বিশ্ব মানব সমাজ দায়িত্ববোধ থেকে আজ বঞ্চিত । জ্ঞানীগণ পার্থিব জীবনকে সাময়িক অর্থাৎ অস্থায়ী মনে করে। তাঁরা অহঙ্কার করে না, অহঙ্কার করবেই বা কেন? মানুষ কি জানে? জানার মধ্যে ধ্বংস ছাড়া কিছুই জানেনা। সবইতো মহান স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট। মানব কি আপন হতে আপনকে অর্থাৎ নিজ হাতে নিজেকে সৃষ্টি করতে পেরেছে? উত্তরে, না। নিশ্চয়ই মহান স্রষ্টা থেকেই সৃষ্ট। সে মহা শক্তিতো ‘আল্লাহই’ সমস্ত সৃষ্ট জগতের সৃষ্টি কর্তাই তিনি। তিনি সৃষ্টি করেছেন , হস্ত যুগল, পদ যুগল, কর্ণ যুগল, নাসিকা, মুখমন্ডল, জিহ্বা এবং আলা জিহ্বার মাধ্যমে স্বাদ উপলব্ধি শক্তি, হজম শক্তি, মলত্যাগ, দূষিত পানি বর্হিগমন ব্যবস্থা এবং স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মাধ্যমটি ইত্যাদি সৃষ্টিকর্তার দান নয় কি? ভোগ্য বস্তু বা উপাদান সমূহ মহা স্রষ্টার প হতেই তো জীবাত্মাগণ লাভ করে থাকে। মানবের অহঙ্কার কোথায়? মানব কিছুইতো সৃষ্টি করতে পারেনা। কীট -পতঙ্গ বা পশু জগতের কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা। সকল জীবাত্মাই স্রষ্টার সৃষ্টি থেকেই ভোগ করে থাকে । মানব এবং সকল জীবকুলে পারে শুধু স্রষ্টার সৃষ্টিকে রূপান্তর করতে। অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টিকে কেটে ছিড়ে ভেঙে চুর্ণ করে রূপান্তারের মাধ্যমে ভোগ করতে। পশুকুল কিন্তু রূপান্তর করার মতা লাভ করেনি। সরাসরি শুধু ধ্বংসই করতে পারে। মোট কথা সকল জীবাত্মাই ধ্বংসকারী শুধু মল সৃষ্টি করতে পারে আর কিছুই নয়। এ পবিত্র মর্ত্য ধরাটিকে একটি মলপিন্ডে পরিণত করেছে। পবিত্রকে অপবিত্রই করতে পারে। সৃষ্টির ধ্বংস এবং পবিত্রকে অপবিত্র করতেই স আর সৃষ্টিতে অম। উক্ত দতাই মানব লাভ করেছে। অর্থাৎ ভোগ বিলাসের উদ্দেশ্যে চুর্ণ-বিচূর্ণ না করলেতো ভোগ করা যায়না। ধ্বংসোদ্দেশ্যে দিক-বিদিক ছুটো- ছুটি করতে পারে, এটাই কি মানবিক কর্ম বা দায়িত্ব ? এ জন্যেই কি মানব সৃষ্টি? শুধু ভোগদ বিলাসের জন্যেই কি এ অত্যাশ্চর্য ভুবনে সাময়িক ভোগ করতে দেয়া হলো? কেন, কি কারণ? এর পেছনে যুক্তি ? যে কোন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পেছনে করণাতো নিশ্চয়ই থাকবে।
ল্য করলে প্রতীয়মান হয় যে, সমগ্র সৃষ্ট সৃষ্টির কারণ হলো মানব সৃষ্টি। স্রষ্টা মানব সৃষ্টি করবেন এবং তদ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য সাধণ করবেন। মানব কিভাবে বাঁচবে? তাদেরকে বাঁচাতে হলে তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থাতো স্রষ্টাকেই করতে হবে। তাদের পানাহার,থাকার এবং স্বাস্থ্য সুস্থতার ল্য রেখে সু প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা সরূপ ইহকাল নামক বিশ্ব জগত সৃষ্টি করেছেন। মানুষ যখন ভোগ্যজীব সংগ্রহ করার আশা পোষণ করে তখন লালন পালন করার মত সুন্দর সুব্যবস্থা করতে পারে। পরে তা থেকে ব্যবহার বা ভোগ করতে পারে। লালন-পালনের ল্য হলো প্রয়োজন মেটানো। যখন যা-যে ভাবে প্রয়োজন হবে, তখন তা সেভাবে সেকাজে ব্যবহার করবে। এখন একটু দৃষ্টি নিবদ্ধ করার দরকার, স্রষ্টা কেন লালন পালনের জন্য মানব সৃষ্টি করলেন? স্রষ্টার কি কাজে আসেব চাষ করাবেন মোটা তাজা হলে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবেন, না ভোগ্য বস্তু হিসেবে ব্যবহার করবেন? না গাধা গোড়ার গাড়ী চালাবেন? না কুকুরের ন্যায় বাসস্থানের দরজায় বেঁধে রেখে চোর পাহারার কাজে নিয়োগ করবেন, না বীজ হিসেবে মাটিতে পোতে বপন করে খাদ্য হিসেবে খাদ্যোৎপাদন করবেন? কেন কি কারণে মানবকুল লালন পালন করবেন? মানব সৃষ্টির মূলে ল্য কি ছিলো ? ল্য ছিলো ইবাদত করানো , তাই মহান স্রষ্টা পবিত্র গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন জ্বীন এবং ইনসানকে কেবল আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি। সৃষ্টির ল্য সম্পর্কে, উক্ত উক্তির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প থেকে প্রকাশ করা হলো। এখন সে দিকেই নজর ঢালতে হয়। ইঙ্গিত ইশারা বা নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ ‘আল-ক্বোরানে’ লিপিবদ্ধ রয়েছে , মানব সৃষ্টির ল্য সম্পর্কিত বাণী “মা-খালাক্বতুল জ্বীন্নহ্ ওয়াল ইনসা ইল্লা লি-ইয়া বুদূন” অথ্যাৎ আমি জ্বীন এবং ইনসান অর্থ্যাৎ মানবকে আমার ইবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি-অন্য কোন কাজের জন্য নয়। মহান স্রষ্টা পরিষ্কারভাবে উদ্ধৃত করেছেন যে, উক্ত বাণীতে তোমরা বঝুতে পার যে, এটাই আমার মুল ল্য বা উদ্দেশ্য । এ ল্েযই আমার সৃষ্ট জগত সৃষ্টি। তারা আমার আদেশ বহির্ভূত কজে লিপ্ত হবেনা। তারা আমার কথা শ্রবনকারী এবং স্বরণকারী তারা আমার কথা অমান্য করবেনা এবং অবধ্যা হবেনা। তাদের নিকট এটাই আমার চাওয়া এবং পাওয়া। মানব সৃষ্টির ল্য এটাই। প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহান সৃষ্টিকর্তার মানব সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁর আদেশ পালন করানোর মাধ্যমে এক সুন্দরতম সৃষ্টিরাজ্য তৈরী করা। তাই তার আদেশ এবং নিষেধ সম্বলিত গ্রন্থ দিয়ে যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। জ্বীনকুল হচেছ অদৃশ্যমান, অশরীরি আত্মা। তাদের মধ্যেও আল-ক্বোরানের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী রয়েছে। তাদের সম্পর্কে ও বিস্তরিত আলোচনা রয়েছে তাঁর পবিত্র বাণীতে । জ্বানকুলের মধ্যেও জ্বীনরূপ শয়তান রয়েছে। মানবকুলে ও রয়েছে মানবরূপ শয়তান। যারা মন্দকাজে লিপ্ত মন্দ কর্মই তাদের শান্তি। অন্যদের তি সাধন করতে তাদের বিবেকে একটু ও বাঁধেনা। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাঁর বাণীতে বলেছেন, তাঁর ইবাদাত বা তাঁকে স্বরণ করা হবে? এ সৃষ্টজগত সমূহ যে মানবকুলকে দান করলেন, তাঁর এ দানের বিনিময়ে কি করলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে? কেউ যদি কাউকে স্বত্ত ত্যাগের মাধ্যমে কিছু দান করে থাকে, দান গ্রহণকারী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সরূপ দাতার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। যিনি সর্বদাতা, সর্বশক্তিমান অর্থাৎ যিনি সব কিছুই দান করেছেন, সে মহান দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। কৃতজ্ঞাতা প্রকাশের উপায় কি? তিনিতো দৃশ্যমান নন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিয়মাবলি এবং রূপ রেখা কি? সে সম্পর্কে ‘আল্লাহর’ প্রেরিত মহাপবিত্র বাণী ‘আল-ক্বোরানে’ বর্তমান রয়েছে এবং তা মহাপ্রলয় কিয়ামাত পর্যন্ত থাকবে। তা কার্যেেত্র প্রয়োগ করানোর জন্য যুগে-যুগে মহাত্মামানব অর্থাৎ মহামানব প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু আজ এ দুর্যোগ যুগে সে সকল মহামানবগণ অর্থাৎ যাঁদের মাধ্যমে তার বিধান সমূহ বা ব্যবস্থাপত্র সমূহ মানবকুলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে সকল অনুকরণীয় অনসরণীয় মহাত্মা ব্যক্তিবর্গ আজ কোথায় প্রশ্নটি অবান্তর, বর্তমান বিশ্ব মানবকুলের অমানবিক আচার আচরণে ব্যথাহত চিত্তে আবেগ প্রবণ থেকে প্রশ্নটি এসে গেলো।
মহাত্মা মহামানব যে আর আসবেননা তা আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই হযরত মোহাম্মদ (দঃ) কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে। যত মহামানব এসেছিলেন সকলেইতো আপনাপন চিরস্থায়ী অবস্থানে অবস্থান করছেন। পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহামানবের আবির্ভাব আর ঘটবেনা। তা-হলে এ ইহকালীন যুগের মানবকুলের পথ নির্দেশনামুলক ইশারা কোথায়? সে ইশারাই রয়েছে ‘আল-ক্বোরান’ নামক মহা গ্রন্থে। তা অনুসরনে এবং অনুকরণের মধ্যেই মুক্তি অবধারিত-এটাই স্রষ্টার ওয়াদা। এ চলমান যুগটি এমন এক যুগে প্রবেশ করেছে, যে যুগে মানবের মানবতা নেই। মানীগণ মান থেকে, ছোটগণ আদর স্নেহ থেকে, দুর্বল ভিুকগন দয়া-দান থেকে বঞ্চিত । সমাজ নেই, নামাজ নেই, সহযোগিতা নেই। সবলগণ দুর্বলের ধার হাহাকার শুনেনা। মনে হয় যেন দুর্বলকে আরো দুর্বল দেখতে ভালোবাসে। দুর্বলগণ সচ্ছল হোক এটা যেন সবলদের কাম্য নয়। সবলগণ আরো সবল হোক এটাও যে দুর্বলদের কাম্য নয়। মোটকথা কেউ কারো মঙ্গলকাঙ্গি নয়। একে অপরকে মূল্যায়ন করেনা। অন্যের হক হরণকরতে দ্বিধ্ াকরেনা। পরের অধিকার হরণ করে যেন বাহাদুর হতে চায়। এ যেন পশু হতে নীচু এক বেনামী জীবকুল। শাসকগণ ও ক্রটি মুক্ত নয় নাগরিকগণের মধ্যেও শতকরা নব্বই পঁচানব্বই ভাগ ক্রটিপূর্ণ পরিলতি হচ্ছে। ক্রটিযুক্ত শাসক গোষ্ঠি যেন পশু আপো নিকৃষ্ট পর্যায়ে নেমে এসেছে। তারা তাদের মালিককে এবং নেতা বা সরকারকে মানতে চায় না। সরকার গুলো ও আপনাপন স্বার্থ রার জন্যে নিজ নিজ দেশীয় নাগরিকগুলোকে আয়ত্বে রাখতে চায়, দেশ বা জাতির উন্নতিতল্পে শাসনকার্য পরিচালনা করেনা। করতে পারেনা, করতে দেয়া হয়না। প্রত্যেকেই সুযোগ সন্ধনী। নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার মন-মানসিনকতা সম্পন্ন ব্যক্তি যে নেই , তাও নয়। যেখানে শতকরা নব্বইভাগ ক্রটি সম্পন্ন সেখানে শতকরা দশভাগ ক্রটি মুক্ত সম্পন্ন ব্যক্তিদ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয়। ফলে দেশ ও জাতি অনুন্নতই থেকে যায়। সুতরাং দেশ এবং জাতি অশান্তির জ্বলন্ত অনলে জ্বলতেই থাকে। যখন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ধোকাবাজ, মুনাফিক , নিমক হারাম, চোর-গুন্ডা ডাকাত তখন শুরু হয় মানুষে-মানুষে হানাহানি-মারামারি, খুনাখুনি, ঝগড়া-বিবাদ, অন্যের সম্পদ হরণ করে জ্ঞানী-বুদ্ধিমান এবং চতুরতার পরিচয় দেয় এবং শয়তানি চক্রজাল ফেঁদে পেছন থেকে আক্রমন করে ফাঁদ ফেলে আক্রান্ত ব্যক্তির সামনে এসে অভিনয সূচক হা-হতাশের মাধ্যমে দয়ার ভাঁন প্রদর্শন করে। যেমন বর্তমানে ইরাক এবং আমেরিকার মধ্যেকার সংঘটিত ঘটনা। আমেরিকা ইরাকের বিরুদ্ধে মিথ্যা কারণ সৃষ্টিকরে ইরাক দখল করে নিলো। এ এক জ্বলন্ত অত্যাচার আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ জ্বলন্ত অত্যাচারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। অন্য দিকে ইরাকী প্রেসিডেন্ট ভালো হোক আর মন্দই হোক তা তার ব্যাক্তিগত বিষয়। বর্তমান ঘটনার পরিপ্রেতি তার ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর নজরদারী করার কোন অধিকার করো আছে বলে মনে হয়না। তার ব্যক্তিগত চরিত্রের ওপর নজরদারী করার অধিকার তাঁর দেশীয় জনগণেরই । অন্য দেশের নয়। বর্তমান ঘটনার প্রেেিত সাদ্দাম একজন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে অত্যাচারিত অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ তার ব্যক্তিগত ব্যক্তিত্ব যত ভালো এবং মন্দই থাক, তার প থেকে ইরাকের ওপর ঘটনার প্রেেিত ‘বুশ’ একজন আন্তর্জাতিক নজরে ভয়ঙ্কর জ্বলন্ত অত্যাচারী জালিম মিথ্যুক কাপুরুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। দু’ মেরুই অমরত্ব লাভ করলো। ল্যকরা যাচ্ছে যে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন জ্বলন্ত অত্যাচারিত হিসেবে অমরত্ব লাভ করলো। দ’জনই বিশ্বের ইতিহাসে নিজ নিজ গুণ্য-গুণের উপর চির অমর হয়ে থাকবে। ‘বুশ’ এবং সাদ্দাম এর কর্মকান্ডের এরূপ অবস্থানগত ঐতিহাসিক ঘটনা উপলে এ চলমান লেখার সারিতে কবিতা নিজ নিজগুনে স্থান করে নিলো।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘বুশ’ এবং বৃটিশ মন্ত্রী ‘ব্লেয়ার’ যে কান্ড ঘটিয়েছে, অর্থাৎ যেভাবে চরম অন্যায় ভাবে ইরাক দখল করে নিলা। ঘটানাটি যে কথিত ব্যঘ্র এবং ছাগল সাবকের মধ্যেকার পানি ঘোলা গল্পের মতই। ব্যঘ্র, ছাগল সাবকে বল্লো হে ছাগলের বাচ্চা!
আমি পানি পান করতে তুই পানি ঘোলইশ্ কেন? ছাগলের বাচ্চা বল্লো বাহঃরে, আমি পানি ঘোলাচিছ কোথায়? আমি তো তোমা হতে নীচু জা’গায়, তোমার দিক হতেইতো পানি আমার দিকে রহমান, আমার দিক হতে কি করে পানি তোমার দিকে যাচ্ছে এটাতো ভুল কথা বলছ। তদোত্তরে ব্যঘ্র বল্লো, আরে তুই ঘোলাইশনে তোর বাপ-দাদ! ঘোলিয়েছে,তোকে আমি খেয়ে ফেলবো। তোকে কিছুতেই ছাড়বোনা। ছাগল সাবক বল্লো, বুঝতে পেরেছি নিঠুর ব্যঘ্র, মূল কথা হলো, তুই আমাকে খাবি। সেটাই বল! উপরোক্ত ইরাক, আমেরিকার মধ্যেকার ঘটনাটি ঠিক-কথিত, ব্যঘ্র এবং ছাগলের বাচ্চার গল্পের মতই। বুশ-ব্লেয়ার মিথ্যাচারের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেই প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান বিশ্বে কি ধলনের জালেম অত্যাচারীর, মিথ্যুকের, ধোকাবাজের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান যুগটা যেন চরম মিথ্যা, ধোক,জুলোম এবং অত্যাচারের যুগ চলছে। লজ্জাহীন শাসক কিন্টনের ন্যায় অসংখ্য লজ্জাহীন জন্ম নিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে উল্টো হওয়া প্রবাহমন। এ যুগে লজ্জাহীনের প্রতিবা করাটাই যেন লজ্জাহীনতার পরিচায়ক। মিথ্যা-ধোকাজ-জালেম এবং অত্যাচারের প্রতিবাধ করলে যেন প্রতিবাদীকেই মিথ্যূক , ধোকাবাজ জালেম এবং অত্যাচারীরূপে প্রতীয়মান হয়। ক্রটি মুক্ত থাকছেনা, থাকতে দিচেছনা । বর্তমান সমাজ যে ক্রটি যুক্তদের নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনি গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন এ কালটি । যে ব্যক্তি বিশেষ জ্ঞানের, বিবেকবুদ্ধির ,সচেতনতার, সত্যবাদিতার এবং হুশ মানের দাবীদার সে যদি তার কর্ম কন্ডের মাধ্যমে বুদ্ধিহীনতার, অবিবেচকের , অজ্ঞানের অসচেতনতার, বেহুশের এবং মিথ্যা বাদিতা প্রতীক চিহ্ন বহন করে। তাকেই বিশ্বের বেহুশ বলা চলে। যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশ এবং বৃটিশ মন্ত্রী ব্লেয়ার। তাদের কর্মকান্ডে বিশ্বের সেরা বেহুঁশের পরিচয় বহন করছে। তারাতো আজাজিল শয়তান নয় কিন্তু শয়তান হয়তো কোন এক সুযোগের সদ্ব্যবহার কর তাদের উভয়ের মস্তিস্কে প্রবেশ করে সু-বিবেকের দ্বারটি রূদ্ধ করে দিয়েছে। তাই তারা বোধীরানুরূপ বিশ্বকে উপো করে ইরাকে অন্যায়ভাবে যুদ্ধ সয়ঘটিত করে নির্বিচারে অত্যাচা চলিয়েছে। সু এবং কু এ দুয়ের মধ্যেকার ব্যবধানটুকো ভুলে গিয়ে শয়তানের মতোই উক্তি করেছে। যেমন- কোন এক কথিত গল্প থেকে, গল্পের মধ্যে বর্ণিত কথা, কোন এক শয়তানের নেতা অন্য শয়তানকে বলেছিলো, আরে ভাই শয়তান, তুমি একান্ড ঘটালে কেন? এতগুলো প্রাণ আকারেণে ধ্বংস হয়ে গেলো। উত্তর দাতা শয়তানটি উত্তরে বল্লো, আরে ভাই আমিতো একাজ করেনি। আমরা কয়েক সংখ্যক একত্রে দলবদ্ধভাবে মিলে মিশে লোক চলাচলের পথে খেলা করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি বাজার থেকে গুড় নিয়ে উক্ত পথ ধরে যাচ্ছিলো। তখন আমার অন্তরে কৌতূহল জাগলো যে, আজ পিপিলিকাদের একটু উপকার করবো। তখন এক গুড় ওয়ালাকে ধাক্কা দিয়ে একটু গুড় ফেলে দিলে, পিপিলিকাগণ তা খেয়ে আনন্দ পাবে। তাই আমি কৌতকের চলে লোকটিকে একটু ধাক্কা দিয়েছিলাম। তাতেই লোকটির ভান্ড থেকে একটুখানি গুড় পড়ে গিয়েছিল। আমি আমার কর্মকরে চলে এলাম, আরতো খবরই রাখিনি। তুমিতো খবর রাখোনি কিন্তু তোমার উক্ত অবৈধ কর্মের ফলে কতগুলো নিরিহ নির্দোষ প্রাণ ধ্বংস হয়ে গেলো। প্রশ্ন: কি ভাবে? তুমি ফেরার পরনেই পিপড়ার দল সে পতিত গুড় খেতে এলে, পিপিলিকা খেতে এলো টিক টিক ,টিকটিক মারতে এলো একটি বিড়াল, বিড়ালকে মারতে এলা একটা পালিত কুকুর, বিড়ালটি যখন মেরে ফেল্লো, বিড়াটি ছিলো পারিত, বিড়ালটিকে মৃত দেখে বিড়ালের মালিক লোক দল নিয়ে কুকুরটিকে মারলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষাণা করলো, বিড়াল এ বং কুকুর দলের মধ্যে যুদ্ধ সংঘঠিত হলো তোমার অবৈধ কৌতূহলের ফলে, অকারণ, অবৈধ যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার কতিপয় সংখ্যক নির্দোষ প্রাণ অনন্তাদৃশ্যে চিরতরে বিলীন হয়ে গেলো।
মিথ্যুক কাপুরুষ ধোকাবাজ অবিবেচক বিশ্বের বেহুশ বুশ এবং ব্লেয়ারের উক্তিটি ঠিক কথিত শয়তানের উক্তিটির মতোই উক্ত শয়তান ও বলেছিলো আমিতো কিছুই করিনি, আমি শুধু পিপিলিকার একটু উপকারই করেছিলাম। ‘বুশ এবং ব্লেয়ার’ ঠিক শয়তানের উক্তিটির পুনরাবৃত্তি করলো । বুশ এবং ব্লেয়ার ঠিক শয়তানের মতোই বল্লো আমরা তো ইরাক জনগণের উপকারই করতে গেলাম। তাদেরকে সাদ্দাম-এর কবল থেকে মুুক্তি দিয়ে সুখি করতে চেয়েছিলাম। শয়তান যেমন-অকারণে পথিকটিকে ধক্কা দিয়ে, গুড় ফেলে, অকারণ যুদ্ধে অবর্ণনীয় তি সাধন করেছিলো। বুশ-ব্লেয়ারের যুদ্ধটি ঠিক উক্ত শয়তান পিপিলিকা এবং টিকটিক আর বিড়াল সম্পর্কিত উদ্ধৃত সংঘটিত ঘটনার মতোই হনে হচ্ছে। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, ল্য করুন, বুশ এবং ব্লেয়ারের ‘ইরাক’ সম্পর্কিত সংঘঠিত ঘটনাটি সঠিক ছিলো কি? তা যে সঠিক ছিরলোনা, বিশ্ব পর্যবেক মহলে ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত হয়েছে। যে বায়না বা কারণ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়ে তৈল সমৃদ্ধ একটি দেশ ধ্বংস করে দেয়া হলো, শত-শত পরীক নিরিক, পরিদর্শক নিয়োগ করেও উক্ত প্রদর্শিত কারণটি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে প্রদর্শন করাতে পারেনি। সঠিক সময়ে প্রশ্নোত্তর সঠিকভাবে তা প্রদান বা প্রদর্শন করতে না পারলে পরিবর্তিতে সঠিক হলেও তা গ্রহনযোগ্য হয়না। বুশের বেলায়ও ঠিক তাই হলো।পরীার্থীকে যেমন অনির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়না, তেমনি বিশ্ববাসীও যুদ্ধের সঠিক কারণ প্রদর্শন করানোর জন্যে বুশ এবং ব্লেয়ারকে সীমাহীন সময় দেয়নি। প্রদত্ত সীমিত সময়ের মধ্যে সঠিক কারণ প্রদর্শন করতে পারেনি। তিনটি মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রমাণপত্র পেশ করলে ও তা নকল মিথ্যা এবং বানানো বলে গণ্য হবে। এখন বুশ এবং ব্লেয়ারকে নিজের বিচার নিজেরাই করতে হবে। যেমন মিশরের খোদায়ী দাবীদার বাদশা ফেরাউন নিজের বিচার নিজের পইে করেছিলো, যদিও সে বুঝতে পারেনি । তার বিচারের রায় তার বিপে যাচ্ছে বলে বুঝতে পারলে হয়তো সে এ রায় থেকে বিরত থাকতো। সে কথিত ফেরাউনের রায়টির ওপর একটু আলোকপাত করতে হয়। ফেরাউন যখন নিজকে খোদা বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে দাবী করে সিংহাসনে আরোহন করলো, তখন তার দেশের জনগণ তার দরবারে আবেদন নিবেদন করতে শুরু করলো। এমনি এক সময় আসলো, দেশে অনাবৃষ্টির কারণে ফসল হচ্ছিলোনা। তখন জনগণ বাদশাহর দরবারে এসে বৃষ্টির জন্য আবেদন জানালো, তখন ফেরাউন বাদশাহ বেকায়দায় পড়লো, কিভাবে বৃষ্টি বার্ষাবে? মূলতো সেও অন্যান্যদের মতোই স্রষ্টার সৃষ্টি। তার তো কোন মতাই নেই। অনুন্নোপায় হয়ে রাত্র-নিশিতে অর্থাৎ মধ্যরাতে একাকি চলে গেলো মরুভূমির লোকান্তরালে এক অন্ধকার জা’গায়। তথায় সৃষ্টি কর্তার নিকট অতœসমপূণ করে বাল্লো, হে মালিক মহান স্রষ্টা আল্লাহ, মূলতঃ তুমিই সৃষ্টিকর্তা সর্ব শক্তিমান। যখন যা ইচ্ছে, তুমিই তখন তা করতে পার। আমিতো অন্যান্যদের মতো তোমারি সৃষ্টির মধ্যে এক গোলাম। আমায় মা করো। শয়তানের ধোকায় পড়ে খোদায়ী দাবী করে বসেছি। তুমি মা না করলে, আমায় মা করবে কে? তুমি যে একক অদ্বিতীয় একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। তুমি আমায় মা করো। আগামীকাল তোমার রহমতের বৃষ্টি বর্ষও। তা না হলে লোকজন আমাকে এবং আমার সব ধবংস করে দেবে। ঠিক তখনি মহান আল্লাহ বার্তা বাহক জিব্রাইল (আঃ) কে শর্তের বিনিময়ে মা প্রদর্শনের মাধ্যমে বৃষ্টি বর্ষণ করিয়ে ফেরাউনের আবেদন পূর্ণ করবেন বলে ফেরাউনের নিকট পাঠিয়ে দিলেন। জিব্রাইল (আঃ) এসে শর্তটি ফেরাউনের সামনে তুলে ধরলো। শর্তটির মধ্যে ছিল-হে ফেরাউন, বলতো! যে মালিকের আদেশ এবং নিষেধ অমান্য করে এবং মালিকের খেয়ে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা, তার কি ধরনের সাজা শাস্তি হওয়া উচিত? ফেরাউন তা শুনে বল্লো, এমন ব্যক্তিকে নীল দরিয়া ডুবিয়ে মারা উচিত। তখন জিব্রাইল (আঃ) বল্লেন, তোমার এ উক্তির পরিপ্রেেিত এ পত্রে তোমার স্বার প্রদান করো! আমি এবং আল্লাহ এবং তুমি নিজেই তোমার এ উক্তির সাী এবং তোমার স্বারটি তারই প্রমান বহন করছে। যাও দরবারে! কাল বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি ঠিকই হলো, কিন্তু ফেরাউন তার পূর্বাবস্থায় ফিরে গেলো এবং জনগণের নিকট আরো জোরলোভাবে পূণঃ খোদায়ী দাবী করে বসলো । হযরত মূসা (আঃ) কে যখন দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে পিছু ধাওয়া করলো, মুসা (আঃ) নীল নদ পার হলেন। কিন্তু ফেরাউন যখন নীল নদের মধ্যখানে গেলো, তখন উভয় দিক থেকে পানি এসে একাকার হয়ে গেলো। ফেরাউন সাঁতার জানতো না বিধায় পানির তরঙ্গে হাবু ডুবু খেতে খেতে মরণোম্মুখ হয়ে গেলো , তখন আল্লাহাকে ডেকে ডেকে, বাঁচও বাঁচও বলে চিৎকার করতে লাগলো। ঠিক তখনি ফেরাউনের রায়কৃত স্বার সম্বলিত পত্রটি তার দৃষ্টিতে ভেসে উঠলো। তার নিজস্ব রায়, মুনাফিক নিমকহারামের এবং আদেশ অমান্যকারীর সাজা নীল নদীতে ডুবিয়ে মারার স্বার সম্বলিত পত্র দর্শন করে নিরাশ হলো আবশেষে ডুবে মরলো। তাই বুশ-ব্লেয়ার নিজেদের বিচার নিজেদেরই করতে হবে এবং সে বিচারে তাদেরকেই ডুবে মরতে হবে। প্রাথমিকাবস্থায় জ্যান্ত মৃত্যুই ঘটেছে। বিশ্বে যাদের নাম বিথ্যুক কাপুরুষ ধোকাবাজ জালেম অত্যাচারী হিসেবে ঘোষিত হয়েছে বিশ্ব সমাজে, তাদের জীবন্ত মৃত্যুই সংঘঠিত হয়েছে। তাদের জীবন হয়েছে কলঙ্কিত , লজ্জিত, অপমানিত, ধিকৃত। বিশ্বের মানবকুল তাদের প্রতি ধিক্কার এবং থুক থুক শব্দ নিপে করে যাচ্ছে। ধিকৃত জীবন হয় মৃত প্রায়। বাঁকি রয় শুধু কলঙ্কিত ধিকৃত লজ্জিত অপমানিত অপবিত্র দেহ হতে আত্মাটুকু
অনন্তাদৃশ্যে চির অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার অপোয়। মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টিকারী, জাতি সংঘের আদেশ তথা বিশ্বের আদেশ অমান্যকারীর বিচার বিশ্ববাসী করবে। তা-না হলে বিশ্ব আবার আদিম যুগে ফিরে যাবে। অসভ্য যুগের সৃষ্টি হবে আবার। অন্ধকার বলয়ে ঘুর পাকা খেতে খেতে ধ্বংস হয়ে যাবে ্এপৃথিবী । অন্যদিকে ল্য করলে বুঝা যাবে, বুশ-কর্মটি বিশ্বের জন্য সতর্কতা মূলক ঘটনা বটে। বিশ্ববাসী সতর্ক দৃষ্টি রাখাবে যে, এ ধরনের মিথ্যা অজুহাতে আর কোন ঘটনা যেন সংঘটিত না হয়। একটা প্রচলিত কথা বলতে হয়, তা হলো “ধাক্কা খেলে পাক্কা হয়” । আর যেন ধাক্কা খেতে না হয়, বিশ্ব সে ল্েয সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বলে মনে করি। বিশ্ব উদাসীনতার সমুদ্র যেন সাঁতার না কাটে। উদাসীনতার সুযোগে শয়তান প্রবেশ করে বেং সু-বিবেকের দ্বার বদ্ব করে। বিভ্রন্তি সৃষ্টি করিয়ে অতল গহ্বরের অন্ধকারে নিপে করে। তাই সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করলে সাধারণত বিপদ ম্ক্তু থাকার সম্ভাবনা থাকে। ইরাকবাসী এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ সমূহ সাবধান হবেন এটাই প্রত্যাশা। প্রেসিডেন্ট বুশের উপরোক্ত সমালোচনাটি এজন্যে করা হলো বিশ্ববাসী যেন এ প্রবাদ বাক্যটি ভুলে না বসেন যে, জোর যার রাজ্য তার” । যারা বুশ সাহেবের মত নব যুগের সূচনা করতে চান, অর্থাৎ আদিমযুগের পূণরাবৃত্তি ঘটাতে চান, কেবল তারাই তার অনুসারী হতে পারেন। উপরোক্ত মন্তব্যটি আমার ব্যক্তিগত আবেগ প্রবণ মন্ত ব্য বলে মনে করা ঠিক হবেনা। বর্তমানযুগ এমন এক যুগ, যেন যার মধ্যে সভ্যতার লেশ্ নেই।
The 8 Best Casinos in Las Vegas, NV - Mapyro
উত্তরমুছুনThe 8 Best 세종특별자치 출장마사지 Casinos in Las Vegas, NV. The 8 Best Casinos in Las Vegas, NV. Best 계룡 출장샵 casinos, casinos 여수 출장마사지 and gambling 보령 출장마사지 options for men and women 진주 출장샵