ধকার থেকে নূরের দিকে অর্থাৎ আলোর দিকে নিয়ে নিষ্কলঙ্ক নিষ্পাপ পবিত্রতায় আলোকিত করে, জান্নাতবাসি করার জন্যেই যুগে যুগে মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁদের প্রত্যাগমনান্তে সে দায়িত্ব, দায়িত্বশীল পূণ্যবান মুমিনগনের এবং ওলামায়ে কিরাম ও নায়েবে রাসূলগণের উপর আরোপিত হয়। কিন্তু পদবীর দাবীদার হতে অনেকই দেখা যায়, কিন্তু দাবীদারগণের মধ্যে অনেকেই হুজুরপাক (দঃ)-এর পূর্ণ অনুস্মরন করতে পারছেন বলে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ, হুজুরপাক (দঃ)-এর কথা কর্ম এবং ব্যবহারের সাথে অসম্পূর্ণতা বা মোকাম্মলিয়াতের অর্থাৎ পরিপূর্ণতার অভাব পরিলতি হয় বর্তমান নায়েবে রাসূলগণের অনেকের মধ্যেই। যেমন সাহাবায়ে কিরামগণ হুজুরপাক(দঃ)-এর পূর্ণানুসারী ছিলেন। তাদের আমলের মধ্যে মোকাম্মলিয়াত ছিল এবং কামেলিয়াত পরিপূর্ণভাবে ছিল। কারণ তাঁরা দ্বীন-ধর্মের আলোকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে পরিপূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিটি নর ও নারীকে পূণ্যবান ও আদর্শবান করে গড়ে তোলা এবং শান্তি সুখের আদর্শ রাষ্ট্র জনগনকে উাপহার দেয়া। যেখানে ঝগড়া কলহ বিবাদ বিসম্বাদ থাকবেনা, অভাবমুক্ত থাকবে। মানুষে মানুষে মহব্বত ভালবাসা থাকবে। একে অপরের সাহায্য সহানুভূতি এবং সহযোগিতা থাকবে প্রত্যোক ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে মিশে একটা জান্নাততুল্য রাষ্ট্র গড়ে তুলব, তাঁরা তখন সেভাবে গঠন করেও ছিলেন। তাঁদের প্রত্যাগমনের পর অধিকাংশ ওলামায়ে কিরামগণের উদাসীনতার বা দুর্বলতার সুযোগে মানবরূপী নিমকহারাম, নাফরমান, মুনাফিক, ধোকাবাজ, লাআনাতী চির জাহান্নামী বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী আজাজিল মানবান্তরে প্রবেশ করে, দ্বীন এবং রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংশ করে দিয়েছে। বিশেষ বিশেষ ওলামায়ে কিরামগণ ভাল ভাবেই অবগত আছেন যে, খোলোফায়ে রাশিদীন, তাবিঈ, তাবিতাবিঈন, আইম্যায়ী মুজতাহিদীনের যুগ সম্পর্কে, উক্ত যুগে মুনাফিক কর্তক কিভাবে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন?<br /><br />মাঝে মাঝে আল্লাহরাব্বুল ইজ্জাত তারিব, মুসা, খালিদ বিনওয়ালীদ এবং গাজী সালাহ্ উদ্দিন আইয়ুবীর মত কিছু কিছু মাজাহেদ সৃষ্টি করে এবং অলী বুজুর্গের মাধ্যমে ইসলামকে জেন্দা রাখেন। আজ সে ইসলাম যে গভীর অন্ধকারই পুনঃ প্রবেশ করল। কারণ বর্তমানে ওলামায়ে কিরামগণ এবং নায়েবে রাসূল দাবীদারগণ সামাজিক কর্মকান্ড থেকে সম্পূর্ণ দূরে অবস্থান করছেন বিধায় সমাজ থেকে ছিটকে পড়ে আছেন। তাই, লোক সমাজে তাঁদের তেমন একটা গুরুত্ব নেই বল্লেই চলে। গুরুত্ব না থাকার কারণেই তাঁদের হেদায়েতমূলক বক্তৃতায় বা ওয়াজে তেমন কার্যকর হচ্ছেনা বলেই আজ মুসলিম সমাজের এ দুরাবস্থা। ওলামায়ে কিরামগণের মধ্যে কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কিরাম যেমন বিশেষ ত্যাগ তিতিার মাধ্যমে দ্বীনি শিাদানে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন, ঠিক তেমনিভাবে যদি জীবনকে বাঁচিয়া রাখার কলা-কৌশলাদি শিার ব্যবস্থা করে সমাজের সাথে জড়িত থেকে নিজেদেরকে সমাজ সেবায় অর্থাৎ জাতীয় সেবায় নিয়োজিত রাখতেন তবেই মুসলিম জাতি প্রথম যুগের মত উন্নত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারত। কচ্যুত উল্কার ন্যায় ধ্বংশের দিকে যেতনা। <br /><br />প্রহরী বাজাই হুইসেল ঃ মুসলিম সমাজ-উন্নয়নে বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামগণকে প্রকৃত মৃজাহেদর ভূমিকা গ্রহণে অপরিহার্য। অর্থাৎ কথায় এবং সরেজমিনে কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন পূর্বক মুসলিম সমাজকে ইসলামের নির্দেশিত পথে এগিয়ে নিতে হবে। নিজেদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ রেষা-রেষি বিবাদ- বিসম্বাদ লোভ-মোহ প্রবৃতি সম্পূর্ণ ধুয়ে মুছে ইত্তেহাদ ইত্তিফাক সৃষ্টি করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন মাসলা মাসায়েলের সমস্যা দেখা দিলে তা বিশিষ্ট ওলামায়ে কিরামগণ একসাথে হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাধান দিতে হবে এবং বর্তমান ধ্বংশোস্মুখ মুসলিম সমাজকে আলোর দিকে টেনে আনতে হবে। শ্রদ্ধেয় নায়েবে রাসূলগণ ভালভাবেই অবগত আছেন যে, সম্মানিত সাহাবায়ে কিরাম এবং মোজাহিদে ইসলামগণ শুধু দোয়া- প্রার্থনা দিয়েই দ্বীন প্রচার করেননি। সরাসরি কায়মন বাক্যে শ্রম প্রদানের মাধ্যমেই সমাজ সেবক হিসেবে ব্যক্তিগত এবং সমাজগত সমস্যার সমাধান দিয়েছিলেন। আজও তাঁদের পূর্ণানুসারীগণকে ঠিক সে ভূমিকাই গ্রহন করতে হবে। এ দায়িত্ব মুমিনগণের এবং ওলামায়ে কিরামগণের প্রতি আল্লাহপাক এবং নবীপাক (সাঃ)-এর প্রদত্ত দায়িত্ব্। হুজুরপাক (দঃ) বিদায় হজ্জে কি বলেছেন ওলামায়ে কিরামগণ ভালভাবে অবগত আছেন বিধায় তা আর বলার অপো রাখেনা। এ দায়িত্বে অবহেলার কারণে একদিন আল্লাহপাকের মহাদরবারে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। উক্ত বাক্যগুলো কুরআন এবং হাদিসের আলোকে আপনাদের তরফ থেকে উচ্চারিত শব্দের প্রতিধ্বনি করছি এবং রজনী প্রহরীর মত সমাজ সতর্কতার হুইসেল বাাজাচ্ছি মাত্র। জেগে দেখুন, আপনাদের দুর্বলতার সুযোগে নানারঙে নানা সুরতে, বহুরূপী নকল আলেম সেজে চোরের ন্যায় সিদ কেটে চলেছে ইসলামের ঘরে ঘরে। কালপেন না করেই ত্র“টি মুক্ত হয়ে খিদমাতে খালকের নামে এ রাহুগ্রস্থ মুসলিম সমাজকে রাহুমুক্ত করণে মুমিন ভাইদেরকে এবং সম্মানিত ওলামায়ে কিরামগণকে এগিয়ে আসতে হবে সতর্কতার সাথে। যেমন একজন ছাত্র কাশে নিদ্রারত শিক সাহেবকে জাগানোর অধিকার রাখতে পারে এবং একজন রজনী প্রহরী যেমন সমাজ সতর্কধ্বনি করার অধিকার রাখতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে বিজ্ঞ ওলামায়েকিরাম এবং নায়েবেরাসূলগণের প্রতি জাগরণী ডাক দেয়ার অধিকার একজন মুসলমান হিসেবে কি পেতে পারিনা? <br /><br />ওলামায়েকিরাম ও নায়েবেরাসূলগণ আমার মত নগন্য একজন আল্লাহর গোলামের দ্বীনের দায়িত্ব চেতনার ডাকে সাড়া না দিয়ে যদি উল্টো এ বলে প্রশ্নবান নিপে করেন যে, তুমি দ্বীন সম্পর্কে কি অভিজ্ঞতা রাখ ও তুমি ডাক দেয়ার কে? প্রথম উত্তর কিছুই জানিনা। দ্বিতীয়টি হল, ডাকার মত কেউ না থাকলে অমি একজন সাধারণ মুসলমান হিসেবে রজনী প্রহরীর মত ঘরে চোর ঢুকেছে বলে ঘুমন্ত মনিবকে জাগানোর জন্য বা বিপদ সঙ্কেত দেয়ার অধিকার রাখি। আর জানা না জানার মধ্যে এতটুকু জানি যে, আমার আল্লাহ এক অদ্বিতীয় নিরাকার, তিনি সর্বস্রষ্টা আর তিনিই সবার উপর। তিনিই সর্বশক্তিমান। সবই শুনেন বুঝেন দর্শণ করেন। সর্বগুণের অধিকারী তিনি সর্বময় বিরাজমান। তিনি ব্যতীত এক অণু-পরমাণু স্থানও খালি নেই। তাঁর কোন উদাহরণও নেই। তিনিই একমাত্র মালিকি ইলাহী আহকামুল হাকীমীন করুণাময় আল্লাহ, আমার ত৭ার সকল সৃষ্টিই তাঁর প্রতি। এক মুহুর্তও অপোর অবকাশ নেই। আরও জানি, তাঁরই প্রেরতিপুরুষ নবী মুহুম্মদ (দঃ) নবীগণের মধ্যো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং নিঃসন্দেহে সর্বশেষ নবী। তাঁরই মাধ্যমে প্রাপ্ত আলকুরঅন নিঃসন্দেহে আল্লাহর মহাপবিত্র বাণী। এখানে দোজাহান সম্পর্কিত তথ্যাদি এবং যাবতীয় বিধানসমূহ বিদ্যমান। তাই আমার একমাত্র মহান আল্লাহর মহাপবিত্র বাণী কুরআন শরীফের উপর কোন প্রকার আঘাতের আলামত দৃষ্টিগোচর হলেই আমি আল্লাহর গোলাম হিসেবে সে আঘাতের প্রতিঘাতের ব্যবস্থা করা আমার জন্য ফরজ বা বিশেষ করনীয় বলে অনুধাবন করি বলেই যে ক’টি আঘাতের চিহ্ন আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে, তা থেকে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন এ ুদ্র পুস্তকটির মাধ্যমে বিশেষ বিজ্ঞ ওলাময়ে কিরামগনের দৃষ্টিলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। নায়েবে রাসূল এবং ওলামায়ে কিরামগণ জেগে উঠে যেন এ চিহ্ন ধরেই চোর সনাক্ত করতে পারেন এবং আরো আরো কোথা কোথা সিঁদ কেটেছে বা আঘাত হেনেছে তা পর্যবেন করেন। দেশরা বাহিনীর মত দ্রুত পদপে নেবেন। কারণ, মুমীনগন এবং ওলামায়ে কিরামগণই আল্লাহর সৈনিক অর্থাৎ ইসলামী দুনিয়ার সৈনিক। তাঁরাই ইসলামী দুনিয়ার সাদাজাগ্রত অতন্দ্রপ্রহরী। তাঁরাই আল্লাহর সৃষ্টি জগতের খাদেম অর্থাৎ খিদমাতে খালকে নিয়জিত থাকবেন। তাঁরাই হবেন অনুসরণযোগ্য চরিত্রের অধিকারী এবং বিশেষ যোগ্যতার অধিকারী নায়েবে রাসূল। তাঁদের মধ্য থেকে ধর্মীয় অলোকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ব্যবসায়ী আমানতদার শিক-শিকিা গবেষক সমাজ ও দেশ পরিচালক। তাঁদের মধ্যে থাকাবনা হিংসা-বিদ্বেষ রিয়া-অহঙ্কার লোভ-মোহ প্রবৃত্তি তাঁরাই হবেন কু-রিপুর দমনকারী আল্লাহ ছাড়া কারো মুখাপেী হবেন না। সদা দরূদে রাসূল ও নবীপাক (দঃ) কে স্মরণে রেখে এবং আল্লাহকে সাথে রেখে স্বনির্ভর হবেন। জান এবং মান আল্লাহ এবং রাসূলেপাক (দঃ)-এর জন্য ওয়াকফ করবেন। সব কিছু কুরবান করবেন। তাঁরাই হবেন বর্তমান আলো-আধারে চিরন্তন উজ্জ্বল তারকার মত পথ নির্দেশকের প্রতীক। কোথা কিভাবে দ্বীনের দুশমনেরা আঘাত হেনে চলেছে, সে দিকে সদা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবেন অবশ্যই।<br /><br />জাগ্রত প্রহরী<br /><br />এ পুস্তকটি প্রকাশের পূর্বেও মহাসংকেত নামক একটি পুস্তক দ্বীন ভাই-বেনদের খেদমতে পেশ করে পবিত্র আল-কুরআনের অবমাননাকর নানাজনের নানা তৎপরতাসহ ইসলামের সুনির্দিষ্ট চিরন্তনী রুকনসমূহে নানারূপ সংযোজন বিয়োজন বিষয় সম্পর্কে মুসলিম বিজ্ঞ-সুধীজনদের দৃষ্টি আকর্ষণে এরূপ কলুষকর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও ব্যবস্থা গ্রহণে আহ্বান রেখেছি। দ্বীনি বিজ্ঞজন ও অনেক সুধীজনদের সাথে ব্যক্তিগত আলোচনায় উল্লেখিত বিষয়ে ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানোর সাথে সাথে আমি আমার তৎপরতা অব্যাহত রেখে নিজেকে ইসলামের শত্র“দের বিরুদ্ধে আরো জোরালো হওয়ার ঐকান্তিক তগিদ অনুভব করছি। এ ল্েযই আমি আমার গভীর চিন্তায় দ্বীনের খেদমতে আমার প্রচেষ্টাকে সাধ্যমতো আঞ্জামের ল্েযই পূর্বে প্রকাশিত মহাসঙ্কেত প্রস্তকটির অন্তর্ভূক্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ পুস্তক প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ার তাগিত অনুভব করি- যা এ পুস্তকখানি।<br /><br />দ্বীনি ভাইবেনেরা, সৃষ্টিতে আদি মানব ও আল্লাহতায়ালার মনোনীত নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও মানবী হযরত বিবি হাওয়া আলাইহাস্ সালামের সৃষ্টির ইতিহাস আমার প্রায় সকলেই জানি। আমার এ-ও জানি সৃষ্টির সেরা মানবের প্রতি সম্মান দেখানের আল্লাহতায়ালার নির্দেশের প্রতিপালনে অনীহার অপরাধে মর্যাদাশীল ফেরেশতা সরদার রাব্বুল আলামীন আল্লাহতায়ালার লানত পেয়ে চির অভিশপ্ত হয়ে জান্নাত থেকে চিরতরে বহিস্কৃত হয়। ফলে অভিশপ্ত মরদুদ শয়তান বা আযাযীল নামধারী আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত বিবি হওয়া আলাইহাস সালামের প্রতি চির বিদ্বেষ বশতঃই তাঁদেরকে তার মতোই চিরানন্দ অতুলনীয় চির সুন্দর সুখের জান্নাত হতে বিচ্যুৎ করে তার সমঅবস্থানে আনার চেষ্টায় ব্রতী হয়। এ অপচেষ্টার কৌশলেই ধোকা দিয়ে হযরত আদম আলাইহাস সালাম ও মতা হাওয়া আলাইহাস সালামকে কঠিন পরীায় ফেলে এ মর্তাধামে নামিয়ে আনতে সফল হয়। <br />কলঙ্কিত-রানতির এ আজাজিল শয়তান সুন্দর মানবতাকে অকলঙ্কে কলঙ্কিত, কল্যাণকে অকল্যাণে, ভালোকে মন্দে, নির্দোষকে দোষে, নিশ্চিন্তকে চিন্তিত, শান্তিকে অশান্তিতে, সুখকে অসুখে, সুন্দরকে অসুন্দরে, লোভহীনকে লোভে, নিষ্কলুসকে কলুষিতে, নির্ভেজালকে ভেজালে, পবিত্রকে অপবিত্র অর্থাৎ ঈমানকে বেঈমানে পরিণত করে তার মত অভিশপ্ত জীবন পরিচালনায় দুনিয়াকে সর্বাবস্থায় আশান্তময়ে খোদাদ্রোহী পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রতিটি আদম সন্তানের পেছনে সর্বসময় তৎপর হয়ে আছে। সে তার অপকর্মে বিনিন্দ্র সদা তৎপর।<br />মহান আল্লাহ রাব্বুলআলামীন-এর নবী-রাসূলের অনুসারী নায়েবে রাসূল উলামায়ে কেরামগণ ও মুমীন মুসলিমদের পবিত্র কর্মে চির লায়ানতির আজাজিল বাঁধা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মুক্তির পথে রূদ্ধ করার চেষ্টায় সর্বণ মত্ত। কারণ আজাজিল মনে করে ইহারাই তার এমতাত্র পরম শত্র“। এদের ধোকা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারলে চিরসত্য পথের সন্ধানে সহজে কেউই অগ্রসর হতে পারবেনা। পরিনামে হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত বিবি হাওয়া আলাইহাস সালামকে ধোকার মধ্যে জান্নাত হতে বের করে আনার উদ্দেশ্য সফল হবে এবং এতে তার লায়ানতির সাথী হবে আদম সন্তানগণ।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-79886177625001444352013-09-01T21:58:00.001-07:002013-09-01T21:58:06.449-07:00By the Name of the Creator Allah<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:WordDocument>
<w:View>Normal</w:View>
<w:Zoom>0</w:Zoom>
<w:Compatibility>
<w:BreakWrappedTables/>
<w:SnapToGridInCell/>
<w:WrapTextWithPunct/>
<w:UseAsianBreakRules/>
</w:Compatibility>
<w:BrowserLevel>MicrosoftInternetExplorer4</w:BrowserLevel>
</w:WordDocument>
</xml><![endif]--><br />
<!--[if !mso]><img src="//img2.blogblog.com/img/video_object.png" style="background-color: #b2b2b2; " class="BLOGGER-object-element tr_noresize tr_placeholder" id="ieooui" data-original-id="ieooui" />
<style>
st1\:*{behavior:url(#ieooui) }
</style>
<![endif]--><!--[if gte mso 10]>
<style>
/* Style Definitions */
table.MsoNormalTable
{mso-style-name:"Table Normal";
mso-tstyle-rowband-size:0;
mso-tstyle-colband-size:0;
mso-style-noshow:yes;
mso-style-parent:"";
mso-padding-alt:0in 5.4pt 0in 5.4pt;
mso-para-margin:0in;
mso-para-margin-bottom:.0001pt;
mso-pagination:widow-orphan;
font-size:10.0pt;
font-family:"Times New Roman";}
</style>
<![endif]--><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Warn those who act like Muslim,
enter into Muslim society, preach betrayed, false speech among the Muslims.</span></b>
<br />
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoBodyText">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">The book is in my hand named ‘Islam Probeshika’, published
Hindus language from Islami student organization of </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Riyadh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">. I know Hindi
language a bit, that’s why I read the book. That book is introduced as a
identity of Islam. How the book was introduced by comparing Allah with Hindus
God. It was given more priority to God and Goddess than Allah from that book.
Here Allah is compared with God and Goddess. So, where’s the priority of Allah.
It is Allah who is not God. Here is synonyms of God is Goddess. There is no
synonym of Allah. He is only one and owner of supreme power. There is no power
on him. The help of distinguished journalist of </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Bangladesh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;"> publishing in
the daily Observer and sent it directly </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Riyadh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Allah<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>is with us nasrumminallah oha fathen karib
means victory and help are close to us from Allah. There is an also
announcement of punishment responsibility. You have a better concept about this
year, know how to save din of Allah.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Allah established his din by the
Nabi and Rasul in that way these who are olamai kerem save the din of Allah and
preach among the Muslim. I am on doing something like whistling pipe. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">I am trying to throw stone on the
barriers there that were the barriers advance of Islam Mahdi (s) by oral and
writing. It is you who are Naibe Rasul and warriors of Allah yah some vital
responsibility to prevent the barking of unbelievers. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h1>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Exhibition condemn</span></h1>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Allah showed evil forces there
who are hypocrite, ungrateful, betrayer, liar and diverted people.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">I have been sent to throw stone
on them not get fear of their barking like dong just to make fear among them.
They will be expressed like dog on the day of judgement. To make the path easy
regarding all sorts obstacles Allah sends the Guide in every community or
nation like doctor can change his prescription according his treatment like
this way Allah can change his guide rules and regulation. The holy Quran is
sent for the last crucial prescription to free human being from great danger.
There is no alternative way to get release without the help of the Holy Quran.
The holy Quran is the last prescription of the life of human beings to get
release from every complexity of their lives. No the holy book will not be sent
on the earth any more. It is Nabi Karim (sm) who is the last messenger. The
advanced holy Quran is sent through Hazrat Muhammed (sm). There must be release
by following the holy book.</span></b></div>
<h1>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Dream</span></h1>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Allah made me conscious from the obscenity.
Through chirping of dolls. The fashion of Muslims through abiding by the rules
of Allah. Where there is no Amol there is no fashion, those who have no fashion
they can not be called unclothed losing shame Muslims to their lives to the way
of indecent dolls. The human’s responsibility is to establish fashionable books
by following the holy Quran and Hadith. Human beings are unclothed if the
fashion is rejected from them. Unclothed does not mean the earthy dress. Those
who are far from the religious books are unclothed also almost death. Almighty
Allah decorated the human beings society, state through the holy Quran. The
holy Quran represented by Rasul. If the holy Quran is thrown into the drain it
is the work of throwing Rasul into drain. It is the society, nation. Who are
advanced into the hell. Rasul was tortured by the involved inhuman activities,
tortured like Zakaria (s) some one throw into dustbin and some into the
Ocean<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>the belly of fish they were friend
of Allah and they will be with Allah for long run. These who rejected the holy
Quran led by Nabi Rasul and they are usually rejected by Allah’s meeting. The
holy book brought by Nabi (sm). Those who throw into dust are really thrown
into drain meant become unclothed. Those who rejected the received Kitab by
Muhammad (sm) rejected Nabi (sm) and Allah. They have been in hell for ever. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Two prophets are going visit the
earth announced by the Hazrat Muhammad (sm). There is an obstacle in their
paths by the betrayer, ungrateful cheater.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is verse</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is indication of their
visit by their presence in a body.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">They will be wearing two clothes</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">there is long and a gangi.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">The way of sending in the earth
announced by the indication of Allah. It was 1969 I was appointed as substitute
Imam of Kasba Jame Masjid then I can not remember month but I can remember the
days. There were four events that were happened in four days. There were (1)
present (2) revolution (3) getting letters (4) not arrival. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="margin-left: .25in; mso-list: l0 level1 lfo1; tab-stops: list .25in; text-align: justify; text-indent: -.25in;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-size: 10.0pt; mso-fareast-font-family: Arial;"><span style="mso-list: Ignore;">1.<span style="font: 7.0pt "Times New Roman";">
</span></span></span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Indication of Arrival, it was last night of Tuesday. it was
the day when I was born was Tuesday tolled by mother. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="margin-left: .25in; mso-list: l0 level1 lfo1; tab-stops: list .25in; text-align: justify; text-indent: -.25in;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-size: 10.0pt; mso-fareast-font-family: Arial;"><span style="mso-list: Ignore;">2.<span style="font: 7.0pt "Times New Roman";">
</span></span></span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Indication of revolution-It was last night of Wednesday.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="margin-left: .25in; mso-list: l0 level1 lfo1; tab-stops: list .25in; text-align: justify; text-indent: -.25in;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-size: 10.0pt; mso-fareast-font-family: Arial;"><span style="mso-list: Ignore;">3.<span style="font: 7.0pt "Times New Roman";">
</span></span></span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Getting letter- It was last night of Thursday. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="margin-left: .25in; mso-list: l0 level1 lfo1; tab-stops: list .25in; text-align: justify; text-indent: -.25in;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-size: 10.0pt; mso-fareast-font-family: Arial;"><span style="mso-list: Ignore;">4.<span style="font: 7.0pt "Times New Roman";">
</span></span></span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Indication of returning it was last night of Friday. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h2>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Introduction of Arrival</span></h2>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It is he who is sent by some
specific way like coming to Kaba with campaigning taking message.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h3>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Fixing to arrive horse</span></h3>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">From the sky he is sent without
the pillar and visiting his own horse moving here and there I got myself good
term with Allah in the invisible way. I was on the shoulder of my father on the
rofe of train There is connection of Kallob with Allah. It is the way to
contact with the Arosh of Allah.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Nure-elahi or Nurellah are Nure
Muhammad exit in the same way. Nure Allah and Nune Muhammadi mixes with each
other. It mean comes together and then water from milk doesn’t mean different
like this way milk from water doesn’t mean separate. It is called milk in two
names. So there is existence of Allah with Mohammad (sm) that’s who we should
call<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>likh with Muhammad (sm). Where
there is Nure Allah there is Nure Muhammad. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Muhammad is now saying like Nune
Muhammad. There mes have a response from the Allah. It someone calls Nure
Muhammad with Allah with existance calling name of Allah remembering Rasul’s
Darud. There must be set up everything with name of Allah like getting
livelihood. It you have good connection with Allah you will get any sort of
response. Everyone should remember Allah all the way then It is expected that
we can be free from mis deeds and in our dream. We can keep Allah is name. It
can be called Kallob Allah’s has by this way every creation is sent. At hole
the brain of father was sent to Baitullah. It means that brain was sent on the
rote of Baitullah acrossing electronic pillar. It was sent in the belly of
mother.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h1>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Revolution</span></h1>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Conscious, rising, unclothe lying
like doll. The seat like doll. Chirping like doll. He wants to say something
lying, sleeping, unconscious unclothed. In the mother’s belly I was unclothed,
chirping doll meant playing, sleeping doll unconscious sense was awaken
unconscious. There was sense to judge right and wrong. Burden of making free of
the people there was a obstacle. It was intended to do something for the human
beings. So I am trying to write in short through poem I am not poet. I am the
only servant of Almighty Allah.<span style="mso-spacerun: yes;"> </span></span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">By the grace of Allah without
ladder I descendent on the earth taking a leaf from the tree. After dreaming my
sleepy sense was awaken. Believed to the holy Quran received by the Prophet
Muhammad (sm). According to the holy Quran every worship that performed to
almighty Allah. Those who rejected the holy speech are thrown away into hell.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h3>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Tourhing dream on the night of Friday</span></h3>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Touching my own body without like
dreamt and dreamt after day by day in light of sounded wall. Coming a gentle
lady from that hall. Observing two types of car, a royal taxi and other on is
army car out of the wall. It is event of 71/72. I can not remember the dream.
Also I cannot remind the day. It was intended to see Hazrat Muhammad (sm) in
the side east. There was a person beside Huzur (sm). I was standing in front of
Huzor (sm) left side. Huzor was a normal mode not a royal mode. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Dream: Arriving to west for the
other night. By the grace of Almighty Allah, Malike-elahi and visiting the
Roahaza of Hazrat Muhammad (sm) with Baitullah Sharif. In practical it was
happened in 2000/2001. It meant I performed Hazz.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Dream: There was another night I
observed the holy Zannat with greater tree sounding with distenent tree and
fruits. I could arrive as many as entrance pathes with the laddenfrom upstair
to down stair from deanstain to upstain. If I intended I could lift up and
down. I could drink water from pane ne har pipe. I took zamafi food. It see need
like polio with meat. I could move here and there through garden according to
my with. It was beyond my contact with human being on other creetunes. I threw
stone those who are berriers of the path of Hazrat Mahadi (s) sent by Almighty
Allah by saying merhaba marheba. It seemed to me to seen another one with Imam
Mahadi (s) like Imam Mehedi’s figure and complexion. The wisemen and Islamic
shcoolers were misguided by mis narretion writing wrong about Islam among the
Muslim. These evil forces weaken the sprit among Muslims like that kind Shabi
or followers of Hazrat Muhammad (sm). They also destroyed good relation among
loamee kearam. Many of them were emenged into envious activities. For this
Islam is the wall of destruction. If we want to turn Islam from the danger we
should grasp Nabi Karim (sm) . Otherwise destruction is a must. Notice how evil
forces run by how they named Hamale Sharif changed the Holy Quran’s name. You
certain listened but gave less importance. Making short Kalimae shedat they
just teach Kalima shadat without Ohadala Sharikalahi. It is seen in Nurani
Khoada. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">The mosque of Muslims are
established on the basis of that Halima. From some masq Kalima Taibe and name
of Hazrat Muhammad are wiptout. There written my Allahu in some mosques. Wonet
Muhammad was erased from the masq. Amentu Billahi Kamahua Bi Asmahi osefeti
okabiltu zamiha Ahekami. Oha Ankani from this Kalima wond Ankamihi was deleted
and taught to the students. But this wond incidents Islamic details. Pillar
means Namaz, Roza, Hezz, Zakat, Kalema. What is the reasons jest to delete
these? No hase or hall can be stood without the pillar. So without these Islam
is not existence you know but why are you silent?</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Replaced Olama Keram if you seen
you will find a lot of mistakes. Many printed dunens are published in the
marked with printed mistakes. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">This is the great six that cannot
be forgiven Each other are separated for silly mistakes. Muslim cannot mistakes
naming Allah with Lord. Mumin<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>Muslim are
confusing in the dark. There is a way to return from the dark path just to be unified,
consciousness, must be aware.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h3>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Allah Akbar</span></h3>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">I am throwing stone banking days
to prevent all sorts of bad activities that can be occuneced by the evil
forces.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<h1>
<span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">A great warning</span></h1>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It is the special, great winning
for the Olama Kiram from Almighty Allah that was preannounce. It was the last announcement
to Olama kiram from the lest Prophet Muhammad (sm).</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It was known that Hazrat Adam and
(am) returned from gree zannat. It is who is Azajil Saifan his work is to
deviates special holy prophets who are really the representative of Allah.
Because Saitan thinks that it is mumins who are only enemy of Azajil Saitan. If
Azajil can betray with the mumin are successful. It is only their purpose to
move mumins into the hell. Before taking Adam and Hawa (am) away from Zamat
they thought like that way. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Presently, Azazil has been
successful a lot. You are the wisemen of Adam’s child. You are not making
mistake just to notice to the Muslims word. The real Muslim certainly can
understand just to observe to the Hadith. The nation now run by the deviated
evil on Muslim. Now Muslim are emerged by the evil forces. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It is know by you that Muslims
are the dwellers zannat forever. Evenly acts like friend and doing misdeeds
with friend. To deviate Olama just to act like olama and destroy Muslim.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">At present it is observed that
many olamas and misguided by them indifferent way and different peth. Just to
publish different confused writing among the Muslim in order to engulf Muslim
tradition. Almighty Allah just shasthir misdeed to the mumin how they deviate
the real muslims. It is observed presently, that many olama are entrapped by
evil forces without some of them. Saitan is new successful in his work. Saitan
can impact on the Kafirs’s mind. They are the barriers on the mumin’s path. In
the light of Islam we must set up a board. There won’t be inhuman and findelism.
Islamic era is affected by Saitan. Hazrat Muhammed (sm_) was the last prophet
of mencyful Allah. Didn’t the Muslims olama observe? That some olama act like
real olama and create caous among the muslim by writing confusing writing. They
also threes the holy quran and keep the holy Quran on this. Only significant
letter Alif the just deduct Hamra and Teach. It is not possible to no write
Allah’s name. A life means Allah, it is the first letter of holy Quran.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoBodyText">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">1. Alife, 2. Lam 3. Mim = the meaning of these letters are
1. Alife= Allah, 2. Lam = L-Illah Illahu, 3. Mime = Muhammad (s). Alife means
Allah. What’s Allah? Who’s called Allah? It expenses Lam. Lam means la-Illah
Illahu. Means Allah there is no Allah without him. It means there is no person
who deserves only all sorts of worship and praises. He is the owner of all
creations. It is he who is the great. Mim mentions identify of Allah. It is
Muhammad (s) who is friend of Allah.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is existence of the holy
Quran among the three words. Kalima Taibe is the three wonds. It means Allah is
la-illaha- Illahahu Mim means Muhammadur Rasullaha. Muhammad(s) praises
Almighty Allah in favour of human beings. What human beings set up the praise
words that’s he is the praise wrongly. So It is he who is Ahmad praised by praises.
Without praising none gets praise that’s why without beings Muhammad Ahmed
cannot be. There are separate wounds of thousand letters. If hamza is uttered likes
Alife but it is not alife and alife is not also hamza. Sheep is like goat but
sheep is not goat. Our imani basic wond is ohadal la sharaki Kallah. It means
he is only alone, he has no partner means no shaner. Childrens are being taught
printed Nuneni book to deduct Araka nihi from Kalima shadat forever. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Muslims are starting to say good
morning just to deduct Bismillahir Rahmanir Rahim. Those who are okay good
morning can not be for them, those who are sick bad day in for them. Good day
and good night are not for them. These are not necessary for muslims. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is no second whold like
Bismillah. Bismillah means welfare, Rahmat, Barkat. It is the greatest wond.
Some of mosques are started to write Allah just to delete Akbar and also not to
write Muhammad. Kalima Taibeha is removed where are the Nabe Rasuls?</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">On the basis of Kalimah Baitullah
Sharif and mosques are established. That Kalimah is being removed. Islam is the
religion of human beings. Nabi of Islam is the Nabi of human beings. Nabi of
creators is the nabi of creature. He is sent to the world as a Rahmat. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">So he is called world’s mency. There
are mercy, kindness, love affection assistance, to help to the helpless.
Shelter to shelter less in his speech. It means there is no any discomfort speech.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">For the Islam is called peace
religion and it is Islam that is the religion of human beings. There is no
envious, cheating, ungrateful in this religion also not destroy someone’s
property. There is no exaggeration, no limitless. There is no interference.
Everything depends on its own. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is no scope just to
humiliate the other. Islam loves creator’s creatures. Those who live creator’s
creatures love Allah. There is Hedaet. hasihat, there is terrorism. Islam
doesn’t come to kill. Islam is to save all and also bring peace. There is no
order to strike. If he doesn’t strike Islam. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is mercy, kindness,
transparency emasculation. There is<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>no
eccentric, when Muhammad (sm) preaches Allah is speech. Those who didn’t like
to understand Rasul’s speech they torture Rasul in different ways. And then
Allah. Rasul told in his prayer that hoha Alkh I just preach Islam. Rasul
prayed to Allah that Kafer don’t like understand me without understanding me
they torture on me. In reply Allah told what would I do and told Rasul just to
preach Islam I would bring under my control. Here Allah didn’t tell that whose
who disobeyed that would kill them.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">The great persons come to the
earth only just to save the human beings and leads to the peaceful path. Also
they bring the human brings to light from the dark path. At present habitation
of illegal way is increasing. Human beings are destroyed. Wentmone, proclivity
is in increasing all the sides. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Respectable Olamai Keram and
Mumin just observed I time and again told that Islam was thrown into drain.
Your sense, talent is word everything is going out control. Every is divented
by the evil forces. There is no time to sleep raise year consciousness. There
is still time to prevent misguided. Allah will save Islam through Olamai Keram read
Mumin and Muslims. Islam is clothe for me and you. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Oh deer Muslim’s brother and
sisters. Many of you are deviated by the ungrateful, deviated, influenced
wrongly. They threw the holy Quran into drain. The real thing is that the holy
Quran is not thrown into dustbin. They were really thrown into the hell. The
seven of Islam is Allah he will save Islam by his beloved followers. Those who
published the holy Quran by misprinted, deducted “Arkani” from Ikalima Ohadalhu
Lasharikalahu, removed Muhammad from Allah’s name, removed Kalima Taibea from
some mosques, expensed Nurullah by telling a ordinary man, changed the holy
Quran’s name and named Hama is Sharific are really dwellers of the hell. The
door of zannat is closed forever. N.B. Respectable Naebe Rasul you are the real
soldiers of Allah. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">From the Almighty Allah is Arash,
Allahy warned especially through me. By showed Allah It’s now a dark era. I am
announcing from Allah like a guard.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It’s the responsibility of watch
man watches what happens in his boundary and warn the people. Shown the way
where’s the thief? There is a possibility to abduct without watch man. That
will be observed by the society and person. This can be observed it you are
alert.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">From every aspect Muslim era is
affected by the deceiver, ungrateful,<span style="mso-spacerun: yes;">
</span>and unbelievers are created at the very beginning of Islam. There is
hand behind the path of circle of evil gang and unbelievers. Because if a tree
is born at the same time Shadow and figure are grown. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It is the rules of creator. Azazil
was created by the creation of Adam (sm). It is the game of Allah. they are the
beloved to Allah those who maintain their lives according to the Allah is law
and not to be misguided by evil forces.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There was less member of Muslim
at the very beginning but new. It is increasing day by day and it will be
increased not to be decreased. beside this ungrateful and betrayers are
increased because there will be evil before the ultimate destruction of the
world. Allah has gives such time that he can stray on the earth. Allah also
known that those who are my beloved follower are not deviated by them.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It is noticeable that where there
is a source of water there is a end of water. Rising of Islam was stretch form
Arab and ends in Arab. Unbelievers misguided by ungrateful are affected.<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>It means mumin Muslims are undergone into
them. There is less important of Sunnat in Arab. Muhammad (sm) is called as a
ordinary people. If Nab (sm) told that he is like the human being. He is a man
in figure picture but he is not a ordinary people. He is extra ordinary and
second one. He has having such a qualities there are beyond human beings He is
super national extra powerful. He is the superior to all the prophets. Only
Muhammad (sm) is beyond compare. Now most of the Arab’s families run by
gambling dancing, singing. Some times they play song for all whole night. There
is illegal contract between men and women also it is noticed there is home
sexuality. I observed some these. Influencing of unbelievers the Muslims
societies are destroyed. When Allah took me </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Riyadh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;"> in his holy
land. I got a book named Islam probishikha. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Indian Ahmad Faruqui was the
translator of that book when I rad the book I observed that writer translated
the book and he compared Allah with God and Goddess. Here I observed God and
Goddess were given more priority than Allah. I personally thought to protest
immediately. I thought It was unwise to protest in </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Riyadh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;"> as the book
was published in </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Riyadh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">. Because hypocrites
mean It was impossible to protest among deviated. So, returning home I wrote
protest on the Bangladesh Sunday, September 1999 named about misleading book on
Islam sent to Riyadh by cooperation of Bangladesh Journalist unions Chairman
Late Md. Sanaullah Nuri. These protests words like the bullets of weapons. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">According to wisemen the first
letter of the holy dunan “Alife”. It means directly Allah that Alife<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>is pronounced Hamza. It was attacked by
different ways.<span style="mso-spacerun: yes;"> </span></span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">There is conspiracy just to
misactivate. There who are reael Naeba Rasul and olame Keram they are a few in
number there is remarkable work done by them. I wrote like a poem at the time
of staying in Arab at </span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Riyadh</span></b><b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;"> in 1999. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Saudi Arabia is now fully run by
Abdul Ohab Nizdir without some people most of the people are devoid of full
Islamic’s rules. There is no importance sunnat. Whatever is in Islam this is
just show. There are some showed badats like shabe Kadar, Shabe Barat, and
Shabe Miraz. Muslims societies are run by ungrateful, hypocrifie’s great
domination. Today Arob States acts as a puppet of unbelievers as nasana. They
don’t care of some Alim and Olama’s press briefing and expressing speech. The ancestor
of present Arab they donated all sonets of properties for the welfare of Islam.
They also preached Islam all of over the world. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">It is realized that we should
again preach Islam all over the world as it was. We must establish real Islam
among the Muslim and eradicate all sonets of wrong concepts about Islam and
preach real Islam. There who sacrifice their lives on behalf of Islam are successful.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Respectable Allah’s soldiers and
Olamee Kirams have been thrown into drain. Please save them Allah will be with
you.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Before Nabout Nabi (sm) was
absoredin serving the society. People of Arob were pleased to have Nabi’s
services and called Nabi believer. He was respectable person to Makka’s
citizens. When there was no justice people involved in different misdeeds
activities. They didn’t like to understand right have no humanity. According
their wish whatever they liked just did it. There was no peace that’s why that
was the darkest era. Those who were in the darkest ear were called the darkest
people. It meant they were called unbelievers in Arabic language. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">As peaceful speech was preached
among them that’s why they were anti of Islam. Islamic speech is only one and
might meant speech of Allah is Allah only one he is Noor He has no figure like
human body. He is only one and supreme powerful is Islamic Speech. Allah
forbade not to workshop like scupttunes for this reason they were anti of Islam
and did not like follow Islam. Since they were anti of Islam they tortured
Muslim in different ways. They offered Muslim locative offer to stop preaching
Islam.</span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">They also friend to tempt Nabi to
give him the mas beautiful woman in Arab. Then there was no ruler, they offered
Nabi to select as a ruler of Arab that he stopped preaching Islam. But Nabi
(sm) did not luxe to their offers. He was deeply involved in preaching Islam.
No greedy things could entrap him not to preach Islam. Since Nabi’s followers
followed Rasul (sm) within a few days that’s why they were successful to
establish Islam they ruled half of the world at the same time. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<b style="mso-bidi-font-weight: normal;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12.0pt; mso-bidi-font-family: "Times New Roman"; mso-bidi-font-size: 10.0pt;">Respectable Nab-e Rasul and
Olame-Kiram without observing colors, nation, separation just involve in
Allah’s workshop. Then people will receive you as their rulers and counsellors.
Otherwise no speech works. According to the penons wish they explain whatever
they like to explain about Quran and Hadith that’s why Islam is going to be crushed
by their speech. Islam will be regained If mumin Muslims and Olama Kirams
respect, each other love each other and raise humanity among persons then It
will reach to the society. </span></b></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoBodyText2">
I have been merciful of Allah to regenerate Islam. I am
telling Allah is listener and observer. I have been kindful just to call you.
So I am calling you to come to the path of Allah like to rise you from sheep.
To ignore you will not be fallen into drain of waste of Kufin. There is
something remarkable in my writings. Just to throw stone on asking dogs in
order to save Islam. </div>
</div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-31275122530530909862013-08-21T21:35:00.002-07:002013-08-21T21:35:27.256-07:00মহাসঙ্কেত<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম<br />আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। <br />আমার মুমীন-মুসলমান ভাইবোনদেও প্রতি বিশেষ সতর্ক বণী। <br />ইসলামের চির দুশমনেরা ইসলামের উপর সরাসরি আঘাত হানিয়াছে।<br />১। কোরআন শরীফের নাম “ক্বোরআন” শব্দ বাদ দিয়া ইহারা স্থলে ‘হামায়েল শরীফ’ নাম রাখিয়াছে। আল্লাহতায়ালা স্বয়ং তাঁহার কালামুল্লাহ শরীফের নাম কোরআন নামে নামকরণ করিয়া ‘লওহে মাফুজে’ সংরণ করিয়া রাখিয়াছেন। সেই সম্পর্কে আল্লাহ পাক ক্বোরআন শরীফে আয়াত নাযিল করিয়ছেন। তাহা এই “বালহুয়া ক্বোরআনুন মাজিদুন ফি লাওহিম মাহফুজ।‘’ আর্থাৎ কুরআন মাজিদকে লওহে মাফুজে সংরতি রাখিয়ছি। এই নাম বাদ দেওয়ার আধিকার কাহারো নাই। যেমন: কোন লেখক কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম বাদ দেওয়ার আধিকার কাহারো নাই। আল্লাহতায়ালা প্রদত্ত ক্বোরআন শরীফের উপনাম অনেক আছে। যেমন: ফোরকান, কালামুল্লাহ ইত্যাদি। কিন্তু মুল নাম কোরআন শব্দ সারাইয়া আসল বা মুল নামের জায়গায় উপনাম ব্যবহার করার অধিকার কাহারো নাই। কেহ কেহ বলেন, আকারে ছোট অল-ক্বোরঅনকে হামায়েল বলা যায়। কিন্তু ৩০ পারা ক্বোরআন শরীফ আকাওে বড় বা ছোট হোক তাহা র্প্নূ ক্বোরআন শরীফ। কোন ক্রমেই তাহাকে ছোট বলা যাইবে না।<br />
<br /> কেহ কেহ বলেন, প্রিন্টিং ভুল হইতে পারে। হাঁ তাও হইতে পারে। কিন্তু তাহা হইলে আল-ক্বোরঅনের মত আল্লাহতায়ালা প্রদত্ত গ্রন্থ, ভুল বাজারে ছাড়িবে কেন? সংশোধন করেনি কেন? ক্বোরআন শরীফের একটি জের, জবর, পেশা এবং একটি হরকতত্ত ভুল করা চলিবে না। কারণ ইহা একমাত্র আল্লাহতায়ালা প্রদত্ত কিতাব। ইহার উপরই আমাদের জীবন এবং মরণ।<br /> একখানি পূর্ন ৩০ পারা ক্বোরআন শরীফের নাম বাদ দিয়ে সেই স্থানে ইপনাম ব্যবহার করা আমর্জননীয় অপরাধ। দুশমনেরা শুধু নাম বাদ দিয়া ান্ত হয় নাই. সুরা ছোট বড় করিয়াছে। সুরার নাম পরিবর্তন করিয়াছে। এক সুরার নাম অন্য সুরাতে ব্যবহার করিয়াছে। রুকু ছোট বড় করিয়াছে। যে কয়েকটি রুকু চিহ্ন দিয়াছে তাহাও নিদিষ্ট জায়গায় দেয় নাই। পারা চিহ্নগুলিকেও এইরূপ করিয়ছে। কোথাও না দেওয়ার মত কোথাও দেয়ই নাই। <br /> মুসলমান এবং আলেমদের সুরত ধরিয়া মুসলমানদের ভিতর এইরূপ করিতেছে। মুসলিম ভাইবেনগণ আজই এই চক্রান্তের মোকাবিলা করেুন, এখনও সময় আছে। <br /> ২। কালেমা শাহাদাত: আস্হাদু আল্ল-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ ওয়াহ দাহু-লা-শারী কা লাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।<br /> এই কালেমা শাহাদাত হইতে ওয়াহ্ দাহু এবং লা-শারী কারাহু বাদ দিয়ছে। তাশাহুদকে কালেমা শাহাদাত নাম দিয়া বাচ্চাদেরকে পড়াইতেছে কেন? এর কি কারণ? এই শব্দ দুইটি আমাদের কি তি করিতেছে? আর বাদ দেওয়াতে কি লাভ হইতেছে? অথচ এই শব্দ দুইটিই হইতেছে আমাদের ধর্মের মৌলিক অকিদা। ইহার উপরই আমাদেও ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। আমাদের জীবনের শুরুতে এবং শেষ সময়ের সম্বল অর্থৎ ইহাই একমাত্র মুক্তির সম্বল বা মুক্তির পথ। ওয়াহ্দাহু অর্থ অল্লাহ এক। লা-শারী-কালাহুÑ তাহার কোন অংশীদার নেই। ইহাই আমরা আমাদের রক্ত কণিকার মধ্যে প্রতিষ্ঠা করি এবং আল্লাহর এই একাত্ববাদের স্যা বহন করিতে করিতে আমরা মৃত্যুবরণ করি। এহাই আমাদের মুক্তির চাবিকাঠি। যাহারা ইহাকে বাদ দিতেছে তাহারা নিশ্চয়ই ইসলামের দুশমন কেনই সন্দেহ নেই। সুতারাং মুমিনগণ এখনও সময় আছে আমাদের এই চির শত্র“দের মোকাবিলা করুন। অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদেও সন্তানদের ইসলাম ধর্ম হইতে হারাইতে হইবে। <br /><br /> ৩। ইমানে মোজমাল ঃ <br /> আমানতু বিল্লাহি কামাহুয়া বি-আস্মা ইহি ওয়া-সিফাতিহি ওয়া-কাবিলতু যামি-আ আহকামিহি ওয়া আরকানিহি।<br /> ইমানে মোজমাল হইতে আরকানিহি শব্দটি সরাইয়া দিয়ছে কেন? কি কারন? এই শব্দটি দ্বারা আমিাদের কি তি হইতেছে ? <br /> আহকামিহি শব্দটির দ্বারা আল্লাহতায়ালার সমস্ত হুকুম বা সমস্ত আদেশকে বুঝানো হইয়াছে। বিশেষ বিশেষ হুকুম বা কি কি হুকুম কোন ধরনের হুকুম। <br /> হুকুম আবশ্যকীয়, হুকুম অত্যাবশ্যকীয়। যেমন : ফরজ ফরজে অইন এবং ফরজে কেফায়া। আহ্কামিহি শব্দটিতে হুকুমের ধরন রকম বা কিসিম বুঝাইতেছে। <br />আরকানিহি শব্দটি কিন্তু তাহা বুঝাইতেছে। যেমন: আরকান অর্থাৎ রোকন বা স্তম্ভ বা খুটিসমূহ। আমাদের ইসলামের রোকন বা খুটি এই কয়টি। যাহার উপর আমাদের ইসলাম ধর্ম খাড়া রহিয়াছে। ইহাতে তাহাই বুঝাইতেছে বা বুঝাইয়াছে। তাহা কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত। ইহার উপর আমাদের ইসলাম নামক ঘরটি খাড়া রহিয়াছে। এই শব্দটি হইতে আমাদের সন্তানদেরকে বঞ্চিত করার অধিকার কে দিয়েছে। নিশ্চয়ই তাহারা ইসলামের আসল দুশমন। তাহাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘেষণা করা ফরজ হইয় গিয়াছে। <br /> ওয়দ্ দাহু-লা-শারী-কালাহু এবং আরকানিহী এই শব্দ কয়টির উপর আমাদের ইসলাম পূর্ণত্ব প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। এই শব্দগুলি বাদ দিলে আমাদের ক্বোরআন এবং হাদিসের ও দরকার হয় কি? কত বড় চক্রান্ত চিন্তা করুন আর সময় নষ্ট না করিয়া ময়দানে নামিয়া আসুন। <br /> ৪। তথাকথিত প্রকাশনাগুলি হইতে ছাপানো কোরআন, শরীফ শিার কায়দাগুলি পর্যন্ত পরিমাণে পাইয়াছি।<br />ক) কোরআন শরীফ যাহা হামায়েল নামে প্রকাশিত ঃ <br />ফয়েজ হামায়েল শরীফ, ফয়েজি কুতুবখানা, চক বাজার ঢাকা দোকানের নাম্বার নাই। <br />খ) আসমানী কোরআন শরীফ ঃ <br />মোহাম্মদী লাইব্রেরী, চকবাজার ঢাকা-১১।<br /><br />কোরআন শরীফ শব্দটির উপর দিয়া লিখিয়াছে “আসমানী” শব্দটি। কেন কি কারণ? এখানে প্রশ্ন আসিতেছে যে, কোরআন শরীফ আবার জমিনীও হইতে পারে কি? আছমানী লিখার কি প্রয়োজন ? ইহাতে মনে হইতেছে যে, কালক্রমে কোরআন শব্দটি সরাইয়া শুধু আছমানী শরীফ নাম ধারন করিতে পারে। পৃথিবী হইতে “কোরআন” শব্দটি উঠাইয়া দেওয়ার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নহে। <br /><br />৫। নুরানী কায়দা ঃ যাহার মধ্যে কালেমা শাহাদাত হইতে শব্দ ওয়াহদাহেু লা-শারী কা-লাহু বাদ দিয়া তাশাহুদকে কালেমা শাহাদাত নাম দিয়া প্রকাশ করিয়াছে এবং কারআন শরীফের বাক্যগুলিকে এলোমেলো করিয়া বাক্যের মত লিখিয়াছে। কেন কি কারণ? ইহা এমদাদিযা লাইব্রেরী , চক বাজার, ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং তাবলিগী কুতুবখানা ও বিভিন্ন কুতুবখান। হইতে প্রকাশিত।<br /><br />৬। আদইয়ায়ে মাছনুনাহঃ যাহার মধ্যে ঈমানে মোজমাল হইতে আরকানিহী শব্দাটি বাদ দিয়া প্রকাশ করিয়াছে। তাহা নাদয়িাতুল কোরআন প্রকাশনী, চক বাজার, ঢাকা। <br />৭। আসমানী কোরআন শরীফ: মোহাম্মদী লাইব্রেরী, চক বাজার ঢাকা। <br /><br />এই কোরআন শরীফ খানার মধ্যে সুরা জুমারকে বাড়াইয়াছে সূরা মুমীনের ১নং , ২নং ও ৩নং রুকু হইতে কিছু কিছু অংশ সংযুক্ত করতেঃ সূরা জুমারকে বড় এবং সূরা মুমীনকে ছেট বা সংপে করিয়া ফেলিয়াছে।<br />৮। ফয়েজি হামায়েলের মধ্যে অনেক রুকুরই চিহ্ন দেয় নাই। যেমনÑ দুই রুকুকে এক রুকু করিয়ছে। আর সাধারণতঃ রুকুর চিহ্ন যে পার্শ্বে থাকে সেইখানে না দিয়া ডানের চিহ্ন বামে দিয়াছে। যেখানে রুকু আদৌ ছিল না সেইখানে রুকু দিয়া এক রুকুকে দুই রুকুতে পরিণত করিয়াছে।<br /><br />সূরা ছোয়াদের মধ্যে কিছু জায়গায় ছোয়াদ এবং কিছু অংশে সূরা ছাফফাত লিখিয়া রাখিয়াছে। সূরা মুমীনের মধ্যে সূরা হামীম এবং সূরা হামীমের মধ্যে মুমীন নাম লিখিয়া রাখিয়াতে। যেন আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে এবং ইসলাম ধর্মের সাথে লুকোচুরি খেলিতেছে। আরো যে কত জায়গায় কি করিয়াছে আমার জানা নাই। যতটুকু দেখিলাম ততটুকুই আমার মুমীনÑমুসলমান ভাইÑবোনদের খেদমতে এবং মাননীয় বাংলাদেশ সরকার প্রধানের খদমতে পেশ করিলাম।<br /><br />৯। কিছু কিছু মনগড়া নতুন সিষ্টেমগুলির মধ্যে এই ধরনের কর্মকান্ড বেশী বেশী ল্য করা যাইতেছে।<br /><br />১০। আমাদের শ্রদ্ধেয় হযরত মাওলানা ওবায়দুল হক সাহেব খতিব বাইতুল মোকাররম, ঢাকা, তিনি বলিয়াছেন, যদিও কোন কোন জায়গায় ওয়াহদাহুÑলাÑশারী কালাহু ছাড়াও কালেমা শাহাদাত দেখো যায়, তবে ওয়াহদাহুÑলাÑশারী কালাহু শব্দ যুক্ত কালেমা শাহাদাত উত্তম। সুতারাং আমাদের সাধারণের জন্য এই ওয়াহদাহুÑলাÑশারী কালাহু শব্দ যুক্ত কালেমা শাহাদাত এবং আরকানীহি শব্দ কয়টিই আমাদের জন্য একমাত্র সম্বল। সুতারাং ওয়াহদাহুÑলাÑশারী কালাহু এবং আরকানীহি শব্দ কয়টি বাদ দেওয়া কোন ক্রমেই চলিব না। কারণ এই কয়টি কথা বা এই কালেমাটিই আমাদের একমাত্র সম্বল।<br /><br />১১। হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান সাহেব, ইমাম, বাইতুল মোকাররম, ঢাকা, তিনি বলিয়াছেন, উক্ত শব্দগুলি বাদ দেওয়া যাইবে না।<br /><br />১২। জনাব মুফতি ইয়াহিয়া সাহেব, লালবাগ শাহী মসজিদ, ঢাকা, তিনি বলিয়াছেন, এই শব্দগুলি উত্তম। উত্তম কালেমাইতো আমাদের প্রয়োজন। কারণ ইহাই আমাদের জীবনের এবং পরÑকালের মুক্তির চাবি কাঠি। এই শব্দ কয়টি বাদ দেওয়ায় ইসলামের আলো বাড়ে নাই বরং চরমভাবে আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছে। গভীর অন্ধকার নিমজ্জিত হইতে চলিয়াছে। আমাদের সন্তানের এই অতি নিকটতম এবং অতি তাৎপর্যপূর্ণ শব্দগুলি হইতে চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হইতেছে। কেন? কি কারণে?<br /><br />১৩। মাওলানা নেছার উদ্দিন সাহেব, পেশা ইমাম, মাদারটেক জামে মসজিদ সরকার পাড়া, ঢাকা তিনি বলিয়াছেন, উক্ত শব্দগুলি ব্যতীত কালেমা দুইটি অসমাপ্ত থাকিয়া যাইবে। সুতারাং কিয়ামত পর্যন্ত এই কালেমা দুইটি অপরিবর্তনীয় থাকিবে। এবং অবিকৃত অবস্থয় থাকিবে। <br /><br /> এই শব্দ কয়টি সরাইবার কারণ কি? উক্ত শব্দ কয়টি সরাইলে ইসলামের মূল শিকড়-ই শেষ হইয়া যায়। মুমীন –মুসলমান ভাইÑবোনগণ চিন্তা করুন আর সময় অপচয় না করিয়া এদের চক্রান্তের মোকাবিলা করুন। যদিও কেহ কেহ বলেন, বা কেহ কেহ বলিতে পারেন, এতবড় বটবৃ তাহার বিশাল শাখাÑপ্রশাখা নিয়েইতো দাঁড়াইয়া আছে চিন্তা কিসের? অর্থাৎ কোরঅন-হাদিসতো আছেই। এই শব্দ কয়টির জন্য মাথা ব্যাথা কেন? আমি বলব, এই শব্দগুলি প্রথম থেকেই চলিয়া আসিতেছে। সেই আমাদের নবী পাকের জামানা হইতে মুলতঃ আদম (আঃ) এর জামানা হইতে। তাহা কিতাব হইতে সরাইবার জন্য এদের এত মাথা ব্যাথা কেন?<br /><br /> সকলেরই জানা যে, মুল শিকড় হীন বটবৃ যেমন বাতাসের স্বাল্প দাপটে কি কে থাকিতে পারে না পড়িয়া যায়, তেমন ইসলামের মূল শিকড় হইল আল্লাহর ওয়াহদানিয়ত (ওয়াহদাহু) আল্লাহ এক (লাশারীকা লাহু) তাঁহর কোন অংশীদার নাই এবং (আরকানিহী) রেকন স্তম্ভ বা খুঁটি, তাহা কালোমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ, এব্ং যাকাত। উক্ত বর্ণিত শব্দগুলি না থাকিলে ইসলাম নামটিই অর্থহীন। আর যত কিতাবই থাকুক না কেন সবই নিরর্থক। উক্ত শব্দগুলি হইতে আমাদেরকে এবং আমদের সন্তানদেরকে মাহরুম বা বঞ্চিত করিবার জন্য এরা উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছে কেন? এর কারণ?<br /><br />১৪। কায়দাগুলির মধ্যে জুমলার মত করিয়া এমন এলোÑমেলো বিশ্রি করিয়া লিখিয়াছে অথচ তাহা জুমলা বা বাক্য নহে। কিন্তু বাক্যের আাকরে লিখিয়াছে। সময়, কাগজ, কালি, শ্রম সবইতো গেল, এইরূপ লিখার কি অর্থ হইতে পারে? কালামুল্লাহ শরীফ যেমন Ñ কাল ফারাশীল মাবসুসি....কাল ইহনিল মানফুস, মাঝখান দিয়া ‘ওয়াতাকুনুল যি বালু’ ছািড়য়া দিয়েছে। এইরূপ বহুতই করিয়াকছে কিন্তু কেন? মহা কালামমুল্লআহর সাথে এই চরম বেয়াদবী কেন? কি কারণ? ইহা অমার্জনযি অপরাধ নয় কি? কাগজ-কালি সময় সবইতো গেল এইরূপ না করিয়া ছোট সুরাগুলি বাচ্চাদের শিখার সুবিধার জন্য লিখিয়া দিলেই হইত। বানান,ম চালু মুখস্ত সবই হইয়া যাইত। এইরূপ না করিয়া সুরা পরিবর্তনা বা আয়াত পরিবর্তন কারা পিছনে সংকলকদের নিজের যুক্তি নিশ্চয়ই আছে? সেই যুক্তি কি? যদি বল হয় শব্দ শিা দেওয়ার জন্য তাহা হইলে জুমলা সেন্টেন্স বা বাক্য আকারেকেন? বাক্য নিশানা দিয়া কেন, লিখাগুলি এমন বিশ্রীভাবে লিকা হইল যেন মহান আল্লাহর মহা কালামুল্লাহর মাথে ছিনিমিনি খেলিল। লুকোচুরি খেলিল কেন? কি কারণ? যাহারা আমাদের মহা কালামুল্লাহর সাথে ঐরূপ করিল, অর্থাৎ ইসালামের মুল ভিত্তির শব্দগুলিকে লইয়া এই খেলা করিতেছে। তাহাদের পিছনে নিশ্চয়ই বিজাতি অমুসলিম চক্রান্ত কাজ করিতেছে ইহাতে সন্দেহের কােন অবকাশ নাই। সুতরাং মুমিন-মুসলিম বোনদেরকে , এই মহা চক্রন্তের বিরুদ্ধে বিশেষ সতর্কভাবে সমস্যা সমাধানের পন্থা অবলম্বন করিতে হইবে। ইহাদে মোকাবিলা করিয়া আল্লাহর বাণীকে রা করুন।<br /><br />১৫। স্কুলের পাঠ্য, ইসলামী বইয়ের মধ্যেও এক জায়গায় লিখা আছে শুধু আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল-এই পর্যন্ত বলিয়া শেষ করিয়া দিয়াছে। কেন কি কারণ? কবরে বা গোরের যাহারা আছে তাহাদের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষণের জন্য দোয়া করা হইয়াছে একেবারে আমভাবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান যত জাত আছে প্রত্যেকের উপর। ইসলামের নিয়মতো এইরূপ নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে যাহারা আল্লাহর নির্দেশের আনুগত ও রাসূল মোহাম্মাদ(সাঃ) এর উম্মত তাহারাই একমাত্র এই দোয়া পাওয়ার অধিকারী। কাফের নাফরমান এবং নিমক হারাম যাহারা তাহারা মুমিন মুসলমান হইতে এই দোয়া পাওয়ার আধিকার রাখে না। তাই এইভাবে শুধু আমভাবে কবরবাসীদের উপর বলা উচিৎ হইবে না। অন্ততঃ এতটুকু বলা উচিৎ যে, সমগ্র মুসলিম নরÑনারী কবরবাসীদের উপর শান্তি বর্ষিত হউক। অর্থাৎ আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুরে মিনাল মুসলেমিনা ওয়াল মুসলিমাতে। কমপে এতটুকু বলিতে হইবে। আবার অনেকেই মোনাজাতের মাধ্যে পাঠ করেন শুধু ‘রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি ছাগিরা।’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ, যাহারা আমাদেরকে ছোট বেলায় ষেইরূপ আনুগ্রহ-দয়া করিয়াছে সেইরূপ দয়া অনুগ্রহ তুমি তাহাদের উপর কর।) এইখানে প্রশ্ন হইতেছে, যাহারা ছেট কালে অনুগ্রহ দয়া করিয়াছে তাহাদের জন্য দোয়া। তাহারা কাহারা? সকলেইতো ছোটকালে ফুলের মত বেগুনাÑ মাছুমÑ সুন্দর থাকে তাই হিন্দুবৌদ্ধখৃষ্ট্রান এক কথায় সকলেই তাহাকে ভালবাস বা আদর স্নেহ, মায়াÑমমতা, দয়া বা অনুগ্রহ করিয়া থাকে। এইভাবে কি আমভাবে সকলের জন্য দোয়া করা চলিবে। এই দোয়ার শব্দগুলি তো খাস করিয়া পিতা মাতার জন্য তাই এইভাবে পিতা মাাতার শব্দটি গোপন বা উহ্য রাখিয়া পাঠ করিলে কি ঠিক হইবে? কেহ কেহ বলেন, মনের খবরতো আল্লাহই জানেন, পিতা Ñ মাতার উদ্দেশ্যেইতো বলা হয়। কারণ হাদীস শরীফে আছে ইন্নামাল আ মালূবিন নিয়্যাত। নিয়তের বা উদ্দেশ্যের উপর ছাড়িয়া দিলেইতো হয়। না, তাহা সব জায়গায় সব সময় সকলের উদ্দেশ্যের উপর বা নিয়তের উপর ছাড়িয়া দিলে ঠিক হইবে কি। তাই পিতা মাতার উদ্দেশ্য খাস দোয়া করিতে পিতা মাতার জন্য দোয়া এই কয়েকটি শব্দ বাক্যটির অন্তগর্ত রাখিয়া উচ্চারণ করিলে উত্তম হইবে বলিয়া আমি মনে করি। (যেমন অন্ততঃ এতটুকু বলা দরকার আল্লাহুম্মাগ ফিরলি ওয়লি ওয়া লিদাইয়া ওয়ার হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানি ছাগিরা)। ওয়ালি ওয়াÑলিদাইয়া শব্দ বাদ দিয়া শুধু রাব্বের হুমা বলিলে আমভাবে প্রত্যেকের জন্য হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ট্রান যাহারা ছোট বেলায় আদরে স্নেহ করিয়াছে তাহাদের জন্য হইয়া যায়। পিতাÑমাতার জন্য এই খাস দোয়াটি আমভাবে পাঠ করিবার জন্য ইসলাম অনুমতি দিয়াছে কি? এর জন্য আমুসলিমকে জান্নাতে বা বেহেস্তে পাঠাইবার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করিলে বা দোয়া করিলে আল্লাহ তাহা কবুল করিবেন কি? না, কস্মিনকালেও না। <br /><br /> একজনকে জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি শুধু রাব্বের হামÑহুমা কামা রব্বাইয়ানি ছাগিরা বলিলেন কেন? তিনি বলিলেন বাবা-মার উদ্দেশ্যে বলিয়াছি। তখন আমি বলিলাম জনাব, পিতাÑমাতা শব্দটাইতো উল্লেখ করেন নাই। তিনি বলিলেন, বাবাÑমার জন্য দোয়ার েেত্র তাহাদের নাম উল্লেখ করার কি দরকার ? অন্তরে তো তাহা আছেই। তাহা হইলে অন্তরে সবটিইতো আছে আর এতটুকুবলার দরকার কি? তাই আমি মনে করি আল্লাহুম্মাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়াÑলিদাইয়া শব্দটি ব্যবহার করিয়া ওয়ার হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানি ছাগিরা। এইভাবে কলিলে ভাল হইবে। উদ্দেশ্য পূরণ হইবে। আবার অনেকেই দেখা যায় দরূদ পাঠেই অনিহা। ইহার উপর গুরুত্ব না দেওয়া ইহাও কিন্তু ভাল লণ নহে। মনÑমানসিকতা এইরূপ হইতেছে কেন? কি কারণ? <br /><br /><br />হযরত মাওলানা আশরাফ আলী খানাভী (র:) সাহেবের নামে প্রকাশিত মোনাজাতে মকবুল হেজবুল বাহাারের মধ্যেও “আরকানিহি” এই মহা মূল্যবান শব্দটি বাদ গিয়াছে। কেন ও কি কি কারণ?<br /><br />অথচ, এই শব্দটির মধ্যে গোটা ইসলামী আকিদার প্রশ্ন জড়িত রহিয়ছে। কেননা, এই শব্দটি ইসলাম ধর্মের রোকন বা স্তম্ভ বা খুঁটিসমহের দিকে নির্দেশ দিতেছে। যাহার উপরে গোটা ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। ইসলামের মৌলিক সেই রোকনগুলি হইতেছে কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জও যাকাত। এই খুঁটিগুলি সনাইয়া দিলে গোটা ঘরটাই পড়িয়া যায়। অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, রোাজা, হজ্জ ও যাকাত বাদ পড়িয়া যায়। উক্ত শব্দগুলি অর্থাৎ ওয়াহদাহুÑলাশারী কালাহু এবং আরকানিহী শব্দ কয়টি না থাকিলে কোরআন এবং হাদিসের প্রয়োজন হয় না। এমন গুরুত্বপূর্ন শব্দটি ঈমানে মোজমাল এবং কালেমা শাহাদাত হইতে বাদ দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে?<br /><br /> এই মৌলিক ভিত্তিগত শব্দগুলি তাহাদের নিকট আনীহা হইল কেন? কিতাবের মধ্যে হইতে বাদ দেওয়ার অর্থ একেবারে পৃথিবী হইতে শব্দটিকে সরাইয়া দেওয়া নয় কি? কিতাবের মধ্যে থাকিলে আমি না পড়িতে পারিলেও অন্যেরাতো পড়িতে পারিত। সুতারাং দেখা যাইতেছে যে শব্দ কয়টিকে সরাইয়া দেওয়া নয় কি? কিতাবের মধ্যে থাকিলে আমি না পড়িতে পারিলেও অন্যেরাতো পড়িতে পারিত। সুতারাং দেখা যাইতেছে যে শব্দ কয়টিকে সরাইয়া ফেলা নয়, নানাদিক হইতে ইসলামের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই এইরূপ চক্রান্ত মাত্র। কিন্তু কেন?<br /><br /> গত ৫০ বৎসর হইতে যে সকল নতুন নতুন সিষ্টেম চালু হইয়াছে এবং নতুন নতুন বই লিখা হইয়াছে এইগুলির মধ্যে বেশী বেশী এই সকল কর্মকান্ড ল্য করা যাইতেছে। কেন কি কারণ? রশিদ আহাম্মাদ গংগুহী সাহেবের লিখা তাওয়ারীখে ইসলামের মধ্যে মোহাম্মাদ তারিক বিন জায়িদ এবং মোহাম্মাদ খালিদ বিন ওয়ালীদ এবং বিষাদ সিন্ধুর মধ্যে মোহাম্মদ মুসলিমের নামের সাথে সংপে দরূদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের) ছোয়াদ লিখিয়া রাখিয়াছে। অথচ, এ দরূদ শরীফ কেবলমাত্র হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-র জন্যই সুনিদিষ্ট রহিয়াছে।<br /><br /> আমার আকুল আবেদন হে প্রিয় মুসলমান ভাই-বোনগণ, এখনও সময় আছে। এইরূপ ঘৃণ্য চক্রান্তের মোকাবিলা করুন। মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করিয়া বিপদহামী করিবার জন্য বহু চক্রান্ত বিশেষভাবে বহুভাবে ময়দানে তৎপর রহিয়াছে। কোন কোন বিশেষ চক্র বিশেষ নামে ধারণ করিয়া কেহ কেহ পীর দরবেশ নাম ধারন করিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করিতেছে। কেহ কেহ বলিতেছে ইসলামে নাকি পুর্ন জন্ম আছে। সোজা-সরল মুসলমানদের মধ্যে ভ্রান্ত প্রচার করিয়া বিভ্রান্ত করিতেছে। কেহ কেহ ভন্ড পীর বুজুর্গ সাজিয়া বলিতেছে, মানুষ মরিলে তাহার আতœা নাকি তাহার নাভিতে লুকিয়ে থাকে। অনুকুল প্রবাহে নাকি মানুষ রূপে বা জানোয়ার রূপে, বৃ রূপে আবার জন্ম লাভ করে। ইসলামে এই ধরনের উক্তির স্থান নাই। এক কথায় ইসলামে পুনর্জন্ম নাই। তথাকথিত সুফিÑপীরর রূপ দরিয়া এই ধরনের কথা প্রচার করিতেছে। সাবধান মুমীনÑমুসলমান ভাইÑবেনগণ (উম্মতে মুহাম্মদী সকলেই মুমীন)।<br /><br /> সাবধান, এখনও সময় আছে,এদের ভন্ডামীর মোকাবিলা করুন। আর একটি বিশেষ কথা, মির্জা গোলাম আহাম্মদ কাদিয়ানীর অনুসারীরা নিঃ সন্দেহে বেÑদ্বীন হইয়া গিয়াছে।<br /><br /> নবী, রাসূল আর আসিবেন না। অথচ সে নবী দাবী করিয়াছে। সুতারাং সে নি:সন্দেহে কাফের হইয়া গিয়াছে। এতে কোন সন্দেহ নাই। সন্দেহ থাকিলে মুসলমান থাকবে না।<br /><br />প্রিয় মুসলমান ভাইÑবোনরা সাবধান, সাবধান, সাবধান এখনও সময় আছে মোকাবিলা করুন।<br /><br />বি: দ্র:Ñ আমাদের দো’জাাহানের সরদার নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (দ:) ফরমাইয়াছেন যে, (আনা খাতামুন্নাবীঈন) আমিই শেষ নবী। অবার ফরমাইয়াছেন, (লাÑনাবীয়্যা বায়াদী) আমার পরে আর কোন নবী নাই । উক্ত বানী অবিশ্বাসকারী মুসলমান থাকিবে না। সুতারাং মির্জা গোলাম আহম্মদ কাদিয়ানী নবী দাবী করিয়া কাফের হইয়া গিয়াছে।<br /><br /> আর একটি ল্য করার বিষয় এই, হাজার হাজার বৎসর ধরিয়া আরবী অর অলীফÑবেÑতেÑছে পড়িয়া আসিতেছে। ইহাকে শুদ্ধ করিয়া পড়ার নাম করিয়া, উল্টাইয়া অর্থাৎ বাÑতাÑছা করিয়া মুসলমানদের মধ্যে আরেকটি বিভ্রান্তি সুষ্টি করিয়াছে ইহাও ইসলামের দুশমনেদের মধ্যে বিশেষ একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নহে। যাহারা ইসলাম প্রচার করিয়া গিয়াছেন তাহারা বেÑতে পড়িয়া ভুল প্রচার করিয়া গিয়াছেন কি?<br /><br /> আলিফকে হামজা পড়াইতেছে কেন? কি কারণ? আমার বয়স পঞ্চাশাধিক লেখাপড়া তেমন করিতে না পারিলেও শিা জগতের সাথে প্রায় ১৮ বৎসর জড়িত ছিলাম। জড়িত ছিলাম। আাামার অব্বা মরহুম পীর কেবলা হযরত মাওলানা হাফেজ ফকীর মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল ছাহেব। বাঘডুবী বড় হুজুর নামে খ্যাত ছিলেন। আমার দাাদা মরহুম হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আহম্মদ উল্যা ছাহেব এবং পর দাদা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ জালীমদ্দিন ছাহে। তাঁহারা সুদ ব্যক্তি এবং বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এমনকি আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসাবেও সুপরিছিত ছিলেন। মুসলিম সমাজের পেশওয়া পথÑপ্রদর্শক বা ইসলামী উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করিয়া গিয়াছেন। স্কুলÑমাদ্রাাসা প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন এবং বহু মসজিদ নির্মাণেও সহযোাহিতা করিয়াছেন। শত শত মুসলিম সন্তানদেরকে হাফেজ, কারী, আলেম এবং সুফি আদর্শ মুমীন বানাইয়া গিয়াছেন। উনারা কখনও কাহাকেও আলিফকে হামজা পড়ান নাই। পড়ার জন্য বা পড়ানোর জন্য বলেনও নাই। উনারা যদি আলিফকে হামজা পড়াইতেন, তবে আলিফ যবর (আ) না বলিয়া, আলিফকে হামজা যবর (আ) বলিতেন বা পড়াইতেন। কিন্তু উনারা উক্ত নিয়মে পড়ান নাই। তাঁহারা বর্তমান যোগের উলামায়ে কেরামগণ অপো কোন অংশ কম ছিলন না। সুÑশিা এবং কামিলিয়ত ও আমলিয়াতের কারণে আল্লাহর অতি নিকটতম প্রিয় বান্দা ছিলেন। যা তাঁহাদের কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়া প্রকাশ পাইয়াছিল। তাঁহাদের সম্পর্ক একের পর এক করিয়া যাঁহাদের সাথে ছিল। তাঁহারা ভারত এবং আরবের মধ্যে কামেলিয়াতের উচ্চ শিখরে উপবিষ্ট ছিলেন। নিম্নে তাঁহাদের নাম শরীফ প্রদত্ত হইলঃ <br /><br />১। হযরত মাাওলানা আহাম্মদ ছাবেহব (জৌনপুরী)। <br />২। আমিরে শরীয়ত হযরত মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুয় রব ছাহেব রহমাতুল্লাহে আলাইহ, (জৌনপুরী)। তিনি ইলমি জাহের ও ইলমি বাতেন এর মধ্যে উচ্ছ কামালাত হাসিল করেন। তাহার সম্পর্কে বাংলার মুসলমানগণ বিশেষভাবে অবগত আছেন। <br />৩। হযরত মাওলানা হাফেজ আহম্মদ ছাহেব রহমাতুল্লাহে আলাইহ (জৌনপুরী) মাজার শরীফ চক বাজার মসজিদ, ঢাকা।<br />৪। হযরত মাওলানা কেরামত আলী ছাহেব রহমাতুল্লাহে আলাইহ (জৌনপুরী), মাজার শরীফ রংপুর। তিনি সাইয়েদ আহম্মদ ছাহেব হইতে খিলাফাত ও ফয়েজ হাসিল করেন এবং নোয়াখালী ছাদুল্লাপুরী, জনাব মাওলানা ইমামুদ্দীন ছাহেবের খিদমতে থাকিয়া তরীকতের শাস্ত্র পুনঃ পাঠ করতঃ ইলমে জাহের ও ইলমে বাতেন শাস্ত্রে এক বিশেষ শিা হাসিল করেন। হযরত দৈয়দ আহাম্মদ বিরলভী রহমাতুল্লাহ আলাইহ, বৃটিশ এর যোগসাজশে পাঞ্জাবের রাজা রনজিত সিং মুসলমান ধর্মে হস্তপে করাতে ১২৪১ হিজরী ৭ই জমাদিউসসানী তাহার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘেষণা করেন এবং ১২৪৬ হিজরী ২৪শে জিলকদ বালাকোটের যুদ্ধে শহীদ হন।<br />৬। হযরত মাওলানা আজিজ দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহ জন্ম: ১১৬৯ হিজরী এবং ১২২১ হিজরী ৭ই শাওয়াল ইন্তেকাল করেন। মাজার শরীফ দিল্লী।<br />৭। হযরত শাহ মাওলানা ওয়ালী উল্যাহ দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহ। মাজার শরীফ দিল্লী।<br />৮। হযরত মাওলানা শেখ আবদুর রহীম মোহাদ্দেস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহ। তিনি চার তরিকার নিয়ম প্রবর্তক ছিলেন। মাজার শরীফ দিল্লী।<br />৯। হযরত সৈয়দ ওবায়েদ উল্যাহ আকবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহ। তিনি আগ্রার অধিবাসী মাজার শরীফ যমুনা নদীর তীরে। <br />১০। হযরত মাওলানা শেখ আদম বান নুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহ। মাজার শরীফ মদীনা শরীফ।<br />১১। হযরত শেখ আহাম্মদ সিরহেন্দ রহমাতুল্লাহি আলাইহ। তিনি খিলাফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর ফারুক রাদি আল্লাহু তা’আলা আনহুর বংশধর। মাাজার শরফি সিরহেন্দ। তিনি আমাদের দো’জাহানের সরদার নবী মোহাম্মাাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এর আগমণের এক হাজার বৎসর পরে ইসলাম ধর্মে নতুন জীবন সঞ্চার করেন। তিনিই মোজাদ্দেদে আল-ফেসানী নামে বিশ্বে পরিচিত হন।<br />১২। হযরত খাজা বাকি বিল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাই, মাাজার শরীফ দিল্লী।<br />১৩। হযরত খাজা আমকাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহ, মাাজার শরীফ আমকাঈ।<br />১৪। হযরত মাওলানা দরবে শমোহাম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহ, ১৭০ হিজরীতে ১১শে মহাররম ইন্তেকাল করেন।<br />১৫। হযরত মাওলানা জাহেদ রহমাতুল্লাহি আলাইহ মাাজার শরফি ওয়াক্র।<br />১৬। হযরত মাওলানা ওবায়দুল্যাহ জহরাব রহমাতুল্লাহি আলাইহ , মাাজার শরীফ সমরকন্দ।<br />১৭। হযরত মাওলানা ইয়াকুব ছররী রহমাতুল্লাহি আলাইহ মাজার শরীফ কাবুল।<br />১৮। ইমাম শরীয়ত ও তরীকত হযরত খাজা বাহা উদ্দিন নকাশ বন্দী রহমাতুল্লাহ আলইহ উনার অসেল নাম মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ আল বোখারী রহমাতুল্লাহ আলইহ মাজার শরীফ বোখারার কছবাই আরাকানে।<br />১৯। হযরত খাজা বাবা সামাসী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৭৫৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।<br />২০। হযরত খাজা আলী রামী তাতী রহমাতুল্লাহ আলইহ, বোখারা বামীতন গ্রামে ৬৯১ হিজরীতে জন্মগ্রহন করেন। এবং ৭২১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। মাজার শরীফ খরীজম শহরে। <br />২১। হযরত খাজা মাহমুদ আবুল খায়ের ফাগনবী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৭১৬ হিজরীতে ১৭ই রবিউল আউয়াল ইন্তেকাকল করেন। <br />২২। হযরত খাজা আরিফ রিউগিরী রহমাতুল্লাহ আলইহ, বোখারা রিউগির গ্রামে জন্মগ্রহন করেনÑ ৬১৬ হিজরীতে ১লা শাওয়াল ইন্তেকাল করেন। <br />২৩। হযরত খাজায়ে খাজেগান খাজা অবদুল খালেক সিজ দিওয়ানী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৫৭৯ হিজরীতে ১২ই রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন। <br />২৪। হযরত খাজা আবু ইউসুফ হামদানী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৪৪০ হিজরীতে হামদান শহরে জন্মগ্রহন করেন। ৫৩৫ হিজরীতে ২৭শে রজব ইন্তেকাল করেন।<br />২৫। হযরত খাজা আবু আলী পারমুদী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৪৭৭ হিজরীতে ৪ঠা রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন। <br />২৬। হযরত আবুল কাশেম কোশইরী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৩৭৬ হিজরীতে জন্মগ্রহন করেন। ৪৬৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। <br />২৭। হযরত আবু আলী দাক্কাক রহমাতুল্লাহ আলইহ,৪০৫ হিজরীতে নিশাপুরে ইন্তেকাাল করেন।<br />২৮। হযরত আবুল কাশেম নাছিরাবাদী রহমাতুল্লাহ আলইহ, নিশাপুরে জন্মগ্রহন করেন এবং ৩৭২ হিজরীতে মক্কা শরীফে ইন্তেকাল করেন। <br />২৯। সাইয়েদ তোয়াফ হযরত জুনাইদ বোগদাদী রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৬ই রজব ২৯৭ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। <br />৩০। হযরত আবু বকর শীবলি রহমাতুল্লাহ আলইহ, ১০ই জিলহজ্জ ইন্তেকাল করেন।<br />৩১। হযরত আবুল হাসান ছররী ছখতি রহমাতুল্লাহ আলইহ ৯০ বৎসর বয়সে ৩রা রমজান ইন্তেকাল করেন।<br />৩২। হযরত শেখ মাররুফ কুরখী রহমাতুল্লাহ আলইহ, তিনি হযরত আবু হানিফ রহমাতুল্লাহ আলইহ, এর সাগরিদ ছিলেন। ২রা মহররম ৯০০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।<br />৩৩। হযরত ইমাম আলী রোজা রহমাতুল্লাহ আলইহ, তিনি হযরত ইমাম মুছা কাজিমের প্রত্র ছিলেন। জন্ম মদিনা শরীফ ১০৩ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।<br />৩৪। হযরত ইমাম মুছা কাজিম রহমাতুল্লাহ আলইহ, তিনি হযরত ইমাম জাফর ছাদিক রহমাতুল্লাহ আলইহ, এর পুত্র ছিলেন। ১২৮ হিজরীতে ৭ই সফর ইন্তেকাল করেন।<br />৩৫। হযরত ইমাম জাফর ছাদিক রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৮০হিজরীতে ১৭ই রবিউল আউায়াল জন্মগ্রহণ করেন। ১৪৭ হিজরীতে ১৫ই রজব ইন্তেকাল করেন। মাজার শরীফ জান্নাতুল বাকী মদীানা শরীফ। <br />৩৬। রাইছুল ফিকাহ ওয়াত্তবিঈন হযরত কাশেম ইবনে মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ আলইহ, ৭০বৎসর বয়সে ২৪শে জমাদিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন। মাজার শরীফ মক্ক শরীফ এবং মদীনা শরীফের মধ্যভাগে<br />৩৭। হযরত ছালমান ফারছি রহমাতুল্লাহ আলইহ, হযরত নবী করিম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া খাছ ছাহাবী ছিলেন। ১৫০ বৎসর বয়সে ১০ই রজব ৩৩ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। <br />৩৮। আমীরুল মুমীনিন ছাইয়েদুল মুসলিমিন আফজালুল খোলাফায়ে রাশেদীন হযরত আবু বকর ছিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু তাÑ আলাÑ আনহু ১৩ই হিজরী ২২শে জমাদিউল অউয়াল ইন্তেকাল করেন। মাজার শরীফ মদীনা শরীফ।<br />৩৯। জনাব সাইয়েদুল আম্বিয়াউল মুরসালিন মাহবুব রাব্বীল আলামীন আহাম্মদ মোজতবা মোহাম্মদ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি আখেরী জমানার পয়গাম্বার এবং আশরাফুল মাখলুকাত ওয়া খাতামুন্নাবিইন ও খাতামুল মুরসালিন ওয়া রহমাতুল্লিল আলামিন ৫৭০ খৃষ্টাব্দে পবিত্র মক্কা শরীফে তাওয়াল্লুদ ফরমান এবং সমস্ত জগতে দ্বীন ইসলাম প্রচার করিয়া ৬৩ বৎসর বয়সে পবিত্র মদীনা শরীফে ১২ই রবিউল আউায়াল সোমবার রেহালত ফরমান। <br /><br />আমার আব্বা মরহুম (বাঘডুবীর বড় হুজুর) হযরত মাওলানা হফেজ আবদুল আউয়াল ছাহেব আমার চাচা হরহুম (বঘডুবীর ছোট হুজুর নামে খ্যাত) হযরত মাওলানা হফেজ মাহবুব উল্যাহ ছাহেব, দুধমুখা পীর হযরত মাওলানা আবদুল হক ছাহেব, হযরত মাওলানা রেজাউল হক ছাহেব। তাহারা হাজার হাজার মুমীন মুসলমানের পথ প্রর্দশক ছিলেন। যদি বলা হয়, তাহারা ভুল পড়াইয়াছেন। যদি ভুল পাড়াইয়া থাকেন। বলিতে হয়, এই ভুলের জন্য তাঁহারা সম্পূর্ন দায়ী। ভুল শিা দানের কারণে রোজ কিয়ামতে তাঁহাদেরকে দোষী সাব্যাস্ত করিয়া বিচারের সম্মুখীন হইতে হইবে। আর যদি তাহা না হয়, ছহি সুদ্ধ সত্য শিাদানের কারণে নিশ্চয়ই তাঁহারা পুরস্কৃত হইবেন। <br /><br />আর যাহাারা এইভাবে আলিফকে হামজা ‘বে কে বা’ বলিয়া কোরান শরীফের নাম পরিবর্তন, ছুরা, রুকু বাদ দিয়া কামাইয়া রুকু চিহ্ন এবং পারা চিহ্ন না দিয়া, যাহা দিয়ছে তাহাও সঠিক জায়গায় না দিয়া ডাইনের চিহ্ন বামে, এক ছুরাতে দুই নাম যুক্ত করিয়া ঈমানে মোজমালকে এবং কালেমা শাহাদাত বাদ দিয়া এবং মহা পবিত্র আঁয়াতে কালেমা শরীফকে এলোমেলো করিয়া দো’জাহানের সরদার নবী পাক মুহাম্মদ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য নির্ধারিত দরূদ শরীফ সাধারণর নামের সঙ্গে যুক্ত করিয়া দরূদ শরীফর মানহানি করিয়া, শুধু দরূদ শরীফর মানহানি নয় আমার নবী পাকের মানহানি করিয়াছে এবং ইসলামেরও মানহানি করিয়াছে। অর্থাৎ এই দরূদ শরীফ শুধু আমাদের নবী পাকের নাম উচ্চারণ করিবার সাথ সথে পাঠ করিতে হয়। পৃথিবীতে অন্য কোন নবী বা আমাদের মুমীনÑমুসলমান ভাইÑবোনগণের নাম উচ্চারণের সাথে দরূদ শরীফ পাঠের অধিকার রাখে না। তাই দরূদ শরীফ, নবী পাকের নাম ব্যতীত অন্য নামের সাথে পাঠ করিলে হক্কে না হক করা হয় বলিয়া আমি মনে করি। হক্কে না হককারীর সাজা খুবই শক্ত বলিয়া ওলামায়ে কেরামগণ বলেন। যখন আমি বোম্বাই ছিলাম, তখন রশিদ আহম্মদ গাংগুহীর লেখা তাওয়ারীখে ইসলামের মধ্যে উক্ত কয়েকটি নামের সাথে দরূদ শরীফের সংপে চিহ্ন “ছোয়াদ” দেখিয়াÑ ছিলাম। তাই উল্লেখ করিলাম।<br /><br />যাহারা গোটা ইসলাম জগতকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলিয়া দিয়া চরম ধ্বংসের দিকে নিয়া গিয়াছে রোজ কিয়ামতের ময়দানে তাহাদেরকে নিশ্চয়ই বিচারের সম্মুখীন হইতে হইবে।<br /><br />মুমীনÑমুসলমান ভাইÑবোনগণ, এই দুষ্মনে ইসলামীÑ দেরকে কষ্মিনকালেও মা করিবেন না। দো’জাহানের সরদার সাইয়েদুল মুরসালিন খাতামুন্নাবিইন, হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা আহাম্মদ মোজতাবা সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের বা মর্তে পদার্পণের সময় হইতে সেই সকল মুসলিম মনষীÑপন্ডিতÑআল্লামাগণ, ইসলামের উপর গবেষণা চালাইয়া ইসলামকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাইয়া গিয়াছেন, তাঁহারা বর্তমান আল্লামা পন্ডিৎগণ অপো শিায় শিতি কম ছিলেন কি? অথচ তাঁহারা যেই শিা পদ্ধিতি প্রবর্তন করিয়া গিয়াছেন, তাহা সমগ্র মানব জাতিই তাঁহাদেরকে অনুসরণ করিতেছে এবং করিতে থাকিবে। এইভাবে অনুসরণ করিয়া চলিলে কোন জাতিই সহজে ধ্বংস হইবে না।<br /><br />তাঁহারা আলিফÑযবর (আ) বেÑযবর (বা) পড়াইয়া শিখাইয়া গিয়াছেন। তাই আমাদের ওস্তাদ মহোদয়গণও আমাদেরকেও সেই ভাবেই পড়াইয়া লিখাইয়া বা শিখাইয়া গিয়াছেন আমার এতটুকু জীবনে বহু ওলামা কেরামের সাথে সাাতের সুযোগ হইয়াছিল। বিশেষ করিয়া বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে থাকাকালীন। কোন সময় কাহারো নিকট আলিফকে হামজা পড়ার কথা শুনি নাই। এই সম্পর্কে আলোচনা করিবার সময় ও সুযোগ হয় নাই। এই এই বিষয়ে চিন্তা করিবার প্রয়োজনও মনে করি নাই। শুধু এতটুকু শুনিয়াছি বা শিা পাইয়াছি যে, আলিফের উটর যখন কোন হরকত বা চিহ্ন হইবে অর্থাৎ জের, জবর ও পেশ হইবে কেবল তখনই আলিফ বর্ণটি হামজার মত উচ্চারণ হইবে। যেমন আলিফ-যবর (আ) এবং হামজা-যবর (আ)। আলিফকে হামজা বলিলে দুই হামজা এক সাথে উচ্চারিত হয়। হামজাকেও ‘হরকত যবর’ দিয়া বলা হয় Ñহামজা-যবর (আ)। আর যদি আলিফকেও আলিফ না বলিয়া, আলিফকে হামজা নাম দিয়া যদি বলা হয় হামজা-যবর (আ)। তাহা হইলে হামজা-যবর (আ), হামজা-যবর (আ)। একই অরের নাম দুইবার উচ্চারণ করা হয়। মুসলিম জগতে মুসলিম পন্ডিত, আল্লামাদের দ্বারা পরিচালিত ইসলামের শিা পদ্ধতি ভুল ছিল কি? ইহা আমার বিবেকের প্রশ্ন। বর্তমান যুগের পন্ডিতগণ যতই পান্ডিত্বের পরিচয় দিতে চাহিতেছে, ততই অতি দ্রুতগতিতে ইসলামের অরনতি ঘটিতেছে। তাই সময় থাকিতে মুমূন-মুসলমান ভাইবোনগণ অতি সতর্কতার সহিত এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেুন।<br /><br />ইসলামের দুষ্মনেরা প্রবল গতিতে সর্বদিক হ্টতে, সর্বত্রে আক্রমণ করিয়া চালিয়াছে। এখনই প্রতিরোধ করুন। যেখানেই আমার নিকট খটাকা লাগিতেছে বা ভুল বলিয়া সন্দেহ করিতেছি বা বিভ্রান্ত বোধ করিতেছি। কেবল তাহাই যথা সম্ভব যতটুকু পারিতেছি আমি আমার আশেক রাসুল, আশেক দ্বীন, আশেক আল্লাহ, মুসলমান ভাইগণের খেদমতে এবং আল্লামা ও নায়েব রাসুল মহোদয়গণের খেদমতে পেশ করিতেছি। আরো যে কতদিকে আঘাত হানিয়াছে আমার জানা নাই। বিশেষজ্ঞকৃন্দ বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখিলে বুঝিতে পারিবেন এবং মোকাবিলা করিতে পারিবেন। <br /><br />আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর বাদ দিয়া দিয়াছ। অর্থাৎ আরবী বর্ণমালার মধ্য হইতে “লাম-আলিফ” বর্ণটি সরাইয়া দিয়াছে। এই পৃথিবীতে প্রত্যেক ভাষার মূল্যার বা বর্ণগুলোর উপরেই নিজ নিজ ভাষা প্রতিষ্ঠিত। তাই মূল বর্ণুগুলো হইতে একটি বর্ণও সরানোর অধিকার কাহারো নাই। একটি বর্ণ সরাইলে গোটা জাতিই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়িয়া যায়। এখন আরবী (লাম-আলিফ) বর্নটি বাদ দেওয়াতে কালেমা তাইয়্যেবা, কালোমা তাওহিদ, কালেমা শাহাদাৎ উক্ত কালেমা গুলিই বাদ পড়িয়া গিয়াছে। অথচ লাম-অলিফ অরটির উপরই আমাদের ইসলামের মূল ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। যেমন:- <br /><br />১। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ<br />২। আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়া-আশহাদু আন্না-মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।<br />৩। লা-ইলাহা ইল্লা-আন্তা ওয়াহিদাল্লা সানিয়া লাকা-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ইমামুল মোত্তাকিনা রাসুলু রাব্বিল আলামীন।<br />এই লাম-আলিফ অরটিকে অতিরিক্তাার বা ভুল অর বলিয়া সরানোর কারণে আমাদের সন্তানেরা এই অরটি হইতে চিরতরে বঞ্চিত হইল। যখন তাহারা এই ভুল অরটি বা এই অতিরিক্তারটি কালেমাগুলোর মধ্যে দেখিবে, তখন কালেমাগুলোকেই ভুল কালেমা বলিয়া বসিবে।<br />অরটি আগত সন্তানেরা আর পড়িবে না। তাই লাম-আলিফ অরটির গুরুত্বও বুঝিবে না। তখন সন্তানেরা বলিবে বা বলিতে বাধ্য হইবে। কালেমা তাইয়্যেবও ভুল অরে লিখ হইয়াছে। সুতারাং কালেমা তাইয়্যেবটিই ভুল। ইসলামই ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ইহা কোন ধর্মই নহে।<br /><br />এই লা-আলিফ অরটি দ্বারা “লা-শারীকা লা সানিয়া” লিখা হইয়াছে। এই লাম-আলিফ অরটি কায়দার মধ্য হইতে বাদ দেওয়ায় বাচ্চারা এই অরটি হইতে চিরতরে বঞ্চিত হইয়াছে। সুতারাং এই লাম-আলিফ দ্বারা লা-শারীক, লাসানিয়া ইত্যাদি লিখা দেখিলে ভুল বলিয়া ফেলিয়া দিবে। সুতরাং কালমা শাহাদাতের মধ্যে লা-শারীকা লিখা দেখিলে বলিবে ইহাও ভুল। সুতরাং কালোমা শাহাদাৎ ভুল। কালেমা তাওহিদের মধ্যে যখন দেখিবে লা-সানিয়া লাকা লিখার মধ্যে এই “লাম-আলিফ” অরটি তখন বলিবে এই কালেমাটিও ভুল। কারণ বাদ পড়া একটি অতিরিক্ত অর দ্বারা লিখা হইয়াছে। নিশ্চয়ই এই কালেমা লিখকগণ, অজ্ঞ-অনভিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন।<br /><br />কালোমাটি যখন ভুল অর দ্বারা লিখা হইয়াছে সম্পূর্ণ কালেমাটিই ভুল। সুতরাং ইসলাম ধর্মটাই ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত বলিয়া উক্তি করিতে দিধা বরিবে না। ঈমানে মোজমালের মধ্যে যখন আরকানিহি শব্দটি দেখিবে, তখন উহাকেও ভুল বলিতে কুন্ঠিত হইবে না। কারণ এই শব্দগুলি হইতে সন্তানদেরকে বঞ্চিত করিতেছে। এই শব্দগুলি হইতে বঞ্চিত করার অধিকার কে দিয়েছে?<br /><br />১। আলিফকে হামজা বলিতে<br />২। ওয়াহদাহু লা শারী কালাহু<br />৩। আরকানিহী<br />৪। মুমীন মুর্দোগণদেরকে সালাম দেয়ার সময় মিনাল মুসালমিনা ওয়াল মুসলিমাত বলা হইতেছে না কেন এবং স্কুলের পাঠ্য বইয়ে সংযোজনের জন্য কর্তৃ পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।<br />৫। প্রার্থনা বা মুনাজাতের সময় যখন পিতা মাতার জন্য খাস দোয়াটি পাঠ করা হয় তখন পিতা মাতার খাস দোয়াটির সাথে পিতা মাতাজনিত শব্দ না পাঠ করতে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হইয়াছে ফলে যাহারা উক্ত শব্দগুলি পাঠ করিবে আর যাহারা করিবে না এই দুইয়ের মধ্যে ঝগড়া হানাহানি মারামারি পর্যন্ত হইতে পারে। যাহারা এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করিল, তাহারাই ইসলামের মূল দুষ্মন। মোকবিলা করুন। কৌশলে ইসলাম ধর্ম হইতে বাচ্চাদেরকে সরাইয়া নিতেছে সাবধান, সাবধান, সাবধান মোকাবিলা করুন।<br />এই লম-আলিফ যুক্তারটি, বিশেষ করিয়া আমাদের কালেমা গুলির মধ্যে ব্যবহার হইয়াছে। এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করিলাম, জনাব “লাম-আলিফ” বর্ণটি আরবী বর্ণমালাগুলি হইতে সরাইয়া দেওয়া হইল কেন? উত্তরে বলিল, ইহা একটি অতিরিক্ত অর, আগেকার লোকেরা ভুল করিয়াছে তাই বলে আমরাওকি ভুল করিব? তাই মূল বর্ণমালা হইতে উহাকে সরানো হইয়াছে। যদি এই লাম-আলিফ ভুল বয়িা বাদ দেওয়া হয়, তাহা হইলে আমাদের কালেমাগুলিই ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইহাই বুঝাইতে চাহিতেছে। যাহারা এইরূপ করিয়া আমাদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলিয়া দিয়াছে। তাহাদেরকে কষ্মিনকালেও মা করিব না। এখনও সময় আছে মোকাবিলা করুন।<br /><br />কারী ছাহেবগণ আলিফকে নকল হামজা নাম দিয়াছেন। তাহা হইল আলিফ ঠীকই হামজা নহে। হামজার মত উচ্চারণ হয় বটে। সুতরাং নকল হামজা বলিবার প্রয়োজন আছে বলিয়া আমি মনে করি না। যেমন ভেঁড়াকে ছাগলের মত দেখাইলেও ভেঁড়াকে নকল ছাগল বলা যাইবে না। তেমনি আলিফ বর্ণটি হামজার মত উচ্চারণ হইলেও আলিফকে হামজা বলা যাইবে না। আলিফ হামজা নহে, হামজার মত উচ্চারণ হয় মাত্র। সুতারাং আলিফ হামজা নহে, হামজা ও আলিফ নহে।<br /><br /><br />যদিও বর্ণ দুইটির উচ্চারণ এক। দুইটি দুই নামেই স্বীয় অস্তিত্বের পরিচয় ঘটায়। যেমনঃ- আলিফ যবর (আ) আর হামজা যবর (আ)। আসল হামজা আর নকল হামজ হইতে পারে না। হামজা, হামজাই। আলিফ্ আলিফই। নকল বলিতে গুণগতভাবে কম মুল্যের বুঝায়। এই পৃথিবীতে কোথায়ও কেহই নকলকে ভাল বাসে না। সুতারাং নিজের গুণেই পরিচিত। আলিফের মুল্য দেওয়ার মত কেহই নাই। তাহাকে অমুল্য ধন বলে। পবিত্র কোরান শরীফ ইহার মুল্য কেহই দিতে পারিবে না। তেমনি আলিফ অরটি শুধু মহামুল্য নহে। ইহা একটি অমুল্য অর। কেননা, মহান করুণাময় আল্লাহ পাকের আসল কাতি নামের প্রথম অরটিই হইতেছে আলিফ। ইহা একটি অমুল্য অর। আলিফ দিয়া (আল্লাহ), আলিফ দিয়া ), (আউয়াল), আলিফ দিয়া (আখের), আলিফ দিয়া (আকবার) ইত্যাদির শব্দের প্রথম অর আলিফ। <br /><br />কোন ছাত্রকে আল্লাহ লিখিতে বলা হইল ঃ তখন ছাত্র ওস্তাদের নিকট “অল্লাহ” শব্দের বানান জানিতে চাহিল। ওস্তাদ বলিলঃ “হামজাÑলাম-যবর আল, লাম-যবর লা-হ আল্লাহ। এখন ছাত্রটি আলিফ দিয়া না লিখিয়া হামজা লাম যবর আল-লাম যবর (লা) হ, লিখিয়া দিল। হামজা দ্বারা লিখা আল্লাহ শব্দটি শুদ্ধ হইল কি? হামজা প্রায় অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হইয়া উচ্চারিত হয় যেমনঃ- ইউ মেনুনা (ইয়া হামজা ওয়াপেশ)।<br /><br />আলিফ কিন্তু তাহা নহে। আলিফ অন্যের সাহায্য ব্যতীত নিজ গুণেই চলে। এমনকি সে অন্যের গুণকেও বৃদ্ধি করে। যেমনঃ- বে-যবর (বা), কে আলিফ যোগ হইয়া বের মর্যাদা টানিয়া বাড়াইয়া দিল। আলিফ যে বিশেষ গুণের অধিকারী কোন সন্দেহ নাই। সুতারাং আলিফকে হামজা বলিয়া তাহার মান কমাইয়া দেওয়া হইল। আলিফ কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি শক্তিধর বর্ণ। ইহাকে একটা কম্মানের বা শক্তিহীন অর্থাৎ যাহা অন্যের সাহায্য ছাড়া চলিতে পারে না। এমন একটি বর্ণের সারিতে নিপে করা মোটেই উচিত হইবে না বলিয়া আমি মনে করি। সুতারাং আলিফকে হামজা বলা যাইবে না। বলিতে হইবে আলিফের উপর যখন কোন হরকত বা চিহ্ন হইবে। যেমনÑ আলিফের উপর যবর আলিফ-যবর (আ) আলিফের উপর পেশ, আলিফ পেশ (উ) আলিফের নিচে জের আলিফ জের (ই)। <br /><br />আরিফকে সরাসরি আলিফ যবর (আ) না বলিয়া হামজা যবর (আ) বলিয়া কেন শিা দিতেছে? যুগ যুগ ধরিয়া আলিফ-বে-তে-ছে পড়ানো ইইয়াছে। এখন শুদ্ধতার নামে বা তা ছা পড়াইতেছে কেন? কেহ পড়াইতেছে বে, কেহ বা, আলিফকে আলিফকে আলিফ না বলিয়া আলিফকে হামজা নাম দিয়া হামজা যবর আ বলিতেছে। আর হামজাকেও হামজা যবর আ পড়াইতেছে। কেহ কালেমা শাহাদাতের মধ্যে ওয়াহদাহু লা শারী কালাহু পড়াইতেছে। আর কেহ ওয়াহদাহু লা শারী কালাহু বাদ দিয়া পড়াইতেছে। আর ইমানে মোজমালের আরকানিহী শব্দটি বাদ দিয়া পড়াইতেছে। আর বেহ আরকানিহী শব্দটিসহ পড়াইতেছে।<br /><br />কেহ কেহ মুসলমান কবরবাসীদেরকে সালাম পেশ করিবার সময় বলিতেছে, “আসসলালামু আইকুম ইয়া আহলাল কবুর” আর কেহ বলিতেছে, “আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর” এর সাথে মিনাল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত। এইখানে ল্য করা যাইতেছে যে, উক্ত দোয়া বা সালামের মধ্যে যাঁহারা মিনাল মসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত বলিতেছে না তাহাদের সালামের উদ্দেশ্যেই অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়। বলিতে পারেন যে, সকল শব্দ এবং অর বাদ পড়িয়াছে বা বাদ দেওয়া হাইয়াছে বলিয়া বল হইতেছে, সেই সকল শব্দগুলি এবং অরগুলিতো বইয়ের অন্যান্য দোয়া তসবির মধ্যে আছে। বাদ দেওয়া হইল কি করিয়া?<br /><br />বাদ দেওয়া হইয়াছে বলা হইতেছে, এই জন্যে যে, শব্দ এবং অরগুলি এতকাল যাবৎ যেইস্থানে ছিল, সেইস্থোনে শব্দ এবং আরগুলি নাই। আসল স্থান হইতে শব্দ এবং অরগুলিকে সরানো হইতেছে। কোন জিনিস মালিকের অগোচরে স্থানান্তর করা, ইহা সম্পূর্ণ চৌর্ষবৃত্তির লণ। চোরেরাই এই ধরণের কর্ম করিয়া থাকে। সুযোগ বুঝিয়া চিরতরে গায়েব করিয়া করিয়া দেয়। এই শব্দ এবং অরগুলি বাদ দেওয়া এবং স্থান্তর করিবার অধিকার কে দিয়েছে? ঐরূপকারীদের অবশ্যই মোকাবিলা করিতে হইবে। <br /><br />মালিকের জিনিস মালিক যেইখানে রাখিয়াছিল, সেইখানে না দেখিলে দু:খ ভারাক্রান্ত মনে ফিরিয়া যায়। কিন্তু বিনা অনুমতিতে স্থানান্তর করনেওয়ালার বিরুদ্ধে আল্লাহর মহা আদালত মামলা পেশ করিয়া চলিয়া যায়। যাহার ফলে একদিন না একদিন চোর ধরা পড়িয়া যায়। চুরির প্রতিফল ভোগ করে। চোর ধরা পড়িয়া সাজা ভোগ করিবার সময় যদি বলে, আমিতো ঘরের জিনিষ বহিরে নেই নাই। ঘরের মধ্যেই এক জায়গায় আছে। তখন সেই চোর রেহাই পাইতে পারে কি? মালিক নিশ্চয়ই এই কথা বলিবে, আমার বিনা অনুমতিতে দৃষ্টির আড়াল বা স্থানান্তর করা চোরর কর্ম। সুতারাং স্থানান্তর করা হইল কেন? ইহা জঘন্য অন্যায়, এই অন্যায়কারীর সাজা হওয়া উচিত নয় কি? সাজা না হইলে চোরের সংখ্যার বৃদ্ধি পাইবে।<br /><br />কালেমা- ঈমান- কোরান শরীফের শব্দ লইয়া একদল চক্রান্তকারী যেইভাবে লুকোচুরি খেলিতেছে ইহা একটি অমার্জনীয় অপরাধ বলিয়া আমি মনে করি। আজ এদের মোকাবিলা করুন।<br /><br />চক্রান্তকারীগণ সাধারণভাবে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে ইসলামের গভীরে প্রবেশ করিয়াছে। সমগ্র ইসলামী জগৎটাই চক্রান্তকারীদের কবলে পড়িয়া গিয়াছ। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, শাসনতান্ত্রিক, বিচার বিভাগ, ব্যবসার েেত্র এবং শিা েেত্র মোট কথা সর্বেেত্র চক্রান্তকারীগণ নিখুঁতভাবে প্রবেশ করিয়া বহু উপায়ে ইসলামকে ঘায়েল করার চেষ্টা করিতেছে।<br /><br />বুদ্ধিজীবী মুমীন-মুসলমান ভাইবোনগণ, সর্বদিকে একটু তীè দৃষ্টি রাখিলে এই চক্রান্তকারীদেরকে ঘায়েল করিতে সম হইবেন আল্লাহর রহমতে। ইসলামী সঠিক আকিদাকে এত দুর্বল করিয়াছে যে, ভবিষৎ বংশধরদের মধ্যে ইসলামকে একটা কাল্পনিক নীতিমালা হাসাবে দাঁড় করাইয়া বিভ্রান্তিতে নিপে করিবে। এখনও সময় আছে এই অন্ধকারের করাল গ্রাস হইতে ইসলামী আকিদাকে রা করুন। ইসলাম রা করা উম্মতে মোহম্মেদীদের জন্য ফরয।<br /><br />ইসলামকে রা করিতে হইলে একটি ইসলামী প্রকাশনা সেন্টার বোর্ডের প্রয়োজন। যাহারা অনুমদন ব্যতীত কোন পাব, লিসার্স ইসলাম সম্পর্কিত কোন বই পাবলিষ্ট না করেন। দেশের এবং জাতির তিকর উক্তিগুলি পরিহার করাই হবে এই বোডের দায়িত্ব।<br /><br />নূরাণী ঃ<br />নূরাণী শব্দটি এমন একটি শব্দ যাহা নূর নহে, নুরের মত যেমন সোনালী শব্দটি স্বর্ণের মত স্বর্ণ নহে। নূরাণী শব্দটিও ঠিক তেমনি নূরের মত, নূর নহে। যদি কোন তরল স্বর্ণের মধ্যে এক খন্ড লোহাকে ডুবাইয়া তুলিলে আলোকিত হয় বা নূরাণী হয়। যদি কোন কাপড় বা বস্তুর মধ্যে তৈল দেখা যায় তখন সেই কাপড় বা বস্তুটিকে সরাসরি তৈল বলা যায় না। তৈল তৈলই, তৈল কোনদিন তৈলান্ত হইতে পারে না। স্বার্ণ স্বার্ণই, স্বার্ণকে সোনালী বলা যায় না। তৈলাক্ত শব্দ যেমন সম্পুর্ণটা তৈল নহে, সোনালী শব্দটাও সম্পূর্ণ স্বর্ণ নহে। তেমনি নূরাণী শব্দটিও সম্পূর্ন নূরে নহে। যেমন আলোহীন বস্তুটি আলোর সংস্পর্শে আসিয়া আলোকিত হইল। তেমনি নুরহীন বস্তুটি যেন নুরের সংস্পর্শে আসিয়া নুরানী হইল।<br /><br />ফয়েজ আধ্যাত্মিক এক মহা শক্তিকে বুঝায়। সেই শক্তির মাধ্যমে অর্ন্তদৃষ্টি বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ জ্ঞান লাভ করা যায়। এই শক্তি অলী-পীর-বুজুর্গণ এলেম এবং আমলের দ্বারা আল্লাহর নিকট হইতে লাভ করিয়া অসাধারণ মানবে পরিনত হন। সাধারণ মানুষ যখন উনাদের সান্নিধ্যে বা সংস্পর্শে থাকেন, তখন অলীগণের নিকট হইতে ফয়েজ হাসিল করিয় ফয়েজীয়াব হন। ফয়েজ শব্দ আর ফয়েজীয়াব শব্দ এক নহে। যাহা ফয়েজ তাহা ফয়েজীয়াব নহে। আর যাহা ফয়েজীয়াব তাহা ফয়েজ নহে ফয়েজ ফয়েজই।<br /><br />নূর নূরই, নূর নূরানী নহে। স্বর্ণ স্বর্ণই, স্বর্ণ সোনালী নহে। আলোহীন বস্তুর মধ্যে যখন আলো প্রবেশ করানো হয়। তখন তাহাকে আলোকিত বলা হয়।<br /><br />তেমনি নূরহীন বস্তুর মধ্যে নূর প্রবেশ করাইয়া যেন নূরানী করা হইল। এখন ল্য করার বিষয় হইল এই যে, মহা পবিত্র কোরান আলোহীন বস্তু নহে। কোরআন শরীফতো স্বয়ং নূর। নূরানী হইতে যাইবে কেন? পাঠকবৃন্দ চিন্তা করুন। কোরআন শরীফতো নিজেই আলোর পিন্ড সুতারাং আলোকিত হইতে যাইবে কেন?<br /><br />যেইখানে ইসলামকে নূর বলা হইয়াছে, সেইখানে ইসলামকে আলোকিত নূরানী বলিলে ঠিক হইবে কি? ইহা করিয়া শুধু কোরআন শরীফকে হেয় করে নাই। গোটা ইসলামী বিধানকেই অপমান করা হইয়াছে। কেন? কি কারণ? আজ অবশ্যই এদের মোকাবিলা করতে হবে।<br /><br />একটি বিশেষ কথা। গড-ঈশ্বর-ভগবান এই শব্দগুলির সাথে আল্লাহ শব্দের মোটও সামজস্য নাই। কারণ উক্ত শব্দগুলির স্ত্রী লিঙ্গ আছে। কিন্তু আল্লাহ শব্দের লিঙ্গান্তর নাই। যেইখানে স্ত্রী লিঙ্গ আছে সেইখানে ঝগড়ার সম্ভাবনা আছে। আল্লাহ শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ নাই। তাই ঝগড়াও নাই। আল্লাহ এক তাই এই বিশ্বে আকাশে-পাতালে সব একই নিয়মে চলিতেছে। এবং কিয়ামত পর্যন্ত চলিতে থাকিবে।<br /><br />অর, শব্দ এবং ভাষা যেই সকল পন্তিতগণ আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন, তাঁহারাই এই আল্লাহ শব্দটির বিপরীত শব্দ অর্থাৎ আল্লাহ শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ আবিস্কার করিতে পারেন নাই। আর কেহ পারিবেও না। মহান আল্লাহ নিজেই এই সম্পর্কে সংকেত দিয়াছেন, পবিত্র কোরআন শরীফের মধ্যে। যেমনঃ কোলাহু-আল্লাহু, বল আল্লাহ আহাদ, তিনি একক। পরিষ্কার করিয়া দিয়াছেন। কারণ, মানব জাতি বহু বস্তু, প্রানী, বৃ, নদী, মাটি, পাথর, ইত্যাদিকে ভগবান-দেবতা আল্লাহ রূপে দেখিয়া খাকে। যেমনঃ মহা পবিত্র কাবা শরীফের মধ্যেও ৩৬০টি দেবতা রাখিয়াছিল এবং ঈসা (আঃ) কেও আাল্লাহর পুত্র বলিয়াছিল। এখনও বলিয়া থাকে।<br /><br />এইখানে লনীয় বিষয় এই যে, মানুষের পুত্র যেমন মানুষ হয়, সুতারাং সেই হিসাবে দেখা যায় ঈসা (আঃ) এর অনুসারীগণ। ঈসা (আঃ) কে আল্লাহর পদে অধিষ্ঠিত করিয়াছে। নাউজুবিল্লাহ। ঈসা (আঃ) কে আল্লাহর পুত্র বলিয়া থাকে এই জন্য আল্লাহ পাক ফরমাইয়াছেন। হু-আহাদ তিনি এক দ্বিতীয় নাই। আবার ফরমাইয়াছেন, লাম-ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ কোন আওলাদ বা সন্তান-সন্ততি নাই। তিনি কাহারও সন্তান নহে।<br /><br />সুতারাং আল্লাহ এক, তাঁহার স্ত্রী লিঙ্গ নাই। তাই তাঁহার কোন অংশীদারও না। যেইখানে। অংশীদার থাকে সেইখানে ঝগড়ার সম্ভাবনা থাকে। ঝগড়া বাঁধিলে, এক খোদা বলিত আমি আমার প হইতে একটি সূর্য আকাশে ভাসাইব, অন্য আল্লাহ বলিত আমি আমার ইচ্ছেমত চাঁদ-সূর্য আকাশে ভাসাইয়া তোমার সূর্যের আলোকে অন্ধ করিয়া দিব। তোমার সূর্যর আলো বিকিরণ করিতে দেওয়া হইবে না। কিন্তু এই ধরনের কিছুই সংঘটিত হইতেছে না। কারণ আল্লাহ এক। আল্লাহ শব্দটিও একক। জিরোর মান জিরো। একই কারণে বিশ্ব একই নিয়মে চলিতেছে এবং চলিতে থাকিবে। সুতারাং আল্লাহ শব্দের সাথে ঈশ্বর-ভগবান-দেবতার এবং গডের কোন প্রকারেই তুলনা হইতে পারে না। আল্লাহর কোন উদাহরণ বা মেসাল নাই। আল্লাহর মেসাল আল্লাহই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ এক। তিনি লা-শারীকা। অর্থাৎ তাঁহার কোন অংশীদার নাই। মুমীন-মুসলমান ভাইবোনেরা আল্লাহ শব্দটিকে উপরোক্ত দেব-দেবীওয়ালা শব্দগুলির সাথে মোটই এক করিয়া দেখিবে না। এমনটিও বলিবে না যে দেব-দেবী যেমন আল্লাহও তেমন। নাউজুবিল্লাহ। সর্ব কালে, সর্ব সময়, সর্ব জায়গায়, সর্ব ভাষায় আল্লাহর জাতি নাম আল্লহ-ই উচ্চারিত হইবে। <br />
<a name='more'></a><br /><br />হোসাইনিয়া কুতুবখানা, ৬৩, চক সার্কুলার রোড, ঢাকা। কায়দার মধ্যে লিখিয়া রাখিয়াছেঃ ইহা আর হামাররা হেমিনকে, ইয়া যার হামররা হেমিন। কেন? কি কারণ? মোকাবিলা করুন।<br /><br />আমীন<br /><br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-42048017023266606582013-06-25T22:46:00.003-07:002013-06-25T22:46:21.698-07:00বর্তমান সভ্যতা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
বর্তমান আরিক যুগে আমরা মনে করি শিার এবং সভ্যতার চরম শিখরে আরোহণ করেছি। তাত্তিবকভাবে ল্য করলে প্রতীয়মান হচ্ছে, যে, তার উল্টোটা। সভ্য সমাজ বলতে যা দরকার তা কোথাও পরিলতি হচ্ছেনা। সভ্যতার কিছুই নেই। আছে বর্বরতা, অসভ্যতা, অশ্লীলতা, অসত্যতা, ধোকাবাজী, দয়াহীনতা, লজ্জাহীনতা, খুন পিপাষা, হিংস্রতা-হিংসুক, লোভী, অহঙ্কারী, মানিরমান ধ্বংসকারী চর্চাকারী, অবৈধতাকে বৈধতা দানকারী, ভালোমন্দ মিশ্রণকারী এবং সর্বোপরি আছে জালেমী অত্যাচারিতা। সমাজে এসেছে পশু আচরণ। যেন পশুকে মানব সমাজে ভূক্ত করে মানব পশু একসাথে সমাজ গঠন করত চাচ্ছে। এসেছে মানব পশু ভালোবাসা মানুষ মানুষে ভালোবাসা যেন দুরাশা। মানুষ ছেড়ে কুকুর শিম্পাঞ্জি কাঁেধ-কাঁধে, কোলে-কোলে নিয়ে বেড়ায়। হায়রে মানব, যেন হয়েছে দানব! আছে উলঙ্গনারী এবং পুরুষ চিত্র প্রদর্শণ। মানুষ, মানব নয়নে এখন আর মানুষের মুখ মন্ডল দেখতে চায় না। সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের নামে যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, তাতে দেখা যায় ঘোড়া-গাধা-হাতি-ব্যঘ্র-মহিষ ইত্যাদি নান ধরণের পশুর মুখোশ লাগিয়ে নৃত্য করে। এটাই নাকি মানব সভ্যতা সংস্কৃতি। এতে মনে হয় বর্তমান যাকে শিতি সমাজ বলা হয়, তারা উক্ত সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পশু সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে চায়। পশুকে মানুষ বানাতে চায় না। মানুষই পশু হতে চায়। অসভ্যতাকে সভ্যতা বলে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। উম্মুক্ত আকাশের নীছে মুক্ত মিলন ঘটাচ্ছে। মুক্ত মিলন পশু কর্ম নয় কি? বৈধতার সীমা পেরিযে অবৈধতার পরিসীমায় প্রবেশ করিয়ে, বৈধতার স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে অবৈধ সমাজ গঠনে লিপ্ত রয়েছে। শ্লীলতা এবং অশ্লীলতার প্রশ্ন যেন আর নেই। উভয়- উভয়ের মধ্যে মুক্ত মিলন ঘটিয়ে একাকার হয়ে গেলো। যারা জ্ঞানী-গুণী সভ্যের দাবীদার বৈজ্ঞানিকগণ বলে বেড়াচ্ছেন যে, বন্য পশু শিম্পাঞ্জি নাকি মানব সম্প্রাদায় ভুক্ত। বর্তমান মানবিক মনোভাব পশু আকৃষ্ট হতে চলেছে। উক্তো উক্তিতে বুঝা যাচেছ যে, আজ মানব পশু সমাজ গঠনের ল্েয চুটেছে আবার জীবোপাদান থেকে জীন এবং কোন নামে নির্যাস উপাদান বের করে। মানবরূপকে বিভিন্নরূপে রুপান্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন আকার আকৃতি ধারণ করাতে চাচ্ছে। মহান স্রষ্টা কর্মকান্ড আচার-আচরণ ভালো লাগেনা, সে স্ত্রীকে ও ভালো না লাগারই কথা। এ এক আত্যাশ্চার্য্য বিভ্রান্তিকর মানবিক রুপ দানবীয় যুগের সূচনা হলো যেন। মানবকুল এখন আর মানুষ রূপ থাকতে চায়না, এখন পশু হয়ে দেখতে চায় তাতে কি রস-স্বাদ মিঠাই রয়েছে। বর্তমান মানবকুলে এমনি মন- মানসিকাতার লণ পরিলতি হচ্ছে। গভীর অজ্ঞাতা অমানিশার রাহুগ্রাসী অন্ধকার গনঘটার নিশীথিনী কাল চলছেতো চলছেই। যেন এক সত্য মিথ্যা মিশ্রিত মিশাল দজ্জালী যুগের সুচনা । দৈনন্দিন ব্যবহারিক বস্তু সমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই সহজেই অনুধাবন করা যায়। মিশ্রিত শিা, মিশ্রিত কথা বা বাক্য। অসত্যকে সত্যতে প্রতিষ্ঠিত করতে কৌশলে সত্য একটু জড়িয়ে রাখে এবং কৌশলে সত্যের মধ্যে বিথ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়। কারণ, সকল দিল- হৃদয়ইতো সত্যের সন্ধানী। সত্য একটু দেখলেই সে দিকেই ধাবিত হতে চায় মন। মুক্তিরাকাঙ্খিকে ঘায়েল করতে হলে সত্যের ছিটে ফোটা দিতেই হয়। ল্েযর খাঁচায় আটক করতে হলে নজর দৃষ্টিতে লোভনীয় ভোগ্য কিছু পতানো ফাদে রাখতেই হয়। ঠিক এমনিভাবেই বিভ্রান্তকারীগণ সহজ সরল মুক্তিকামী মুমীন মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে বিপদগামী করেই চলেছে। নকল আর নকল, যেন নকল ও নকল। ডাক্তার নকল। শিক নকল, হুজুররূপের নকল হুজুর, নকল আলেম, কল পীর নকল, দরবেশ , নকল স্বামী, নকল স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বিদেশ গমন। নকল কৌশলী, নকল ঔষধ নকল খাদ্য। অথ্যাৎ যে দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়, কেবল নকল আর নকলই পরিলতি হয়। দ্বীন প্রচারেও নকল। কতিপয় বক্তা সত্যকে প্রতিষ্ঠার ল্েয অসত্য নকল বক্তব্য জড়িয়ে রাখে। এটাকেই বলে দাজ্জালী প্রবাকান্ডা। দাজ্জাল, অর্থাৎ সত্য এবং মিথ্যা মিশ্রণকারী। এ যেন দাজ্জালী প্রভাব বলয়ে ঘূর্ণায়মান পৃথিবী। বর্তমানহ বিশ্বে বিভ্রন্তী সৃষ্টিকারীর, ধোকাবাজের ,নাফরমানের, মুনাফিকের, নিমকহারামের মিথ্যাচারীর, জালেমের, অত্যাচারীদের এবং দাজ্জালীদের বলয়ে প্রবেশ করেছে। তাই এ বলয়কে অত্যাচারী বলয় এবং জালেম বলয় বল্লে উত্তোক্তি হয় না। ধর্মের নামে ব্যক্তি স্বার্থোদ্ধার করছে। বিশ্বে সকল ধর্মাবলম্বীগণ ধর্মের বোল-ই আওড়াচ্ছে মাত্র। কিন্তু ধর্মের আদেশ নিষেধের বেলায় উদাসীন। সৃষ্টিকর্তা এবং অনন্তাকাল বলে যে একটি কথা রয়েছে, এটাতো একটি অনস্বীকারোক্তি। এ সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই। জীবাত্মা গুলো অনন্তকাল পথযাত্রী হয়ে পানির স্রোতাকারে নিত্য গমনাগমন ধারায় বহমান। সে-ই অনন্ত জগত হতেইতো গমনাগমন ঘটছে। ইহকালীন অস্থায়ী জীবনকে সুšদর ও সুখের বানানোর জন্যে এবং অন্যায় অত্যাচার বিবেচার থেকে অস্থয়ী জীবনটাকে মুক্ত রেখে চির বা অনন্ত প্রবাসী হওয়ার জন্যেই স্রষ্টার নিকট হতে নানা ধরণের কঠিন হতে কঠিনতর ভীতি এবং আনন্দের সংবাদ দেয়া হয়েছে। আনন্দ বলতে স্বর্গ সুখের কথা বলা হচ্ছেহ। ভীতি নরকাগ্নিমূলক কঠিন শাস্তির কথা বলা হচেছ। এ দৃশ্যমান জগত সৃষ্টির পেছনে যে এক মহাশক্তিধর অর্থাৎ মতাবান সৃষ্টিকর্তা রয়েছে, এ উক্তিটি যেমন চিরন্তন সত্য তেমনি তাঁর প হতে ভীতি প্রদর্শণকারী শান্তির এবঙ শাস্তির সংবাদটি ও জলন্ত সত্য। অজানা কোন এক স্থান থেকে জীবাত্মাগুলো আসছে এবং কোন এ অজানা জগতেরদিকে ধাবিত হচ্ছে। এটাও প্রমাণিত জলন্ত সত্য। কোন এক অজানা অদৃশ্য মহাশক্তি দ্বারা দৃশ্যমান জগত মমূহ সৃষ্টি হয়েছে। এটা যেমন সত্য তেমনি সেই মহাশক্তি হতেই আগত অকাট্য প্রমাণিত বাণীগুলো ও চিরন্তন সত্য। যাঁরা এ সত্যের ওপর নির্দ্বিধায় বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আমরণ বিশ্বাসী হয়ে থাকবে, কেবল তাঁরা-ই প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গণ্য হবে এবং সকল প্রকার অত্যাচার, অনাচার বেবিচার ,কলঙ্কমূলক অমানবিক কর্মকান্ড হতে মুক্ত থাকবে এবং স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসবে। স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসলে স্রষ্টাকেই ভালোবাসা হয়। বিশ্বের যত মহাত্মা, মহামানব এসেছিলেন উক্তো উক্তিটি-ই করেছিলেন। এ চলন্ত প্রবাহে আত্মচেনাবোধ এবং মানবতাবোধ যেন হারিয়ে গেছে। সেই মহাত্মা মহামানব গণ যেন অদৃশ্য হয়ে আছেন? এ যুগে মানবকুলে যেন নিকৃষ্ট হিংস্র পশু আচরন প্রতীয়মান হচেছ। জ্ঞানালোর যুগে অনজ্ঞি-অজ্ঞানী মুর্খের কর্ম কান্ডের প্রবাহ চলছে। দিনের মধ্যবাগে যেন কালো মেঘের ঘনঘটাচ্ছন্ন আকাশ। এ প্রবাহমান কালটিকে উন্নতমানের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক যুগ বলা হয়ে থাকে। জ্ঞানতো স্রর্ষ্টা দান। স্রষ্টা প্রদত্ত জ্ঞানকে তাঁর বিধানানুসারে সঠিকভাবে প্রয়োগ করলেইতো জ্ঞানের মূল্যায়ন হয়। আর এ জ্ঞানকেই ভুল পথে প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। যে জ্ঞানে ধ্বংস সংঘটিত হয় এমন জ্ঞানের প্রয়োজন আছে কি? সভ্য সমাজে তা মোটেই কাম্য নয়। যে জ্ঞান সমাজের জাতির উন্নয়ন ঘটায় এবং শন্তি আনয়ন করে এমন জ্ঞানেই মূল্যায়নকরা হয়। সে জ্ঞানকেই স্বার্থক জ্ঞান বলে অনুধাবন করা হয়। মানবোন্নয়নের নামে যে জ্ঞানাস্ত্র দ্বারা ধ্বংস কর্মে লিপ্ত থাকে তা শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে তাতে উন্নয়ন সাধিত হয়না। যেমন পারমাণবিকাস্ত্র এবং বিভিন্ন মানণাস্ত্র আত্মরার নামে অবি®কৃত অস্ত্র সমূহ দ্বারা স্রষ্টার সৃষ্ট জীব এবং বস্তু সমূহ ধ্বংসই করে যাচ্ছে। অথচ ্ আবিষ্কারের পেছনে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, কিন্তু উন্নয়ন সাধিত হচ্ছেনা। রকেট আবিষ্কারের মাধ্যমে গ্রহ হতে গ্রান্তরে ছুটে বেড়াচ্ছে এর পেছনে ও অসংখ্য বিলিয়ন ব্যায় হচ্ছে। উক্ত আবিষ্কারের ফলে দারিদ্রতা দূর হলো কোথায়? দারিদ্রতা যেন আরো বাড়িয়ে দিলো। যারা ফলে বিশ্বে সন্ত্রাস বেড়ে- ই চলেছে। এ সকল অস্ত্র দ্বারা লাভ অপো তির দিকটাই বেশী। সতরাং এমন অস্ত্র সভ্য সমাজের মোটেই কাম্য নয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তার অর্ধেক অর্থ ও যদি মানবতার সেবায় অর্থাৎ দারিদ্র বিমোচনে ব্যবহার করা হতো, বিশ্বের শতকরা ৮০% ভাগ দরিদ্রতা দূর করা সম্ভব হতো। বর্তমান বিশ্বে সত্য ধর্মের মূল্যায়ন নেই। ধর্মের মধ্যেই মানবতার শিা। ধর্মহীনতার মধ্যে মানবতার বোল-বলা অর্থহীন। ধর্মীয় আচরণ নেই বলে মানবতা নেই। দ্বীন থেকে যখন পদস্খলন ঘটে,তখনই মানবতাহীন অর্থাৎ অমানবিক কর্ম কান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে মানব অশান্তি নরকানলে জ্বলে পুড়ে মরে। যেমন-বর্তমান কালে চলছে শিশু অপহরণ, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই। অবৈধ জবর দখল। অন্যায় অত্যাচার অশ্লীলতা, মুক্ত মিলন, নাঙ্গা চিত্র প্রদর্শন, লজ্জাহীনতা , বৈধ পুরুষ রেখে অবৈধ পুরুষ মিলন, বৈধ নারী রেখে অবৈধ নারীতে সঙ্গম। এ যেন এক মানবকৃতি নতুন এক পশুকুল। অবৈধ বলে একটি কথাছিলো, অবৈধ বোলটি কোথা বিলুপ্ত হয়ে গেলো। মহাত্ম শূণ্য হয়ে প্রেতাত্মাতে বিশ্ব ভরে উঠলো। এ পার্থিবধামে সকলইতো অস্থায়ী সবই প্রত্যাবর্তনশীল। সাময়িক সীমিত সময়ের জীবনে কেন ঘাত প্রতিঘাত ? মুহুর্তের মধ্যেই দেখা দিতে পারে অনন্ত প্রভাত। এতো এক বিরতিহীন জীবন অর্থাৎ সকল জীবাত্মাই বিরতিহীন চলন্ত যানযাত্রী হিসেবে সাময়িক সীমিত সময়ের জন্র আসেন একটু আসন পেতে বসা মাত্র, সর্বশেষ মঞ্জিল ষ্টেশানে অর্থাৎ যখন শেষ থামায় থামবে তখন অবিলম্বে আসন ছেড়ে নামতে হবে। চলমান সময় কালে অসতর্কাবস্থায় ,চোর শয়তান, যেন প্রয়োজনীয় স্বীয় মালামাল সামান্য ও হরণ করতে না পার, সে ল্েয সদা সতর্কাবস্থায় চলন্তকালকে অতিক্রম করতে হবে এবং সাথীগণের সাথে সদা ভালোবাসা হাসি খুশি স্নেহহ-মায়া-মমতা-মিষ্টি সদ্ব্যবহার এবং শান্তি শৃঙ্খলা রার মাধ্যমে পথাতিক্রম করে চলন্ত যান যাত্রীর দায়িত্ব সম্পন্ন করতে হবে। বুঝতে হবে এটাই মানবীয় দায়িত্ব। <br /> এ অস্থায়ী সীমিত পথের পথিক হয়ে, একে অন্যে, স্বজাতে-স্বজাে ঘাত প্রতিঘাত কেন? পশুকুলেতো এমনটি পরিলতি হয় না। মানবজীব, জীব জগতের সের শ্রেষ্ঠ জীব কিন্তু কর্মে চলছে পশু থেকে নিকৃষ্ট জাতের কোন এক জীবকুল। তাদের মধ্যে থাকবে ভালোবাসা পেয়ার মহব্বত একে অন্যের মধ্যে গড়ে নেবে সু-সম্পর্ক থাকবে সাহায্য সাহানুভূতি- সহযোগিতা। একে অন্যের মধ্যে সংযোগ রা করবে। স্বজাতে-স্বজাতে অর্থাৎ মানবে-মানবে ভালোবাসার সৃষ্টি করবে। মানবে পশুতে নয়। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আতœীয়তার রশি শক্ত হতে শক্ততর করে ভালবাসা দয়া মায়া, স্নেহ-মমতা মধু হতে আরো মধুতর করবে। মেয়ের বিনিময়ে ছেলে বানাবে, ছেলের বিনিময়ে মেয়ে এনে আপন মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করবে। একে অন্যের মধ্যে মধুর সম্পর্ক স্থাপন করে সত্যিকারের মানবতা নেই । এক মানব যদি অন্য মানব ভাই-বোনে মেরেই ফেলে, তবে আত্মীয়তা এবং বন্ধুত্ব হবে কার সাথে? নিশ্চয়ই পশুর সাথে নয়। হিংস্র পশু কর্তৃক আক্রান্ত হলে, আশ্রয়াশায় মানবাশ্রমেই আসা হয়। পশু আশ্রমে নয়। অভাব এবং কষ্টের অভিযোগ বা আবেদন নিবেদন মানব মানবের নিকটইতো করবে। পশু দরবারে নয়। যদি একে অন্যকে মেরেই ফেলা হয়, তবে অভিযোগ নিয়ে কা নিকট ধেয়ে যাবে? জীবিকার সন্ধানে কার নিকট করবে? মানব-মানবের কাজ মানবের কর্তৃত্বেই করবে। পশুরা কৃর্তৃত্বে নয়। যদি মেরেই ফেলা হয়, তবে কার কর্তৃত্বে কোথায় কাজ করবে? ঔষধের প্রয়োজনে মানুষ-মানুষের নিকটই যাবে, পশুর নিকট নয়। যদি মেরেই ফেলা হয় আরোগ্য হওয়ার ঔষধের খবর কার নিকট থেকে নেবে? রোগীর রোগমুক্তির ব্যবস্থা পত্র মানবেই তো দেবে। মেরে ফেল্লে ব্যবস্থা পত্র কে দেবে? ঔষধ আবিষ্কার মানবেইতো করে। যদি মেরে ফেলা হয়, ঔষধ আবিষ্কার কে করবে? অন্ন-বস্ত্রের আশায় মানুষ-মানুষের নিকটই যাবে। মানুষই যদি না থাকে আশাহত চিত্তে জন-মানবহীন মর্ত্য জগতে দোরে দোরে ফিরবে। মহান স্রষ্টা কোন ব্যক্তিকে সকল জ্ঞানের অধিকাররী করে সৃষ্টি করেননি। তাই, মহান ‘আল্লাহ’ তাঁর পবিত্র গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘ওয়াবতাগূ ইলাইহীল ওয়াছিলাহ্’ অর্থাৎ তোমার একে অন্যকে মেরে ফেল্লে, সংযোগ ,সহযোগিতা কিভাবে রা পাবে। কল-কারখানা ,জাহাজ তরী, গাড়ী বাড়ী মানবেইতো গড়বে। মেরে ফেল্লে গড়বে কারা? শিতি শিক হয়ে শিতি বানাবে, শিকই যদি না থাকে , তবে শিতি বানাবে কে? মানুষ মানুষকে নিয়েই আনন্দ উপভোগ করবেন, শূন্য মাঠে আনন্দ কোথায়? সমস্যা হলে সমাধানের জন্য পরামর্শ দাতা না থাকলে পরামর্শ দেবে কে? নিশ্চয়ই পরামর্শ দাতা পশু হবে না। জীবিকান্বেষনে বের হলে পথে চলতেই হবে, চলার পথ যদি বন্ধুর- দুর্গম হয় বা কোন প্রতিরোধের প্রতিকুলের বা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, সে প্রতিরোধের প্রতিকুলতার বা প্রতিবন্ধকতার সমস্য সমাধান কে দেবে? হাঁ নিশ্চয়ই পশুকুলে নয়, মানুষকেই দিতে হবে। সমাধান দাতা না থাকলে সমাধান দেবে কে? নিশ্চয়ই, মানুষকেই দিতে হবে। মোট কথা মানবকে মানবসমাজেই বসবাস করতে হবে। তাই যদি করতে হয়, তবে মানুষ মানুষেকে ভালোবাসতে হবে। মানুষ, মানুষে মিলেমিশে থাকতে হবে এবং সুন্দর সু-শৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কলঙ্কমুক্ত এবং বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি দ্বারা সরকার গঠন করতে হবে। চিত্ত বিনোদনমূলক কর্ম-কান্ড শ্লীলতার মধ্যমে করতে হবে এবং আনন্দ উপভোগের জন্যে অনুষ্ঠান অনুুিষ্ঠত করতে হলে মানব ছাড়া কাকে নিয়ে করবে? সুতরাং উক্ত বিষয় গুলো ঠিক-ঠিক ভাবে করতে হলে চরম ধৈর্যের প্রয়োজন । যারা চরম ধৈর্য ধারণ করে ,তাদের সাথে সাথী হয়ে থাকবেন মহান স্রষ্টা আল্লাহ। প্রসঙ্গ ক্রমে না বল্লে নয়, ধৈর্য সম্পর্কিত একটি ঘটনা, তা হলো এ ণস্থায়ী বিশ্ব জগতে সর্বশেষ যে মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছিলো,তিনি ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠনবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) । তিনি একবার ধর্ম প্রচারের জন্য তায়েফ নামক স্থানে যান এবং লোকদের বল্লেন হে তায়েফ বাসীগণ, তোমরা তোমাদের বানানো পুতুলমূর্তি বা পাথর পূজা করোনা। কারণ, তারা দেখেনা, কথা বলেনা, শুনেনা , তোমাদের কোন উপকার করতে পারেনা। তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তার ইবাদত কর। যিনি তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করেন, তোমাদেরকে এ জগতে পাঠান এং তাঁরই দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান, তোমরা তাঁর আদেশ নিষেধ পালনের বিনিময়ে পাবে অপূর্ব সুন্দর অনন্ত শান্তি, সুখের স্থান জান্নাত বা স্বর্গ যেখানে অনাদি অনন্তকাল থাকবে। যেখানে দুঃখ নেই, খাদ্য পানির অভাব নেই, ফসল ফলানোর চিন্তা করতে হয়না। ফল-ফলাধির অভাব নেই। অপূর্ব সুন্দরী হুর বা রমণী তোমাদের সাথী হয়ে তোমাদের সাথে খেলাধুলা করতে অপো মান। তথা হিংসাদ্বেষ নেই, অভাব মুক্ত অভাবনীয় এক অনন্ত শান্তি সুখের জীবন। জীবিকার অন্বেষায় এদিক সেদিক ছুটোছুটি এবং আবিষ্কারের প্রয়োজন হবে না। সে এমন একস্থান ,যেখানে ঝড়-বৃষ্টি, বিজলী ,ভূকম্পন ধ্বংস নেই। আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ এবং বৃ ফুলের সমারোহ এবং আছে সু মিষ্টি , সুঘ্রান। তোমাদের এ মূর্তি ভগবান বা বানানো ঈশ্বরগুলো তেমাদের কিছু দিতে পারবেনা। তারা তোমাদের কোন উপকারে আসেবেনা। তারা তোমাদেরকে কিছু দিতে পারবেনা। তারা তোমাদের কোন কোন উপকারে আসবেনা। তারা তোমাদেরকে নরক অর্থাৎ চি আনন্ত আজাবের বা শাস্তির স্থান, অনাদি- অনন্ত অশান্তি কঠিন শাস্তির স্থান জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছু দিতে পারবেনা। তোমাদের সৃষ্টিকর্তা একক। তাঁর কোন অংশীদার নেই। প্রতিদ্বনদী নেই তাঁর বিপরীত শব্দ নেই, প্রতিকূল প্রভাব নেই। তিনি সর্ব শক্তিমান । তাঁর নিকট যেতেই হবে কারণ, তোমরা তাঁরই খাঁচায় বন্দী। দূরে সরতে যত শক্তি দিয়েই চেষ্টা করনা কেন, দুরে সরতে পারবেনা। তোমরা এবং সকল সৃষ্ট জগতইতো তাঁর দান। সুতরাং প্রতিদান সরুপ তাঁকে তার প্রদত্ত বিধানানুযায়ী স্মরণ কর। অন্যথা কঠিন হতে কঠিনতর আজাব বা শাস্তির অপো কর। পাঠকবৃন্দ চিন্তা করুন উপরোক্ত পরম সত্য বাক্য বা কথাগুলোর জন্যই তাঁকে নিপ্তি পাথরাঘাতে রক্ত ঝরিয়ে দিলো। কিন্তু তিনি বিশ্বনবি হযরত মোহাম্মদ (দঃ) তায়েফবাসীদের জন্য ধ্বংস কামনা না করে বরং তাদের বুদ্ধি বিবেকের এবং বিভিন্ন উন্নতি কামনা করে প্রার্থনা করে ছিলেন, অধৈর্য হননি। প্রসঙ্গ ক্রমে উক্ত উক্তিগুলো স্থান পেলো উদাহরণ বা উপমা সরুপ ,যেন মূল বক্তব্যটি বুঝতে সুবিধা হয়। তাই উক্ত উক্তিগুলো উদ্ধৃত হলো , বর্তমানকালে মানবকুল অধৈর্য কেন? হযরত মোহাম্মদ (দঃ) বিশ্ব মানবের প্রতি কয়েকটি কথাই বলেছিলেন। তা হলো এই, হে বিশ্ব মানব মন্ডলী , তোমাদের সৃষ্টিকর্তা স্রষ্টা অদ্বিতীয় একক শক্তিমান আল্লাহকে একক ভেবেই তা প্রদত্ত বিধি মোতাবেক তাঁকে স্মরণ কর। সদা সত্য কথা বল, পরোপকার কর। এ কয়েকটি কথার জন্য কেন তাঁকে দান্দান-শহীদ করিয়ে দিলো? বন্ধী অবস্থায় উপোস করতে হলো। কেন জন্মস্থান করতে হলো? তা-হলে মানব কি উক্ত বাক্যগুলো মানতে বাধ্য নয়? কেন যুদ্ধ করতে হলো? মহাত্মা মহা মানবতো আসেন অস্থায় জগতের অস্থায়ী শান্তির পথাপো স্থায়ী শান্তির পথ প্রদর্শন করতে। সীমিত জীবনপথ পেরিয়ে অনন্ত জীবনে প্রবেশের সরল সঠিক পথেরা সন্ধান দিতে। এ মাটিতে ভুমিষ্ট হওয়ার সময় থেকে আমরণ আক্রানত্ ছিলেন কেন? নবীগণ আবির্ভূত হয়েছিলেন, অস্থায়ী সীমিত জীবনে শা›িত সুখের সন্ধান দিয়ে নিষ্পাপ-নিষ্কালঙ্ক এবং পবিত্র করিয়ে অনন্ত ধামে প্রবেশ করাতে। মজলুমী জীবন কেন কাটতে হলো? পবিত্র মহাত্মা মহামানবগণ অত্যাচারিত কেন? তবে কি মানবকূল সৃষ্টি কর্তা স্রষ্টার বিপরীতে অবস্থান নিলো? তাই যদি হয়ে থাকে, পরিলতি হচ্ছে যে দ্বিতীয় কোন মহাশক্তির আশ্রয়ে যাচেছ এবং যাবে? এ বিভ্রান্তির গভীর অন্ধকারে করাল গ্রাসে কেন মানবকুল? যাওয়াব আল- ক্বোরান দ্রষ্ঠব্য। মহামানব হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এসেছিলেন মানবকুলকে মু্িক্তর এবং মানবতার পথ নির্দেশনা দিতে। সে নিদের্শনা সমূহকেই ধর্ম বলে। সুতরাং ধর্মই মানবতার উৎস । ধর্ম নেই, মানবতা ও নেই। ধর্মহীন মানবতার বোল-বলা অর্থহীন। ধর্মীয় বিধানাবলি, শুধু বোল চালে এবং আলোচনার মধ্যে সীমিত রেখে দৈনন্দিন কর্মকান্ডে সবার চরিত্রের উপর তার প্রতিফলন না ঘটিয়ে,ধর্ম-ধর্ম, বোল-বুলি আওড়ানো, ধোকাবাজ এবং মোনাফিকের পরিচায়ক। অর্থাৎ ধর্মহীনতারই শামিল। মহাত্মা মহামানবগণের কথাই বলতে হয় বার বার। কারণ, বিশ্বে একমাত্র তাঁরাইতো আলোচিত। স্রষ্টার প থেকে মানবের মুক্তি দূত হিসেবে মর্ত্যে পদার্পণ করেছিলেন। এ-জবীন প্রবাহে জীবিকা নির্বাহের পথ নির্দেশনা প্রদান করে প্রত্যাগমণ করলেন। সেই নির্দেশিত পথে চলন প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিতে পারলেই নির্দেশিকা সমূহের প্রতিফলন ঘটালেই এ অস্থায়ী সীমিত জগতে এবং অনন্ত জীবনে শান্তি সুখ অবধারিত। কিন্তু মানবকুল কূচক্রি শয়তানের চক্রে বিভ্রান্ত হয়ে বিপদগামী হয়। মুক্তির দূত মহাত্মা মহামানবগণ অন্ধকারাচ্ছন্ন ভ্রষ্টদেরকে আলোতে নিয়ে আসেত এবং শান্তি সুখের মুক্তি পথের দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে অহেতুক অত্যাচারিত হয়েছিলেন ভ্রষ্ট মানবকুল কর্তৃক। মানবকুল নির্দয় নিঠুর কেন? বর্তমান দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, চলমান প্রবাহে ধৃত মানবকুল হতে পশুকুলই উত্তম। তাদের ভাষায় সীমিত সময়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করে, আপন আপন গন্তব্যের দিকে ছুটে যায়। আরো ল্য করা যাচ্ছে যে, পশু-পাখি ,কীট-পতঙ্গ এবং বৃ-লতা উদ্ভিদজাত তারা মানবজাতির শিক হিসেবে নিজ নিজ কর্মে রত রয়েছে। স্রষ্টার সৃষ্ট জগতের নিকট ঋণী রয়েছে এবং থাকবে নির্বোধ মানবকুল । মানবকুলকে তাদের নিকট থেকে শিা নিতে হবে এবং স্রষ্টা প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সৃষ্ট জগত যদিও শিকের ভুমিকা পালন করছে, কিন্তু তারা মানবের জন্যেই সৃষ্ট। মানব তাদের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে এবং মানবকে বাঁচিয়ে রাখার কাজেই নিয়োজিত। তাদের ওপর কোন প্রকার কিতাব অবর্তীণ হয়নি। স্রষ্টা অন্যান্য সৃষ্টকুল কর্তৃক মানবকুলকে বাচিয়ে রেখে আপন উদ্দেশ্য সাধন করাবে আথ্যাৎ গুনগান করাবে। মানব যদি প্রাপ্ত দায়িত্ব ঠিক ঠিক ভাবে পালন না করে, প্রতিফল ভোগ করতেই হবে অবশ্যই এবং তার জন্য প্রস্তুত থাকরেত হবে। তাদেরকে শিক হিসেবে দেখলেও পশুকুলের মধ্যে যে ভুল নেই তাও একেবারে সত্য নয়। তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ রয়েছে। সুযোগ পেলেই দুর্বলকে দাড়িয়ে মারে, স্থাপন দখল করে নেয়। কিন্তু তা স্থায়ী নয় সীমিত সময়ের জন্য মাত্র। কিন্তু মানবকুলের ন্যায় নির্বোধ জাহেল এবং বিশৃঙ্খল নয়। বর্তমান মানবকুলাপো উত্তমই পরিলতি হচ্ছে। বর্তমান মানবকুল যেমন চালাচ্ছে খুন-রাহাজানি, অন্যায়-অত্যাচার,অবৈধ কমৃকান্ড , জবর দখল ,জুলুম অশ্লীলতা নদীর বহমান স্রোত ধারার মত। তা করেব কখন বন্ধ হবে কারো জানা নেই। মানবকুলাপো পশুকুল শান্ত এটা অনস্বীকার্য, তারা মানবকুলের মত-অশান্তানলে জলে পুড়ে আত্মহত্যা করছেনা। করলেও অপোকৃত কম সংখ্যক যা হিসাবে বহির্ভূত ।অত্যচারের স্রোতধারা যেন তীব্র হতে তীব্রতর, গভীর হতে গভীরতর হচ্ছে, যা-প্রতিরোধের উপায় খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। একটি মাত্র উপায় রয়েছে, তা হলো ‘আল ক্বোরন’ । “আল-ক্বোরান” অনুসরণ, অনুকরণের মধ্যেই শান্তি নিহিত। সৃষ্ট পশুকুল আপন স্ব-জাত মিলে দলবদ্ধভাবে বা সমাজ বদ্ধভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এব ং একই সীমিত স্থান অবস্থান করছে। বর্তমানে মানবকুলে যেন সে সমাজই নেই। কেউ কারো কর্তৃত্ব মানছেনা।একে অপরে সম্মান প্রদর্শন করছেনা। যেমন-আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট “বুশ” এবং বৃটিশ প্রধান মন্ত্রী “ব্লেয়ার” তারাতো বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক প্রোপটে অনুসরণীয় । কারণ, তারা কথায়-কাথায় মানবতার বোল বোলতে থাকেন। কিন্তু তাদের বর্তমান কর্ম কান্ডের মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বর্তমান বিশ্বে বুশ এবং ব্লেয়ারই সেরা জালেম, অত্যাচারীরূপে আবির্ভূত হয়েছে। কাণর, আকারণে ইরাকের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে অত্যাচারীর বর্হিপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তাতে বর্তমান বিশ্ব তাদের প্রতি রা-গোশ্বা প্রকাশ করতে গিয়ে , বুশ ্ বেং ব্লেয়ারকে মিথ্যুক-কাপুরুষ-ধোকাবাজ-সেরা বেহুঁশ বলতেও দ্বিধা করছেনা। সাধারণতঃ মানুষ শক্তিধর সবলকে ভয়ে মেনে চলে অর্থাৎ তাদের মনোঞ্জন করতে চেষ্টা করার অভিনয় করে। কিন্তু তারা ইরাক যুদ্ধে অমানবিক-অম ানবতার কর্মকান্ড ঘটিয়ে যে প্রতারণার খেল দেখালো, তাতে বিশ্ব-বিবেক অবাক ও প্রকারন্তরে হতাশ।<br /> মতা আর শঠতায় জাতিসংঘের আদেশ অমান্য করলো। জাতিসংঘকে অমান্য করার অর্থ বিশ্ব মানবকে অমান্য করা। এক সাী অপো দশ সাীর পইে রায় ঘোষিত হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতীয়মান হচ্ছে যে দশজনের সাীর মূল্যায়ন বেশি এবং স্রষ্টাও সাধারণত তাদের পইে থাকেন। এ কথাও সত্য যে, দরিদ্র, এতিম এবং অত্যাচারিদের উপরেই মহানস্রষ্টা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন।তাই, যাদের পে স্রষ্টা থাকেন তাদের মুক্তি বা জয় অবধারিত।<br /> রাজনৈতিকভাবে ইরাক হেরে গেলেও মূলতঃ নীতিগতভাবে ইরাকের-ই জয় সংঘটিত হয়েছে। কারণ, বিশ্ব অভিযুক্ত করেছে যুদ্ধাপারধি বলে আক্রমাণকারীকে । তারা থুক-ধিক্কার দিচ্ছে মিথ্যুক কাপুরুষ-ধোকাবাজ বলে বুশএবং ব্লেয়ারকে’ সুতরাং তারা ধিকৃত হিসেবে অমরত্ব লাভ করেছে। আর ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম তাঁর ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব যা- ই থাকুক না কেন, তা আলোচনার বিষয় নয়। আলোচনার বিষয় হচ্ছে যে, যে কারণে ইরাক অ াক্রান্ত হলো, তা কতটুকু সত্য ছিলো? সে দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখা যায় যে, যুদ্ধের কারণটি ছিলো সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং সেই দিকে আলোকপাত করলে সাদ্দামেরই জয় হয়েছে এবং সাদ্দামই বিজয়ী হিসাবে চির অমরত্ব লাভ করেছে। <br /> বর্তমান বিশ্বে মহাত্মা মহামানবের আবির্ভাব যেন অত্যাবমশ্যক। মানুষতো মহামানব বানাতে পারবে না। মহানস্রষ্টা আল্লাহর ইচ্ছে নুযায়ী মহামানবের আগমন সংঘটিত হয়। বর্তমান মানবগণ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে প্রবেশ করছে জীবনের প্রয়োজনে। মানুষতো নিজের এবং অন্যের জীবন বাঁচাতে পারবেনা। আপন ইচ্ছায় মরণ-বাঁচন সংঘটিত করতে পারবেনা। একমাত্র স্রষ্টাই সর্ব শক্তির অধিকারী। তিনিই পারেন সব করতে। সকল মতার উৎস মহাশক্তি যিনি একমাত্র আল্লাহ্ । সৃষ্টিলোকে যা ঘটছে, তাঁর প থেকে ঘটছে। মানুষ যে কর্ম করবে, তারই প্রতিফল লাভ করবে। জীবন এবং জীবিকার মালিকতো মানুষ নয়। সকল জীবাত্মা এবং জীবের জীবিকার মালিকতো মহান স্রষ্টা আল্লাহ। যত চেষ্টাই করা হোকনা কেন, অনন্ত জীবন লাভের উদ্দেশ্য, চিরকলা কেউ থাকেনি, থাকবেওনা। কারণ এ জীবরন নস্বর অস্থায়ী অনন্ত নয়। যে কোন গ্রহে বসবাসের ব্যবস্থা করা হোক না কেন মৃত্যু বা অন্তর্ধান বা পরগমন অবধারিত জীবিকার তাগিদে বা অন্যের প্রয়োজনে, অন্য কোন গ্রহে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মহান সুষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত যে আহারাদি ,বর্তমান গ্রহে, বর্তমান রয়েছে, তা মহাপ্রলয়, অতিক্রম করবে। বর্তমানাপো আগামীতে জীব যতই বৃদ্ধি পাবে, খাদ্য ততই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ হতে বাড়তে থাকবে। কারণ সকল জীব বস্তু সমূহ স্বয়ং সৃষ্টি কর্তারই সৃষ্টি। যিনি সকলের মালিক তিনিই তাঁর জীব জগতের আহারাদির ব্যবস্থা করবেন। মানব শুধু আকাঙ্খা এবং চেষ্টা করার মালিক। তাও আকাঙ্খা এবং চেষ্টা করার সুস্থ্যতা এবং শক্তি প্রদানকারী ও মহান সৃষ্টিকর্তাই। এ শক্তি অর্জনের জন্যে ও প্রার্থনা করতে হবে সেই মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে। খাদ্যই যদি না পেলো তাঁর পালিত জীবগুলোর কি অবস্থা হবে! তিনিই ভালো জানেন। মানুষ শুধু সুষ্ঠ সুন্দর মানবিক সম্পর্ক একে অন্যের মধ্যে রা করে যাবে, নিজেও সুন্দরভাবে বাঁচার চেষ্টা করবে, অপর কেও বাঁচে দেবে।মানুষ যেন নিজেকে অন্যের মধ্যে দেখতে পায়, অন্যের কষ্ট প্রত্য করলে, তা যেন নিজের দুঃখ বা কষ্ট বলে উপলব্ধি করে।অন্যের তিকে যেন নিজের তি বলে মনে করে। অন্যের সুন্দর সুখ যেন নিজের বলে মনে করে। মানুষ এ ইহধামে যেন নিজেকে একজন অস্থায়ী মুসাফির বা নস্থায়ী মনে করে। যারা উক্তিগুলো দৃঢ়ভাবে মনে রাখবে, তাদের মধ্যে লোভ-মোহ-প্রাবৃত্তি ,হিংসা, দ্বেষ, অহঙ্কার, ভোগ-বিলাসের লালসা থাকতে পারেনা, ফলে তার জীবন হয় শান্তি সুখের। অনন্তকালেও সে হবে বিশেষ পুরষ্কারের অংশীদার। জীবনকে এমনই করে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে জীবিকার জন্য হা-হতাশ করতে হবেনা। ল্য থাকবে শুধু মানবিক দায়িত্ব পালনের সতর্কতার দিকে। স্রষ্টা প্রদত্ত যে জ্ঞান আক্বল লাভ করেছে তা যদি সুন্দর সু পরিকল্পিত ভাবে কাজে লাগানো যায়, তবেই জ্ঞানের মূল্যায়ন হবে। প্রাপ্ত জ্ঞানকে ধ্বংসাত্মক পথে ব্যয় করে যদি শান্তির আশা করা হয়, তা হবে সুদূর পরাহত বা অবান্তর। অসম্ভব আশা নিষ্ফলই বটে। যেমন-চলচ্চিত্র দ্বারা ক’সংস্কারের বিকাশ ঘটাচ্ছে। চরিত্র ধ্বংস হয়েছে, অশ্লীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ কর্ম কৌশলদূর পরাহত বা অবান্তর। অসম্ভব আশা নিষ্ফলই বটে। যেমন-চলচ্চিত্র দ্বারা ক’সংস্কারের বিকাশ ঘটাচ্ছে। চরিত্র ধ্বংস হয়েছে, অশ্লীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ কর্ম কৌশল শিায় শিতি হচ্ছে। অধুনা শিা জগতে আদর্শগত চরিত্র গঠন মুলক শিার ব্যবস্থা নেই। আছে শুধু জীবিকার্জনের কৌশল শিা। এ শিা অতীব প্রয়োজন বটে, কিন্তু চরিত্রহীন জ ীবন-জীবিকা মূল্যহীন। জীবিকার্জনের কৌশল শিায় শিতি হয়ে, জীবিকা অর্জন করে ঘুমানো আর শৌচাগারীয় কর্ম সমাধা করা-এটাই কি মানবিক কর্ম বা দায়ীত্ব? নিদ্রা খানা এবং মলত্যাগ করা কর্ম পশুরাও করে মানবতো শুধু এ তিনটি সীমিত কর্ম জীবন নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। এ সম্পর্কে পূর্বোক্ত আলোচনায় অ ালোচিত হয়েছে। তবুও পূণঃব্যক্ত করতে হচ্ছে। উ্ক্ত তিনটি কর্ম পশুকুলেও করে থাকে তারা জীবিকান্বেষায় এখানে সেখানে ছুটো-ছুটি করে জীবিকা সংগ্রহান্তে ঘুমোচ্ছে, মল ত্যাগ করছে। মানুষ যদি একই কর্মে সীমাবদ্ধা থাকে, তবে মানুষ ও পশু পর্যায় ভুক্ত হয়ে যায়। মানব পরিচয়ের স্বার্থকতা কোথায় ? মানব হিসেবে মানবিক দায়িত্ব কি? মানব, জীব জগতের সেরা জীব বলে দাবীদার যখন, দায়িত্ব ও রয়েছে সেরা নিশ্চয়ই । সে সকল বিধান সমূহ ঠিক ঠিক ভাবে পালিত হলেই মুক্তি সু নিশ্চিত। অন্যাথায় নরক শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সাজা থেকে মুক্তি পেতে হলে দায়িত্ব পালনে অলসতার অবকাশ নেই। আজাজিল শয়তানের চক্রে ধৃত যারা, তারাই ধর্মের প্রতি উদাসীন। উদাসীনতার কারণে সীমিত পার্থিব জীবনে এবং অনন্ত অসীম স্বর্গ সুখ হতে বঞ্চিত । যাদের সীমিত বিবেক কেবল তারাই উদাসীন। উদাসীতার কারণে র্ধম সম্পর্কে এবং স্রষ্টা সম্পর্কে বিবেকহীনভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসহীনতার কারণে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবে অর্থহীন মন্তব্য করে থাকে। বিবেকহীনতার কারণে মস্তিষ্ক বিকৃতির ন্যায় কর্মকান্ড ঘটিয়ে থাকে এবং নিজেকে স্রষ্টাপো বুদ্ধিমান বলে মনে করে। ফলে প্রকৃত মস্তিষ্ক বিকৃতির পরিচয় দেয় এবং তার বাক্যগুলো অর্থাৎ অর্থহীন বাক্যোক্তিতে পরিণত হয়। স্রষ্টা সম্পর্কে যে-যাই বুলকান কেন, তাতে স্রষ্টার কিছুই আসবে-যাবেনা। কিন্তু বক্তা বা উক্তি দাতা নিজেই ধ্বংস হবে। সময় মতো সতর্ক হয়ে নির্দেশিত দায়িত্ব পালনে রত থাকলেই মুক্তি পথ উম্মুক্ত থাকবে এবং বিধান বহির্ভূত কর্ম থেকে বিরত থাকবে।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-66687224736676230262013-06-25T22:44:00.003-07:002013-06-25T22:44:21.332-07:00মানব হিসেবে দায়িত্ববোধ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br /> বিশ্ব মানব সমাজ দায়িত্ববোধ থেকে আজ বঞ্চিত । জ্ঞানীগণ পার্থিব জীবনকে সাময়িক অর্থাৎ অস্থায়ী মনে করে। তাঁরা অহঙ্কার করে না, অহঙ্কার করবেই বা কেন? মানুষ কি জানে? জানার মধ্যে ধ্বংস ছাড়া কিছুই জানেনা। সবইতো মহান স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট। মানব কি আপন হতে আপনকে অর্থাৎ নিজ হাতে নিজেকে সৃষ্টি করতে পেরেছে? উত্তরে, না। নিশ্চয়ই মহান স্রষ্টা থেকেই সৃষ্ট। সে মহা শক্তিতো ‘আল্লাহই’ সমস্ত সৃষ্ট জগতের সৃষ্টি কর্তাই তিনি। তিনি সৃষ্টি করেছেন , হস্ত যুগল, পদ যুগল, কর্ণ যুগল, নাসিকা, মুখমন্ডল, জিহ্বা এবং আলা জিহ্বার মাধ্যমে স্বাদ উপলব্ধি শক্তি, হজম শক্তি, মলত্যাগ, দূষিত পানি বর্হিগমন ব্যবস্থা এবং স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মাধ্যমটি ইত্যাদি সৃষ্টিকর্তার দান নয় কি? ভোগ্য বস্তু বা উপাদান সমূহ মহা স্রষ্টার প হতেই তো জীবাত্মাগণ লাভ করে থাকে। মানবের অহঙ্কার কোথায়? মানব কিছুইতো সৃষ্টি করতে পারেনা। কীট -পতঙ্গ বা পশু জগতের কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা। সকল জীবাত্মাই স্রষ্টার সৃষ্টি থেকেই ভোগ করে থাকে । মানব এবং সকল জীবকুলে পারে শুধু স্রষ্টার সৃষ্টিকে রূপান্তর করতে। অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টিকে কেটে ছিড়ে ভেঙে চুর্ণ করে রূপান্তারের মাধ্যমে ভোগ করতে। পশুকুল কিন্তু রূপান্তর করার মতা লাভ করেনি। সরাসরি শুধু ধ্বংসই করতে পারে। মোট কথা সকল জীবাত্মাই ধ্বংসকারী শুধু মল সৃষ্টি করতে পারে আর কিছুই নয়। এ পবিত্র মর্ত্য ধরাটিকে একটি মলপিন্ডে পরিণত করেছে। পবিত্রকে অপবিত্রই করতে পারে। সৃষ্টির ধ্বংস এবং পবিত্রকে অপবিত্র করতেই স আর সৃষ্টিতে অম। উক্ত দতাই মানব লাভ করেছে। অর্থাৎ ভোগ বিলাসের উদ্দেশ্যে চুর্ণ-বিচূর্ণ না করলেতো ভোগ করা যায়না। ধ্বংসোদ্দেশ্যে দিক-বিদিক ছুটো- ছুটি করতে পারে, এটাই কি মানবিক কর্ম বা দায়িত্ব ? এ জন্যেই কি মানব সৃষ্টি? শুধু ভোগদ বিলাসের জন্যেই কি এ অত্যাশ্চর্য ভুবনে সাময়িক ভোগ করতে দেয়া হলো? কেন, কি কারণ? এর পেছনে যুক্তি ? যে কোন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পেছনে করণাতো নিশ্চয়ই থাকবে।<br /> ল্য করলে প্রতীয়মান হয় যে, সমগ্র সৃষ্ট সৃষ্টির কারণ হলো মানব সৃষ্টি। স্রষ্টা মানব সৃষ্টি করবেন এবং তদ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য সাধণ করবেন। মানব কিভাবে বাঁচবে? তাদেরকে বাঁচাতে হলে তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থাতো স্রষ্টাকেই করতে হবে। তাদের পানাহার,থাকার এবং স্বাস্থ্য সুস্থতার ল্য রেখে সু প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা সরূপ ইহকাল নামক বিশ্ব জগত সৃষ্টি করেছেন। মানুষ যখন ভোগ্যজীব সংগ্রহ করার আশা পোষণ করে তখন লালন পালন করার মত সুন্দর সুব্যবস্থা করতে পারে। পরে তা থেকে ব্যবহার বা ভোগ করতে পারে। লালন-পালনের ল্য হলো প্রয়োজন মেটানো। যখন যা-যে ভাবে প্রয়োজন হবে, তখন তা সেভাবে সেকাজে ব্যবহার করবে। এখন একটু দৃষ্টি নিবদ্ধ করার দরকার, স্রষ্টা কেন লালন পালনের জন্য মানব সৃষ্টি করলেন? স্রষ্টার কি কাজে আসেব চাষ করাবেন মোটা তাজা হলে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবেন, না ভোগ্য বস্তু হিসেবে ব্যবহার করবেন? না গাধা গোড়ার গাড়ী চালাবেন? না কুকুরের ন্যায় বাসস্থানের দরজায় বেঁধে রেখে চোর পাহারার কাজে নিয়োগ করবেন, না বীজ হিসেবে মাটিতে পোতে বপন করে খাদ্য হিসেবে খাদ্যোৎপাদন করবেন? কেন কি কারণে মানবকুল লালন পালন করবেন? মানব সৃষ্টির মূলে ল্য কি ছিলো ? ল্য ছিলো ইবাদত করানো , তাই মহান স্রষ্টা পবিত্র গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন জ্বীন এবং ইনসানকে কেবল আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি। সৃষ্টির ল্য সম্পর্কে, উক্ত উক্তির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প থেকে প্রকাশ করা হলো। এখন সে দিকেই নজর ঢালতে হয়। ইঙ্গিত ইশারা বা নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ ‘আল-ক্বোরানে’ লিপিবদ্ধ রয়েছে , মানব সৃষ্টির ল্য সম্পর্কিত বাণী “মা-খালাক্বতুল জ্বীন্নহ্ ওয়াল ইনসা ইল্লা লি-ইয়া বুদূন” অথ্যাৎ আমি জ্বীন এবং ইনসান অর্থ্যাৎ মানবকে আমার ইবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি-অন্য কোন কাজের জন্য নয়। মহান স্রষ্টা পরিষ্কারভাবে উদ্ধৃত করেছেন যে, উক্ত বাণীতে তোমরা বঝুতে পার যে, এটাই আমার মুল ল্য বা উদ্দেশ্য । এ ল্েযই আমার সৃষ্ট জগত সৃষ্টি। তারা আমার আদেশ বহির্ভূত কজে লিপ্ত হবেনা। তারা আমার কথা শ্রবনকারী এবং স্বরণকারী তারা আমার কথা অমান্য করবেনা এবং অবধ্যা হবেনা। তাদের নিকট এটাই আমার চাওয়া এবং পাওয়া। মানব সৃষ্টির ল্য এটাই। প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহান সৃষ্টিকর্তার মানব সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁর আদেশ পালন করানোর মাধ্যমে এক সুন্দরতম সৃষ্টিরাজ্য তৈরী করা। তাই তার আদেশ এবং নিষেধ সম্বলিত গ্রন্থ দিয়ে যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। জ্বীনকুল হচেছ অদৃশ্যমান, অশরীরি আত্মা। তাদের মধ্যেও আল-ক্বোরানের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী রয়েছে। তাদের সম্পর্কে ও বিস্তরিত আলোচনা রয়েছে তাঁর পবিত্র বাণীতে । জ্বানকুলের মধ্যেও জ্বীনরূপ শয়তান রয়েছে। মানবকুলে ও রয়েছে মানবরূপ শয়তান। যারা মন্দকাজে লিপ্ত মন্দ কর্মই তাদের শান্তি। অন্যদের তি সাধন করতে তাদের বিবেকে একটু ও বাঁধেনা। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাঁর বাণীতে বলেছেন, তাঁর ইবাদাত বা তাঁকে স্বরণ করা হবে? এ সৃষ্টজগত সমূহ যে মানবকুলকে দান করলেন, তাঁর এ দানের বিনিময়ে কি করলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে? কেউ যদি কাউকে স্বত্ত ত্যাগের মাধ্যমে কিছু দান করে থাকে, দান গ্রহণকারী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সরূপ দাতার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। যিনি সর্বদাতা, সর্বশক্তিমান অর্থাৎ যিনি সব কিছুই দান করেছেন, সে মহান দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। কৃতজ্ঞাতা প্রকাশের উপায় কি? তিনিতো দৃশ্যমান নন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিয়মাবলি এবং রূপ রেখা কি? সে সম্পর্কে ‘আল্লাহর’ প্রেরিত মহাপবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরানে’ বর্তমান রয়েছে এবং তা মহাপ্রলয় কিয়ামাত পর্যন্ত থাকবে। তা কার্যেেত্র প্রয়োগ করানোর জন্য যুগে-যুগে মহাত্মামানব অর্থাৎ মহামানব প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু আজ এ দুর্যোগ যুগে সে সকল মহামানবগণ অর্থাৎ যাঁদের মাধ্যমে তার বিধান সমূহ বা ব্যবস্থাপত্র সমূহ মানবকুলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে সকল অনুকরণীয় অনসরণীয় মহাত্মা ব্যক্তিবর্গ আজ কোথায় প্রশ্নটি অবান্তর, বর্তমান বিশ্ব মানবকুলের অমানবিক আচার আচরণে ব্যথাহত চিত্তে আবেগ প্রবণ থেকে প্রশ্নটি এসে গেলো।<br /> মহাত্মা মহামানব যে আর আসবেননা তা আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে। যত মহামানব এসেছিলেন সকলেইতো আপনাপন চিরস্থায়ী অবস্থানে অবস্থান করছেন। পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহামানবের আবির্ভাব আর ঘটবেনা। তা-হলে এ ইহকালীন যুগের মানবকুলের পথ নির্দেশনামুলক ইশারা কোথায়? সে ইশারাই রয়েছে ‘আল-ক্বোরান’ নামক মহা গ্রন্থে। তা অনুসরনে এবং অনুকরণের মধ্যেই মুক্তি অবধারিত-এটাই স্রষ্টার ওয়াদা। এ চলমান যুগটি এমন এক যুগে প্রবেশ করেছে, যে যুগে মানবের মানবতা নেই। মানীগণ মান থেকে, ছোটগণ আদর স্নেহ থেকে, দুর্বল ভিুকগন দয়া-দান থেকে বঞ্চিত । সমাজ নেই, নামাজ নেই, সহযোগিতা নেই। সবলগণ দুর্বলের ধার হাহাকার শুনেনা। মনে হয় যেন দুর্বলকে আরো দুর্বল দেখতে ভালোবাসে। দুর্বলগণ সচ্ছল হোক এটা যেন সবলদের কাম্য নয়। সবলগণ আরো সবল হোক এটাও যে দুর্বলদের কাম্য নয়। মোটকথা কেউ কারো মঙ্গলকাঙ্গি নয়। একে অপরকে মূল্যায়ন করেনা। অন্যের হক হরণকরতে দ্বিধ্ াকরেনা। পরের অধিকার হরণ করে যেন বাহাদুর হতে চায়। এ যেন পশু হতে নীচু এক বেনামী জীবকুল। শাসকগণ ও ক্রটি মুক্ত নয় নাগরিকগণের মধ্যেও শতকরা নব্বই পঁচানব্বই ভাগ ক্রটিপূর্ণ পরিলতি হচ্ছে। ক্রটিযুক্ত শাসক গোষ্ঠি যেন পশু আপো নিকৃষ্ট পর্যায়ে নেমে এসেছে। তারা তাদের মালিককে এবং নেতা বা সরকারকে মানতে চায় না। সরকার গুলো ও আপনাপন স্বার্থ রার জন্যে নিজ নিজ দেশীয় নাগরিকগুলোকে আয়ত্বে রাখতে চায়, দেশ বা জাতির উন্নতিতল্পে শাসনকার্য পরিচালনা করেনা। করতে পারেনা, করতে দেয়া হয়না। প্রত্যেকেই সুযোগ সন্ধনী। নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার মন-মানসিনকতা সম্পন্ন ব্যক্তি যে নেই , তাও নয়। যেখানে শতকরা নব্বইভাগ ক্রটি সম্পন্ন সেখানে শতকরা দশভাগ ক্রটি মুক্ত সম্পন্ন ব্যক্তিদ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয়। ফলে দেশ ও জাতি অনুন্নতই থেকে যায়। সুতরাং দেশ এবং জাতি অশান্তির জ্বলন্ত অনলে জ্বলতেই থাকে। যখন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ধোকাবাজ, মুনাফিক , নিমক হারাম, চোর-গুন্ডা ডাকাত তখন শুরু হয় মানুষে-মানুষে হানাহানি-মারামারি, খুনাখুনি, ঝগড়া-বিবাদ, অন্যের সম্পদ হরণ করে জ্ঞানী-বুদ্ধিমান এবং চতুরতার পরিচয় দেয় এবং শয়তানি চক্রজাল ফেঁদে পেছন থেকে আক্রমন করে ফাঁদ ফেলে আক্রান্ত ব্যক্তির সামনে এসে অভিনয সূচক হা-হতাশের মাধ্যমে দয়ার ভাঁন প্রদর্শন করে। যেমন বর্তমানে ইরাক এবং আমেরিকার মধ্যেকার সংঘটিত ঘটনা। আমেরিকা ইরাকের বিরুদ্ধে মিথ্যা কারণ সৃষ্টিকরে ইরাক দখল করে নিলো। এ এক জ্বলন্ত অত্যাচার আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ জ্বলন্ত অত্যাচারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। অন্য দিকে ইরাকী প্রেসিডেন্ট ভালো হোক আর মন্দই হোক তা তার ব্যাক্তিগত বিষয়। বর্তমান ঘটনার পরিপ্রেতি তার ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর নজরদারী করার কোন অধিকার করো আছে বলে মনে হয়না। তার ব্যক্তিগত চরিত্রের ওপর নজরদারী করার অধিকার তাঁর দেশীয় জনগণেরই । অন্য দেশের নয়। বর্তমান ঘটনার প্রেেিত সাদ্দাম একজন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে অত্যাচারিত অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ তার ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব যত ভালো এবং মন্দই থাক, তার প থেকে ইরাকের ওপর ঘটনার প্রেেিত ‘বুশ’ একজন আন্তর্জাতিক নজরে ভয়ঙ্কর জ্বলন্ত অত্যাচারী জালিম মিথ্যুক কাপুরুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। দু’ মেরুই অমরত্ব লাভ করলো। ল্যকরা যাচ্ছে যে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন জ্বলন্ত অত্যাচারিত হিসেবে অমরত্ব লাভ করলো। দ’জনই বিশ্বের ইতিহাসে নিজ নিজ গুণ্য-গুণের উপর চির অমর হয়ে থাকবে। ‘বুশ’ এবং সাদ্দাম এর কর্মকান্ডের এরূপ অবস্থানগত ঐতিহাসিক ঘটনা উপলে এ চলমান লেখার সারিতে কবিতা নিজ নিজগুনে স্থান করে নিলো। <br /> আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ এবং বৃটিশ মন্ত্রী ‘ব্লেয়ার’ যে কান্ড ঘটিয়েছে, অর্থাৎ যেভাবে চরম অন্যায় ভাবে ইরাক দখল করে নিলা। ঘটানাটি যে কথিত ব্যঘ্র এবং ছাগল সাবকের মধ্যেকার পানি ঘোলা গল্পের মতই। ব্যঘ্র, ছাগল সাবকে বল্লো হে ছাগলের বাচ্চা!<br /> আমি পানি পান করতে তুই পানি ঘোলইশ্ কেন? ছাগলের বাচ্চা বল্লো বাহঃরে, আমি পানি ঘোলাচিছ কোথায়? আমি তো তোমা হতে নীচু জা’গায়, তোমার দিক হতেইতো পানি আমার দিকে রহমান, আমার দিক হতে কি করে পানি তোমার দিকে যাচ্ছে এটাতো ভুল কথা বলছ। তদোত্তরে ব্যঘ্র বল্লো, আরে তুই ঘোলাইশনে তোর বাপ-দাদ! ঘোলিয়েছে,তোকে আমি খেয়ে ফেলবো। তোকে কিছুতেই ছাড়বোনা। ছাগল সাবক বল্লো, বুঝতে পেরেছি নিঠুর ব্যঘ্র, মূল কথা হলো, তুই আমাকে খাবি। সেটাই বল! উপরোক্ত ইরাক, আমেরিকার মধ্যেকার ঘটনাটি ঠিক-কথিত, ব্যঘ্র এবং ছাগলের বাচ্চার গল্পের মতই। বুশ-ব্লেয়ার মিথ্যাচারের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেই প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান বিশ্বে কি ধলনের জালেম অত্যাচারীর, মিথ্যুকের, ধোকাবাজের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান যুগটা যেন চরম মিথ্যা, ধোক,জুলোম এবং অত্যাচারের যুগ চলছে। লজ্জাহীন শাসক কিন্টনের ন্যায় অসংখ্য লজ্জাহীন জন্ম নিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে উল্টো হওয়া প্রবাহমন। এ যুগে লজ্জাহীনের প্রতিবা করাটাই যেন লজ্জাহীনতার পরিচায়ক। মিথ্যা-ধোকাজ-জালেম এবং অত্যাচারের প্রতিবাধ করলে যেন প্রতিবাদীকেই মিথ্যূক , ধোকাবাজ জালেম এবং অত্যাচারীরূপে প্রতীয়মান হয়। ক্রটি মুক্ত থাকছেনা, থাকতে দিচেছনা । বর্তমান সমাজ যে ক্রটি যুক্তদের নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনি গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন এ কালটি । যে ব্যক্তি বিশেষ জ্ঞানের, বিবেকবুদ্ধির ,সচেতনতার, সত্যবাদিতার এবং হুশ মানের দাবীদার সে যদি তার কর্ম কন্ডের মাধ্যমে বুদ্ধিহীনতার, অবিবেচকের , অজ্ঞানের অসচেতনতার, বেহুশের এবং মিথ্যা বাদিতা প্রতীক চিহ্ন বহন করে। তাকেই বিশ্বের বেহুশ বলা চলে। যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশ এবং বৃটিশ মন্ত্রী ব্লেয়ার। তাদের কর্মকান্ডে বিশ্বের সেরা বেহুঁশের পরিচয় বহন করছে। তারাতো আজাজিল শয়তান নয় কিন্তু শয়তান হয়তো কোন এক সুযোগের সদ্ব্যবহার কর তাদের উভয়ের মস্তিস্কে প্রবেশ করে সু-বিবেকের দ্বারটি রূদ্ধ করে দিয়েছে। তাই তারা বোধীরানুরূপ বিশ্বকে উপো করে ইরাকে অন্যায়ভাবে যুদ্ধ সয়ঘটিত করে নির্বিচারে অত্যাচা চলিয়েছে। সু এবং কু এ দুয়ের মধ্যেকার ব্যবধানটুকো ভুলে গিয়ে শয়তানের মতোই উক্তি করেছে। যেমন- কোন এক কথিত গল্প থেকে, গল্পের মধ্যে বর্ণিত কথা, কোন এক শয়তানের নেতা অন্য শয়তানকে বলেছিলো, আরে ভাই শয়তান, তুমি একান্ড ঘটালে কেন? এতগুলো প্রাণ আকারেণে ধ্বংস হয়ে গেলো। উত্তর দাতা শয়তানটি উত্তরে বল্লো, আরে ভাই আমিতো একাজ করেনি। আমরা কয়েক সংখ্যক একত্রে দলবদ্ধভাবে মিলে মিশে লোক চলাচলের পথে খেলা করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি বাজার থেকে গুড় নিয়ে উক্ত পথ ধরে যাচ্ছিলো। তখন আমার অন্তরে কৌতূহল জাগলো যে, আজ পিপিলিকাদের একটু উপকার করবো। তখন এক গুড় ওয়ালাকে ধাক্কা দিয়ে একটু গুড় ফেলে দিলে, পিপিলিকাগণ তা খেয়ে আনন্দ পাবে। তাই আমি কৌতকের চলে লোকটিকে একটু ধাক্কা দিয়েছিলাম। তাতেই লোকটির ভান্ড থেকে একটুখানি গুড় পড়ে গিয়েছিল। আমি আমার কর্মকরে চলে এলাম, আরতো খবরই রাখিনি। তুমিতো খবর রাখোনি কিন্তু তোমার উক্ত অবৈধ কর্মের ফলে কতগুলো নিরিহ নির্দোষ প্রাণ ধ্বংস হয়ে গেলো। প্রশ্ন: কি ভাবে? তুমি ফেরার পরনেই পিপড়ার দল সে পতিত গুড় খেতে এলে, পিপিলিকা খেতে এলো টিক টিক ,টিকটিক মারতে এলো একটি বিড়াল, বিড়ালকে মারতে এলা একটা পালিত কুকুর, বিড়ালটি যখন মেরে ফেল্লো, বিড়াটি ছিলো পারিত, বিড়ালটিকে মৃত দেখে বিড়ালের মালিক লোক দল নিয়ে কুকুরটিকে মারলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষাণা করলো, বিড়াল এ বং কুকুর দলের মধ্যে যুদ্ধ সংঘঠিত হলো তোমার অবৈধ কৌতূহলের ফলে, অকারণ, অবৈধ যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার কতিপয় সংখ্যক নির্দোষ প্রাণ অনন্তাদৃশ্যে চিরতরে বিলীন হয়ে গেলো। <br /> মিথ্যুক কাপুরুষ ধোকাবাজ অবিবেচক বিশ্বের বেহুশ বুশ এবং ব্লেয়ারের উক্তিটি ঠিক কথিত শয়তানের উক্তিটির মতোই উক্ত শয়তান ও বলেছিলো আমিতো কিছুই করিনি, আমি শুধু পিপিলিকার একটু উপকারই করেছিলাম। ‘বুশ এবং ব্লেয়ার’ ঠিক শয়তানের উক্তিটির পুনরাবৃত্তি করলো । বুশ এবং ব্লেয়ার ঠিক শয়তানের মতোই বল্লো আমরা তো ইরাক জনগণের উপকারই করতে গেলাম। তাদেরকে সাদ্দাম-এর কবল থেকে মুুক্তি দিয়ে সুখি করতে চেয়েছিলাম। শয়তান যেমন-অকারণে পথিকটিকে ধক্কা দিয়ে, গুড় ফেলে, অকারণ যুদ্ধে অবর্ণনীয় তি সাধন করেছিলো। বুশ-ব্লেয়ারের যুদ্ধটি ঠিক উক্ত শয়তান পিপিলিকা এবং টিকটিক আর বিড়াল সম্পর্কিত উদ্ধৃত সংঘটিত ঘটনার মতোই হনে হচ্ছে। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, ল্য করুন, বুশ এবং ব্লেয়ারের ‘ইরাক’ সম্পর্কিত সংঘঠিত ঘটনাটি সঠিক ছিলো কি? তা যে সঠিক ছিরলোনা, বিশ্ব পর্যবেক মহলে ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত হয়েছে। যে বায়না বা কারণ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়ে তৈল সমৃদ্ধ একটি দেশ ধ্বংস করে দেয়া হলো, শত-শত পরীক নিরিক, পরিদর্শক নিয়োগ করেও উক্ত প্রদর্শিত কারণটি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে প্রদর্শন করাতে পারেনি। সঠিক সময়ে প্রশ্নোত্তর সঠিকভাবে তা প্রদান বা প্রদর্শন করতে না পারলে পরিবর্তিতে সঠিক হলেও তা গ্রহনযোগ্য হয়না। বুশের বেলায়ও ঠিক তাই হলো।পরীার্থীকে যেমন অনির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়না, তেমনি বিশ্ববাসীও যুদ্ধের সঠিক কারণ প্রদর্শন করানোর জন্যে বুশ এবং ব্লেয়ারকে সীমাহীন সময় দেয়নি। প্রদত্ত সীমিত সময়ের মধ্যে সঠিক কারণ প্রদর্শন করতে পারেনি। তিনটি মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রমাণপত্র পেশ করলে ও তা নকল মিথ্যা এবং বানানো বলে গণ্য হবে। এখন বুশ এবং ব্লেয়ারকে নিজের বিচার নিজেরাই করতে হবে। যেমন মিশরের খোদায়ী দাবীদার বাদশা ফেরাউন নিজের বিচার নিজের পইে করেছিলো, যদিও সে বুঝতে পারেনি । তার বিচারের রায় তার বিপে যাচ্ছে বলে বুঝতে পারলে হয়তো সে এ রায় থেকে বিরত থাকতো। সে কথিত ফেরাউনের রায়টির ওপর একটু আলোকপাত করতে হয়। ফেরাউন যখন নিজকে খোদা বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে দাবী করে সিংহাসনে আরোহন করলো, তখন তার দেশের জনগণ তার দরবারে আবেদন নিবেদন করতে শুরু করলো। এমনি এক সময় আসলো, দেশে অনাবৃষ্টির কারণে ফসল হচ্ছিলোনা। তখন জনগণ বাদশাহর দরবারে এসে বৃষ্টির জন্য আবেদন জানালো, তখন ফেরাউন বাদশাহ বেকায়দায় পড়লো, কিভাবে বৃষ্টি বার্ষাবে? মূলতো সেও অন্যান্যদের মতোই স্রষ্টার সৃষ্টি। তার তো কোন মতাই নেই। অনুন্নোপায় হয়ে রাত্র-নিশিতে অর্থাৎ মধ্যরাতে একাকি চলে গেলো মরুভূমির লোকান্তরালে এক অন্ধকার জা’গায়। তথায় সৃষ্টি কর্তার নিকট অতœসমপূণ করে বাল্লো, হে মালিক মহান স্রষ্টা আল্লাহ, মূলতঃ তুমিই সৃষ্টিকর্তা সর্ব শক্তিমান। যখন যা ইচ্ছে, তুমিই তখন তা করতে পার। আমিতো অন্যান্যদের মতো তোমারি সৃষ্টির মধ্যে এক গোলাম। আমায় মা করো। শয়তানের ধোকায় পড়ে খোদায়ী দাবী করে বসেছি। তুমি মা না করলে, আমায় মা করবে কে? তুমি যে একক অদ্বিতীয় একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। তুমি আমায় মা করো। আগামীকাল তোমার রহমতের বৃষ্টি বর্ষও। তা না হলে লোকজন আমাকে এবং আমার সব ধবংস করে দেবে। ঠিক তখনি মহান আল্লাহ বার্তা বাহক জিব্রাইল (আঃ) কে শর্তের বিনিময়ে মা প্রদর্শনের মাধ্যমে বৃষ্টি বর্ষণ করিয়ে ফেরাউনের আবেদন পূর্ণ করবেন বলে ফেরাউনের নিকট পাঠিয়ে দিলেন। জিব্রাইল (আঃ) এসে শর্তটি ফেরাউনের সামনে তুলে ধরলো। শর্তটির মধ্যে ছিল-হে ফেরাউন, বলতো! যে মালিকের আদেশ এবং নিষেধ অমান্য করে এবং মালিকের খেয়ে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা, তার কি ধরনের সাজা শাস্তি হওয়া উচিত? ফেরাউন তা শুনে বল্লো, এমন ব্যক্তিকে নীল দরিয়া ডুবিয়ে মারা উচিত। তখন জিব্রাইল (আঃ) বল্লেন, তোমার এ উক্তির পরিপ্রেেিত এ পত্রে তোমার স্বার প্রদান করো! আমি এবং আল্লাহ এবং তুমি নিজেই তোমার এ উক্তির সাী এবং তোমার স্বারটি তারই প্রমান বহন করছে। যাও দরবারে! কাল বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি ঠিকই হলো, কিন্তু ফেরাউন তার পূর্বাবস্থায় ফিরে গেলো এবং জনগণের নিকট আরো জোরলোভাবে পূণঃ খোদায়ী দাবী করে বসলো । হযরত মূসা (আঃ) কে যখন দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে পিছু ধাওয়া করলো, মুসা (আঃ) নীল নদ পার হলেন। কিন্তু ফেরাউন যখন নীল নদের মধ্যখানে গেলো, তখন উভয় দিক থেকে পানি এসে একাকার হয়ে গেলো। ফেরাউন সাঁতার জানতো না বিধায় পানির তরঙ্গে হাবু ডুবু খেতে খেতে মরণোম্মুখ হয়ে গেলো , তখন আল্লাহাকে ডেকে ডেকে, বাঁচও বাঁচও বলে চিৎকার করতে লাগলো। ঠিক তখনি ফেরাউনের রায়কৃত স্বার সম্বলিত পত্রটি তার দৃষ্টিতে ভেসে উঠলো। তার নিজস্ব রায়, মুনাফিক নিমকহারামের এবং আদেশ অমান্যকারীর সাজা নীল নদীতে ডুবিয়ে মারার স্বার সম্বলিত পত্র দর্শন করে নিরাশ হলো আবশেষে ডুবে মরলো। তাই বুশ-ব্লেয়ার নিজেদের বিচার নিজেদেরই করতে হবে এবং সে বিচারে তাদেরকেই ডুবে মরতে হবে। প্রাথমিকাবস্থায় জ্যান্ত মৃত্যুই ঘটেছে। বিশ্বে যাদের নাম বিথ্যুক কাপুরুষ ধোকাবাজ জালেম অত্যাচারী হিসেবে ঘোষিত হয়েছে বিশ্ব সমাজে, তাদের জীবন্ত মৃত্যুই সংঘঠিত হয়েছে। তাদের জীবন হয়েছে কলঙ্কিত , লজ্জিত, অপমানিত, ধিকৃত। বিশ্বের মানবকুল তাদের প্রতি ধিক্কার এবং থুক থুক শব্দ নিপে করে যাচ্ছে। ধিকৃত জীবন হয় মৃত প্রায়। বাঁকি রয় শুধু কলঙ্কিত ধিকৃত লজ্জিত অপমানিত অপবিত্র দেহ হতে আত্মাটুকু <br /> অনন্তাদৃশ্যে চির অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার অপোয়। মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টিকারী, জাতি সংঘের আদেশ তথা বিশ্বের আদেশ অমান্যকারীর বিচার বিশ্ববাসী করবে। তা-না হলে বিশ্ব আবার আদিম যুগে ফিরে যাবে। অসভ্য যুগের সৃষ্টি হবে আবার। অন্ধকার বলয়ে ঘুর পাকা খেতে খেতে ধ্বংস হয়ে যাবে ্এপৃথিবী । অন্যদিকে ল্য করলে বুঝা যাবে, বুশ-কর্মটি বিশ্বের জন্য সতর্কতা মূলক ঘটনা বটে। বিশ্ববাসী সতর্ক দৃষ্টি রাখাবে যে, এ ধরনের মিথ্যা অজুহাতে আর কোন ঘটনা যেন সংঘটিত না হয়। একটা প্রচলিত কথা বলতে হয়, তা হলো “ধাক্কা খেলে পাক্কা হয়” । আর যেন ধাক্কা খেতে না হয়, বিশ্ব সে ল্েয সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বলে মনে করি। বিশ্ব উদাসীনতার সমুদ্র যেন সাঁতার না কাটে। উদাসীনতার সুযোগে শয়তান প্রবেশ করে বেং সু-বিবেকের দ্বার বদ্ব করে। বিভ্রন্তি সৃষ্টি করিয়ে অতল গহ্বরের অন্ধকারে নিপে করে। তাই সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করলে সাধারণত বিপদ ম্ক্তু থাকার সম্ভাবনা থাকে। ইরাকবাসী এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমূহ সাবধান হবেন এটাই প্রত্যাশা। প্রেসিডেন্ট বুশের উপরোক্ত সমালোচনাটি এজন্যে করা হলো বিশ্ববাসী যেন এ প্রবাদ বাক্যটি ভুলে না বসেন যে, জোর যার রাজ্য তার” । যারা বুশ সাহেবের মত নব যুগের সূচনা করতে চান, অর্থাৎ আদিমযুগের পূণরাবৃত্তি ঘটাতে চান, কেবল তারাই তার অনুসারী হতে পারেন। উপরোক্ত মন্তব্যটি আমার ব্যক্তিগত আবেগ প্রবণ মন্ত ব্য বলে মনে করা ঠিক হবেনা। বর্তমানযুগ এমন এক যুগ, যেন যার মধ্যে সভ্যতার লেশ্ নেই। <br /><br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-78954397848879304742013-06-25T22:36:00.004-07:002013-06-25T22:36:16.810-07:00 দেখার বিষয়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
ধর্ম প্রতিষ্ঠার ভিত্তি কোথায় কত শক্ত? কোথায় কত নরম বা নড়বড়ে, যারা ঈশ্বর, ভগবান এবং দেবতা নামের উপর ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে তার শক্ততা কত? ঈশ্বর-ভগবান এবং দেবতা এ তিনটি শব্দ হচ্ছেহ ধর্মের ভিত্তি মূলক শব্দ। এ সম্পর্কে বেশি কথা না বাড়িয়ে স্বল্প কথায় বলা যায় এ তিনটি শব্দের প্রত্যেকটি দ্বিবাচক বা দ্বিবচন শব্দ, অর্থাৎ প্রত্যকটির বিপরীত শব্দ রয়েছে। যেখানে পরিত-বিপরীত অর্থাৎ অনুকূল প্রতিকূল যেখানে অনুকূল প্রতিকূল একই বৃত্তে অবস্থান করছে সেখানে এক অপরের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা এবং ভয়-ভীতি অশান্তির সম্ভবনাও সূর্যের মত উজ্জ্বল। সেই বৃত্তে বা ঘরে কোন প্রাণীর পইে শান্তিতে নিদ্রার আশা-দূরাশা। যেখানে শান্তির আশা করা যায় না, সেখানে বসবাস করাও সম্ভব হয় না। যে বৃত্তে বা ঘরে কোন প্রকার ভয় ভীতি থাকেনা সংঘর্ষে ভেঙে পড়ার আশংকা থাকেনা সেই বৃত্তের বা ঘরের ভিত্তিতে হচেছ শক্ত অনড়। যে বৃত্তে বা কে অনুকূল প্রতিকূল অর্থাৎ স্ত্রীলিঙ্গ পূংলিঙ্গ আর্থাৎ নারী পুরুষ অবস্থান করে, সেখানে যে কোন দিক হতে যে কোন প্রকারের সংঘর্ষের সম্ভবনা উজ্জল। সুতরাং তৎকরে শান্তি তিরোহীত এবং তা সুর্যের ন্যায় সত্য। এখন ল্যনীয় হচেছ, ঈশ্বরের প্রতিশব্দ ঈশ্বরী অর্থাৎ পুরুষ ঈশ্বর এবং নারী ঈশ্বর।<br /> ভগবান’ শব্দের প্রতি শব্দ ভগবতী অর্থাৎ পুুরুষ ভগবান এবং নারী ভগবান। এবং দেব বা দেবতা শব্দের প্রতি শব্দ দেবী অর্থাৎ ‘পুরুষ’‘দেব’ এবং নারী দেব বা দেবী। প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ঈশ্বর ভগবান দেব এই শব্দ গুলো দ্বিবাচক বা প্রতিশব্দ মুলক শব্দ। সুতরাং এউক্ত শব্দ গুলোর ওপর ভিত্তিকরে যে সকল ধর্ম প্রতিষ্ঠিত, চিন্তার বিষয় হচ্ছে সেই ধর্ম গুলোর ভিত্তি কত শক্ত বা মজবুত? ‘গড’ এর প্রতিশব্দ ‘গডেজ’ অর্থাৎ পুরুষ গড এবং নারী ‘গড’ আর্থাৎ ঈশ্বর এবং ঈশ্বরী , দ্বিবাচক বা প্রতিশব্দ মূলক শব্দ। সুতরাং সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। বক্র রেখার মধ্যে সরল রেখার আশা অবান্তর। অর্থাৎ বক্রতার মধ্যে সরলতার আশা দুরাশা। বক্রপথের মধ্যে সরল পথের আশা বা আকাঙ্খা অর্থহীন । বক্র পথে অর্থাৎ আঁকা-বাঁকা পথে সংঘর্ষের সম্ভবনাই থেকে যায়। একটি গাড়ি যখন বাঁকা স্থান অতিক্রম করার সময় মোড় ঘুড়াতে যায়, তখনই বিপরীত গামী গাড়ীটির সাথে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেশি বেশি রয়ে যায়। সরলতার সরল পথের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা তেমন থাকেনা বল্লেই চলে। মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ তাঁর পবিত্র বাণীর মধ্যে “ছিরাতল মুস্তাক্বীম” অর্থাৎ সরল পথ বলে উল্লেখ করেছন। অর্থাৎ মুক্তিকামীগণকে সদা সরল রেখায় সরল পথে চলার আদেশ প্রদান করেছন। কারণ সরল রেখায় সরল পথে বা সরলতার মধ্যেই সাধারণত শান্তি সুখ নিহিত এবং সংঘর্ষ মুক্ত ব্যক্তিই সমাজে, রাষ্ট্রে শান্তি সুখ অনুভব করতে পারে। এ শান্তি সুখের নামই হচ্ছে স্বর্গ বা জান্নাত। ধমীয় আলোকে যে ব্যক্তি ধারায় স্বর্গ সুখ অর্থাৎ অবর্ণনীয় অপরুপ, অসাধারণ সুন্দর্যের লীলা নিকেতন, অবিরাম দৃশ্যমান, স্রোতস্বিনী মিষ্টি মধুর বহমান নহর ধারা এবং ফলে ফুলে ভরা বাগানে নৃত্যরতা অপরুপা, মোহময়ী কায়ীনী, দর্পন শরীনি, মায়র নি, ললীনী তরুনীদের এবং মহান আল্লাহর দর্শন সম হন। অদ্বিতিয় আাল্লাহর উপর এবং তাঁর প্রেরিত পুরুষ হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর উপর এবং আল-ক্বোরানের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করার নামই হচ্ছে ঈমান এবং যখন মহান স্রষ্টা সমস্ত জগত ধ্বংস করে আদল কেদারায় অসন পেতে বিচার কার্য সম্পন্ন করবেন সে মহা প্রলয়ের দিন অর্থাৎ “কিয়ামাতের” দিনটির উপর এবং আল্লাহর আদেশে মান্যকারী ফেরেশতাগণের উপর গভীর বিশ্বাস স্থাপন করার নাম-ই ঈমান। উক্ত বিষয়াদিগুলোর উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারলেই মুমীনের সারীতে আসতে সম হয়। সারিতে আনার বা সারিতে আসার পেছনে কিছু কারণতো রয়েছে নিশ্চয়ই। তা-হালো সারিবদ্ধগণের উপর স্রষ্টার প হতে নিয়ম বিধান আরোপিত হয়েছে, সে নিয়ম বিধান গুলোকে পুঙ্খনোপুঙ্খরূপে জীবনের প্রতিটি কর্মের উপর তার প্রতিফলন ঘটানো। প্রতিফলন ঘাটাতে পারলেই পূর্ণ ঈমানী মুমীন হতে সম হয়। প্রকৃত মুমীন হতে পারলে পূর্ণ মুক্তি অবধারিত। নিয়মনীতি বা বিধান সমূহ দর্শনে আল-ক্বোরান এবং হাদীস লণীয়। উক্ত বিধানসমূহ কায়মনো বাক্যে অর্থাৎ <br /> অন্তরে দৃঢ়তার সাথে ধারণ করতে হবে। তবেই এ জীবনে এবং পরানন্ত জীবনে শান্তি অবধারিত। মহান করুনাময় আল্লাহ শুধু মানবকূলের জন্য বিধান তৈরি করেছেন তা নয়। সৃষ্ট জগতের শৃঙ্খলা রার জন্যে যে বাহিনী নিয়োগ করেছেন তাদেরকে আমরা সাধারণত ফেরেশতা বলি থাকি, তাদেরকে ও বিধান দিয়েছেনে। তাদের মধ্য থেকে কারা কোথা কতজন, কিভাবে কাজ করবে তার নিয়ম নীতি উক্ত গ্রন্থে বর্তমান রয়েছে। উদ্ভিধ অর্থাৎ বৃরাজি এবং অন্যান্য প্রাণীকূলের জন্যে ও বিধান রয়েছে, মোট কথা সৃষ্ট জগত সমূহ স্রষ্টা প্রদত্ত বিধানানুসারেই পরিচালিত হচ্ছে। গ্রহ, উপগ্রহ নত্ররাজী এবং গ্যালাক্্ির, নিহারিকা ইত্যাদি যা-ই বলুননা কেন সবাই আপনাপন কপথে চলমানাবস্থায় রয়েছে অর্থাৎ চালাচ্ছে। নিয়ম বা বিধান ব্যতিক্রম ঘটছেনা, ব্যতিক্রম ঘটলে ধ্বংস অবধারিত। যেমন উল্কা কচ্যুত বা দলচ্যুত হলেই ধ্বংস হয়ে যায়, যা প্রতি রজনীতে প্রতি নিয়ত ঘটছে এবং তা মানব দৃশ্যে দৃশ্যমান, জীবাত্মাগুলো আগমন প্রত্যাগমন করছে। এ নিয়ম মহা প্রলয় পর্যন্ত চলতে থাকবে। বৃ লতা অর্থাৎ সমস্ত উদ্ভিদ জগতেই আপনাপন গুণানুযায়ী স্রষ্টা প্রদত্ত নিয়মেই প্রকাশ এবং বিতরণ করা যাচ্ছে। পশু প্রাণী জগতকেও নিজ নিজ জীবিকা নির্বাহ করার নিয়ম পদ্ধতি বুদ্ধি জ্ঞান বিবেক প্রদান করেছেন সে অনুযায়ী তার জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে। তাদেরকে যে আক্বল জ্ঞান প্রদান করেছে, সে আক্বল জ্ঞান দ্বারা ভালো মন্দ পার্থক্যতা বিচার বিবেচনা করে, যা পছন্দ তা-ই গ্রহণ করে, যা পছন্দ নয়, তা পরিহার বা পরিত্যাগ করে। গরম ঠান্ডা অর্থাৎ শীতল তাপ শান্তি অশান্তি প্রভৃতি বুঝাতে পারে। আপধ বিপদ নিরাপদ সম্পর্কেও অবগত হয় এবং বিপদ মুক্ত নিরাপদাশ্রয় গ্রহন করে। আপনাপন সন্তান-সন্তদি লালন-পালন করে। দুষ্মনের আক্রমন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। যে যাকে স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে তাকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে বসবাসযোগ্য বাসস্থান বা বাড়ী নির্মান করে এবং বিশ্চিন্তাবস্থায় জীবিকা নির্বাহ করে। হাতী-শৃগালে জোড় বাঁধেনা। অর্থাৎ স্ব-জাতির মধ্য হতেই সাথী নির্বাচরন করে থাকে । পঁচা-গলা ভালো-মন্দ ব্যবধান বা পার্থক্য তারা বুঝতে পারে। স্ব-স্ব জাতের মধ্যে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে হবে এটাও তারা জানে। পশু-পাখিদের মধ্যে ও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যও মাধ্যাম থাকে।<br /> আমার প্রত্য অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একটা মাধ্য ম কুকুরের বহু চেষ্টা প্রচেষ্টার বা তদবীরের পরই একটি নারী কুকুর এবং একটি পুরূষ কুকুরের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে দিতে সম হয়। সকল প্রাণীকূল তাদের নিজ নিজ বা স্ব-স্ব শরীর সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে ও জ্ঞাত থাকে । বিপদ-আপদ সম্পর্কে ও পূর্ব ভাস বা সতর্ক বার্তা প্রেরণ করতে পারে। সঙ্কেত পাওয়ার সাথে সাথে যারা নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে, তারা রা পায়। আর যারা বার্তা পাওয়া সত্ত্বেও অবহেলা করে, বা আশ্রয় লাভে সম হয়না, তাদের হয়তো সে সঙ্কট কেটে উঠা ও সম্ভব হয়না। মানবকুলে ও তা-ই পরিলতি হয়। ল্য করে থাকতে পারেন যে, কাক পাখিদের মধ্যে প্রায় শঃই দেখা যায়, কোন কারণ বসতঃ কোন একটি কাক যদি বিপাদগ্রস্ত হয়, বিপদগ্রস্ত কাকটি যখন বিপদ সঙ্কেত মূলক শব্দে চিৎকার করতে থাকে দূর-দূরান্ত থেকে কাকগুলো পিবদগ্রস্ত কাকটিকে উদ্ধারে অতি দ্রুত ধেয়ে আসে এবং সমবেতভাবে বিপদ সঙ্কেত মূলক শব্দের গতি বাড়িয়ে অতি বিকট কর্কশ সুরে আওয়াজ বা চিৎকার করতে থাকে। উদ্ধারে অকৃতকার্য বা ব্যর্ত হলে, উপস্থিত সকলই জড়ো হয়ে অর্থাৎ এক জা’গায় একত্রিত হয়ে কিছু সময় শোক দঃখ প্রকাশের পর আপনাপন দায়িত্ব বা জীবিকান্যেষায় ছুটে যায় বা কর্মস্থলে চলে যায়। মোট কথা পশু পাখিরও জীবনে ঁেবচে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা জ্ঞান মানবের ও রয়েছে। এতদ সত্ত্বে ও মানবকুলকে বিশেষ জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে, যা প্রাণীকুলকে অর্থাৎ পশু পাখিকে দেয়া হয়নি। মহান করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টি জগতকে চুকরো টুকরো, চর্ণ বিচূর্ণ, পিষে পিষে, চুষে উপভোগ করছে। আগুন-পানি-মাটি- বাতাস সূর্য কিরণ থেকেই মানব স্বার্থ উদ্ধার করছে। অগ্নিদ্বারা খানা পাকাচ্ছে। কাষ্ঠ পোড়াচ্ছে, অলঙ্কার এবং অস্ত্র তৈরী করছে। কাসরা, মল, বর্জ্য পুড়িয়ে বিশুদ্ধ করছে। পানীয় বিশুদ্ধ করছে এবং মাটি পুড়িয়ে পাকা বাড়ি ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। মাটিকে কুপিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো চুর্ণ বিচুর্ণ , ধুলো ধুলো করে পানিদ্বারা কেদো কেদো করে খাদ্যাহার চুষে নিচ্ছে। খনিজ সম্পদ বের করে ভোগ করছে। পুথিবীটাকে চিতল পিঠে করে দিচ্ছে অর্থাৎ জ্বালি জ্বালি অর্থাৎ ছিদ্র ছিদ্র করে দিচ্ছে। মাটি দ্বারা বাড়ী এবং ব্যবহিরক পাত্র তৈরী করছে। লৌহ এবং পাথর দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।<br /> পানিকে পানির হিসেবে বিশুদ্ধ করে পান করছে, যার অপর নাম জীবন রেখেছে। পানিকে বিভিন্নাকারে রূপান্তর করে পান করে থাকে। পানি থেকে বিদ্যুৎ বা আলো পাচ্ছে। পানি ব্যতীত খাদ্যোৎপাদন সম্ভব নয়। এক কথায় পানি ব্যতিরেকে যে ক-দিন বয়সীমা রয়েছে, তা অতিক্রম করা অসম্ভব। পানি ছাড়া জলজ প্রাণী ভোগ করা যায়না। অর্থাৎ পানি ছাড়া জলজ প্রাণ বাঁচেনা, তাই জলজ প্রাণ ভোগ করা সম্ভব নয়। পানি ছাড়া কোন প্রাণই বাঁচতে পারবেনা। হিসেব বিহীন তা ভোগ করে যাচ্ছে।<br /> পানি না হলে যেমন প্রাণীকুল বাচেনা, তেমনি বাতাস না হলে প্রাণীকুল বা জীবজগত ও বাচবেনা। পানিকে যেমন বিশুদ্ধ করতে হয় বা শুদ্ধতার প্রয়োজন হয়,তদরূপ বাতাস ও বিশুদ্ধ বা শুদ্ধতার প্রয়োজন রয়েছে। দুষিত বাতাসে অক্সিজেনের অভাব থাকে, তাই অক্সিজেন ছাড়া মানব বাঁচা সম্ভব নয়। মানুষ অক্সিজেন গ্রহণ করে বেচে থাকে। উদ্ভিদকুল অক্সিজেন ত্যাগ করে কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহন করে। মানব কার্বনডাই অক্সাইড ত্যাগ করে এটা স্রষ্টার অত্যাশ্চর্য্য অপার মহিমা নয় কি? বাতাস দ্বারা প্রাণীকুল শীতলতা গ্রহণ করে উষ্ণ বা শুল্ক বাতাসে প্রাণী বাঁচতে পারেনা। দূষিত পানিও পানেয় যোগ্য নয়। মোট কথা বাঁচতে হলে বাতাসের প্রয়োজন রয়েছে। এ পানি এবং বাতাস প্রকৃতিরই দান, এ স্রষ্টার মহাদান নয় কি? মানুষ কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা, রূপান্তর করতে পারে মাত্র। রূপান্তর জ্ঞান প্রকৃতিরই দান অর্থাৎ স্রষ্টার দান। স্রষ্টা প্রদত্ত উপাদানগুলো থেকে ভোগ্যেরপাদান বের করে বিভিন্ন পন্থায় ররূ পান্তরের মাধ্যমে ভোগ করে। যেমন হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, ইউরিনিয়াম, ফোলানীয়ম, ফসফরাস ইত্যাদি বের করে। অর্থাৎ আবিষ্কার করে বিভিন্নকারে ভোগ করে স্রষ্টা প্রদত্ত পৃথিবী থেকে। মহা প্রলয় পর্যন্ত উক্তানুরূপ আবিষ্কার করতে থাকলে ও অসংখ্য আবিষ্কারোপাদান বাঁকি থেকে যাবে। বাতাসেকে বিভিন্নকারে বিভক্ত করে কর্মোদ্ধার করে যাচেছ। যেমন ”ইথার” নামক বায়ুবীয় পদার্থের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত মহুর্তের মধ্যে বার্তা আদান প্রদান করে যাচ্ছে। যেমন জলযান চালানোর কাজে পানি ব্যবহার করছে, তেমনি বাতাসের মধ্যে ও বাতাস যান বা বায়ুযান চালিয়ে বাতাস ভোগ করছে । প্রকৃতির দানের মধ্য থেকেই এ সকল যান-বাহন তৈরি করছে।<br /> অর্থাৎ আল্লাহর দানের মধ্য থেকে। বিভিন্নাকারে ভোগ করে যাচ্ছে। প্রাণীকুলকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে, অন্যান্য প্রাণী র তা পারেনা। খাদ্যা হার হিসেবে এবং ব্যবহরিক হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে ভোগ করে যাচ্ছে।<br /> উদ্ভিদ জগতকে বিভিন্ন রূপে রূপান্তর করে ভোগ করছে। ফুল ফলাদি ভোগ করছেই। সূর্য কিরণ না হলে প্রাণীকুল, উদ্ভিদ এবং মানব কিছুইতো বাচবেনা। বাঁচতে হলে তাপের প্রয়োজন । এ কিরণ বিকিরণ থেকে আহার পাকাচ্ছে। উক্তালোচিত বিষয় বস্তু সম্পর্কে মানব ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীকুল কে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিবেকক বুদ্ধি অক্বল এবং জ্ঞান দান করেননি। উক্ত বিষয়ের দিকে আলোকপাত করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, প্রাণী জগতের মধ্যে মানব প্রাণই প্রধান এবং শ্রেষ্ঠ। মনে হয় যে, মানবের জন্যেই সৃষ্টি হয়েছে। মানব কি কি পারে? সমগ্র বিশ্ব জগতকে অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টকে চোষে চোষে ভোগের মাধ্যমে বেঁচে থাকার মতা বা অধিকার মানব প্রাণীকুলেই অর্জন করেছে। তাই মানবকুল গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে প্রবেশের চেষ্টায়রত রয়েছে। সেই প্রলয় পর্যন্ত এমনিভাবে ভোগ করতে থাকবে। আহারান্যেষনের নামে সৃষ্টকে ধ্বংস করেই যাচ্ছে, কিন্তু গড়তে পারছেনা, পারবেওনা। কারণ, গড়ার মতা স্রষ্টা দেননি। পানি ধ্বংসের মাধ্যমে রূপান্তর ছাড়া গড়তে পারেনা। আগুন, স্রষ্টা প্রদত্ত উপাদান থেকেই লাভ করে, বাতাস এবং সূর্য সূর্যকিরণ বা আলো, স্রষ্টা প্রদত্ত কিছুই মানবের সৃষ্টি নয়। তাপ, থেকেই লাভ করে থাকে। জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি স্রষ্টারই অবাদান। এ প্রাপ্ত বিবেক ও বুদ্ধি বলেই ভোগের মাধ্যমে সব ধ্বংস করেই যাচ্ছে। মানব মানবাত্মা অর্থাৎ শরীরাত্মা স্রষ্টারই সৃষ্টি। তাই মানবের গর্ব অহঙ্কার বলতে কিছুই নেই। কারণ এমন মতা স্রষ্টা দেননি যা দিয়ে মানব অহঙ্কার করতে পারে। সৃষ্টির অধিকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তারই রয়েছে। সৃষ্টিকরার মতা মানবকে দিলে মহান স্রষ্টার মহানের মাহাত্ম্য বা সর্ব শক্তিমানের মহা শক্তিত্বের অধিকার খর্ব হয়, স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্বই বিনষ্ট হবে। তাই মানবকে সৃ্িষ্টর মতা দেয়নি। সৃষ্টির অধিকারী একমাত্র স্রষ্টাই। ল্য করা যাচ্ছে যে, স্রষ্টার সৃষ্টিকে কেটে কেটে ভেঙ্গে চুরে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করে রূপান্তরের মাধ্যমে ভোগ করেই যাচ্ছে এবং সমগ্র জীবকুল মানবকেই বাচিয়ে বা জীবিত রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। মানবকে জীবিত রাখার কাজে সমগ্র সৃষ্টি কুলকে নিয়োজিত রাখার পেছনে কারণ বা যুক্তিকতা কি? অন্যান্য সৃষ্টিগুলো স্বীয় জীবন বিলিয়ে দিয়ে মানব সমাজ বা মানবকুলকে রা কর্মে রাত রয়েছে, যেন মানবকুলকে রা করাই তাদের জীবনের ব্রত এবং তা পালনেই তারা সদা সতর্ক ব্যস্ত। মানব এবং অন্যান্য প্রাণীকুলের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে মানব ব্যতীত অন্যান্য জীবন শক্তিপ্রাপ্ত জীবন বা আত্মাগুলোর জীবনই সার্থাক জীবন। মানবকুল দ্বারা কারা উপকৃত হচ্ছে? কারা মানবকে কাজে লাগাচ্ছে? কারা মানবকে ব্যবহারিক জীবনে ব্যবহার করছে? অন্যান্য কজে লাগাচেছ? কারা মানবের তরে। কিন্তু মানব কেন? কাদের তরে এসেছে ধরে? মানব জীবনের স্বার্থকতা কোথায় ? অথচ মানবই জীবের সেরা জীব নামের দাবীদার । অন্যান্য জীবকুল সেরা জীব দাবীদার মানবগুলোর প্রতি যে অবদান রেখেছে, রেখে চলেছে, এবং তাদের এ নিঃস্বার্থ অবদান মহাপ্রলয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সেরা জীব মানবগুলো নিঃসার্থভাবে কার প্রতি অবদান রেখেছে? রেখে চলেছে বা রাখতে থাকবে? কেনইবা সৃষ্টি এ মানবকুল? পানাহার এবং পয় কর্মই শুধু কি মানবের দায়িত্ব? শুধু ভোগের জন্যেই কি এ সীমিত অস্থায়ী ধরাধামে আসা? এ পৃথিবীতো সরাইখানা বা মুসাফিরখানা। মুসাফির খানায় যেমন সাময়িক বা সীমিত সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথেই সে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য থাকে, তেমনি এ পার্থিব জীবন সীমিত বা অস্থায়ী। এ অস্থায়ী সীমিত সময়টুকুন অতিবাহীত হওয়ার সাথে সাথেই মুহুর্তের মধ্যেই এ পার্থির সীমিত সময় বিশিষ্ট জীবন সরাইখানা বা মুসাফিরখানা ত্যাগ করতেই হবে। কোথা যাবে, কোথা থাকবে গন্তব্যস্থলতো একটা আছেই। সেই গন্তব্যের স্থানটাইতো চির আবাসস্থল। উক্ত আবাসস্থলের মধ্যেই কে কোথা স্থায়ি আবাস গ্রহণ করবে, তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং স্রষ্টাই। এ অত্যাশ্চর্য্য ভূ-জগতে আগমন এবং প্রত্যাগমন কার দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে? কেন এমন করছে? এ প্রশ্নতো থেকেই যায়। কারণ এবং ল্য বা উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন কর্মইতো সংঘটিত হয় না। যিনি এ সকল কর্ম ঘটাচ্ছেন এর পেছনে তার কি কারণ থাকতে পারে? তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কিত কোন ইশারা বা বাণী রয়েছে কি? হাঁ রয়েছে নিশ্চয়ইু। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তার সৃষ্ট জগত সমূহ সুন্দর সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য সৃষ্টির আদি থেকেই তাঁর বাহিনী অর্থাৎ ফেরেশতাকুল নিয়োগ করেছেন। তাদের মাধ্যমেই বৃােদ্ভিদ পশুকুল এবং জ্বীন অর্থাৎ অদৃশ্যাগ্নিজাত, গ্রহ- উপগ্রহ নত্র-গ্যালাক্সি ইত্যাদি সৃষ্ট জাগত সমূহ স্রষ্টা কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। এমন কোন অণু-পারমাণু নেই যে, উক্ত সৃষ্টবাহিনীহ বা ফেরেশতা কর্তৃক পরিচালনার জন্য এবং সমগ্রজীব জগতকে বাঁচানোর কার্যে নিয়োগ রয়েছে। এতদ ব্যতীত স্রষ্টার প্রিয়কুল অর্থাৎ মহামানব নবীকুল সৃষ্টিকরে তাদের মাধ্যমে মহানস্রষ্টা আল্লাহ্ তাঁর মহা পবিত্রবাণী বিধান বা সংবিধান ব্যবস্থাপত্রও বলা যেতে পারে যে গ্রন্থসমূহ মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন। নবী রসুলগণের মধ্যেও বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিত্বশীল নবী-রাসূল প্রেরণ করে যথা সম্ভব শৃঙ্খলা রার কাজে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু মানব এবং জ্বীনকুল এতো ভয়ঙ্কর যে, শৃঙ্খলার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চায় না । শৃঙ্খলার শৃঙ্খল ছিড়ে টুকরো টুকরো করে বিশৃঙ্খল-অশ্লীলতার এবঙ অশান্তির জগতে বিচরণ করতে ভালোবাসে। তাই বার বার অসংখ্যবার পবিত্র বাণী সম্বলিত সংবিধান প্রেরিত হয়েছিলো। উক্ত সংবিধান সমূহে এ সীমিত সঙ্কটময় প্রতিন্ধক বন্ধর প্রতিকুল গতি সম্পন্ন জীবনপথ অতিক্রম করার বিশেষ বিশেষ দিক নির্দেশনা বর্তমান রয়েছে। মহান অদ্বিতীয় একক স্রষ্টার প থেকে বহু সংখ্যক কিতাব ছহীফা ছোট ছোট বই আকারে বিধাতার বাণী সংবিধান এসেছিলো,তন্মধ্যে চারটি মহা গ্রন্থাকারে মহা পবিত্র বাণী বিধান বিশ্ববাসী লাভ করেছিলো। তা যথাক্রমে তওরাত, জাবুর, ইঞ্জীল এবং ফোরক্বান বা ক্বোরান প্রধান। অর্থাৎ এ চারটি কিতাবই শ্রেষ্ঠ, এ চারটিরা মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ গ্রন্থই হচ্ছে আল-ক্বোরান। এ সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরান’ কর্তৃক পূর্বেকার সকল গ্রন্থই বাতিল বা নাকচ হয়ে গেছে। বিশ্ববাসীয় মুক্তির জন্যে “আল-ক্বোরানই” সর্বশেষ গ্রন্থ। এ পার্থির জীবন জগতে সীমিতকালে এবং রূপান্তর বা মৃত্যুর পর অর্থাৎ পরকাল বা অনন্ত অসীম কালের অর্থাৎ উভয় কালে মক্তির বা শান্তি র পথের নির্দেশনা রয়েছে ্এ মহাপবিত্র গ্রন্থ। মহাপ্রলয় অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত এ মহাগ্রন্থ বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় । যে এ মহা গ্রন্থের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাঁরই মুক্তি অবধারিত। <br /> যারা তদানুযায়ী সীমিত জীবন পরিচালনা করেছে উভয় কালেই তাদের জন্য স্বর্গ বা জান্নাত নির্ধারিত রয়েছে বা শান্তি সুখ ভোগে সম হয়েছে। যে উক্ত গ্রন্থের বিধান বা নিয়ম সমূহ প্রতিটি কর্মেেত্র প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে একমাত্র সে-ই-সরল পথের পথিক হয়ে মুক্তি লাভ করেছে। এ মহাপবিত্র গ্রন্থ আল ক্বোরান’ যাঁর মাধ্যমে বিশ্ববাসী লাভ করেছে তাঁরই পবিত্র নাম মোহাম্মদ (দঃ)। যিনি হযরত মোহাম্মদ (দঃ) নামে খ্যাত। হযরত মোহাম্মদ (দঃ) ই বিশ্বাবাসীর জন্য সর্বশেষ “নবী এবং রাসূল” । মহাপ্রলয় পর্যন্ত আর কোন নবী-রাসূল আসবেন না। মহাপ্রলয় পর্যন্ত যে সময় রয়েছে,দ এরি মধ্যে হযরত ঈসা (আঃ) এবং হযরত ইমাম মাহ্দী (আঃ) এর আবির্ভাব ঘটবে। কিন্তু নবী-রাসূল হিসেবে নয়,উম্মতে মোহাম্মদী হিসেবে আগমন করবেন। যাঁর মাধ্যমে আল-ক্বোরানকে মহানস্রষ্ট আল্লাহর বাণী হিসেবে গ্রহণ করবেন। যাঁর মাধ্যমে আল-ক্বোরন মহাবাণী ভূ-পৃষ্ঠে এসেছে তাঁকে ও শেষ নবী-রাসুল হিসেবে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে। তিনিই হচ্ছেন স্রষ্টার সৃষ্টি মানবকুলের জন্য আল্লাহর প হতে প্রেরিত শেষ নবী এবং রাসুল অর্থাৎ বার্তা বাহক । তিনি তাঁর ভাষায় উদ্ধৃত করেছেন “আন-খাতামুন্নাবীঈন” অর্থাৎ আমি নবীগণের মধ্যে শেষ নবী। পবিত্র ক্বোরানে ও উল্লেখ রয়েছে শেষ নবী বলে, অর্থাৎ মুখবন্ধ। বস্তার বা বাক্সের মুখবন্ধ করে সীলমোহর মেরে বুঝিয়ে দেয়া হয় যে, কর্ম শেষ আর খোলাও যাবেনা কিছু রাখার ও আর সুযোগ নেই। তাই হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে নবীকুলের সীলমোহর করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে নবী রাসুল আগমনের সমাপ্তি টানা হয়েছে। তিনি নিজ ভাষায় বলেছেন, লা-নবীয়া বাআদী অর্থাৎ আমার পরে আর কোন নবী নেই। বিষেশ ল্য করার বিষয় হচেছ, মানবকুলে অদি পিতা হযরত আদম (আঃ) হতে অসংখ্য নবী এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কোন একজনকে ও মহান স্রষ্টা আল্লাহর প হতে খাতাম শব্দ বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। নবী-রাসুল প্রেরণের প্রারম্ভে এবং মধ্যখানে ও না সর্বশেষ এ খাতাম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। জ্ঞানী-বিজ্ঞ পন্ডিতগণ সৃষ্ট জগতের বর্তমান কালকে কলিকাল বলে আখ্যায়িত করেছেন, অর্থাৎ সৃষ্ট জগতের সর্বশেষ কাল। সর্বশেষ কাল বা কলিকালের পরে আর কোন কাল আছে বলে কোন পন্ডিত বা বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ বলেছেন কিনা তা আমার জানা নেই। এর পর যে কাল রয়েছে তা প্রলয়কাল বা ধ্বংস কাল অর্থাৎ কিয়ামত কাল, বিচার কাল, আভ্যন্তরীন চিরস্থায়ী মর্ত্য াশরীরিকাল। যাঁরা হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এর বাহিত পবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরানকে ’ গ্রহণ করলো তাঁর অদ্বিতীয় একক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলো তাঁর এ গ্রন্থে উল্লেখিত বিধানানুসারে স্বীয় দেহ মনকে পরিচালনা করবে এবং নিজ নিজ পরিবার এবং সমাজের মধ্যে তার প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকবে। এ মহাগ্রন্থ ‘আল-কোরানকে’ গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে মহান স্রষ্টা ‘আল্লাহর’ নিকট আত্মসমর্পন অর্থাৎ কখনো উক্ত বিধান বহির্ভূত কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকতে বাধ্য থাকবেনা। বিধান বহির্ভূত কর্মকান্ড সদা অবৈধ বলে গণ্য হয় । যাকে ধর্মীয় দৃষ্টিতে ‘না জায়জ’ বলা হয়। এ গ্রন্থ এমন এক এতিমের প্রতি সদয়, ভিুকের প্রতি দয়া, ুধার্থকে অন্নদান , নিরাশ্রয়কে আশ্রয়, পড়োশির প্রতি সদ্ব্যবহার এবং দুর্বলের প্রতি সাহায্য সহযোগিতা করার নির্দেশ রয়েছে। এখানে ধর্ম-বর্ণ সম্পকের্ এবং স্রষ্টার সৃষ্টি হিসেবে মানবতা প্রদর্শণর কথা বলা হয়েছে। এক কথায় খিদমাতে খালক’ অর্থাৎ সৃষ্টির খিদমাত বা সেবা, মানবতার উত্তম কর্ম।এতিম সম্পর্কে স্রষ্টার উক্তি, যে এতিমের মাথায় হাত বুলাবে সে যেন স্রষ্টার আরশে বা আসনে স্নেহ-আদরের হাত বুলালো। সাহয্য সহানুভূতি, সহযোগিতার বহুমুখী পথ রয়েছে। যার পে যথাসম্ভব রা করে যাওয়াই মানবিক দায়িত্ব। একই আদমের সন্তান হিসেবে একে অপরের প্রতি সাহায্য সহানুভুতি সহযোগিতা হস্ত প্রসারণ করতে হবে।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-46828147567449600762013-06-25T22:34:00.001-07:002013-06-25T22:34:16.389-07:00সরল রেখার সরলতা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
সরল রেখার মধ্যেই রয়েছে সরলতা, বক্র রেখার মধ্যে বক্রতা। তাই সরল রেখার মধ্যে বক্রতার আশা অবান্তর । বক্র রেখাতেও সরলতার আশা অর্থহীন দূরাশা।যে কোন কথায় বা আলোচনার কারণ বা ভিত্তি মূল রয়েছে। কারণ বা ভিত্তি মূল ছাড়া কোন কথা বা আলোচন পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। যেমন ভিত্তি মূল স্থাপন না করলে কোন দালান ইমারত বা প্রতিষ্ঠান বা ঘর প্রতিষ্ঠা বা দাঁড় করানো যায় না। স্বয়ং নিজের ওপর রেখাপাত পাতিনা কেন? আমার পা-পাতা বা পাতা পা, না হলে সোজা দন্ডায়মান অর্থাৎ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিকি? না মোটেই না। কেউ যদি বলে, পা-দুটো না থাকলে কি হবে? আমি দুপায়ী চৌ-পায়ীদের ন্যায় পাল্লা দিয়ে দাড়াতে ও দৌড়াতে পারি, পা পাতা শুন্য ব্যক্তটির উক্ত উক্তিটি অবিশ্বাস্য নয় কি? যদিও সে দাঁড়ালো বা দৌড়ালো, বুঝতে হবে অন্যের সাহয্য নিয়েছে তা ব্যক্তিই হোক আর লৌহ বা কাষ্ঠ খন্ডই হোক। ভিত্তির মধ্যে রয়েছে শক্তি এবং ভিত্তিহীন সদা নড়বড়ে যা সাধারণ হওয়ায় ভেঙ্গে পড়তে পারে। যেমন আমি বা যে কোন দু পা বা চার-প, একটি বা তিনটি পায়ের উপর ঠিক শক্তভাবে দাঁড়তে পারবে কি? বলা হবে পারবেনা। দাঁড়ালেও নড়বড়ে শক্তহীন হবে, যা সহজেই পড়ে যাবে। মজবুত, শক্ত, শক্তহীন, নরম, নড়-বড়ে এর ব্যবধান এবং কোনটির মূল্যায়ন কত? তা স্রষ্টা দেখিয়ে দিয়েছেন । দু-পা,চার-পা, দু-পাখা, এবং শক্ত ভিত্তিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-18533645724836495192013-06-25T22:30:00.003-07:002013-06-25T22:30:51.597-07:00স্রষ্টার সৃষ্টির, স্রষ্টার অসীমালয়ে অবস্থান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
স্রষ্টা সম্পর্কে আমার মত ুদ্র থেকে ুদ্র, ুদ্রাতি ুদ্রতর কীট জীব, জীবাণুর, মোটেই সম্ভব নয়। যারা বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী সেই মহাত্মাগণের বর্ণিত বর্ণনার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে প্রতীয়মান হয় যে, মহান স্রষ্টা আল্লাহর মতা বা শক্তি অপরিসীম, সীমাহীন অসীম অর্থাৎ সর্বশক্তিমান। মহান শক্তি সম্পর্কে আল্লাহ স্বয়ং তার পবিত্র অল-ক্বোরানে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর স্বয়ং বলেন, ( ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদীর) অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টি জগতের উপরে সর্বোপরি সর্বশক্তিমান তিনি “আল্লাহ্” । তাঁরই সৃষ্টি আঠার হাজার মাখলক্বাত অর্থাৎ আঠার হাজার সৃষ্ট জীব জগত, আঠার হাজার “গ্যালাক্সি” জগত ও বলা যেতে পারে, এ সীমিত জীবনে দৃশ্যমান নিহারিকা বস্তু সমূহ সবই এক সষ্টার সৃষ্টি। একেকটা“গ্যালাক্সি” জগতের মধ্যে অসংখ্য সৌর জগত বা নত্র জগত বর্তমান রয়েছে। একটির সাথে আরেকটির সম্পৃক্ততা রাকারী অসংখ্য গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে। প্রত্যেকটি উপগ্রহের আয়ত্বের মধ্যে অসংখ্য উল্কা রয়েছে। সবগুলো আপন আপন ক পথে ঘুর্ণায়মানবস্থায় ঘুর পাক খাচ্ছে। সৃষ্টির আদি থেকে যে যে নিয়মের উপর অবস্থান করছিলো , এখনও সে, সেই নিয়মের উপরই অবস্থান করছে। একই শক্তির প্রদত্ত একই নিয়মের উপর অবস্থান করবে এটাই স্বাভাবিক । কস্খলন বা কচ্যুত হলেই সব এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে। যাকে আমরা মহাপ্রলয় বা কিয়ামত বলে থাকি। কোন এক সময় সন্দেহাতীতভাবে মহাপ্রলয় সংগঠিত হবেই। সাধারণ ধ্বংস এখনো হচ্ছে। যেমন প্রতিনিয়ত ‘উল্কা’ ধ্বংস হয়েই চলেছে। রাতের আকাশে ল্য করলেই তা প্রতীয়মান হবে। যে উল্কা তার কচ্যুত বা দলচ্যুত হয়ে খসে পড়ছে নরকীয় অগ্নি কচ্যুত উল্কাটিকে জ্বালিয়ে ছাইকরে ধরাপৃষ্ঠ নিপে করছে। এভাবে প্রতিটি জীবাত্মাকে উল্কার ন্যায় কল্পনা করলে দেখা যাবে যে কচ্যুত এবং দলচ্যুত হয়ে খসে পড়ছে। এবং শরীর পদার্থ বা উপাদান গুলো আপনাপন স্থানে মিশে যাচ্ছে। শরীরোৎপত্ত্বিস্থান মাটিতেই মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে এবং আত্মগুলো আত্মারস্থানে চলে যাচ্ছে। ল্য করলে সহজেই অনুমেয় যে, মহান স্রষ্টার বিধান বা নীতি নিয়মানুসারে তার সৃষ্ট গুলোকে, কা'কে কখন কোথায় কিভাবে সংরণ করবেন, তার নির্দিষ্ট চিহ্নিত চিহ্নস্থান নির্ধারিত রয়েছে।<br /> ছোট ছোট প্রলয় যখন হচ্ছে, বড় বিশালকায় মহা প্রলয়তো হবেই। সৃষ্টির সেরা জীব মানবের দায়িত্ব হচ্ছে স্রষ্টা প্রদত্ত জীবন বিধানগুলো ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠা করা।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-12468203166758009162013-06-25T22:29:00.001-07:002013-06-25T22:29:59.602-07:00সৃষ্ট জীবে, সেরা কেন?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
সৃষ্ট জগতের শাসক একমাত্র সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ। তাঁরই শাসন কার্য চলছে তাঁরই সৃষ্ট জগতে। তাঁর একটি মাত্র সংসদ রয়েছে, সদস্যবর্গের মধ্যে ফেরেশতাকূল, জীব্রাইল (আঃ) হচ্ছে বিশেষ বার্তা বাহক। সাংসদ গনকে নিয়েই মহান আল্লাহ্ তাঁরই সৃষ্টরাজ্য পরিচালনা করেন। সৃষ্ট মাখলুক্বাতকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে উক্ত ফেরেশতাগণকে নিয়োগ করে রেখেছেন। একটা জীবের সজীবতার রার জন্য যত সংখ্যক উপাদান বা পদার্থের প্রয়োজন তত সংখ্যক বা ততাধিক সংখ্যক ফেরেশ্তা নিয়োজিত রয়েছে। যারা সাংবাদিকতায় নিয়োজিত রয়েছে, তাঁরা-ই মহাসংসদ দরবারে নিত্য খবর পরিবেশন করে চলেছে। যারা জীব যন্ত্রের কর্মকান্ড সর্ম্পকে বার্তা সংগ্রহ ও সংগ্রাহক যন্ত্রে সংগ্রহ করার কাজে নিয়োজিত, তারা তাদের সে দায়িত্ব পালনে রত রয়েছে। তারা কস্মিন ও একে অন্যের কর্মে হস্তপে করেনা। এমনিভাবে মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট জীবরাজ্য সুন্দর সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ফেরেশতা নামের সদা জাগ্রত সেনা বাাহিনী কর্তৃক সমগ্র সৃষ্টজগত পরিচালিত হচ্ছে। এ সেনা বাহিনী সদা জাগ্রত এবং সদা সতর্কাবস্থায় আপনাপন দায়িত্ব পালনে মত্ত রয়েছে। মহান আল্লাহর এ সকলের প্রয়োজন কি? তিনিতো স্বয়ং সৃষ্টি কর্তা, এমন কোন স্থান নেই যে, যেখানে তাঁর অবস্থান নেই।এমন কোন বস্তু নেই, যা তিনি প্রত্য করেন না। তার সৃষ্টি জীব যন্ত্রের কার্যকলাপ সম্পর্কেও সদাবগত। এমন কোন জা’গাই যখন নেই, যেখানে মহান সৃষ্টিকর্তার অবস্থান নেই। তাহলে সকল জীবের মধ্যে স্রষ্টার অবস্থান থাকবেনা কেন? নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর অবস্থান প্রত্যেক জীবের মধ্যেই রয়েছে। মানব জীব ছাড়া অন্যান্য জীবকূলের মধ্যে অবস্থান সত্বেও তারা মহান আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেনা। কারণ তারা মানবাক্বল শুন্য। তাদের মধ্যে নবী প্রেরণ করা হয়নি। তাই তারা আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনের নিয়ম নীতি সম্পর্কে অবগত নয়। সে কারণে মহান আল্লাহর মহাদরবারে জাওয়াবদিহীতা নেই। মহানস্রষ্টা আল্লাহ মহাপবিত্র আল-ক্বোরানে বলেছেন, আমি মানবকে আক্বল জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক দিয়েছি এবং কলম দ্বারা শিা দিয়েছি। তাদের মধ্যে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছি এবং বিশ্বের রহমত হিসেবে ,নবীগণের সরদার, আমার প্রিয় হাবীব হযরত মোহম্মদ (দঃ) এর মাধ্যমে আমার মহা পবিত্র বাণী“আল-ক্বোরন” তাদের উপর অবর্তীণ করেছি। তাই মহান আল্লাহর দরবারে মানবকূলের জাওয়াবদিহীতা রয়েছে। প্রিয় নবী র(দঃ) বলেছেন (ক্বালবুল মুমীন আর্শুল্লাহ) অর্থাৎ মুমীনের অন্তরে বা ক্বালবে আল্লাহর ঘর এবং স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করতে পারে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্যই নীতি-নিয়ম বিধিমালা বিধান “আল-ক্বোরন” তাদের উপর অর্পণ করা হয়েছে। এ বিধিমালা লংঘণকারীকে নরক নামক সাজার ভিতি প্রদর্শন করা হয়েছে। এবং মহাদরবারে তাদের জাওয়াবদিহীতার ব্যবস্থা রয়েছ। মহানস্রষ্টা প্রথম জ্বীন জাতি সৃ্িষ্ট করেন এবং তাদের দ্বারা ল কোটি বৎসরকাল অবধি পৃথিবী আবাদ করেন। ক্রমেই উদ্ভিদ বৃরাজি এবং প্রাণী সৃষ্টি করেন। সেই মানকূলকে সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করার জন্য আরো ব্যবস্থা করলেন, তা-হলো নবী এবং রাসুলগণের সৃষ্টি। নবী রসূল মোজাদ্দেদ ওলীয়ে কামেল পীর, মাশায়েখ, কবি, দার্শনিক, সাহিত্যক এবং বৈজ্ঞানিক ্ইত্যাদি সৃষ্টি করলেন। মানব জাতি, জ্বীন এবং ফেরেশতাকুলে বিধিমাল্ াঅনসরণ অনকরণের মাধ্যমে প্রাধান্যতা লাভ করতে পারে। তারা বিশেষ বুদ্ধি বিবেক আক্বলের অধিকারী। তাই এ বিশেষ জাতিকে শাসন করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও রয়েছে। সে ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে উক্ত গুণধ জ্ঞানী-গুণী বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী উক্ত গুণধর ব্যক্তিবর্গগণ। কিন্তু তাতে ও মানবকুল শান্তি সু-শৃঙ্খল সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে পারছেনা। তার একমাত্র কারণ বিপদগামী চির নরকী আজাজিল মানবের রগে রেশায় প্রবেশের মতা লাভ। সে মানবের রগে রেশায় বিবেকান্তরে প্রবেশ করে ক-প্ররোচনার মাধ্যমে মানবকে বিভ্রান্তিতে নিপে করে বিপদগামী করে। কিন্তু মানবের জ্ঞান, বিবেক এবং আক্বলের নিকট অবশেষে পরাজয় বরণ করে। যে সকল মানব আক্বল জ্ঞান বিবেককে সুন্দর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেনা কেবল তারাই কুচক্রি আজাজিল শয়তানের চক্রান্তের স্বীকার হয়ে বিপদগামী হয়। যে শয়তান চক্রের আয়ত্ত্ব সীমায় এসে যায়, তখন তার অন্তর বিবেক চু অন্ধ হয়ে যায়। তখন তাদের সরল সঠিক রেখা পথ থেকে পদস্খলন ঘ্েট এবং ল্যচ্যুত হয়ে এলো পৌঁছতে পারেনা। তার পড়শী বা পার্শ্বা পথিকদেরকে ও বিভ্রান্ত করে, তখন উভয়ই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। এমনি ভাবেই বর্তমান বিশ্ব সমাজ বিভ্রান্তির আবর্তে আবর্তিত হচ্ছে এবং পদস্খলিত কচ্যুত উল্কার ন্যায় তীর্যক তীর বেগে প্রজ্জলিতাবস্থায় অল্েয ধাবিত হচ্ছে। এ ধ্বংসোম্মুখ থেকে বর্তমান বিশ্ব সমাজকে একমাত্র মহান মাধ্যমেই করে থাকেন সৃষ্টির আদি থেকে যেভাবে রা করেছেন। প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিপাকে ধৃত বিশ্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। এ মহা সঙ্কটাবস্থায় নিপতিত বিশ্বকে রা করতে বিধাতা যেমন নবী রাসূল প্রেরণ করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী কোন মহান ব্যক্তি পুরুষের আবির্ভাব ঘটাতে পারেন। অন্যথা এ গভীর অন্ধাকারাচ্ছন্ন মেঘের ঘনঘাটায় আচ্ছাদিত বিশ্ব সমাজকে রার কোন প্রকার লক্ষ্মণই পরিলতি হচ্ছেনা। ঠিক এমনি ভাবেই বিশ্ব সমাজ অসংখ্যবার গভীর হতে গভীরতর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলো, তখনই গ্রন্থ সহকারে মহামানব প্রেরনের মাধ্যমে মহান করুণাময় আল্লাহ নিমজ্জিত সমাজকে উদ্ধার করেছিলেন। সেই মহানমানবগণ যে পথ নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তা অনুসরণে যত দিন চলেছিল সীমিত সময়ের জন্য হলেও শান্তিতে ছিলো। পুনরায় যখন বিপদগামী শয়তানের চক্রের চক্রতালে পড়লো এবং <br /> বিভ্রান্তাবস্থায় সরল কচ্যুত হয়ে অশান্তির দাবানলে জ্বলে পুড়ে খাক হতে লাগলো। বিশ্ব বিশৃঙ্খল অশান্ত বিপর্যয় বলয়ের দিকে ধাবিত হলো। এ নরক তুল্য জীবন-কারাগার থেকে মুক্তিদানের ল্েয যথাযথ মহা গ্রন্থ প্রেরিত হলো কিন্তু মানব জাতি বিভ্রান্ত হতে হতে অশান্তির দাবানলে জ্বলতে শুরু করলো। আবার মানবকুল শ্বাস রূদ্ধকরাবস্থায় পতিত হয়ে মুক্তির আশায় উর্দ্ধশ্বাসে দিক শুন্য হয়ে ছুটা-ছুটি করছিলো, উম্মুক্ত মুক্তির দ্বারাশায়। ঠিক সময় মত স্রষ্টার প্রচলিত নিয়মানুসারে বিশ্বমানবকে অশান্তির কারাদ্বার ভেঙ্গে শান্তি কাননে প্রবেশ করানোর ল্েযই সর্বশেষ যুগে সর্ব শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কে মহা পবিত্র গ্রন্থ “আল-ক্বোরন” সহকারে অশান্ত ভূ-পৃষ্ঠে প্রেরণ করলেন। যিনি এ গ্রন্থ বাহক হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কে শেষ নবীরূপে স্বীকার করবেন, অদ্বিতীয় আল্লাহকে একমাত্র স্রষ্টা জানবেন এবং আল-ক্বোরানকে মুক্তি বিধান হিসেবে জেনে তদানুসারে জীবন জীবিকা পরিচালনা করবেন, তিনিই মুসলমান। আল-ক্বোরান শুধু মুসলিমের জন্যে-ই প্রেরিত হয়নি, সমগ্র বিশ্ববাসীর মুক্তির নির্দেশিকা হিসেবে প্রেরিত হয়েছে। সুতরাং বিশ্ববাসী যদি এর নীতি-নিয়ম বিধানাবলি অনুসারণে দৃঢ়তা প্রদর্শন না করে, তবে মুক্তির আশাই বৃথা।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-63466380535441194072013-06-25T22:26:00.001-07:002013-06-25T22:26:16.953-07:00মধ্যাকাশে অমানিশা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আরিক যুগে অনারিকের পদার্পণ। অর্থাৎ শিার আলোতে আলোকিত ধরণীতে, অশিার পদচারণা। অস্থায়ী জীবনবার্যে এবং অনন্ত পরকাল, উভয়কাল সম্পর্কিত শিায় শিতি মানবকুল, গগনে-পাতালে হাওয়ই যান ছুটে চলেছে দিনে-রাতে। রস্রোতে উত্থাল তরঙ্গের ভীষণ ঝড়-ঝঞ্জার ঘুর্ণীপাকের বিদ্যুৎ চমকের দিনে চলার বন্ধুরপথে প্রবল বাধার কন্টকাতিক্রমান্তে চলে যায় নির্ভিক মানব আপনাপন ল্েয। শুধু এ অস্থায়ী জীবনের জীবিকাণ্যেষায় পশুজনের ন্যায়। কিন্তু মানবকুলতো পশু নয়!সৃষ্টির সেরা জীব। পশুকুল খাবে-ঘুমাবে-টয়লেট অর্থাৎ বাহ্য প্রস্রাব ত্যাগ করবে, এবং সংসার করবে বাচ্চা বা সন্তান-সন্ততি নিজেরাই আহার করার যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত লালন-পালন করার দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু উক্ত কর্মকান্ডগুলো সেরাজীব ঘোষিত মানবকুলে ও পরিলতি হয়।কিন্তু সেরাজীব মানবকুলের জীবন উক্ত কর্মকান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তাদের দায়িত্ব অপরিসীম। সৃষ্ট জগত সমূহ মানব তরেই সৃষ্টি। বৃ-তরুসমূহ, পশু-পাখি, অগ্নি-পানি মাটি-বায়ু সৃষ্ট জগতকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে একে-অপরের মধ্যে দিয়েছে আকর্ষণ-বিকর্ষণ শক্তি। গ্রহ উপগ্রহ-নত্র সবই আপনাপন কাজে নিয়োজিত। মোট কথা, সমস্ত সৃষ্টিজগত সমূহে সৃষ্ট উপদানসমূহ একমাত্র মানবকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই সৃষ্টি। যেমন যে কোন সীমিত জা’গায় যে কোন প্রাণ বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রথমে তার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। তেমনি মানবকুলকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যেই সৃষ্টজগত সমূহ সৃষ্টি । যে কোন প্রাণ- বাঁচিয়ে রাখার পেছনে কারণ া উদ্দেশ্য তো থাকবেই। কারণ ব্যতীত কোন শ্রম প্রয়োগ করা হয়না। মহান স্রষ্টা যে, মানব সৃষ্টি করেছেন এর পেছনে যে কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে। তা কি? স্রষ্টার মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য একটাই। তা হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্ট বস্তুসমূহ ভোগ করবে আর স্রষ্টার প্রদত্ত বিধি-বিধান অর্থাৎ নীতিমালা অনুসরনের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করবে । তাঁকে স্মরণ করলে তার বিনিময়ে স্বর্গ-জান্নাত নামক মহা শান্তি নিবাস , নিকেতন প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন। এবং স্বরণ না কররে নরক বা জাহান্নাম নামের কঠোর শাস্তির ও ভীতি প্রদর্শন করেছেন যুগে যুগে কালে-কালে মহাত্মা অর্থাৎ মহামানব প্রেরণের মাধ্যমে । তাঁরা যখনই স্রষ্টার প হতে স্রষ্টার বিধিমালা মানব সমাজে প্রদান করেছেন, ঠিক তখনই তাঁদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার নেমে আসতো। কারণ, তরা যখন এ সকল বিধিমালা প্রত্য করতো বা বিধির নীতি নিয়মের কথা শুনতো, তুনি তাঁর উপর চড়া ও হতো-নির্দয়ভাবে অত্যাচার চালাতো। মহা মানবগণ তাতে ও স্রষ্টার বাণী প্রচারে ান্ত হতেননা। স্রষ্টার প হতে যে দায়িত্ব তাঁরা প্রাপ্ত হয়েছিলেন সে দায়িত্ব তারা পুঙ্খানোপুঙ্খরুপে পালন করতে গিয়ে আত্যাচারিত লাঞ্চিত হলেও স্রষ্টার বাণী প্রচারে ান্ত হতেননা। স্রষ্টার বাণী প্রচারকাল সময়ের মধ্যে কিছু শান্তি নেমে অসলেও প্রত্যেক মহা মানবগনের প্রত্যাগমনের পর পরই পথ ভ্রষ্ট হয়ে নিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত হয়ে অশ্লীলতার গভীর অন্ধকারে বিচরণ করতে শুরু করতো। এমনিভাবে ল কোটি কাল অতিক্রমণান্তে অর্থাৎ শেষ প্রান্তকালে মহান স্রষ্টার মহা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ ( দ:) এর অবির্ভা শেষ প্রান্ত কালের গভীর তমশাচ্ছন্ন অন্ধকার অমানিশাতেই ঘটেছিলে। তিনি ও অভাবনীয় অবর্ননীয় অত্যাচার, লাঞ্চনা ভোগের মাধ্যমেই, মানবকূলের মুক্তির পথ নির্দেশিকা মহাগ্রন্থ আল-কোরআন রেখে গিয়েছেন। যে ক’টি কাল“আল-ক্বোরানের এবং হাদীসের” নির্দেশিকা অনুসরণে রতছিলো , ঠিক সে’কটি কাল-ই মুসলিম এবং বিশ্ব শান্তির আবর্তে আবর্তিত হচ্ছিলো। প্রায় শতকাল ”বিশ্ব” শান্তির বলয়ে অবস্থানের পর-পরই কচ্যুত হয়ে অশান্ত বিপর্যয় বলয় করে দিকে ধাবিত হতে লাগলো।<br /> ঠিক তখনই ওমর, মুসা-তারেক এবং খালেদের মতো বীর-বীরোত্তম বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী সম্পূর্ণ ব্যক্তিবৃন্দের অবির্ভাব ঘটলেও সে ধাবম- বিশ্বের অশান্তের গতিরোধ করতে পারেনি। ধাবমান গতি শক্তি বৃদ্ধি হতে-হতে পূর্ণ বিপর্যয় বলয় কে প্রবেশ করলো দু-হাজার,দু-শাল ১১ই সেপ্টেম্বর সংঘটিত ঘটনার মধ্য দিয়ে। এবং বিশ্ব বিপর্যয় বলয়ের প্রবেশ দ্বারা হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখান থেকেই অশান্তির অমানবিকতার নীতিহীনতার অন্যায় অত্যাচারের অন্যের ‘হক’ জবর দখলদারিত্বের দ্বারোম্মুক্ত হলো। বর্তমান মানবকুল সেই মানবকুলেরই বংশধর যারা জাকারীয়া নবী (আঃ) কে করাতে দ্বিখন্ডিত করেছিলো যাদের অমানবিক অত্যাচারের কারণে মহান স্রষ্টা আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে জীবিতাবস্থায় স্ব-শরীরে উর্দ্বগমন করিয়েছেন। এরাই ইউসুফ (আঃ) কে কূপের তলদেশে নিপে করেছিলো। ইব্রাহীম (আঃ) কে অগ্নিকুন্ডে নিপে করেছিলো। মুসা (আঃ) কে মেরে ফেলার জন্য পিছু ধাওয়া করতে গিয়ে নিজেরাই নীলনদীতে ডুবে মরেছিলো। সর্বশেষে বিশ্বে আগত নবীগণের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এ মানবকুল কর্তৃক অভাবনীয় অবর্ণনীয় অকথ্য অত্যাচারে অত্যাচারিত এবং লাঞ্চিত হয়েছিলেন। তাঁরা কি অন্যায় করেছিলেন? তাঁরা বলতেন, একই স্রষ্টার উপাসনা করতে এবং স্রষ্টা প্রদত্ত বাণীসমূহ আনুসরণ এবং অনুকরণের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এটাই ছিলো নাকি তাঁদের অন্যায়! যে জাতের বিবেকের মধ্যে ন্যায় এবং অন্যায়ের বোধ শক্তি নেই, তাদের প থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা সুদূর পরাহত, তাই বলে কি তাদেরকে শান্তিতে রাখা এবং তাদের প থেকে শান্তি লাভের সূত্র প্রোয়গের ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা? নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সে দায়িত্ব আল্লাহর এবং রাসুল (সঃ) এর প থেকে জ্ঞানী গুণী, বিজ্ঞ-আক্বলমান ব্যক্তিগণের ওপরই আরোপিত হয়েছে। সে সূত্র বা ব্যবস্থাপত্র বা বিধানবলী মহান স্রষ্টা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল মোহাম্মদ (স্ঃা) কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালাগুলো অনুসরণ, অনুকরণ করণ এবং করানোর গুরু দায়িত্বভার জ্ঞানী-গণিজনদের ওপরই অর্পিত হলো। তা সঠিকভাবে প্রয়োগের মধ্যেই শান্তি অবধারিত। অনুসরণ এবং অনুকরণ করতে হলে প্রথমে তাওহীদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ শীরক বিহীন একক কে যাঁর লিঙ্গান্তর নেই সেই একক কে নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করতে হবে এবং তাঁর প্রেরি বিধানগ্রন্ত আল-ক্বোরান যার মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে সেই প্রেরিত পুরুষ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে দৃঢ়তার সাথে কায়মনো বাক্যে অন্তর গভীরে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। যারা উক্ত বর্ণিত বিধি মালাগুলো বিশেষভাবে স্বীকার করে নেবে, তারাই একত্ববাদী। যে একমাত্র একত্ববাদকে স্বীকার করবে, সে একক আল্লাহ প্রদত্ত বাণীগুলো বিশ্বাস করবে, মহা প্রলয়ের বিচারের কথা, ফেরেশতাকুলকে এবং মৃত্যুর পরে পুনরোত্থান সম্পর্কিত বাক্যগুলোকে ও বিশ্বাস করবে। সুতরাং বিধিনীতি অনুসরনের মাধ্যমে করবেই।<br /><br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-46489189092408942862013-06-06T00:32:00.003-07:002013-06-06T00:32:57.187-07:00মুক্ত সঙ্কেত<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
যে সঙ্কেতে পরাধিনতা নেই, কলুষ-কালিমা নেই সে-ই-তো মুক্ত সঙ্কেত। যেমন মহাসঙ্কেত আল্লাহু আকবার ধ্বনি, অর্থাৎ আল্লাহ সর্ব শক্তিমান। শুভ কর্মের প্রারম্ভেই আল্লাহ্ শব্দ উচ্চারণের কথা বলা হয়েছে। যে শব্দকে মহান স্রষ্টা “আল্লাহ” সরাসরি কালামে পাক পাঠের পূর্বে উচ্চারণ করার জন্য নবীপাক (সাঃ) কে আদেশ করেছেন। বাক্যটি হলো ইক্রা-বিসমি-রাব্বিকাল্লাজী খালাক্ব। অর্থাৎ পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃস্টি করেছেন। <br />পাঠ করুন। অর্থাৎ পড়–ন ! কি পড়বেন? কিভাবে পড়বেন ? প্রদত্ত আয়াতে রয়েছে পড়তে হলে, প্রথম তাঁর নাম উচ্চারণ করুন্! যিনি সৃষ্টি করছেন। এখন চিন্তার বিষয় হচ্ছে পালনকর্তার নাম কি? উদ্ধৃত বাণীতে তাঁর নাম মোবারক পরিলতি হচ্ছেনা। নবী কিন্তু লেখা পড়াও জানতেন না। সৃষ্টিকর্তার নাম তিনি কিভাবে জানবেন? জিব্রাইল (আঃ) বাক্যের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার নাম যুক্ত করেননি। ভাববার বিষয়! নাম কোথায় পাবেন এবং কিভাবে পড়বেন, তিনি যে নিরার। প্রতীয়মান হয় তিলাওয়াতের পূর্বে তাঁর নাম মহান আল্লাহ নিজেই শিা দিয়েছেন মহানবীকে। তাই নবীপাক (সাঃ) প্রথম সৃষ্টিকর্তার নাম অর্থাৎ বিসমিল্লাহ্ পড়ার পর, “ইক্বরা” পড়েছিলেন। সুতরাং আল্লাহর বাণী নাজিলের প্রারম্ভে পৃৃথিবীতে প্রথম বিসমিল্লাহ্ এসেছে । “ইক্বরা” শব্দটি নয় । নবী পাক (সাঃ)তাই, প্রথম আল্লাহর নামে পড়া শুরু করেন । এভাবে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পাঠের পর “ইক্বরা” প্রতিধ্বনি মূলক শব্দ থেকে পড়েন । তাই পবিত্র ক্বোরআনের ১১৩ সূরাই আল্লার নামে শুরু করা হয়েছে। “বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম” এর অর্থ হল দয়াল-দাতা করুণাময়, আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। এজন্যেই মুমিনগণ প্রত্যেক শুভ কাজ “ বিসমিল্লাহিররাহ্ মা নিররাহীম”দ্বারা শুরু করেন। এর মধ্যে রয়েছে রহমত ও বরক্বত। যেখানে রহমত-বরক্বত রয়েছে, সেখানে সব বিপদ মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। যেখানে বরক্বত-রহমতের কামনা সেখানে অবৈধ অন্যায় বাক্য ব্যবহার চলবেনা। উক্ত বাক্যের উছিলায় ব্যক্তি পবিত্র হয়ে যায়। সুতরাং এই বাক্যটি সেবা মূলক নয় কি? “ বিসমল্লিাহিররাহ্ মানিররাহীম” বাক্যটিই ইসলামের মূল ভিত্তি। বাক্যটি যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে কলুষ- কালিমা থাকতে পারেনা। বাক্য ব্যবহারকারী ব্যক্তিটিও পবিত্র হয়ে গেলো। লোক পবিত্র হলেই কর্ম পবিত্র, কর্ম পবিত্র হলেই সমাজ পবিত্র। আল ক্বোরআনের, আলোকে আলোকিত প্রতিটি ব্যক্তিই সমাজের সম্পদস্বরূপ । যা কল্যাণ মুলক তা, সেবামূলকও। পবিত্র ক্বোরআন শরীফকে সেবক গ্রন্থই বলা যায়। ক্বোরাআন শরীফের প্রথম বাক্যে বর্ণিত আছে, “ জালিকাল কিতাবু লা রাইবা ফিহ্” অর্থাৎ এ গ্রন্থে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। এ গ্রন্থে রয়েছে আদেশ “ আকীমুস সালাতা ওয়া আতুজ্জাকাতা” অর্থাৎ নামাজ ক্বায়েম করো এবং জাকাত দাও।এর মাধ্যমে স্রষ্টার যত প্রকার দান, মানবগণ ভোগ করবে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশিত হবে। যারা মালিকের অনুদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ল্েয, দৈনিক পাঁচবার মালিকের সামনে উপস্থিত হবে , তাদের দ্বারা আন্যায় অত্যাচার করা সম্ভব হয় না । ক্বোরাআন শরীফের অন্য এক জাগায় বলা হয়েছে “ ইন্নাছ-ছালাতা-তান্হা আনিল-ফাহ্শা-ই” অর্থাৎ নিশ্চয়ই নামাজ মন্দকর্ম থেকে মুক্ত রাখে। বাক্যটিতে এটাই বুঝানো হচ্ছে যে, মালিকের অনুদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীর প,ে পাপ কর্ম করা সম্ভব নয়। কারণ সে দৈনিক পাঁচবার মালিকের সাথে দেখা করে তাই তার পে অবৈধ কর্ম সম্ভব হয়না। এ সকল কথা সত্য নয় কী ? এভাবে যদি সমাজে পাপমুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেশী হয়, তবেই সমাজ আলোকিত হবে। সুতরাং আল ক্বোরআন নামক মহা পবিত্র গ্রন্থটি, সমাজ সেবা মূলক গ্রন্থ। এ গ্রন্থের প্রতিটি বাণীই সত্য এতে কোন সন্দেহ নেই। আদেশ এবং নিষেধ মূলক বাক্য গুলো অলংঘণীয়- অর্থাৎ লংঘন করলে সাজার কথা বলা হয়েছে। সাজার কথা বলা হয়েছে মানুষকে পাপ মুক্ত রেখে স্বর্গীয় করার ল্েয । উপো করলে বিনিময় তো নিতেই হবে। এ সীমিত সময়ের জীবনটিকে পাপ মুক্তাবস্থায় অতিক্রম করার জন্যেই দেহ-মন -চোখ-হাত-পা- নাসিকা এবং ত্বক দান করছেন। বার বার বলা হয়েছে মন্দ কর্ম থেকে বিরত থাকো। যারা বিরত থাকবে তাদের জন্য উপহার উপঢৌকন স্বরূপ চির সুখাবাস- জান্নাত বরাদ্দ রয়েছে। যেখানে অতুলনীয় সুন্দরী হুর নামক রমণী রয়েছে এবং রয়েছে অতুল মিষ্টি সুন্দর -ফল- ফুলে ভরা বৃরাজি। রয়েছে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য লোক, তৃষ্ণা-তৃপ্তি মেটানো মিষ্টি মধুর হাউজে কাওছার নামক স-ুমধুুর মিষ্টি পানির বহমান স্রোত ধারা। অশরীরী শয়তান, বিশেষ মতা প্রাপ্ত কু-শক্তির নাম। সে-নফস- খায়েশে প্রবেশ করে এবং মানুষকে বিপদগামী করে। তার প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে, পদস্খলিত হয়ে অনেকে জাহান্নামে প্রবেশ করে। সে জন্যে আমরা প্রার্থনা করি হে আমার প্রতি পালক, আমাকে এ দুনিয়ার এবং পরকালের মঙ্গল দান করো এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দাও। অন্যত্র বলা হয়েছে তোমরা প্রতিটি ভালো কর্মের প্রথমে শুরু করো দয়ালু দাতা করুনাময় আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ,আমাকে মা করো” এবং দয়া করো। আল্লাহর ওয়াদা মা প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ মার চোখে দেখবেন। যদি আল্লাহর সাথে কাকেও শরীক না করা হয়,উক্ত বাণী গুলো ব্যক্তি এবং সমাজকে- কলুষ মুক্ত করে শান্তির ফয়সালা এনে দেবে ? সুতরাং পরিলতি হচ্ছে যে, আল-ক্বোরআনের বাণীগুলো তথা সমস্ত ক্বোর-আন শরীফই সেবক গ্রন্থ। উক্ত বাণী প্রদানের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে কলঙ্ক মুক্ত করেন। সূরা আল- ফাাতিহাকে বলা হয় “উম্মুল ক্বোর-আন ” অর্থাৎ ক্বোর-আন শরীফের জননী। সূরা- আল-ফাতিহা হচ্ছে ক্বোর-আন -হাদীস- ফিক্বাহ- উছুল- ইজমা- ক্বিয়াস- শরীয়ত- তরীক্বত-হাক্বীক্বাত-এবং মারিফাত ইত্যাদি , ইসলামী ব্যবস্থার মূল বিষয় বা ভিত্তি। এ- সূরাটিকে ফাতিহাতুল কিতাবও বলা যেতে পারে। উক্ত নামাজিগণ দৈনিক কমের পে ৩২ বার আল্লাহর দরবারে দাড়িয়ে এ সুরা পাঠ করে থাকেন। দয়ালু দাতা করুনাময় মহান আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনার পর একটি বাক্য উচ্চারণ করেন ঃ ইয়্যা কা-না বুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তাঈন অর্থাৎ আমি তোমার ইবাদত করি। ইবাদাত কাকে বলে? আমাকে সর্বপ্রথম তা বুঝতে হবে। যাকে লালন পালন করা হয়, সে কি ঠিক ভাবে লালিত পালিত হচ্ছে? এতীম মেসকীনকে দেখা শুনার দায়িত্ব পালিত হচ্ছে কি? দুর্বলে- সবলে সাহায্য- সহযোগিতা হচ্ছে কি? রোগাক্রান্তদের এবং পড়শীদের খবরা -খবর রাখা হচ্ছে কি? স্ত্র্রী -পুত্র- সন্তান- সন্ততীর নীতি সম্মত অধিকার দেয়া হচ্ছে কি? নিরাশ্র্রয়কে আশ্রয়, অসহায়কে- সহায় দেয়া হচ্ছে কি? প্রকৃত যাকাত প্রাপ্যদেরকে যাকাত দেয়া হচ্ছে কি? কারো অধিকার হরণ করা হয়েছে কি না? হলে সমাধানের চেষ্টা করেছেন কিনা? অজ্ঞানকে জ্ঞান দান করা ুধার্তকে আহার দান করা হচ্ছে কি? এগুলিকে ইবাদাত বলা হয়। এসব কর্ম নামাজের পূর্বে সম্পাদন করা হয়েছি কি ? নামাজের পূর্বে নামাজি তা ভেবেছেন কি ? তা-না ভাবলে বা উক্ত কর্ম গুলো না করে কি ভাবে মালিকের সামনে দাড়িয়ে, উক্ত বাক্যের দ্বিতীয়াংশের বাণীটি ইয়্যাকা নাস্তাঈন অর্থাৎ ‘আমাকে সাহায্য করুণ’ কথাটা ব্যাক্ত করবেন? পূর্ণ বাক্যটি ‘ইয়্যাকা- না-বুদু ওয়া-ইয়্যাকা নাস্তাঈন’ অর্থাৎ আমি আপনার ইবাদাত করি, আমাকে সাহায্য করুণ। যাঁরা উক্ত কর্ম গুলো সম্পদন করেছে একমাত্র তাঁদেরই অধিকার “না-বুদু” বলার এবং নাস্তাঈন বলে নিতে পারেন। অর্থাৎ আল্লাহর সাহায্য চেয়ে নিতে পারেন। এ বাক্যটি উচ্চারণ করার একমাত্র তাঁদেরই সাজে। কারণ তাঁরা আল্লাহর কথা মতো কাজ করে, অর্থাৎ ইবাদাত করে। উক্ত বাক্যটি নামাজের মাধ্যমে দৈনিক যাঁদের মুখ দিয়ে ৩২ থেকে ৬০বার উচ্চারিত হয় তাদের পে পাপের চিন্তা হতে পারে কিন্তু পাপ করা কি সম্ভব ? সমাজে এধরণের নিষ্পাপ ব্যক্তি যদি বেশী বেশী থাকে, সাধারণতঃ সে সমাজই আলোকিত,শান্তির-সুন্দর সমাজ। আমি যদি হিংসা করি,পর নিন্দা,পরের মঙ্গলকে ঘৃণা করি, পরের সুখ শান্তিকে খুশির বা সুন্দর দৃষ্টিতে না দেখি, পরের উন্নতিকে বক্র চোখে, পরের সম্মানকে যদি খাটো চোখে দেখি, সম্মানিকে যদি সম্মান প্রদর্শন না করি, ছোটকে যদি স্নেহ বা আদরের দৃষ্টিতে না দেখি, যদি পরের অধিকার, ইজ্জত হরণ করি, অন্য সকলকে আমার ভাই বোন ও মুরুব্বি মনে না করি, আমি যদি পড়শীর সাথে খারাপ ব্যবহার করি, সমাজের মধ্যে সু-সর্ম্পক না গড়ি, এতীম মিস্কীনদের খবর না রাখি, প্রয়োজনে রোগীকে সেবা না দেই, অসহায়দেরকে শক্তি অনুযায়ী সহযোগীতা না দেই, আমি যদি অবৈধ কর্মে লিপ্ত থাকি, ধর্মীয় নীতি নিয়মকে অবহেলা করি, তবে আমি ভালো কি ফল আশা করতে পারি? আমি আমার মিথ্যে, অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম বন্ধ করেনি ঠকিয়ে সুবিধা ভোগ করেছি, ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করেছি। কারো প্রতি শক্তি অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করিনি, নিরারকে অরজ্ঞান দেইনি, ধর্মীয় বাক্যগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করিনি তবে আমি ইবাদাত করেছি বলে বলতে পারি কি? শুধু নামাজই আমাকে মুক্তি দেবেনা। ভিাবৃত্তি বন্ধ করার ল্েযই কর্ম করিনি বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সেবা করতে পারিনি। পশু পাখিকে সেবা দিতে পারিনি, কাকেও জীবিকার পথ প্রদর্শন করিনি। তাহলে আমার ইবাদাত কোথায়?<br />আল্লাহ বলেছেন- আমি জ্বীন এবং ইনসানকে ইবাদাতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি” অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। স্রষ্টার বর্ণিত ইবাদাত কতটুকু করেছি? ল্য রাখা দরকার , ধার শোধ করেছি কি? না করলে করবো বলে ল্য আছে কি ? কতটুকুন ভালো কর্র্ম করতে পেরেছি এবং মন্দ কর্ম কতটুকু পরিহার করেছি?আর কতটুকু করিনি তার জন্য মা প্রার্থনা করেছি এবং কতটুকু ভালো করতে পেরেছি, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ল্েযই দৈনিক পাঁচবার স্রষ্টার দরবারে নামাজের মাধ্যমে উপস্থিতি দিয়েছি কি? মুনাফিকি-নিমকহারামী পরিহার করতে পেরেছি কি না? <br />ধোকাবাজী বন্ধ করতে পেরেছি কি? কর্মগুলো শুদ্ধ-পরিশুদ্ধ করে সত্য সঠিক পথের নির্দেশনার ল্েযই ধর্মের আগমন ঘটেছে।<br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-209187507859256848.post-76170854726644715642013-05-29T10:01:00.001-07:002013-05-29T10:01:04.907-07:00ধর্ম কি ও কেন?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
মানুষ যখন মানবিকতা হারিয়ে, পাশবিকতায় প্রবেশ করে, গভীর অন্ধকারে নিপতিত হয় তখনই বিশৃঙ্খল পরিস্থির সৃষ্টি হয়। কেবল তখনই, পথ ভ্রষ্টদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরে এনে, আদর্শ সমাজ গড়ার ল্েযই ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। ধর্ম অর্থ- কর্ম। যেমন, চুম্বকের ধর্ম আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ উভয়ই। চুম্বক সমমেরুতে বিকর্ষণ এবং বিপরীত মেরুকে আকর্ষণ করে। এটা তার জন্মগত অধিকার এ জন্মগত অভ্যাস বা জন্মগত ধর্ম বা জন্মগত কর্ম। <br />মানুষও এমনি যেসব কর্ম করে সেটাই তার ধর্ম। যেমন সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করা, লেখাপড়া- খেলাধুলা করা, চাষ করা, নতুন নতুন আবিষ্কার করা ইত্যাদি। এই ধর্মের জন্যেই তার সৃষ্টি। যেমন- চুম্বক আকর্ষণ এবং বিকর্ষনের জন্য সৃষ্টি। যখন সে এই ধর্ম পালন করে তখনই তার জন্ম সার্থক।<br />অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, কেউ ভালভাবে বাঁচতে পারে না। তার মৃত্যুই অবধারিত। যেমন- পানির জীবকে ডাঙ্গায় বসবাস করতে দিলে, সে বাঁচবে না? মানুষকে, পানির তলে বসবাস করতে দিলে বাঁচবে না। এজন্যে, কোন প্রাণীর জন্মগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কারো উচিত নয়। স্ব- স্ব অধিকার- জনিত ধর্ম বা কর্ম থেকে বঞ্চিত হলে বা দূরে থাকলে ধ্বংস অবধারিত। <br />বৃরাজিতে বসবাস করা এবং আকাশে বিচরণ করা, আহারের ল্েয জলে- স্থলে এসে, আহার শেষে, বৃরাজিতে চলে যাওয়াই তাদের ধর্ম বা কর্ম। তার ধর্ম মতে-কর্ম না করে যদি আকাশ ছেড়ে, স্থলে থেকে যেতে চায় বাচার ল্েয , পারবে কি? না পারবেনা। স্থলচরদের উর্ধ্বাকাশে বসবাসের অধিকার নেই। যেমন স্থলচারিদের অধিকার আকাশে নেই। “গগনচরি যখন, হতে চাইবে স্থলচরি, পারবেনা থাকতে যাবে সে মরি” প্রতি শক্তির আক্রোশে বা আক্রমনে উভয়ই ধ্বংস হয়। তাই স্ব-স্ব জাতিগত, ধর্মগত জীবন জীবিকা পরিচালনা করতে হয় । যার যেখানে, আকাশে -পাতালে, জলে- স্থলে বৃরাজিতে চলে যেতে হয়, এটাই নিয়ম- এটাই কর্ম বা ধর্ম। ম্ব-স্ব ধর্ম মতে না চললে- তার ধ্বংস নিশ্চিত। মূলতঃ স্ব-স্ব ধর্ম-কর্মের বিপরীত হলেই তা অনাকাঙ্খিত। সকল প্রকার প্রাণী স্থলচরি- স্থলে, গগনচরি- গগনে এবং সকল বস্তুকেই স্ব-স্ব ধর্মানুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। কর্মই জীবন, কর্ম না থাকলে প্রাণহীন বা মৃত্যু বলা যেতে পারে। কর্মহীনতা জীবন নয়- কর্মই জীবন। জীবন নেই, কর্ম নেই, কর্ম নেই জীবন নেই, জীবনহীন- অর্থাৎ মৃত, । যে বস্তু বা প্রাণীর কর্ম নেই তার প্রাণ নেই। এটাই চিরন্তন সত্য। <br />সকল জীব এবং বস্তুর মধ্যে জীবন জীবিকার রীতি-নীতি বা ধর্ম- কর্ম রয়েছে। <br />তদানুযায়ী চলাই তার জন্য বাঞ্চনীয়। মৃত্তিকার ধর্ম, উৎপাদন। উৎপাদন শক্তি না থাকলে, সে মৃত্তিকা মূল্যহীন। কারণ বৃৃ ফসলাদি- ফলরাজি , উৎপাদনেই মৃত্তিকার একান্ত কর্ম। ফলজ বৃৃ ফল না দিলে সেও সাধারণত: মূল্যহীন। তবে ঘর সরঞ্জাম বা জ্বালানির জন্যে কাজে আসে। আগাছাকে বাতিল বৃ-লতা বলে ধরা হয়,অর্থাৎ প্রয়োজন বর্হিভূত। এই আগাছারও একটা ধর্ম আছে। তা হলো জ্বলন শক্তি, জ্বলন শক্তি না থাকলে নিপ্তি হয় আবর্জনার স্তুপে। তবে, একেবারে বিফলে যায় না । ময়লাতে পরিণত হয়ে, পঁচে- গলে- গ্যাসের সঞ্চার করে। তাও মানবের মঙ্গলজনক কাজে আসে বা বিপদও ডাকতে পারে। যেমন ল-কোটি বৎসরের জমাকৃত গ্যাস, পরবর্তিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করতে পারে। মোট কথা, সকল জীব এবং বস্তুর মধ্যেই জীবন জীবিকার জন্য বা ধর্ম সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে কল্যাণ শক্তি রয়েছে। তাই আপনাপন ধর্ম- রীতি- নীতি মোতাবেক তারা কাজ করে যাচ্ছে। স্ব-স্ব- ধর্ম মতে কাজ করে যাচ্ছে বলেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ বলতে কিছুই নেই। মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত নিয়মে সকল জীব বৃ-লতা, গ্রহ, উপগ্রহ, নত্ররাজি-নিহারিকা- গ্যালাক্সি, যত সৌর মন্ডল সবই। তাই তাদের কর্ম েেত্র কোন প্রকার ব্যতিক্রম বা অনিয়ম দেখা যায় না। কারো ক পথে কেউ গমন বা অনাধিকার প্রবেশ করছে না। স্ব-স্ব ক পথেই চলছে তো চলছে। যার কর্ম আলো বিকিরণ করা- সে তাই করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যেও সমশক্তি সম্পন্ন আকর্ষণ-বিকর্ষণ রয়েছে। কেউ-এক অন্যকে টেনে নিতে পারছেনা বা- বিকর্ষণের মাধ্যমে অন্যটিকে তার স্বীয় ক পথ থেকে সরিয়ে দিতেও পারছে না তাই পদস্খলিত হয়ে কেউ ক চ্যুত হচ্ছে না। <br />উল্কার ন্যায়-গ্রহ যদি একটিও পদস্খলিত হয়, সব ধ্বংস হয়ে যাবে। <br />গ্রহ-উপগ্রহ- নত্র গুলো কতইনা শান্ত। আপনাপন গতিতে স্বীয় কর্মে রত রয়েছে। <br />মানব শ্রেষ্ঠ প্রাণী, অথচ কতইনা বিশৃঙ্খল। আমরা রীতি -নীতি এবং ধর্ম-কর্মে কতইনা, উদাসিন । ঝগড়া, মারা-মারি, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, জেনা, অনাধিকার চর্চা- ইত্যাদি সকল অকর্মই- আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। পশুদের মধ্যে ঝগড়া হলেও এক বা একাধিক ক্রমে মিমাংসা করে। প দ্বয়ের মধ্যে একটি নতি স্বীকার করে এবং যত তাড়াতাড়ি ঝগড়ার স্থান ত্যাগ করে। কিন্তু মানুষ এক প অন্য পকে জানে-মালে ধ্বংস করা ছাড়া নতি স্বীকার করতে জানে না। জানলেও রিপুর তাড়নায় পারে না। স্বীয় অধীনে, এ রিপুকে যে রাখতে পারে সেইতো বীর। মহান স্রষ্টা আল্লাহ মানুষকে অতি আগ্রহ করে সৃষ্টি করেছেন। গ্রহ, উপগ্রহ, নিহারিকা, গ্যালাক্সি, সৌর জগৎ সবকিছু মানুষের কল্যাণের ল্েযই সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মৎস্য যেখানে চাষ করা হয়, সেখানে যেন সুন্দরভাবে লালিত পালিত হতে পারে তার জন্য সকল ব্যবস্থা বর্তমান রেখেই মৎস্য পোনা ছেড়ে দেয়া হয়। ধরা যাক, মৎস্য পালনের জায়গা ইকুরিয়াম। ইকুরিয়ামের মধ্যে মৎস্য-খাদ্য বর্তমান রেখেই মৎস্য ছাড়া হয়। যতণ না মৎস্য চাষের উপযোগী হচ্ছে ততণ মৎস্য ছাড়া হয় না। তাই মহান স্রষ্টা আল্লাহ প্রথম মানব বসবাসের উপযোগী করেই মানব জাতিকে এ ধরা ধামে পাঠিয়েছেন। কারণ তাঁরা আল্লাহকে স্মরণ বা তাঁর ইবাদাতের মাধ্যমে জীবন যাপন করবে। তাঁর আদেশের বাইরে তারা চলবে না। তারা হবে অনুসারী অনুগামী। তারা, তাঁর হাবীব- হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা মান্য করবে। শান্তির সুন্দর সমাজ গড়বে এবং মহান স্রষ্টার আদেশ নিষেধের আলোকে জীবন যাপন করবে। যারা তাঁকে স্মরণের মাধ্যমে জীবন- জীবিকা অর্জন করবে এ অস্থায়ী সীমিত পথ শান্তি সুখে অতিক্রম করবে। তারা স্বর্গীয় জীবনের অধিকারী। সে মানবগণ আজ কোথায়? তাঁর প্রদত্ত খাদ্যতো ভোগ করা হচ্ছে। বেতন ঠিকই নেয়া হচ্ছে কিন্তু কারখানা চলছে না। যারা বেতন ভোগ করবে কর্ম করবে না তাদেরকেই তো নিমক হারাম বলা হয়। সৃষ্টিকুলের মধ্যে মানব শ্রেষ্ঠ জীব। তাদের ধর্ম অর্থাৎ কর্ম হবে শ্রেষ্ঠ। মানবকে যে জ্ঞানের অধিকারী করেছে, অন্য পশু পাখিকে সে জ্ঞান প্রদান করা হয়নি। তাই পশুদের কোন গ্রন্থ বা মহা পশু আসেনি। যেমন মানব কুলে মহা মানবগণের আগমন ঘটে। তবে ল্য করার বিষয় হচ্ছে যে, অন্য সব জীবন জগত যেখানে জীবন-জীবিকার্জনের জ্ঞান লাভ করেছে, মানুষও সেভাবে জীবন জীবিকার্জনের জ্ঞান লাভ করেছে। কিন্তু একটি জ্ঞান অতিরিক্ত দিয়েছে, যা শ্রেষ্ঠ জ্ঞান। উক্ত শ্রেষ্ঠ জ্ঞানটির কারণেই মানবকুলকে শ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়। মানব স্রষ্টার আদরের সৃষ্টি। তাই শ্রেষ্ঠ জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে। তারা তাদের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের মাধ্যমে স্রষ্টাকে এবং স্রষ্টার সৃষ্টিকে চিনতে পারবে। বুঝতে পারবে তাদের সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে এবং দায়িত্ব সম্পর্কে? জ্ঞানটি হচ্ছে আগুন, পানি, মাটি, বাতাস, আলো, মাটির গভীরে লুকানো তৈল, গ্যাস, সোনা, রৌপ্য, পিতল, দস্তা, হিরা, মুক্তা, পেট্রোল, ডিজেল, পাথর, চুনা পাথর, কয়লা, সিমেন্ট, বালি ইত্যাদি স্রষ্টা প্রদত্ত নিয়ামত পশু পাখি, বৃলতা মোট কথা সব সৃষ্টকে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানবই ভোগ করতে পারে। অন্যরা তা পারে না। তাই তাদের হিসেব নেই, প্রশ্নোত্তর নেই। মানুষের আছে কারণ মানব সর্বভোগি। যদিও মানবের জন্য সব সৃষ্টি, তারা সরাসরি পশু পাখিদের ন্যায় ভোগ করতে পারবে না। তাদেরকে বিবেক বুদ্ধির দ্বারা স্বীয় হস্তে মুখরোচক খানা তৈরি করে খেতে হবে। কিন্তু পশুরা উৎপাদন করতে অর্থাৎ খানা তৈরি করে খেতে পারে না। মানুষ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে মহান স্রষ্টার সৃষ্ট সব কিছুই ভোগ করে থাকে। মানুষকে সব ভোগের মতা কেন দেয়া হলো? দেয়া হলো এ জন্য যে, তারা স্রষ্টার ইবাদাত করবে। ইবাদাত কিভাবে করবে? নীতি নিয়ম কি? ইবাদাত কাকে বলে? কি কি কর্ম কিভাবে করলে ইবাদত হবে? পূর্বেই তা বলা হয়েছে। <br />ইবাদাতের পথ নির্দেশনা প্রদানের ল্েযই মহামানবগণের আগমন ঘটেছে। তাদের মাধ্যমে যে সকল গ্রন্থ মানবকুলে এসেছে, তাতেই ভোগের নীতি নিয়ম প্রদত্ত হয়েছে। মহাগ্রন্থে প্রদত্ত নীতি নিয়মানুযায়ী ভোগ করলে এবং মানবতা রা করলে সমাজকে কলুষ- মুক্ত রেখেই সুন্দর শান্তি সুখের সমাজ গঠন এবং স্রষ্টা প্রদত্ত দানগুলো ভোগের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ল্েয দৈনিক পাঁচ বার নামাজের মাধ্যমে মালিকের সামনে উপস্থিতিকে পূর্ণ ইবাদত বলা হয়। অন্য কথায় ইসলামের মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কর্তৃক আনীত যে মহাগ্রন্থ আল ক্বোরআন এবং হাদীস, তার আলোকে জীবন যাপন করার নামই ইবাদাত। <br /></div>
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/17316922135218936051noreply@blogger.com0